নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: "মায়ের জন্য"

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

ঘড়িতে এখন সময় ১১টা বেজে ৩৭মিনিট পুরো এলাকা নিস্তব্ধ হয়ে এসেছে যেমন টা পুরো দেশটাও হয়ে পড়েছে। কামাল, পলাশ, শিমুল, সালাম সবাই উপস্থিত কিন্তু আজাদ এখনও উপস্থিত হয়নি!
কি ব্যাপার ওর তো এতো দেরি হওয়ার কথা নয়! পথে কোনো সমস্যা হলো নাকি?! কামাল বলল।

কি জানি বাপু? হতেও তো পারে দেশের যা অবস্থা!! শিমুল বলল একপাশ থেকে।

আরে নাহ্! ও অনেক বুদ্ধিমান ছেলে আমি ওকে চিনি। ওর কোনো সমস্যা না হবারই কথা। সালাম উত্তর করলো, একটু টেনশন নিয়েই।

আরেক পাশে বসে পলাশ চুপ করে কালকের মিশনের ম্যাপ টা দেখছিলো।

ওদের কথোপকথনের কিছুক্ষনের মধ্যেই আজাদ উপস্থিত
ওহ্! সবাই হাজির, শুধু আমিই লেট।

পলাশ চোট করে ম্যাপ থেকে চোখ সরিয়ে জিজ্ঞেস করলো
কিরে আজাদ তোর এতো দেরি কেন?! ভাই মিশনে যাবো, মানচিত্রের মিশন আর তুই দেরি করে মিটিংয়ে আসলি।

সরি ভাই, ভুল হয়ে গেছে। কথা না বাড়িয়ে আর সময় নষ্ট না করে মিটিং শুরু কর।

আজাদের মনটা খুব ভারী হয়ে আছে, কিন্তু এটা সে বুঝতে দিচ্ছে না কাউকে।

পলাশ বলে উঠলো, কারও কোনো কথা বা দ্বিমত থাকলে জানাতে পারিস, সালাম ভাই আপনার কোনো কথা আছে কি?
সালাম ওদের মধ্যে একটু সিনিয়র এবং লিডার মানে বড় ভাই।

সালাম বলল, আমার শুধু একটাই কথা প্লান বুঝে ঠিক মত কাজ করতে হবে। জীবনের ঝুঁকি আছে এবং থাকবেই কিন্তু পিছ পা হওয়া যাবে না। এর আগে দেশের জন্য কেউই পিছ পা হয়নি। সবার মনে থাকবে তো?

সবাই প্রফুল্ল হয়ে বলল কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আজাদ একটু আনমনে ছিল।
তার চোখে কেবলই একটা মুখ ভেসে উঠছে বারবার। মাকে সে ঘুম পাড়িয়ে রেখে এসেছে বাসায়।


সবাই মিটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথায় মত্ব। পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিচ্ছে সালাম ভাই।
ভোরে গেরিলা বাহিনী ভ্যান নিয়ে ঢুকবে শহরে আর এই সুযোগ! একটা আচমকা আক্রমণ ব্যাস।
একপাশ থেকে কামাল বলে উঠলো, কিন্তু এই ছোট খাটো আক্রমণে কি আর হবে? ওরা তো অনেক সৈন্য, সমরাস্ত্র, গোলা বারুদ নিয়ে ঢুকবে। উল্টো আমরাই রিস্কে পরে যাবো, আর বুঝতেই পারছেন ভাই, ধরা পড়লে সোজা স্যুট করে দিবে।
সালাম বললো, তোর কথা সব ঠিক আছে, কিন্তু একটু তো রিস্ক তো নিতেই হবে। আর দেশের জন্যে দশের জন্য জীবন বাজি না রাখলে কি হবে!?
শিমুল তার জায়গায় বসে থেকে হ্যা সূচক মাথা নাড়ালো। আর ম্যাপের দিকে তাকিয়ে থেকে একটু শান্ত গলায় বলল,
আচ্ছা ভাই, ওরা কি নিশ্চিত আজকে ভোরেই শহরে ঢুকবে!? আর এই পথ দিয়েই কি ঢুকবে?
পলাশ উত্তর দিলো, শোন, খবর ভুয়া হবার কোন সুযোগ নেই। কারণ বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাইছি। ধর, ভোর ৪ টার পরেই গেরিলা সৈন্য বাহিনী পথে পাওয়া যাবে আর তখনই এট্যাক।
শিমুল ওর দিকে তাকিয়ে, হুমম, সুন্দর পরিকল্পনা, এখন শুধু সফল হলেই হয়। একটু আঘাত হাঁনতে পারলেই হলো, এই সময়ে একটুকুই অনেক।

সালাম আজাদকে জিজ্ঞেস করলো, আজাদ তুমি কি বুঝতে পেরেছো?

আজাদ একটু হকচকিয়ে উঠে বললো, হ্যা বুঝতে পেরেছি সব।
সালাম জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি কোনো কোন কারণে চিন্তিত বা ভয় পাচ্ছ?!
আজাদ বললো, আরে না ভাই, এই একটু অন্যমনস্ক ছিলাম।

সালাম বললো, আমরা এই পাঁচ জন আছি, পথে আমাদের অনেক সঙ্গী থাকবে কিন্তু মূল মিশনে যাবো শুধু আমরা পাঁচজন।
আর কোনো প্রশ্ন এই ব্যাপারে।
সবাই একসাথে বললো, না ভাই আর কোনো প্রশ্ন নেই।

আজাদ তখনোও মায়ের কথাই বেশি ভাবছিলো।
বিকেলে যখন আজাদ নিজের বাসায় ঢুকলো, তখন থেকেই মা খুব জিজ্ঞেস করছিলো, কিরে বাবা তোর এতো দেরি হলো কেন? পথে কোনো সমস্যা হয়নি তো? দেশের যা অবস্থা!!
আজাদ মাকে শান্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল, মা সব ঠিক আছে কোনো সমস্যা হয়নি আমার।
সন্ধ্যে বেলায় বিছানায় শুয়ে ছিলো আজাদ। মা ঘরে ঢুকে জিজ্ঞেস করলো কিরে বাবা তোর কি শরীর খারাপ? কপালে বুকে হাত দিয়ে ভালো করে ছুঁয়ে দেখলো, না জ্বরতো না তো তাহলে শুয়ে আছিস কেন?
আজাদ বললো, মা এমনি শুয়ে আছি, ক্লাস করে একটু ক্লান্ত।
মা বললো, এ কয়দিন তুই ভার্সিটিতে যাস না, সব পরিস্থিতি ঠান্ডা হোক তারপর যাবি।
আজাদ একটা অট্টহাসি দিলো হা হা হা, মা পরিস্থিতির ভয়ে যদি বাইরে না যাই তাহলে কি সব ঠান্ডা হয়ে যাবে?
মা বললো, হোক আর না হোক তোর বাইরে যাওয়ার দরকার নেই।
আজাদ বললো, মা তুমি এত বেশি ভাবো কেন? আমরা এখন বড় হয়েছি না। হা হা হা..

তখন রাত ১টা বেজে ২২ মিনিট।
সালাম প্ল্যানটা বুঝিয়ে দিচ্ছে সবাইকে, ব্যাপার টা ভালো করে বুঝে নে, আমরা সময় কিন্তু খুব স্বল্প পাবো যা করতে হবে ওই অল্প সময়ের ভেতরই করতে হবে। ভ্যানের সামনে দুটো জিপ থাকবে তারপর জিপ দুটো একটু এগিয়ে গেলে ভ্যানে সোজা আক্রমণ। বিস্ফোরক পথে বুঝিয়ে দেবে সিনিয়র লিডার।

কামাল একটু কেঁপে উঠে বললো, ভাই, আমার একটু ভয় লাগছে আমরা মিশন সফল করতে পারবো তো?
সালাম উত্তর দিলো, আরে বোকা ছেলে, পারবি না কেন!? আমরা না পারলে কি হবে?!
শিমুল খুব এক্সাইটেড ছিলো, পাবর না মানে! শিওর পারবো। ১০০% শিওর।

পলাশ বলে উঠলো, সাবাশ এভাবে না বললে কি হয়।

আজাদ ওদের সব কথা চুপ করে শুনছিলো।
রাতে মা ওর জন্য গরুর কলিজা ভুনা করেছিল, আর খাওয়ার শেষে পায়েশ খুব নাক ডুবিয়ে খেয়েছে।
আহ, মা তোমার হাতে জাদু আছে।
মা বললো, তোর এই কথা শুনে শুনে দাঁত সব পরে যাচ্ছে। এবার একটা বিয়ে কর আমার রান্নার সঙ্গী এনে দে।
আজাদ একটু মৃদু হাসি দিয়ে বললো, মা,, বিয়ে যদিও করি; রাধবে কিন্তু তুমিই, হা হা হা..

সালাম আবারও আজাদের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, তোমার কি হয়েছে আজকে, একদম অন্যমনস্ক তুমি!!
আজাদ বললো, না ভাই তেমন কিছুনা। মায়ের কথা মনে পড়ছিলো এই।
সালাম একটু মুচকি হেসে বললো, তা ঠিক আছে, আর অন্য কারও কথা মনে হচ্ছে কি?!
আজাদ জোরে এক অট্টহাসি দিলো, হা হা হা..
তখন সবাই নিচু গলায়, এই এই আস্তে আস্তে হাসির সাউন্ড কমা। আমরা এখানে আছি জানলে বিপদ হতে পারে!

আপাতত মিটিং শেষ।
এরপর সবাই যে যার মত করে একটু বিশ্রাম করতে লাগলো রাত ৩টায় বের হতে হবে ওদের, শেষ রাতে বের হয়ে ওরা সবাই প্রস্তুতি নেবে ছোট যুদ্ধের।

আজাদ বাড়ি থেকে বের হবার আগে মা'য়ের ঘরে ঢুকলো।
মা পুরো সংসারটা বাবাহীন গত দুই বছর একলাই টেনে নিয়ে এসেছেন! মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, আরও অনেক কিছু এই এতটুকু সময়ে সাধন করেছেন।
মা'র কাছে গিয়ে বসতেই, কিরে বাবা কিছু বলবি? ঘুমাস নি কেন এখনো? নাকি পড়বি আরও।
আজাদ বললো, এমনি মা ঘুম আসছিলো না। তুমি এখনও জেগে আছো।
মা বললো, আমার ঘুম আসছে না দুশ্চিন্তায়, দেশে কি শুরু হলো।
আজাদ বললো, মা একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, কোনো সমস্যা থাকবেনা দেশে; দেখো একদিন।
এরকম ভাবে কথা বলতে বলতে একসময় মা ঘুমিয়ে পরে।
আজাদ চুপ করে ওর ঘরের ভেতরে দরজা লক করে বাইরে বের হওয়ার আরেকটা দরজা ছিলো সেটা দিয়ে বের হয়ে গেলো।

রাত ৩টা কাটায় কাটায়, সালাম সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো, আজ রাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাত এই মিশন সফল হলেই আমাদের স্বাধীনতার যাত্রা শুরু। সবাই সাহসের সাথে এগিয়ে যাবে, ভুলে যাবে না লড়াইটা দেশের জন্যে।
সবাই এক সাথে কামাল, পলাশ, শিমুল, আজাদ আর সাথে সালাম ভাই খুব উত্তেজিত হয়ে আছে কখন মিশন শুরু হবে।
কিন্তু একটা সমস্যা ছিলো, কে আগে বিস্ফোরক বোমা নিয়ে ছুটে যাবে? সোজা কাজ নয়, ভুল হলেই ওখানেই ইতিহাস।
পলাশ সালামকে জিজ্ঞেস করলো, ভাই কে আগে যাবে বলে দিলেন না তো।
শিমুল হাত উঁচিয়ে বললো, ভাই আমি এক পায়ে দাঁড়ানো,
কামালও এক পায়ে দাঁড়ানো, বললো আমাকে দিন এই দায়িত্ব।
সালাম সবার মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বললো, গুড, তোমাদের সাহসের প্রশংসা করি! কিন্তু কে প্রথমে যাবে সেটারও সমাধান হয়ে গেছে।
সিনিয়র লিডার আজাদকে ঠিক করে রেখেছেন প্রথম এটাকের জন্য।
আজাদ হাসি মুখে বললো, আমি প্রস্তুত।
সবাই হাসি মুখে বললো, নে তুই শুরু কর আমার সবাই এক এক করে ঝাঁপিয়ে পরবো, তোর শুরুর নেপথ্যে।

ম্যাপ ধরে ওরা সবাই শহরের মূল প্রবেশ পথে পৌঁছে গেলো। সবাই প্রস্তুত। সবারই হৃদ স্পন্দন চারগুন। এরকম মিশনে সবাই নতুন, কেউ আগে এরকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করেনি। ওরা পাঁচজন ওঁত পেতে আছে, আক্রমনের জন্য।
আজাদের কাঁধে হাত রেখে , কিরে পারবি না?! সালাম জিজ্ঞেস করল।

আজাদ উত্তর দিলো, সুন্দর এক হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে,
পারবো ভাই, নিশ্চিত পারবো। মায়ের জন্য সব করতে পারবো।
এরপর যদি আরেকটা জীবনে ফিরে আসি সেই জীবনটাও মায়ের জন্যই উৎসর্গ করে দিবো...!



পাদটিকা:- মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে এই কাল্পনিক গল্প লেখা। বাস্তবের এর কোনো মিল হয়তোবা নেই। তবে এখানে এই পাঁচজন যুবকের দেশ প্রীতি শাশ্বত।
আর এখানে মূলত আজাদের মায়ের প্রতি যে ভালোবাসা, মমতা তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি মাত্র। আজ বিশ্ব 'মা' দিবস। মাকে নিয়ে অনেকে অনেক অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আমি মনে করি মায়ের জন্য এরকম দিবস প্রয়োজন হয় না। প্রতিদিন মাকে ভালোবাসুন, প্রতিদিনই হোক মা দিবস।


.
একটা প্রশ্ন-
মা কি সন্তানের জন্য কোনো দিবস পালন করে..??


মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর হয়েছে গল্প ।
মুক্তি যুদ্ধকালে শত্রুর কাছাকাছি
গিয়ে আক্রমন রচনা আসলেই খুবই কঠীন
ছিল । দুটো কারণে প্রথমে নীজের জীবনের ঝুকি
পরবর্তীতে সে এলাকায় শত্রুদের তান্ডবলীলা,
যার ফলে এলাকার লোকজনদেরে ধরে
দুষমন কতৃক গনহারে হত্যা করা,
সে ছিল এক ভয়াবহ অবস্থা ।
তাই যে কোন আক্রমন রচনা করতে হয়েছে
অনেক ভেবে চিন্তে , অাক্রমনের জায়গায়
শত্রুর গতিপথও বন্ধ করতে হয়েছে পরবর্তীতে
বিভিন্ন ভাবে । যাহোক মুক্তি যুদ্ধবিয়ক একটি
সুন্দর গল্প লিখে মাতৃভক্তি বিষয়ক কথা তুলে
ধরার ধন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম ভাই, প্লাসে প্রীত হলাম।

গল্পের মূল বিষয় তা বুঝতে পেরেছেন কৃতজ্ঞ রইলাম।

অনেক শুভ কামনা রইলো ভাই, অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সদা...

২| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

সুমন কর বলেছেন: ছোট প্লটে, গল্পটি সুন্দর হয়েছে। আর পাদটিকায় সহমত।

সন্তানকে ছাড়া মা কি একদিনও থাকতে পারে !!!

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৩১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম, প্লাসে প্রীত হলাম,
আমার কথার সাথে সহমত হয়েছেন কৃতজ্ঞ র'লাম।

মায়ের চেয়ে দরদী কেউ হয় না ভাই, বর্তমানে সন্তানেরা মায়ের মমতা ভুলে যাচ্ছে। অথচ মা সন্তানকে ছাড়া থাকতে পারে ।।

অনেক ধন্যবাদ ভাই... অনেক শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মা কি সন্তানের জন্য কোনো দিবস পালন করে..??

আলগা দরদে গলদ বেশি !

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: : একদম ঠিকই বলেছেন, সারা বছর কোনো খবর নাই, একদিন সব মাতায়া ফেলায়, দেখায় কত ভালোবাসা।


পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম, প্লাসে প্রীত হলাম,।
অশেষ ধন্যবাদ ভাই, অনেক শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা..

৪| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
দু এক জন যারা বেশি পরিমানে নীতিকথা বলে না, তাদের বাবা মাকেও তারাই আবার বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় ..... X((


গল্প ভালো লেগেছে +


১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সে আপনি যতার্থ বলেছেন ।

পুনরায় এসে মন্তব্য রাখায় অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাই। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলার বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তরে মায়ের জন্য মন কাঁদতো, আবার দেশের প্রতি ভালোবাসাও ছিল প্রচুর। রণক্ষেত্রেও সন্তানের চোখে মায়ের ছবি ভাসতো। নিজের জীবনের চিন্তায় থমকে না দাঁড়ালেও বাড়িতে রেখে আসা মায়ের চিন্তায় যেন থমকে যেতো, নিজের দেহের চিন্তা না করে মনটা ছোটে যেতো মায়ের কাছে। অনেক গভীর ভালোবাসা দেখিয়েছেন মা আর মাতৃভূমির প্রতি।

মায়েরা কখনওই সন্তান দিবস পালন করে না, তাঁদের কাছে সন্তানের জন্য প্রতিটি মুহূর্তই সমান।

মুগ্ধতা আর কৃতজ্ঞতা রইল চেষ্টায়। সুন্দর হয়েছে।
শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা সকল মা'দের জন্য।
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম, প্লাসে প্রীত হলাম।
মা ও দেশের প্রতি একটা গভীর ভালোবাসা দেখানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো, কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভ কামনা রইলো ভাই, ভালো থাকুন সদা...

৬| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


কল্পনা থেকে লেখা হিসেবে ভালোই হয়েছে; যেই ধরণের গ্রুপের কথা বলা হয়েছে, তাতে বুঝা যাচ্ছে যে, এরা স্হানীয়, ম্যাপের কথাটা না আনলেই চলতো; এটা সামান্য টেকনিক্যালিটি, তেমন কিছু নয়, হয়তো পজিশন প্ল্যান। কাল্পনিক লেখা হিসেবে ভালো হয়েছে।

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো,
আসলে গল্পে ম্যাপটা একটা আকর্ষণ, ম্যাপের সাথে আরো অনেক কিছুই যোগ করা যেত তাতে লেখাটা আরো বড় হতো।
আপনার কথাও ঠিক আছে। ভালো বলেছেন।

পাঠদান ও মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম।
শুভ কামনা রইলো ভাই, ভালো থাকুন সদা..

৭| ১৫ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:৫৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: সুন্দর হয়েছে ধ্রুবক আলো ভাই। দেশমাতার জন্য ভালোবাসা।।

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত, প্লাসে প্রীত হলাম।
দেশমাতার জন্য এই সামান্য চেষ্টা ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগছে।

শুভ কামনা রইলো আপু, ভালো থাকুন সদা...

৮| ১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি ভালো লাগলো। প্রসঙ্গত আপনার শেষের প্রশ্নটির প্রেক্ষিতে একটা কথা বলতে চাই। সন্তানের জন্য মায়ের কোন দিবস পালনের প্রয়োজন হয় না। কারণ মা-ও তো আর এক মায়ের সন্তান, তাই না? অর্থাৎ মায়েরও মা আছেন।

ধন্যবাদ ভাই ধ্রুবক আলো।

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার পাঠদান ও মূল্যবান মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম।
আপনার কথাটা বেশ সুন্দর। মাও তো আরেক মায়ের সন্তান।,

আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ ভাই।

শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা....

৯| ১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: প্রথেই +++

অনেক সুন্দর লাগলো গল্প

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম, প্লাসে খুব প্রীত হলাম।
গল্প ভালো লেগেছে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাই।

শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা....

১০| ১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন:

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই,

আসলে বর্তমান যুগে এটাই বাস্তবতা যা খুবই হতাশাজনক।

১১| ১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ধ্রুবক আলো, গল্প অনেক সুন্দর হয়েছে।
++ কোন ভালবাসার জন্যই দিবসের দরকার নেই। ভালবাসা সবসময়ের জন্য।

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন ভাই, ভালোবাসার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন নেই। অনেক ধন্যবাদ ভাই।

প্লাসে খুব প্রীত হলাম।

শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা...

১২| ১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর গল্প ভাল লাগল

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম, প্লাসে প্রীত হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপু।

শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা...

১৩| ১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেকের ভুলের জন্য মুক্তিযু্দ্ধ ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে; ব্লগে মুক্তিযু্দ্ধের উপর লেখা নেই বললেই চলে।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কথা ভালো বলেছেন ভাই, সবারই একটু হলেও লেখা উচিত।

১৪| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: গল্পটি সুন্দর হয়েছে।

১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই,

পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম।

অশেষ শুভ কামনা রইলো , ভালো থাকুন সদা...

১৫| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০০

অরফিয়াস বলেছেন: ধ্রুবক আলো,


সুন্দর লিখেছেন!:)


তবে সামনের গল্পে আপনার আর একটু সচেতনতা আশা করছি!! আপনার বেশ কয়েকটা বাক্যের শুরু একই রকমের।যেমন ধরুন আজাদ বলল অথবা আজাদ উত্তর দিল ইত্যাদি ইত্যাদি।

কারেক্টরের নাম প্রতিবারই বাক্যের শুরুতে না ব্যবহার করে বরং একটু বৈচিত্র্য আনলে আরো সুন্দর হতো হয়তো!

ভুল বলে থাকলে অগ্রিম সরি!;)

১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত, প্লাসে প্রীত হলাম।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর এই পরামর্শের জন্য। আসলে, বুঝার খাতিরে আর একটু সহজ করার জন্যে এইভাবে লিখা। আপনার পরামর্শ শিক্ষা মূলক, নিশ্চয় পরের বার এমন হবেনা। ইনশাআল্লাহ্ বৈচিত্র আনার চেষ্টা করবো।


শুভ কামনা অশেষ ভালো থাকুন সদা...

১৬| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

অরফিয়াস বলেছেন: অরফিয়াসকে চিনতে পেরেছেন কি????

১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: চিনতে পেরেছি, কিন্তু এই নিকে অবিভাবের কারণ কি?!
কোন কিছুই তো মাথায় ঢুকলোনা!!

১৭| ১৬ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:২৩

এম এ কাশেম বলেছেন: ভাল লেগেছে ভাই।

শুভেচ্ছা জানবেন।

১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুব অনুপ্রানিত হলাম।

অনেক শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা...

১৮| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

তারছেড়া লিমন বলেছেন: অদ্ভুত রকমের সুন্দর হৈচে ভাই............

১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম। ধন্যবাদ

শুভ কামনা রইলো ভাল থাকুন সদা...

১৯| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: অসাধারণ গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।
আরও লিখুন। আরও পড়তে দিন।
শুভেচ্ছা।

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, মনোযোগ সহকারে গল্পটি পড়ছেন জেনে ভীষণ অনুপ্রানিত হলাম।

আরও লেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ্ লেখা দিবো আরও ।

শুভ কামনা রইলো ভাই, ভালো থাকুন সদা...

২০| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার গল্পটা অনেকে পড়েছেন; আমার ধারণা ছিল, মানুষ মুক্তিযুদ্ধের উপর উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন।

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমিও প্রথমে তাই ভেবেছিলাম, কিন্তু আমারও ধারণা ভুল হয়েছে!
ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ্ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরো লেখার চেষ্টা করবো।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, খুব অনুপ্রানিত হলাম, কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২১| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১:২২

ওমেরা বলেছেন: সুন্দর গল্প !! ধন্যবাদ ভাইয়া ।

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:২৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।

অনেক শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা...

২২| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৫৫

কল্লোল পথিক বলেছেন:


বেশ হয়েছে।

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:২৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই।

অনেক শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা...

২৩| ১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাল গল্প।

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:২৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই।

অনেক শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সদা...

২৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের একেবারে শেষে দেয়া প্রশ্নটির সোজা সাপ্টা উত্তরঃ না, মায়ের কোন সন্তানের জন্যই কোন বিশেষ দিবস নেই। মায়ের প্রতিটি মুহূর্ত কাটে সন্তানের কল্যাণের কথা ভেবে।
কল্পনা থেকে সুন্দর গল্প লিখেছেন। আপনি প্রচুর বই পড়েছেন/পড়েন, তা আমার জানা আছে। এই সুঅভ্যাসটি আজীবন বজায় রাখবেন।
গল্পে দশম প্লাস + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.