নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষেরা রোবট হয়ে যাচ্ছে!!

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৯

আমাদের সময়গুলোতে আমরা এক বন্ধু আরেক বন্ধুর কাছ থেকে বই ধার করে পড়তাম। সে অনেক আগের কথা পুরোনো স্মৃতী, একটা আত্মজীবনী লিখছি সেখানে আরও বিস্তারিত লিখবো এ নিয়ে, এখন বর্তমান বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলি। আমাদের সময়ে এতো এতো পাঠ্যপুস্তক, ব্যাগ ভারী করা বইয়ের চাপ ছিলোনা এবং মোবাইল ফোনও ছিলোনা, অনেকের আমলেই ছিলোনা, কারণ ব্লগে অনেক সিনিয়র ভাই বোন আছেন যারা । কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেক কিছুই আছে।

প্রসঙ্গ দুটো উঠানোর কারণ হলো, বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের স্কুল গুলোতে পড়াশোনার ব্যবস্থা ও পাঠ্যপুস্তকের যা হাল তা বিস্ময়কর। যে পরিমান পাঠ্যপুস্তক দেয়া হয় তাতে করে একজন ছাত্র বা ছাত্রী সিলেবাসের পড়ার পরে আর কোনো অতিরিক্ত সময় থাকেনা। ব্যাগের ভারেই তো বাচ্চারা পিঠ সোজা করতে পারেনা! এরপর কোচিং ক্লাস বা হোম টিউটর তো আছেই। সে পর্যায় ক্রমে অনেক দিন যাবৎ কথা বার্তা, আলোচনা, সংবাদ পত্রেও অনেক লেখা লেখি হয়েছে যে বিষয়ে তাই নতুন করে কিছু বলার নেই। বাড়তি হোমওয়ার্ক ও পড়ার চাপে ছেলে মেয়েরা অন্যকিছু করার কথা চিন্তাও করতে পারেনা। যেমন, খেলাধুলা অথবা কোনো বড় লেখকের গল্প বা উপন্যাসের বই পড়া। আমার এক বন্ধু ঝিনাইদহে বাড়ি, ঢাকায় মামার বাড়িতে থেকে চাকরী ও পড়াশোনা করে। তার মামাতো বোনকে দুটো গল্পের বই কিনে দিয়েছিলো! এক সপ্তাহ পর জানতো চাইলো যে সে কতোটুকু পড়েছে গল্পের বই? তার কাজিন জানায় সে ওই বই খুলেও দেখেনি। কারণ, অনেক হোমওয়ার্ক!! হোমওয়ার্ক তো নয় যেন দুঃস্বপ্ন। আমার ফুফাতো ভাই দশম শ্রেণীতে পরে, তাকে জিজ্ঞাসা করলাম সে হুমায়ুন আহমেদের কোনো বই পড়েছে কিনা! তার সোজা উত্তর না। ওই একই কারণ অতিরিক্ত পড়ার চাপ। চাপ থাকবেই কিন্তু আমাদের দেশের পড়ালেখা শুধু পাঠ্যপুস্তকের ভেতরে আটকে গিয়েছে ভয়ঙ্কর ভাবে। আর অভিভাবকগণও ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় উচ্চ নম্বরের পিছে ছুটছেন। এটা একটা নিত্য নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে। একটু একটু করে সবাই রোবট বা যান্ত্রিক মানব হয়ে যাচ্ছে।

একটা প্রশ্ন:- শিক্ষা দরকার নাকি সুশিক্ষা?!

পাঠ্যপুস্তকের পড়া বাদ দিতে বলছিনা, শুধু বলছি পড়াটা একটু অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছেনা!? মানুষের মগজেরও একটা সহ্য ক্ষমতা আছে।
আমি সব সময় বলি শিক্ষা ক্ষেত্র যেন শুধু পাঠ্যপুস্তক কেন্দ্রীক না হয়, অনেকেই এই কথার সাথে একমত হবেন। সবাই যেন স্বনাম ধন্য, দেশ বরেণ্য লেখদেরও বই যেনো সবাই পড়ে, এই সুযোগ টা করে দেয়া উচিত। গল্প বা উপন্যাসের বই কিংবা সায়েন্স ফিকশনের বই পড়ার অভ্যাস সবার ভেতর গড়ে উঠুক।

কথার ফাঁকে আশ্চর্য জনক একটা ঘটনা বলি,আমার ছোট বোন ডিগ্রি পাস, সে একটা কিনটারগার্ডেন স্কুলে চাকরি পেয়েছে মাস খানেক হলো। ছোট বোন জানালো, সে স্কুলে বইয়ের চেয়ে শীট হ্যান্ড নোট এর সংখ্যা বেশি!! আমার বোন একদিন বোরকা পরে একদিন স্কুলে গিয়েছিলো, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বোরকা পরে আসতে নিষেধ করে দিয়েছে। বুঝতে পারছেন তো দেশ কোনদিকে যাচ্ছে! অন্ধকার.....!

আমি একদিন এক পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তুমি কি গল্পের বই পড়না? সে বলল, এতো এতো H.W করার পর আর সময় পাইনা।
-হোম ওয়ার্ক শেষ করেই পড়ো বা ছুটির দিনে পড়ো।
সে জিজ্ঞেস করলো, হোম ওয়ার্ক কি?
আমি কিছুটা হলেও শঙ্কিত এ ঘটনায়!!!

এখন আরেকটা মূল সমস্যার কথা বলি, তা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ওয়েব ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া। যা এখন ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে! স্মার্টফোন গুলোর গেমসের প্রতি ছেলে মেয়েরা প্রচুর পরিমানে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত! এই সমস্যা টা বেশি দেখা যাচ্ছে ১২ থেকে ২০ বছরে বয়সের ছেলে মেয়েদের মাঝে ( যদি বয়সের ব্যাপ্তি টা যদি ভুল হয় তাহলে জানাবেন)। ছেলে মেয়ে সবাইই আসক্ত স্মার্টফোনের গেমস ও সোশ্যাল মিডিয়ার ভেতর। এই বয়সের ছেলে মেয়েরা খুব গভীর ভাবে ডুবে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যার কারণে তারা বই পড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। শুধু পাঠ্যপুস্তকের কথা নয় আউট বই বা পাঠ্যপুস্তকের বহিঃভুত বই এর কথা বলতে চাইছি। বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, আমি নিজেও এক সময় আউট বই লুকিয়ে পড়তাম। পাঠ্যপুস্তকের বই হয়তো টিচারের ভয়ে পড়ছে, কিন্তু তাও কি ভালো ভাবে , মনোযোগ সহকারে পড়ছে?!
স্মার্টফোনের একটা নমুনা অন্ধকারের কথা বলি, আমার চাচাতো ভাই ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আমাকে দুইদিন একই কথা বলছে, ইশ ভাইয়া টিভিতে যে ফোনের এড দেখি মনে চায় মানুষ খুন করে হইলেও ফোন কেনার টাকা জোগাড় করি। আর কত বুঝবো এদের, "সৎ সঙ্গে সর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরক বাস"। যাই হোক চাচাতো ফুফাতো ভাইদের বই পড়ার কথা বলার দরুন এখন তারা আমাকে দেখলে দৌড়ে পালায়।

আমার ভেতর থেকে বই মেলার রেশ এখনো কাটেনি।
বইমেলা নিয়ে একটা পর্বে বলেছিলাম আমি বইমেলায় ঢুকেই হুমায়ুন আহমেদের বই খুজিই সর্বপ্রথম। এই বছরে বইমেলার একদিনের একটা ঘটনা বলি যা সত্যি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে! অন্যপ্রকাশের সামনে দাঁড়িয়ে বই দেখছিলাম তো কিছুক্ষন পর লক্ষ্য করলাম পাঁচ জন স্কুল ছাত্র হুমায়ুন আহমেদের দুইটা বই কিনলো। মজার বিষয় টা হলো ওই পাঁচজন ছেলে ওরা খুব ঘনিষ্ট বন্ধু সবাই টাকা একত্র করে বই দুটো কিনলো। আমি কাছাকাছি দাঁড়িয়ে বিষয় টা লক্ষ্য করছিলাম। ওদের জিজ্ঞাসাও করলাম যে কে কোথায় থাকে, বই দুটো কে কিভাবে পড়বে? ছেলেরা জানালো ওরা একেক দিন ভাগ করে একটা বই একজন একজন করে পর্বে, ওদের হাতে আরও দুটো বই ছিলো অন্য কোনো লেখকের নাম জানা হয়নি! ওদের সাথে কথা বলে আমার খুব ভালো লাগলো, তবে খুব বেশিক্ষন কথা বলতে পারিনি ভিড় ছিল অনেক। ওদের সাথে কথা বলে আমার পুরনো দিনের কথা গুলো মনে পড়ে যায়। খুবই ভালো লাগলো দেখে যে এখনো সবাই রোবট হয়ে যায়নি!

মনে প্রানে চাই সবাই যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়।

আমি সবাইকেই ব্যক্তিগত ভাবে বই পড়ার পরামর্শ দেই প্রতিনিয়তই। মুভি বা নাটক দেখার বেপারে ডিমটিভেটেড করি। বই পড়লে জ্ঞান বারে তাও বুঝাই, জানি পুরোনো কথা তারপরও বলি। স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের কেও বলি, তোমরা হুমায়ুন আহমেদ, জীবনানন্দ দাস, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই যেন তারা পড়ে।

.
পাদটিকা ১:- কিছু মানুষ আছে যারা বইয়ের মতো কথা বলে। আনন্দের বিষয় হচ্ছে, কিছু বই আছে মানুষের মতো কথা বলে।
- থিওডোর হেকার।

পাদটিকা ২:-একটি সুন্দর সৃজনশীল পদক্ষেপ মানব জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারে।
- লেখকের কথা।

দয়া করে টাইপো থাকলে মার্জনার দৃষ্টিতে দেখবেন। এই ধরণের সচেতনতা মূলক লেখা চেয়েছিলাম আর লিখবোনা!
ভালো থাকবেন সবাই।

.

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৫

মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: লেখাটা সচেতনতা বাড়াক বইপ্রেমীদের মাঝে। নীতি নির্ধারকদের চোখ খুলুক। পাঠ্য বইয়ের ভারে শিশুরা যাতে কাবু হয়ে না যায় সে প্রত্যাশা রইলো।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমিও চাই সবার সচেতনতা বাড়ুক।
সুন্দর মন্তব্য ও পাঠদানের জন্য ধন্যবাদ।
সর্বদা সুস্থ থাকুন।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এত বেশী হোমওয়ার্ক করলে, ছেলেমেয়েরা অনেক কিছু জানার কথা; তা'হলে, তাদেরকে আবার টিউটরের কাছে যেতে হয়?

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আসলেই ভাই, এটা একটা বিরাট রহস্য যে রহস্য থেকে আমরা বের হতেই পারছিনা!

সুন্দর মন্তব্য ও পাঠদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: লেখাটা সচেতনতা বাড়াক বইপ্রেমীদের মাঝে। নীতি নির্ধারকদের চোখ খুলুক। পাঠ্য বইয়ের ভারে শিশুরা যাতে কাবু হয়ে না যায় সে প্রত্যাশা রইলো।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: চোখ সবারই খুলুক। সবাইকেই সচেতন হতে হবে।

মন্তব্য ও পাঠদানে খুব ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সর্বদা সুস্থ থাকুন।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আলোচনা।

পুরনো দিনের কথা আজও মনে পড়ে। আগের দিন, আগের লেখাপড়া, আগের বন্ধুত্ব, আগের স্কুল কলেজ আর এখনকার সবকিছুর সাথে মিলে না।

ছোট সময় একটা সেলুট আর দুইটা বই নিয়ে স্কুলে যাইতাম দল বেঁধে। আর এখন ছেলের স্কুল ব্যাগ দেখে কষ্টে বুক ফাটা অবস্থা। ছেলেটার চেয়ে তার স্কুল ব্যাগই বেশি ভারি।

তবুও সুশিক্ষিত হোক প্রতিটি শিশু, মানুষ।

শুভকামনা রইল।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মন্তব্য ও পাঠদানে কৃতজ্ঞ র'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম।
কথাগুলো অনুধাবন করতে পেরেছেন তাই খুব ভালো লাগছে।
আপনার জন্যেও শুভ কামনা রইলো।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০১

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। সহমত।

আমিও সুযোগ পেলে, বই পড়তে বলি। কিন্তু না, তারা সব মোবাইল আর ফেবু নিয়ে থাকে !!!

+।

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এটাই হচ্ছে বড় সমস্যা, ওরা নিজেরাই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বেরুতে চাইছেনা। কিভাবে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো যায় তা নিয়ে প্রায় সময় চিন্তা ভাবনা করি।

সহমত হওয়াতে খুব অনুপ্রাণিত হলাম, পাঠদান ও মন্তব্যে খুব প্রীত হলাম ভাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকবেন।

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কথা সত্য । আমার ছেলে থ্রীতে পড়ে সে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে সিড়ি বেয়ে উঠতেই পারে না

আর বহন করতেও পারে না ।

সুন্দর পোস্ট

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে খুব খুশি হলাম।
তবে আপু আমাদের নিজেদের স্থান থেকে শক্তভাবে সচেতন হতে হবে। বাচ্চার পিঠে বইয়ের বোঝা আর মাথায় অতিরিক্ত পড়ার টেনশন না চাপিয়ে সুশিক্ষার সুযোগ টা সহজ করে দিতে হবে।

অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

স্বপ্না ইসলাম ছোঁয়া বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। আমাদের সময় এমন ছিল, সারা বছর নভেল বই পড়ে কাটিয়ে দিতাম, পরীক্ষার ৩-৪ মাস আগে সিরিয়াস হয়ে পড়াশুনো করে রেজাল্ট ভালো করতাম। এখনকার বাচ্চারা এত এত ক্লাসের বই পাচ্ছে, দম ফেলবার ফুরসৎ পাচ্ছে না, অন্য বই কীভাবে পড়বে? ওদের জন্য খুব কষ্ট হয়।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এখনকার বাচ্চারা এত এত ক্লাসের বই পাচ্ছে, দম ফেলবার ফুরসৎ পাচ্ছে না, অন্য বই কীভাবে পড়বে?
এরজন্য প্রথমে বাবা মা পরে স্কুলে টিচাররা দায়ী, এতো বই খাতা শীট কোনো প্রয়োজনই নেই। সুশিক্ষার জন্য আমি মনে করি পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করাটাই মূল সেজন্য ভার কমাতে হবে।

মন্তব্য ও পাঠদানে খুব প্রীত হলাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন এখানেই লেখার সার্থকতা লাভ।
অনেক ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকবেন।

৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: এতো এতো H.W করার পর আর সময় পাইনা

কি বলব বুঝতে পারছিনা!!!

২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাইরে, আমারও মাথায় ঢুকে না! আমার আপনার সন্তান কি শিক্ষা নিবে?!
চিন্তা দিনদিন দুশ্চিন্তায় পরিণত হচ্ছে।

৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: এখন শিক্ষাটা ফল নির্ভর!!!!


জ্ঞাণ নির্ভর একেবারেই নয়!!!!!!!

২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এখন শিক্ষাটা ফল নির্ভর!!!!
এটাই হচ্ছে বিশাল সমস্যা, ভালো ফলাফল সবসময় সুশিক্ষার প্রমান নয়; কিন্তু কে বুঝতে চায়।
ভাই আপনি আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন অনেক ধন্যবাদ।

১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আগে তাও দেশ থেকে দু-একটা মেধা পাচার হতো, এখন যে শিক্ষার অবস্থা তাতে আর গাধা পাচার হওয়ার সম্ভবনা নেই ।
ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।

২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এখন যে শিক্ষার অবস্থা তাতে আর গাধা পাচার হওয়ার সম্ভবনা নেই ।
কথাটা ব্যাপক বলেছেন। গাধা প্রাচার না হক তবে কিছু মদন বিদেশে যাবে গিয়ে ট্যাক্সি চলবে, যার যেমন যোগ্যতা আরকি।
মন্তব্য ও পাঠদানে অনেক ভালো লাগলো, লেখার বিষয়বস্তু বুঝতে পেরেছেন তাই অনেক ধন্যবাদ। এই সব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে।

১১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সব নাগরিকের জন্য ফ্রি শিক্ষা দেয়ার দরকার।

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার প্রস্তাব ঠিক আছে তবে শিক্ষা নয়, সুশিক্ষা দিতে হবে।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আসলেই আগে আমরা যেভাবে পড়েছি এখন তা আর চোখে পড়েনা। লেখাপড়ার ধরণ, পরিবেশ, উপকরণ সবই বদলে গেছে। মোবাইল ও মিডিয়ার প্রতি ছেলে মেয়েদের আসক্তি প্রায় মাদকের মতই। গল্প, কবিতা, উপন্যাস পড়ার সময় কোথায় তাদের ?

২৪ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, আপনার কথা গুলো খুব ভালো, আপনি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। আসলে সবকিছুর ভিত্তি ছোটবেলা, তখন থেকেই যদি ভালো কিছুর অভ্যাস করানো যায় আর অতিরিক্ত স্কুলের চাপ কমানো যায় তাহলেই বাচ্চারাও বই পড়ায় মনোযোগী হবে।

১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটু একটু করে সবাই রোবট বা যান্ত্রিক মানব হয়ে যাচ্ছে। -- ব্যাপারটা অনেকটা তাই। আমরা দিন দিন যান্ত্রিক জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি।
সে জিজ্ঞেস করলো, হোম ওয়ার্ক কি? -- সে ইতোমধ্যে রোবটের পর্যায়ে যাওয়া শুরু করেছে। সে H.W এ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, এজন্য সে হোম ওয়ার্ক চেনে না বা এর নামও কোনদিন শোনেনি। তোমার শঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে!
বয়সের ব্যাপ্তি টা যদি ভুল হয় তাহলে জানাবেন -- বয়সের ব্যাপ্তিটা হয়তো ঠিকই আছে, তবে আমার এক ৬০+ বন্ধু যেভাবে স্মার্টফোন এর গেমসের প্রতি আসক্ত, তাতে তার কাছে টীন এজাররাও হার মেনে যাবে বলে মনে হয়। এ আসক্তি সব বয়সের লোকের মাঝেই কম বেশী দেখা যায়।
ওই পাঁচজন ছেলে ওরা খুব ঘনিষ্ট বন্ধু সবাই টাকা একত্র করে বই দুটো কিনলো -- এ ধরনের একটা সমন্বিত প্রয়াস এবারের বই মেলায় আমিও দেখেছিলাম। তিনজন বন্ধু টাকা বের করে একত্রে একটা বই কিনলো। তারা পরস্পরে আলোচনা করে সাব্যস্ত করে নিল, কে কতদিন বইটা কাছে রাখতে পারবে। যে সবার শেষে পড়বে, বইটা তার কাছেই থেকে যাবে। এ রকমের একটা ইতিবাচক বন্ধুত্বের পরিচয় পেয়ে আমিও সেদিন খুব মুগ্ধ হয়েছিলাম।
একটা মৌলিক ভাবনাকে কেন্দ্র করে মৌলিক রচনা। এ্যাপ্রিশিয়েট করছি। + +

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই, এই বই কেনার সমন্বিত প্রয়াস আমার খুবই খুবই ভালো লাগে, কিন্তু এ ব্যাপার গুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে, ওইযে যান্ত্রিক মানবে পরিণত হচ্ছে।

সে ইতোমধ্যেই রোবটের পর্যায়ে যাওয়া শুরু করেছে, কথা শত ভাগ সত্য বলেছেন। কিন্তু এরকম যদি চলে তাহলে তো ভবিষ্যৎ অন্ধকার, দেশ ও জাতির জন্য বিপজ্জনক!

আমরা সত্যি যান্ত্রিক জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি, স্মার্টফোনের আসক্তি আরও সমস্যা সৃষ্টি করছে। সচেতনতা যদি এখন না বাড়ায় তবে এর কবে হবে!!

এপ্রিশিয়েট করার জন্য এবং প্লাসে খুব অনুপ্রানিত হলাম, আপনার উপস্থিতি সবসময়ই অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনার আমার মত সবাই যদি বুঝতো, তাহাকে এই জাতিকে কেউই দাবায়া রাখতে পারতো না।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বয়সের ব্যাপ্তিটা ঠিকই আছে ভাই, আমি আপনার ছোট ভাইয়েরও ছোট নিঃসন্দেহে। বয়েসের ব্যাপ্তি নিয়ে আর কোনো দিন ভাববেন না। আপনি আমাকে তুমি করে বললেই আমার জন্য খুব খুশির হবে।

৬০+ বয়সের লোক যদি স্মার্টফোনের আসক্তি হয় তাহলে কোনো ব্যাপার নয়, সমস্যা হলো টিনেজারদের নিয়ে! তারা ভার্চুয়াল জগতে বন্দি হয়ে যাচ্ছে যা খুবই ভীতিকর।

শেষে, নিজের শরীরের প্রতি সবসময় যত্ন নিবেন, ভালো থাকুন।
আপনার কাছ থেকে এখনও অনেক কিছু শেখার বাকি আছে..... সবসময় দোয়া করি, আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘ আয়ু দান করুক।

১৪| ২০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

ফ্রিটক বলেছেন: অনুসন্ধান মূলক পোষ্ট। ভাল লাগল।

২০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। খুব অনুপ্রানিত হলাম।

অনেক শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.