নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

উচ্চাভিলাষী বাজেট,দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি; জনজীবন কোণঠাসা...

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৯



গত বছরের কথা, একদিন ঢাকা পরিবহনে করে মতিঝিল থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। পাশের সিটে একজন ভদ্রলোক বসা, কিছুক্ষন পর পর ফোনে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছেন। একসময় উনার সেধেই আলাপ করলাম। প্রথমেই নাম জিজ্ঞেস করলাম। সাথে আমার নামও জানালাম। বললাম, আপনি কি মতিঝিলে চাকরি করেন? বললো, হ্যা ভাই আমি শ্রম মন্ত্রণালয়ে চাকরি করি। এরপর আরও কিছু আলাপচারিতা চললো। মূল পর্বে চলে গেলাম, তাকে জানালাম ভাই আমি বেকার চাকুরী খুজতেছি, আর এক দুই বছর আছে সরকারী চাকুরীর বয়স, কি করি এখন।
উনি বললেন, চেষ্টা করতে থাকুন, হয়ে যাবে। আমারও এরকম অবস্থা হয়ে ছিলো আমি চাকুরিটা পেয়েছি যখন সরকারি চাকুরীর বয়স আর মাত্র আড়াই মাস আছে তখন।
এবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই অর্থমন্ত্রী যে বেতন স্কেল দিয়েছেন সে ব্যাপারে আপনি কি বলবেন? (গত বছরের কথা)
উনি বললেন, খুব স্ট্যান্ডার্ড স্কেল।
বললাম, ভাই জানেন এটা গরিব মারার স্কেল!!
কেন ভাই, আপনার এমন মনে হলো?
আপনি জানেন, এই বেতন স্কেল প্রণয়ন করলে বাজেটে অনেক অর্থের প্রয়োজন হবে, ভ্যাট আর ট্যাক্স বেশ পরিমান আদায় করতে হবে, বাজারে প্রত্যেকটা দ্রব্যের দাম বাড়বে।
দাম বাড়বে কিন্তু সমস্যা নাই!
কেন সমস্যা হবেনা?
দেখেন একজন গার্মেন্টস শ্রমিক তারা হাজবেন্ড ওয়াইফ মিলে চাকুরী করে মাসে ১৬-১৮হাজার টাকা কামায়। তাহলে বলেন কোনো সমস্যা হবে কিনা।
ভাই যার ওয়াইফ নাই, একলা পুরো ফ্যামিলি চালায়, সেতো হিমশিম খাবে আর একটাকা সঞ্চয় করতে পারবেনা।
না ভাই আপনি এটা ভুল বলছেন, এমন আমি কখনো দেখি নাই।
বুঝলেন তো ব্যাপার টা, উনি উনার মত করে পৃথিবী দেখেন। তার মানে সরকারি চাকুরী যারা করেন তাদের মতে দুনিয়ার সবই সহজ, সুন্দর, কোনো অভ্যন্তরীণ সমস্যা নাই।
আমাদের অর্থমন্ত্রী সাহেবেরও একই অবস্থা হয়েছে, উনি নাকি জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজেট দিয়েছেন। উচ্চাভিলাসী বাজেট। মানুষ মারার জন্য শ্রেষ্ঠ বাজেট (অনেকেই একমত হবেন না মনে হয়)।



বাজেট কাকে বলে এক নজরে দেখে নিই-

একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে সরকারের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব বিবরণীকেই বাজেট বলা হয়। বাজেটে সরকারের আয়ের বিভিন্ন উৎস এবং ব্যয়ের বিভিন্ন খাত লিপিবদ্ধ থাকে এবং সরকারের একটি নির্দিষ্ট সময়ের আর্থিক পরিকল্পনার সুষ্ঠু প্রতিফলন থাকে। বাজেট সম্পর্কে অনেকেই মতামত দিয়েছেন যেমন : অধ্যাপক জন এফ ডিউ বলেন, ’A budget is the real sense of the term is a financial plan for a specified period of time.’
সংজ্ঞা সূত্র: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র।।



আমার এক কাকার সাথে বাজেট নিয়ে আলোচনা করছিলাম অনেক দিন আগের ঘটনা। উনি বললেন, বাংলাদেশের বাজেট হলো মানুষ মারা বাজেট। একটু কৌতূহল হয় জিজ্ঞেস করলাম কেন কাকা?!
কাকা বললেন, দেখ আমেরিকায় কৃষিতে ১০০% ভর্তুকি দেয়। এদেশে কৃষিতে ভর্তুকি দেয়া হয় না, বা কোনো এক সময় দিতো এখন বন্ধ করে দিয়েছে!
আমাদের আগামী বাজেটে ভর্তুকি ও প্রনোদনায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৯ হাজার ৪৫৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এবং বরাবরের মতই এবারও কৃষিতে ভর্তুকি নেই। কৃষিতে ভর্তুকি নেই কেন কেউই এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না!! বেশিক্ষন ডিবেট করলে, হেফাজত, থেমিসের মূর্তি, বনানীর ধর্ষণের ঘটনা ঢুকে যাবে। তখন আর বাজেট মাথায় থাকবে না!!


অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব বলেছেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলেও কোনো পণ্যের দাম বাড়বে না! আবার বিদ্যুৎ বিলেও এখন ৫% বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ৭.৫% দিতে হয়, নতুন হারে দিতে হবে ১৫%করে, অর্থমন্ত্রী এসব বিষয়ে সোজা সাপ্তা উত্তর দেননি, এড়িয়ে গেছেন। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া উনার বক্তব্য থেকে জানা।
অর্থ মন্ত্রী বলেন, ৩০ লাখ ৮০ লাখ টাকা টার্ণওভার (বার্ষিক লেনদেন) হলে ৩ শতাংশ হারে নেয়া হতো, এখন ৩৬ লাখ টাকা থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভার কর নেয়া হবে ৪ শতাংশ। তার মানে আগে কর দিতেন এখন অনেককেই কর দিতে হবে না। আর ৮০ লাখ টাকার বেশি টার্নওভার হতো এ সংখ্যা কম ছিল না।। আর এ কারণেই বলছি যে জিনিস পত্রের দাম বাড়বে না। (উনি বাজার ঘুরে বুঝে উল্টে ফেলেছেন)।

৪ লাখ ২৬৬ কোটীর বাজেট প্রস্তাব করেছেন, এ বাজেটে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির উপর করের চাপ বাড়বে। সকলেরই খুঁটিনাটি ঘাটানো উচিত যে এই অর্থ কথা হতে আসছে, কিভাবে আসবে, কিভাবে ব্যয় হবে, কোন কোন খাতে ব্যয় হবে!! অতিরিক্ত করের বোঝা মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্তদের বহন করা একদম সম্ভব হবে না।

এখন, একটু ছোট করে তুলে ধরি কোন কোন খাত হতে অর্থায়ন করা হচ্ছে,

রেস্তোরাঁয় খেলেই ১৫% ভ্যাট যেসকল রেস্তোরাঁ সাজানো, এসি বা পাখা ঘুরে ওমন রেস্তোরাঁয়, পাখা নেই চারপাশে দেয়াল নেই ওমন অস্থায়ী রেস্তোরায় নয়। তবে আমাদের এখন ওখানেই যেতে হবে।

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভ্যাট আছে। ১৫% ভ্যাট বসতে পারে, তবে এখন ফি এর উপর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভ্যাট আরোপ করা হবে না।

বারবার ভারতে গিয়ে কেনা কাটায় কর দিতে হবে। জানি না অনেক এ প্রস্তাব মানবে কি না!!

পুঁজি বাজারে ভ্যাট নেই! সব ধরণের সেবায় মূসক অব্যাহতি থাকছে আগামী বাজেটে। হয়তো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে এজন্যই।

জনসংযোগ সেবায় উৎসে কর।
সম্ভবত একদিন জনসংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে করের চাপে।

টিআইএন লাগবে ৩১ কাজে, যেমন মোবাইল ব্যাংকিং, রিচার্জ ব্যবসা, পরিবেশক এজেন্সি, ক্যাটারিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, জনবল সরবরাহ ইত্যাদি।

এবার ছোট করে তুলে ধরি কোন খাতে বাজেটের বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে,

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে ২১ হাজার ১১৮ কোটি টাকার বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বরাদ্দ প্রস্তাব চলতি অর্থবছরের তুলনায় টাকার অংকে ৬ হাজার ৫৫৭ কোটি এবং শতাংশের হিসাবে প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি। এরপরও লোডশেডিং ছুটবে না, রামপাল নিয়ে দ্বন্দ থেকেই যাবে।ঐ প্রসঙ্গে যাব না।

সামাজিক সুরক্ষায় যেমন বয়স্ক ভাতা ভোগীর জন্য ৩১ লাখ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩৫ লাখ করা হবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য আগামী অর্থবছরে ১হাজার ১৭কোটি টাকা বরাদ্দ করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে বেতন-ভাতায় ৫৩ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটে এ বরাদ্দ ৫০ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা এবং সংশোধিত বাজেটে ৪৯ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা।
সুদ পরিশোধের জন্যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা। যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ সুদ ৩৯ হাজার ৫১১ কোটি টাকা ও বিদেশি ঋণের সুদ ১ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটে তা ৩৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা এবং সংশোধিত বাজেটে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ছিলো।
(সব তথ্য সংগ্রহকৃত)

এই সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব বাজেটের পরে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হল, যাদের ব্যাংকে এক লাখ টাকা আছে তারা সম্পদশালী,তাই ঐ টাকার উপর বাড়তি কর আরোপ করা হয়েছে। উনি যে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গেছেন কোন সন্দেহ নাই। আর যদি কেউ বলেন যে না উনার মাথা ঠিক আছে তাহলে বলেন এক লাখ টাকা যার আছে সে সম্পদশালী হয় কিভাবে। আপনার কাছে এক লাখ টাকা ব্যাপার না, কিন্তু আমাদের মত গরিব মানুষের কি হবে যারা এক লাখ টাকা ভবিষ্যতে কোনো কাজের জন্য জমিয়ে রাখেন, এখন এই টাকার উপর যদি আবগারি শুল্ক ধরে তাহলে কি উপায় হবে জানেন কি?!
সামনের বছর রিক্সাওয়ালার কাছে কর দাবি করবেনা তা কি কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারবেন?

সরকার এমন একটা অবস্থা করেছেন যে আমরা সাধারন মানুষ ভ্যাট, ট্যাক্স, আবগারি শুল্ক অন্যান্য কর এর বেড়াজালে পুরো ফেঁসে গেছি। আপনি কিছু কিনতে যাবেন সেখানে ভ্যাট দিতে হবে, বাজারে তৈজস পত্র কিনবেন ভ্যাট দিতে হচ্ছে, বাচ্চা যে কৌটোর দুধ খায় সেখানেও ভ্যাট। আপনি বসবাস করছেন তার উপর ট্যাক্স, খাজনা ইত্যাদি আনুসাঙ্গিক কর দিতে হচ্ছে। আপনি ব্যাংকে টাকা রাখবেন সে উপায়ও শেষ, একলাখ টাকা রাখলে সেখানেও আবগারি শুল্ক দিতে হবে। তার মানে আমাদের শেষ পর্যন্ত মরণের উপায়ও শেষ হয়ে যাবে। মানে যদি কেউ মারা যায় তাহলে তাকে সব কর মিটিয়ে তাকে কবরে সমাধিত করা, বিশ্বাস না হয় তো সামনের বছরের জন্য অপেক্ষা করেন। এমন অবস্থা হয়েছে যে আপনি ঘুম থেকে উঠবেন উঠেই ভ্যাট আর ট্যাক্সের সাথে ধাক্কা খাবেন।

একটা তথ্য দিই, আমাদের অর্থমন্ত্রী ইংরেজিতে অনার্স পাশ। আর তিনি দশ বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। আমি এও শুনেছি যে উনি সচিব পর্যায়ের অনেক বড় আমলা ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি দেশের অর্থনীতি কে শেষ করে দিয়েছেন। মানুষ বলে শত্রুরও অমঙ্গল কামনা করতে নেই। আমি কামনা করি উনি যেন খুব দ্রুত অন্তত বাজেট পাশের আগে বিদায় নেন। আমরা ভাই কষ্ট করে খেটে খাওয়া মানুষ ডাকাতের অধীনে থাকা নিরাপদ নয়।

শেষে বাজেট নিয়ে একটা কৌতুক বলি, এক বয়স্ক লোক এক ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছে কিরে এবার বাজেট কেমন হলো?
ছেলেটা- বাজেট থেকে শুধু "ট" টা সরিয়ে ফেললে যেমন হয় আরকি। (রণবি'র চোখ থেকে)

বেশ বড় হয়ে গেছে পোষ্ট মাফ করিবেন।
ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর মার্জনার দৃষ্টিতে দেখবেন।
বাজেট শুভ হোক, জনগণের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাক, সবাই ভালো থাকুন...

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এই সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব বাজেটের পরে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হল, যাদের ব্যাংকে এক লাখ টাকা আছে তারা সম্পদশালী,তাই ঐ টাকার উপর বাড়তি কর আরোপ তার মাথা পুরাই নষ্ট।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মাথায় যদি কিছু থাকতো তাহলে নষ্ট হতো উনার মাথায় তো কিছুই নেই!
আর উনাকে অর্থ মন্ত্রী বানানো হয়েছে। বুঝেন এবার কি একটা দেশে বাস করি!!

২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:০০

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: প্রতিবছরই উনার বাজেট নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হয়। প্রতিবারই উনি উচ্চাভিলাষী বাজেট পেশ করেন। বিগত বছর গুলোর বাজেটের উনার সাফল্য কেমন?

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বিগত বছর গুলোর বাজেটের উনার সাফল্য কেমন? সে কথা বলতে আর, উনার মতে বাজেট হিট, আর আমরা ফিট।

বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে বেঁচে গেছে, অন্য কোন দেশ হলে উনারে পাগলা গারদে পাঠাতো!

এটি সমালোচনা পরেও উনারা লজ্জা হয় না।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:১০

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: বাহ,সেই সরকারি চাকুরীজীবী কে একমাসের জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকের একটা পদ দিলেই হতো।
বাংলাদেশের বাজেট গরীব মারার বাজেট।আপনার কাকা হয়ত ঠিকই বলেছেন। +

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সেই সরকারি চাকুরীজীবির চোখে রঙ্গীন চশমা, উনি কিভাবে গরিবের দুঃখ বুঝবে, এখানে তো উনার পরিচয় দেইনি। উনার অনেক বড় পরিচয় আছে।

কাকা হয়তো ঠিকই বলেছেন, আমিও তাই বলি বাংলাদেশের বাজেট গরীব মারার বাজেটই। আপনি একটা বিষয় ভালোভাবে লক্ষ্য করেন, বাজেট আসলেই দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়ে, বিদ্যুৎ গ্যাসের বিল বাড়ছে। এভাবে একটা দেশ চলে? চলে না।

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৪

সুমন কর বলেছেন: শুরু আর শেষের কথাগুলো দারুণ বলেছেন। +।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই প্লাসে অনুপ্রানিত।
বাজেত নিয়ে না লিখে পারলাম না, এই কয়দিন খুব ব্যস্ত আছি, এর মধ্যেও লিখলাম। এরকম বাজেট হলে দেশের মানুষের জীবন কোণঠাসা হয়ে পরবে। এভাবে চললে আর স্বাভাবিক বেঁচে থাকাটা কষ্ট হয়ে যাবে।

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৮

নাগরিক কবি বলেছেন: কবি নিরব |-)

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: তাহলে বাজেট নিয়ে একখানা কবিতা লিখে ফেলুন :)

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫১

নাগরিক কবি বলেছেন: আমি সেই চেষ্টায় আছি। মাগার *াল এ গোল*াল হই যাইবো তো ভাই ;)

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আরে ভাই হইলে হোক, কি আর করার?! চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে ;)

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১২:২০

তারছেড়া লিমন বলেছেন: এক লাখ টেকায় কত্তো গুলান ট্যাকা হয় জানেন....... ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) তাইলে কন কেনু ভ্যাট দিবেন না..........

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার লজিক ঠিকই আছে, দশ টাকার বান্ডেলে এক লাখ টাকা অনেক অনেক টাকা, ভ্যাট না দিলে অন্যায় হবে..

উন্নয়নের বন্যায় দেশ এবার ভাসবে

;) ;) ;) ;) ;) ;)

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আমি মুখ্যু-সুখ্যু মানুষ বাবু, কিছুই জানি না।............ এ বাজেট নিয়ে কিছুই বালার নেই । X((

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আহা ভাই, এ বাজেট নিয়ে বলবেন না তো কোন বাজেট নিয়ে বলবেন?!
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজেট দিয়েছেন। আপনি কি শুনেন নাই?!

তার আগে ব্যাংকে টাকা হিসাব করে রাখবেন :D

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক পরিশ্রমী তথ্য নির্ভর করে সাজিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টটি। ভালো লাগলো আপনার কথা বলার ভঙ্গিমা। খুব সুন্দর করে বুঝাতে পেরেছেন। ভালো লাগলো পোষ্ট। আপনার কথাগুলো পড়তে পড়তে শেষ হয়ে গেল, বেশি লম্বা পোষ্ট মনে হলো না। পাঠক ধরে রাখার মতো লিখতে সমর্থ হয়েছেন। +++++

বাজেট নিয়ে এবার যতোটা না সমালোচিত তারচেয়ে ১ লাখ টাকায় আফগারী শুল্ক বসানো নিয়েই সবার মনক্ষুণ্ণ। দেখা যাক কি হয়।
আমার মনে হয় বাজেট অনুমিত হওয়ার আগে এই বিষয়টা আবারো সরকার বিবেচনা করবেন।

শুভকামনা ভাই আপনার জন্য।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৪৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একটা মন্তব্য রেখেছেন।

আবগারি শুল্ক বা অন্য যেকোনো বিষয়ের কথাই উঠে আসুক না কেন, এরকম বাজেটে গরিব মারার উপকরণ অনেক আছে।
ভারতে যদি এরকম বাজেট প্রণয়ন করা হয় তাহলে তাদের জনগণ কোনোদিনই মেনে নিবে না। এজন্য তাদের সরকার বেশি লাফালাফি করতে পারে না।
আমাদের দেশের জনগণ কি তা আদৌ করতে পেরেছে? পারে নি।

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ঝরঝরে লেখা বড় হলেও পড়তে ক্লান্তি লাগবে না। এমন পোষ্টকে যারা বড়র মধ্যে ফেলবেন আমি মনে করি তারা ব্লগে পড়তে আসে না । ঘুরতে আসে আর কি।
বাজেট নিয়ে আপনার লেখাটি খুবই সুন্দর হয়েছে।
আমরা যে যেখানে আছি আমাদের পৃথিবীটাকে আমরা সেভাবেই দেখতে পায়।
মাল সাহেব আর আমাদের সাধারন মানুষের দুঃখ কি বুঝবেন।
উনিতো আর নিম্ন মধ্যেবিত্ত কিংবা গরীব নন। আবার বাজার করেও খান না। তাহলে বুঝতেন।
জনবান্ধব সরকারের বড় উদাহারন এই বাজেট। আর কিছু বলার নাই।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মাননীয় অর্থমন্ত্রী অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে! উনি কোনো দিনই গরিবের দুঃখ বুঝবেনা। উনার সুইস ব্যাংকে একাউন্ট আছে। রাজনৈতিক অস্তিত্ব আছে, সরকারি দল পদ আছে তার আর চিন্তা কি।

প্রথম পেপারে একজন নাম টা মনে নেই, বলেছেন, ভ্যাটে মনোযোগ না দিয়ে আয়কর মনোযোগ দিন, অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলা।
আর উনি প্রতি বহরে ভ্যাট বাড়াচ্ছে, মানে উনি ওই ভ্যাট ছাড়া আর গরিবের পেটে পাড়া না দেয়া পর্যন্ত তার সুখ মিলে না।

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন:
কি আর কমু ভাই?
দিনতো আর পইররা থাহেনা;
গরীবের দিন খাইলেও যায়; না খাইলেও যায়!

উনি যখন বলেছেন, “জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজেট।” তাই যেন হয়।

হাসবুনাল্লাহু ওয়া নেয়ামাল ওয়াকীল।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: গরীবের দিন খাইলেও যায়; না খাইলেও যায়! তা হতে পারে, কিন্তু এই সুযোগে যে দেশ টা খেয়ে ফেলেছে তার কি হবে!! অন্যদেশের জনগণ কিন্তু এই বাজেট ভুলেও মেনে নিবে না।

জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজেট, বাজেট তো দূর উনি বাজার সম্বন্ধে ধারণা নেই।


হাসবুনাল্লাহু ওয়া নেয়ামাল ওয়াকীল।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন,

আল্লাহ ও রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে কতিপয় ভ্রান্ত আক্বীদা

হাফেয আব্দুল মতীন
এম.এ (শেষ বর্ষ), দাওয়াহ ও উছূলুদ্দীন অনুষদ,
আক্বীদা বিভাগ, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব।

(শেষ কিস্তি)

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটির তৈরী না নূরের?

আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে মাটি থেকে, জিন জাতিকে আগুন থেকে এবং ফেরেশতাদেরকে নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ মাটির তৈরী একথা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)ও মানুষ ছিলেন এবং তিনিও মাটির তৈরী ছিলেন। এক্ষেত্রে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তবে অনেকে বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) নূরের সৃষ্টি, অথচ কুরআন-সুন্নাহ বলছে তিনি মাটি থেকে সৃষ্টি। সাধারণভাবে চিন্তা করলে বুঝা যাবে যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতা মাটির তৈরী সাধারণ মানুষ ছিলেন। তাদের উভয়ের মিলনের ফলে তিনি জন্ম লাভ করেছেন। মাটির মানুষ থেকে মাটির মানুষই সৃষ্টি হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মাটির মানুষ থেকে কি করে নূরের তৈরী মানুষের জন্ম হ’তে পারে?

রাসূল (ছাঃ) বিবাহ করেছিলেন, তাঁর সন্তান-সন্ততিও ছিল। তাঁরা সবাই মাটির মানুষ ছিলেন। রাসূল (ছাঃ) খাবার খেতেন, সাধারণ মানুষের মতই জীবন-যাপন করতেন এবং তাঁর প্রয়োজন ছিল পেশাব-পায়খানার। অন্য সব মানুষের মত নবী করীম (ছাঃ) মৃত্যু বরণও করেছেন। সুতরাং কোন জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ রাসূল (ছাঃ)-কে নূরের সৃষ্টি বলতে পারে না। পূর্বযুগের কাফেররা নবী-রাসূলদেরকে মেনে নিতে চাইতো না; কারণ তাঁরা সবাই মাটির মানুষ ছিলেন। সকল নবী-রাসূলগণ যেমন মাটির মানুষ ছিলেন তেমনি নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)ও মাটির মানুষ ছিলেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বিশদ বিবরণ উপস্থাপিত হয়েছে।

কুরআনে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন, وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنْ سُلاَلَةٍ مِّنْ طِيْنٍ ‘আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকার মূল উপাদান হ’তে’ (মুমিনূন ১২)।

পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণ যে মাটির তৈরী মানুষ ছিলেন, এ মর্মে কুরআন থেকে দলীল :

(১) নূহ (আঃ) সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, فَقَالَ الْمَلأُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ قَوْمِهِ مَا نَرَاكَ إِلاَّ بَشَراً مِّثْلَنَا ‘আর তার সম্প্রদায়ের প্রধানেরা যারা কাফের ছিল, তারা বলল, আমরা তো তোমাকে আমাদের মতই মানুষ ব্যতীত কিছু দেখছি না’ (হূদ ২৭)।

* এম.এ (শেষ বর্ষ), দাওয়াহ ও উছূলুদ্দীন অনুষদ, আক্বীদা বিভাগ, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব।

(২) আল্লাহ বলেন, قَالَتْ رُسُلُهُمْ أَفِي اللهِ شَكٌّ فَاطِرِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ يَدْعُوكُمْ لِيَغْفِرَ لَكُم مِّن ذُنُوْبِكُمْ وَيُؤَخِّرَكُمْ إِلَى أَجَلٍ مُّسَـمًّى قَالُواْ إِنْ أَنتُمْ إِلاَّ بَشَرٌ مِّثْلُنَا তাদের রাসূলগণ বলেছিলেন, আল্লাহ সম্বন্ধে কি কোন সন্দেহ আছে, যিনি আকাশ সমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা? তিনি তোমাদেরকে আহবান করেন তোমাদের পাপ মার্জনা করার জন্য এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদেরকে অবকাশ দিবার জন্য? তারা বলত, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ’ (ইবরাহীম ১০)।

(৩) আল্লাহ বলেন,قَالَتْ لَهُمْ رُسُلُهُمْ إِن نَّحْنُ إِلاَّ بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ ‘তাদের রাসূলগণ তাদেরকে বলেছিলেন, নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের মত মানুষ’ (ইবরাহীম ১১)।

(৪) আল্লাহ বলেন, وَمَا مَنَعَ النَّاسَ أَنْ يُؤْمِنُوْا إِذْ جَاءَهُمُ الْهُدَى إِلاَّ أَنْ قَالُوْا أَبَعَثَ اللهُ بَشَراً رَّسُوْلاً ‘যখন তাদের নিকট আসে পথ-নির্দেশ, তখন লোকদেরকে এই উক্তিই বিশ্বাস স্থাপন হ’তে বিরত রাখে, আল্লাহ কি মানুষকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন?’ (বানী ইসরাঈল ৯৪)।

(৫) আল্লাহ বলেন, وَأَسَرُّواْ النَّجْوَى الَّذِينَ ظَلَمُواْ هَلْ هَذَا إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ ‘যারা যালিম তারা গোপনে পরামর্শ করে, এতো তোমাদের মত একজন মানুষই’ (আম্বিয়া ৩)।

(৬) নূহ (আঃ) সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, فَقَالَ الْمَلَأُ الَّذِيْنَ كَفَرُوا مِن قَوْمِهِ مَا هَذَا إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ ‘তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ যারা কুফরী করেছিল, তারা বলল, এতো তোমাদের মত একজন মানুষ’ (মুমিনুন ২৪)।

(৭) আল্লাহ বলেন, وَقَالَ الْمَلَأُ مِن قَوْمِهِ الَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِلِقَاء الْآخِرَةِ وَأَتْرَفْنَاهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا مَا هَذَا إِلاَّ بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يَأْكُلُ مِمَّا تَأْكُلُوْنَ مِنْهُ وَيَشْرَبُ مِمَّا تَشْرَبُوْنَ، وَلَئِنْ أَطَعْتُمْ بَشَراً مِثْلَكُمْ إِنَّكُمْ إِذاً لَّخَاسِرُونَ- ‘তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ, যারা কুফরী করেছিল ও আখিরাতের সাক্ষাৎকারকে অস্বীকার করেছিল এবং যাদেরকে আমি দিয়েছিলাম পার্থিব জীবনে প্রচুর ভোগ-সম্ভার, তারা বলেছিল, এতো তোমাদের মত একজন মানুষ, তোমরা যা আহার কর সেও তাই আহার করে এবং তোমরা যা পান কর সেও তাই পান করে। যদি তোমরা তোমাদেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ (মুমিনূন ৩৩-৩৪)।

(৮) মূসা এবং হারূণ (আঃ) সম্পর্কে ফেরাঊন ও তার কওম বলল,فَقَالُوْا أَنُؤْمِنُ لِبَشَرَيْنِ مِثْلِنَا وَقَوْمُهُمَا لَنَا عَابِدُوْنَ- ‘তারা বলল, আমরা কি এমন দু’ব্যক্তিতে বিশ্বাস স্থাপন করব, যারা আমাদেরই মত এবং তাদের সম্প্রদায় আমাদের দাসত্ব করে’ (মুমিনূন ৪৭)।

(৯) ঈসা (আঃ) সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, إِنَّ مَثَلَ عِيْسَى عِنْدَ اللهِ كَمَثَلِ آدَمَ خَلَقَهُ مِنْ تُرَابٍ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের অনুরূপ; তিনি তাঁকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করলেন’ (আলে ইমরান ৫৯)।

মুহাম্মাদ (ছাঃ) মাটির তৈরী এ সম্পর্কে কুরআনের দলীল :

(১) আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قُلْ سُبْحَانَ رَبِّي هَلْ كُنتُ إَلاَّ بَشَراً رَّسُوْلاً ‘বলুন, পবিত্র মহান আমার প্রতিপালক! আমি তো শুধু একজন মানুষ, একজন রাসূল’ (বানী ইসরাঈল ৯৩)।

(২) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلاً صَالِحاً وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَداً ‘বলুন, আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের মা‘বূদ একজন। সুতরাং যে তাঁর প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে ও তাঁর প্রতিপালকের ইবাদতে কাউকেও শরীক না করে’ (কাহফ ১১০)।

(৩) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ ‘বলুন, আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি অহী হয় যে, তোমাদের মা‘বূদ একমাত্র (সত্য) মা‘বূদ’ (হা-মীম সিজদা ৬)।

উল্লিখিত আয়াতগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে, সমস্ত নবী রাসূলগণ মাটির মানুষ ছিলেন। অনুরূপভাবে আমাদের নবীও মাটির মানুষ ছিলেন। মানুষের অভ্যাস ভুলে যাওয়া, অপারগ ও অসুস্থ হওয়া, ক্ষুধা-তৃষ্ণা লাগা, বিবাহ করা, সন্তান-সন্ততি হওয়া ইত্যাদি। এ সকল গুণ নবী-রাসূল সবার মাঝেই ছিল। তাঁদের সবার পিতা-মাতা ছিল, তাঁদের সবার স্ত্রী-পরিবার ছিল। তাঁরা খেতেন, পান করতেন, রোগ ও বালা-মুছীবতে পতিত হতেন। তাঁরা অনেক সময় ভুলেও যেতেন। এ সকল গুণ দ্বারা সহজেই বুঝা যায় যে, তাঁরা সবাই মাটির সৃষ্টি মানুষ ছিলেন, নূরের তৈরী ছিলেন না।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটির মানুষ ছিলেন, এ সম্পর্কে হাদীছের দলীল :

রাসূল (ছাঃ)-এর অনেক সময় ভুল-ত্রুটি হ’ত। ছালাত আদায়ের সময় যখন তিনি ভুলে যেতেন, তখন বলতেন, إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ، أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ، فَإِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِىْ- ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমি ভুলে যাই, যেমনভাবে তোমরা ভুলে যাও। সুতরাং আমি ভুলে গেলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিবে’।[1]

সকল ফেরেশতা নূর থেকে সৃষ্টি এবং আদম সন্তান সবাই পানি ও মাটি থেকে সৃষ্টি। আর জিন জাতি আগুন থেকে সৃষ্টি। যেমন হাদীছে এসেছে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেন, خُلِقَتِ الْمَلاَئِكَةُ مِنْ نُوْرٍ وَخُلِقَ الْجَانُّ مِنْ مَارِجٍ مِنْ نَارٍ وَخُلِقَ آدَمُ مِمَّا وُصِفَ لَكُمْ ‘সকল ফেরেশতাদেরকে নূর থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং জিন জাতিকে আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর আদম জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে সেই সমস্ত ছিফাত দ্বারা, যে ছিফাতে তোমাদের ভূষিত করা হয়েছে’। অর্থাৎ মানব জাতিকে মাটি ও পানি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে।[2]

এই হাদীছটি সমাজে বহুল প্রচলিত হাদীছকে বাতিল করে। তা হচ্ছে ‘হে জাবের আল্লাহ সর্বপ্রথম তোমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেছেন’। অনুরূপ অন্য যে হাদীছগুলোতে বলা হয়েছে, রাসূল (ছাঃ) নূরের তৈরী, সেগুলোও বাতিল। কারণ উপরোক্ত হাদীছটি প্রমাণ করে যে, সকল ফেরেশতা নূর থেকে সৃষ্ট; আদম সন্তান নয়।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটির মানুষ ছিলেন, এ সম্পর্কে মনীষীগণের অভিমত :

ইমাম ইবনে হাযম (রহঃ) বলেন, সমস্ত নবী এবং ঈসা (আঃ) ও মুহাম্মাদ (ছাঃ) আল্লাহর বান্দা, তাঁরা সমস্ত মানুষের মতই সৃষ্ট মানব। সবার জন্ম হয়েছে নারী-পুরুষের সংমিশ্রণে। শুধুমাত্র আদম এবং ঈসা (আঃ) ব্যতীত। অবশ্য আদমকে আল্লাহ তা‘আলা মাটি থেকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, কোন নারী পুরুষের সংমিশ্রণ ছাড়া। আর ঈসা (আঃ)-কে সৃষ্টি করেছেন তাঁর মায়ের পেট থেকে কোন পুরুষের স্পর্শ ছাড়া।[3]

শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে বায (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি এ বিশ্বাসের উপর মৃত্যুবরণ করবে যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) মাটির মানুষ নয় বা আদম সন্তান নয় অথবা বিশ্বাস করে যে, তিনি অদৃশ্যের খবর জানেন, এটা কুফরী এবং একে বড় কুফরী গণ্য করা হবে অর্থাৎ ইসলাম থেকে বহিষ্কারকারী কুফরী।[4]

কুরআন বলছে, সকল নবী-রাসূল মাটির তৈরী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজেও বলেছেন, আমি তোমাদের মতই মানুষ। বিদ্বানগণ বলছেন, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) মাটির মানুষ, সকল নবী-রাসূল এবং সকল সাধারণ মানুষের মত। এরপরেও যদি কেউ মিথ্যা বানোয়াট হাদীছ উল্লেখ করে বলে, তিনি নূরের তৈরী, তাহ’লে সে হবে আক্বীদাভ্রষ্ট।

রাসূল সম্পর্কে জাল বা বানাওয়াট হাদীছ সমূহ

(১) জাবের (রাঃ) একদা রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ছাঃ)! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হউক। আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা সর্বপ্রথম কোন বস্ত্ত সৃষ্টি করেছেন? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উত্তরে বললেন, হে জাবের! আল্লাহ তা‘আলা সর্বপ্রথম তাঁর নূর দ্বারা তোমার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা সে নূরকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করে এক ভাগ দ্বারা কলম, এক ভাগ দ্বারা লাওহে মাহফূয ও একভাগ দ্বারা আরশে আযীম সৃষ্টি করেছেন। এভাবে ক্রমান্বয়ে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, আসমান-যমীন ফেরেশতা, জিন প্রভৃতি সৃষ্টি হয়ে থাকে।[5] এই হাদীছটি বাতিল, কোন হাদীছ গ্রন্থে হাদীছটি পাওয়া যায় না।

(২) লাওহে মাহফূয সৃষ্টির পর তাতে আল্লাহর নামের পার্শ্বে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর নাম অর্থাৎ কালেমায় তাইয়িবাহ লিখে রাখা হয়। ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, জান্নাতে আদম (আঃ) যখন আল্লাহর একটি আদেশ লংঘন করে পরে নিজ ভুল বুঝতে পারলেন, তখন তিনি আল্লাহ তা‘আলার নিকট এভাবে প্রার্থনা করলেন, হে আল্লাহ রাববুল আলামীন! আপনি আমাকে মুহাম্মাদের অসীলায় ক্ষমা করে দিন। আল্লাহ পাক তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আদম! তুমি মুহাম্মাদকে চিনলে কিভাবে, তাঁকে তো আমি এখন পর্যন্ত সৃষ্টি করিনি? তখন আদম (আঃ) বললেন, হে দয়াময় প্রভু! আমাকে সৃষ্টি করে যখন আপনি আমার মধ্যে রূহ ফুঁকে দিলেন, তখন আমি চক্ষু মেলে তাকিয়ে দেখলাম, আরশের গায়ে লেখা রয়েছে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লা-হ’। তখন আমি ভাবলাম, নিশ্চয়ই আপনি ঐ ব্যক্তির নাম আপনার নিজের সাথে যুক্ত করে দিয়েছেন, যিনি আপনার নিকট সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তি। আল্লাহ তা‘আলা বললেন, হে আদম! তুমি ঠিকই বলেছ। নিঃসন্দেহে মুহাম্মাদ সৃষ্টি জগতের মধ্যে আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয়। এমনকি তাঁকে সৃষ্টি না করলে আমি তোমাকেও সৃষ্টি করতাম না।[6]

ইমাম ত্বহাবী বলেন, হাদীছটি আহলুল ইলমের নিকট নিতান্ত দুর্বল।[7] আবূদাঊদ, আবূ যুর‘আ, ইমাম নাসাঈ, ইমাম দারা-কুত্বনী এবং ইবনে হাজার আস-ক্বালানী সবাই বলেন, হাদীছটি দুর্বল।[8] ইমাম ইবনে তায়মিয়া (রহঃ) বলেন, হাদীছটি যে দুর্বল এ ব্যাপারে সবাই একমত। নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, হাদীছটি বানাওয়াট।[9] ইমাম আলুসী হানাফী বলেন, হাদীছটির কোন ভিত্তিই নেই।[10]

(৩) হাদীছে কুদসীতে আছে, আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় প্রিয়তম নবী (ছাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, لو لاك ما خلقت الأفلاك ‘যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম, তবে নিশ্চয়ই এ কুল-মাখলূক সৃষ্টি করতাম না’।[11] হাদীছটি বানাওয়াট, বাতিল।

(৪) হে মুহাম্মাদ (ছাঃ)! আপনি না হ’লে আসমান-যমীন কিছুই সৃষ্টি করতাম না।[12] ইবনু জাওযী বলেন, হাদীছটি যে বানাওয়াট এতে কোন সন্দেহ নেই। ইমাম দারা-কুত্বনী বলেন, হাদীছটি দুর্বল। ফালাস বলেন, হাদীছটি বানাওয়াট।[13]

(৫) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِىْ অর্থাৎ আল্লাহ রাববুল আলামীন সর্বপ্রথম আমার নূরকে সৃষ্টি করেছেন।[14] এটা হাদীছ নয়; বরং ছূফীদের বানাওয়াট কথা।

(৬) হে মুহাম্মাদ (ছাঃ)। আপনি না হ’লে আসমান-যমীন, আরশ-কুরশী, চন্দ্র-সূর্য ইত্যাদি কিছুই সৃষ্টি করা হ’ত না। ইবনু তায়মিয়া (রহঃ) বলেন, এটি আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছ নয়। এটি কোন বিদ্বান তাঁদের হাদীছ গ্রন্থে হাদীছে রাসূল বলে উল্লেখ করেননি এবং ছাহাবায়ে কেরাম থেকেও বর্ণিত হয়নি। বরং এটি এমন একটি কথা, যার বক্তা জানা যায় না।[15]

(৭) আদম (আঃ) সৃষ্টি হয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে জ্যোতির্ময় নক্ষত্র রূপে মুহাম্মাদের নূর অবলোকন করে মুগ্ধ হন।

(৮) মি‘রাজের সময় আল্লাহ পাক তাঁর নবীকে জুতা সহ আরশে আরোহন করতে বলেন, যাতে আরশের গৌরব বৃদ্ধি পায়’ (নাঊযুবিল্লাহ)।

(৯) রাসূলের জন্মের খবরে খুশি হয়ে আঙ্গুল উঁচু করার কারণে ও সংবাদ দানকারিণী দাসী ছুওয়াবাকে মুক্তি দেয়ার কারণে জাহান্নামে আবু লাহাবের হাতের দু’টি আঙ্গুল পুড়বে না। এছাড়াও প্রতি সোমবার রাসূল (ছাঃ)-এর জন্ম দিবসে জাহান্নামে আবু লাহাবের শাস্তি মওকূফ করা হবে বলে আববাস (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের পূর্বে দেখা একটি স্বপ্নের বর্ণনা তাঁর নামে সমাজে প্রচলিত আছে, যা ভিত্তিহীন।

(১০) মা আমেনার প্রসবকালে জান্নাত হ’তে বিবি মরিয়াম, বিবি আসিয়া ও মা হাজেরা দুনিয়ায় নেমে এসে সবার অলক্ষ্যে ধাত্রীর কাজ করেন।

(১১) নবীর জন্ম মুহূর্তে কা‘বার প্রতিমাগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ে, রোমের অগ্নি উপাসকদের ‘শিখা অনির্বাণ’গুলো দপ করে নিভে যায়। বাতাসের গতি, নদীর প্রবাহ, সুর্যের আলো সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় ইত্যাদি...।[16]উপরের বিষয়গুলো সবই বানাওয়াট ও ভিত্তিহীন।[17]

পরিশেষে বলব, আল্লাহ ও রাসূল সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বর্ণনা মোতাবেক সঠিক আক্বীদা পোষণ করতে হবে। তাঁদের প্রতি যথাযথ ঈমান আনতে হবে। তাহ’লেই প্রকৃত মুমিন হওয়া যাবে। ভ্রান্ত আক্বীদা পোষণ করে যেমন মুমিন হওয়া যাবে না, তেমনি পরকালে নাজাতও মিলবে না। আল্লাহ আমাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন-আমীন!

[1]. বুখারী, হা/৪০১; মুসলিম, হা/১২৭৪।
[2]. মুসলিম, মিশকাত হা/৫৭০১।
[3]. ইবনু হাযম, আল-মুহাল্লা, ১/২৯।
[4]. মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫/৩১৯।
[5]. মৌলভী মুহাম্মদ যাকির হুসাইন, মুকাম্মাল মীলাদে মুস্তফা (সঃ), পৃঃ ৪১।
[6]. মুকাম্মাল মীলাদে মুস্তফা (সঃ), পৃঃ ৪১।
[7]. তাহযীবুত তাহযীব ২/৫০৮ পৃঃ।
[8]. ইমাম নাসাঈ, কিতাবুয যু‘আফা ওয়াল মাতরূকীন, পৃঃ ১৫৮, হা/৩৭৭।
[9]. সিলসিলা যঈফা হা/২৫।
[10]. গায়াতুল আমানী ১/৩৭৩।
[11]. মুকামমাল মীলাদে মুস্তফা (সঃ), পৃঃ ৪০।
[12]. আবুল হাসান আল-কাত্তানী, তানযীহুশ শরী‘আত আন আহাদীছিশ শী‘আ, ১/৩২৫।
[13]. ইবনুল জাওযী, কিতাবুল মাওযূ‘আত, ২/১৯।
[14]. মুকাম্মাল মীলাদে মুস্তফা (সঃ), পৃঃ ৭৭।
[15]. মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/৯৬।
[16]. মৌলুদে দিল পছন্দ, মৌলুদে ছাদী, আল-ইনছাফ, মিলাদ মাহফিল প্রভৃতি দ্রষ্টব্য।
[17]. বিস্তারিদ দ্রঃ মাওযু‘আতে কবীর প্রভৃতি; ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, মীলাদ প্রসঙ্গ, পৃঃ ১২।

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই, অনেক দলিল সহ তথ্য দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞ রইলাম।

১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

অবিসংবাদিত নেতা নেহরু বলেছেন: ভাই দেশএর কি দোষ, দোষ তো আমাদের
আমরা শুধু সমালোচক ।অন্যের আড়ালে কত কিছু বলি লিখি
বস্তত প্রকাশ্যে হুজুর হুজুর।
এ দেশে এমন একজন নেতার প্রজয়ন সে সাধারণ মানুষের খাওয়া পরার চিন্তা করবে জীবন জীবিকার কথা ভাববে।
হায় কপাল সে দিন কি কখনো আসবে এই দেশে।
যাদের ঘামের বদৌলতে আমার সু বিশাল অট্টালিকা
তাদের খবর আমরা রাখি না।
আপনার লিখা পড়ে ভাল লাগল

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অতি সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন, কৃতজ্ঞ রইলাম।
আমরা শুধু সমালোচক ।অন্যের আড়ালে কত কিছু বলি লিখি
বস্তত প্রকাশ্যে হুজুর হুজুর।

বেশ কথা একটা কথা বলেছেন ভাই, আসলেই এই সমস্যার দরুন আমরা অনেক অনেক পিছিয়ে আছি, আর সামনাসামনি বলবে কে?! যে বলবে সেই তো পরের দিন হারিয়ে যাবে, না হয় দল হাত করে নিবে!!
হ্যা দেশে খুব জরুরী পর্যায়ে এমন একজন নেতা প্রয়োজন যিনি দেশে ও দশের চিন্তা করবে, জীবন জীবিকার কথা ভাববে।

এটাও ঠিক বলেছেন যাদের ঘামের বদৌলতে আমার সু বিশাল অট্টালিকা
তাদের খবর আমরা রাখি না ।
তাদের খবর আমাদের রাখা উচিত। আমি চেষ্টা করবো তাদের নিয়ে লেখার।

লেখা ভালো লেগেছে জেনে, খুব অনুপ্রানিত হলাম।

অনেক শুভ কামনা রইলো।

১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনি সরকার চালু রাখার আয় ব্যয়কেই মোটামুটি বাজেট মনে করেন।

উনার ২টি বাজেট থাকার কথা ছিল; ২০০৯ সালে, বাজের সাথে ২০১৪ সাল অবধি "লং টার্ম" বাজেট থাকার দরকার ছিল; একই ভাবে, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের "লং টার্ম" করার দরকার ছিলো; সাথে বার্ষুক বাজেটকে রাখার দরকার ছিল। লং টার্ম বাজটগুলো দিয়ে উনি মানব উন্নয়ন করার প্ল্যান দিতে পারতেন; উনি বেকুবীর জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন।

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আর উনার মতন এক বেকুব দেশে মেরুদন্ড অর্থনীতির ভার বহন করছেন!! আপনার কথা গুলো সুন্দর এবং উপযোগী কিন্তু এই নূন্যতম বুদ্ধিও উনার নেই।

অনেক ধনুবাদ গাজীভাই, শুভ কামনা রইলো।

১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: একটা কথা বলতে হয়, যদিও আমি সবার দলে। ব্যাঙ্কে এক টাকা থাকলে এবং কোনো ঋণ না থাকলে সে ধনী। আমি অনেক অনেক বড় ধনী।

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই আমি একমত, আমার ব্যাংক একাউন্ট নাই, টাকা দূরের কথা, ঋণও নাই।
আমি মনে মনে ধনী।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, শুভ কামনা রইলো।

১৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: অন্যদেশের জনগণ কিন্তু এই বাজেট ভুলেও মেনে নিবে না।

আমরা মেনে নিতে অভ্যস্ত হয়ে পরেছি যে।

এজন্যইতো আমাদের এত দুরাবস্থা!

আল্লাহ আমাদের সবাইকে জ্ঞান দান করুন। আমাদের দেশকে রক্ষা করুন। রক্ষা করুন দেশের সব মানুষকে। পবিত্র রমজানে এই প্রার্থণা।
ভালো থাকুন নিরন্তর ।

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমিও আপনার মত দোয়া করি। আপনার আমার দোয়া কবুল হোক, আমিন।

১৭| ০৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

প্রথমকথা বলেছেন: অনেক সুন্দর জ্ঞানী এবং শিক্ষণীয় লেখা, অনেক কিছু শেখার এবং বুঝার আছে। ভাল লাগল।

০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রানিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই। বাজেট, দেশের রাজনীতি সম্পর্কে আমাদের আরও বেশি জানতে হবে।

অনেক শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন।

১৮| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ মনযোগ দিয়ে আর পরিশ্রম করে পোস্টটা লিখেছেন, বোঝাই যাচ্ছে। ধন্যবাদ, বাজেট নিয়ে আপনার এ খোলামেলা আলোচনার জন্য। পোস্ট তেমন বড় হয়নি, হলেও পড়ে শেষ করতে মোটেও তা মনে হয়নি।
"আমি কামনা করি উনি যেন খুব দ্রুত অন্তত বাজেট পাশের আগে বিদায় নেন। আমরা ভাই কষ্ট করে খেটে খাওয়া মানুষ ডাকাতের অধীনে থাকা নিরাপদ নয়" - আশাকরি আপনি মন্ত্রীত্ব থেকে ওনার বিদায় কামনা করেছেন, বয়স্ক মন্ত্রীর দুনিয়া থেকে বিদায় নয়। প্রথমটা করলে ঠিক আছে, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আপনি তা কামনা করতেই পারেন। কিন্তু পরেরটা করা ঠিক নয়। আল্লাহতা'লা যেন ওনাকে সঠিক হেদায়েত দান করেন।
চাঁদগাজী, এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু এবং নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন এর মন্তব্য ভাল লেগেছে।

০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: হ্যা ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন, আমি উনার দুনিয়া থেকে বিদায় নয়, উনার মন্ত্রিত্ব থেকে বিদায় আশা করি, কারণ উনি অর্থনীতির কিছুই বুঝেন না। আর সবসময় দোয়া করি আল্লাহতা'লা যেন ওনাকে সঠিক হেদায়েত দান করেন।।

লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুব অনুপ্রানিত হলাম। বাজেট নিয়ে সবারই নিজস্ব মতামত ও খোলামেলা আলোচনার প্রয়োজন।
আপনি পাঠদান ও মন্তব্য রেখেছেন কৃতজ্ঞ রইলাম।

অনেক শুভ কামনা রইলো।

১৯| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। +++

০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, শুভ কামনা জানবেন।

২০| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি, আল্লাহর আকার না থাকা বিষয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছি। আপনার আপত্তি উপরে থাকা দরকার মনে করে বিষয়টি আপনাকে জানালাম।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই জানানোর জন্য।

২১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমার এক কাকার সাথে বাজেট নিয়ে আলোচনা করছিলাম অনেক দিন আগের ঘটনা। উনি বললেন, বাংলাদেশের বাজেট হলো মানুষ মারা বাজেট। একটু কৌতূহল হয় জিজ্ঞেস করলাম কেন কাকা?!
কাকা বললেন, দেখ আমেরিকায় কৃষিতে ১০০% ভর্তুকি দেয়। এদেশে কৃষিতে ভর্তুকি দেয়া হয় না, বা কোনো এক সময় দিতো এখন বন্ধ করে দিয়েছে!
আমাদের আগামী বাজেটে ভর্তুকি ও প্রনোদনায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৯ হাজার ৪৫৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এবং বরাবরের মতই এবারও কৃষিতে ভর্তুকি নেই। কৃষিতে ভর্তুকি নেই কেন কেউই এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না!! বেশিক্ষন ডিবেট করলে, হেফাজত, থেমিসের মূর্তি, বনানীর ধর্ষণের ঘটনা ঢুকে যাবে। তখন আর বাজেট মাথায় থাকবে না!!


কৃষি নিয়ে ভাবনা মাথায় ছিল না। তবে মানুষ মারা বাজেট কথার সাথে পুরাই একমত! এখন এইভাবে লেখালেখি যদি হয়, (মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় হওয়া উচিত) তবেই কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। :|

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: গেম চেঞ্জার ভাই খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করছেন, একমত হয়েছেন অনেক ধন্যবাদ,
আপনি শেষে বলেছেন মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় হওয়া উচিত, তা উচিত ছিলো কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া হাতি আর মূর্তির পেছনে আর বনানীর ধর্ষণ মামলা নিয়ে পরে আছে।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু কৃষি প্রধান দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু এই বাজেট আর কৃষির প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা দেখলে তা কিন্তু আদৌ মনে হয় না।

আর আমাদের অর্থমন্ত্রী (পুরোই অর্থহীন) উনি এই বাজেট কোনো মতেই পরিবর্তন করতে দিবেন না কারণ এটি উনার জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজেট, উনি সোজা বলে দিয়েছেন, আন্দোলন করেন আর যাই করেন দেখা যাবে কি করতে পারেন কিন্তু কোনো কাজ হবে না!! এই হলো একজন মন্ত্রীর কথা!!


ভাই অনেক শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন।

২২| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫২

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট। অনেক পরিশ্রমী, খুব সুন্দর বুঝিয়েছেন ভাই।

এবারের বাজেট সত্যিই অনেক বিভ্রান্তিকর। গরীবের উপর এটি একটি নীরব অত্যাচার।

শুভকামনা আপনার জন্য ভাই।

(অনাকাঙ্ক্ষিত কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন ভাই।)

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন, কৃতজ্ঞ।

বাংলাদেশে কোনো বাজেটই সফল নয় এক সরকারের আমলে তো নয়ই, দেখেন এতো খাতে টাকা ঢালবেন অথচ কৃষি খাতে ভর্তুকি নাই, শিক্ষা খাতে নামে টাকা দেয়া হবে!! বলেন এটা কি কোনো বাজেট হতে পারে। এতো ট্যাক্স আর ভ্যাট ধরে এভাবে?!


অনেক শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন।

২৩| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাজেট পেশ অর্থমন্ত্রী করেন ঠিক আছে, কিন্তু তিনি একা করেন না। পেছনে যে সার্কিট আছে সেটার আউটপুট প্রবাহ সবশেষে অর্থমন্ত্রীর মুখ দিয়ে, হাত দিয়ে, কাগজে, সংসদে প্রবাহিত হয়।
ঐ সার্কিটের আইসি, ট্রানজিস্টর, রেজিস্টর ঐগুলাই হলো আসল! ;)

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: তা আপনি খারাপ বলেন নি, কথা সত্য বলেছেন। তবে মুহিত সাহেব একই একশো, আমার মনে হয় উনি বাজেট তৈরি করার সময় প্রধানমন্ত্রীকেও পাত্তা দেন না!! সার্কিটের আইসি, ট্রানজিস্টর, রেজিস্টর গুলান হইলো বোনাস ;)
মুহিত সাহেব কিন্তু অর্থনীতির কিছুই বোঝে না। আর উনি অর্থমন্ত্রী, যা পুরোই অর্থহীন, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলছে একদম।
আমি সবসময় একটা কথা বলি যে, বাংলাদেশ হওয়ার কারনে এরা বেঁচে গেছে, ভারত হলে এই বাজেট এরকম মন্ত্রী কোনো মতেই মেনে নিতো না।

আবারও এসে মন্তব্য রেখেছেন, খুবই মূল্যবান মন্তব্য, অনেক ধন্যবাদ ভাই...

২৪| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাজেট নিয়ে ভাল বিশ্লেষন করেছেন । অামি বাজেটটাকে একটু অন্য অাংগীকে দেখতেছি , পরে আবার আসব ।

শুভেচ্ছা রইল

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৪৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, আপনি মনের কথা ব্যক্ত করেছেন, কৃতজ্ঞ । বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রানিত হলাম।

আশা করি এই বাজেট নিয়ে আপনার একটা পোস্ট পাবো।


ওঅনেক শুভ কামনা রইলো।

২৫| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০০

পার্থিব লালসা বলেছেন: লিখাটি যথেষ্ট গুরুতব বহন করে
আমার অসম্ভব ভাললাগা জানবেন
ধন্যবাদ

০৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুব অনুপ্রানিত হলাম অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞ।

অর্থনীতি হলো একটি দেশের মেরুদন্ড। সেই অর্থনীতিতে বাংলাদেশ দুর্বল। জনগণ সকল কে জেগে উঠতে হবে।


অনেক শুভ কামনা রইলো।

২৬| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ফরিদ ভাই আপনার বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে দেখলাম পাল্টা প্রশ্ন করেছেন।
আমি তর্ক করতে ভালবাসি না। কেউ যদি বুঝেও অবুঝ হয় তাহলে কি আর করা।
আমাদের দেশে বেশির ভাগ মুসলিমই বাপ দাদাদের অনুসরন করে।
আল্লাহ কিন্তু কোরানে বলেছেন, আর যখন তাদের সামনে সত্য উপস্থাপন হয় তখন তারা বলে,আমরা কি আমাদের বাপ দাদাদের অনুসরন করব না?
আপনি বলেদিন যদি তাদের বাপ দাদারা ভুল করে তবুও কি তারা তাই করবে।
ভাল থাকুন।

০৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমিও তর্ক করতে ভালবাসি না। ফরিদ ভাই সিনিয়র মানুষ, তাই আমি আর বেশিদূর আগাইনি, ওই পর্যন্তই থেমে গেছি। একটা সহজ জিনিস না বুঝার আমি কিছুই দেখিনা।
যাই হোক, যার যার বুঝ তার তার কাছে।
যে যেই পথ, যাকে খুশি অনুসরন যা খুশি বুঝুক তাতে কি আর আসবে যাবে?!


ভালো থাকুন ভাই।

২৭| ০৯ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

মানবী বলেছেন: দেখেন একজন গার্মেন্টস শ্রমিক তারা হাজবেন্ড ওয়াইফ মিলে চাকুরী করে মাসে ১৬-১৮হাজার টাকা কামায়। তাহলে বলেন কোনো সমস্যা হবে কিনা।
- সব গার্মেন্টসকর্মীই স্বামী স্ত্রী কাজ করে এবং মাস শেষে ১৭/১৮ হাজার টাকা ঘরে নিয়ে যায়!! খুব অদ্ভুত। ভদ্রলোকের কথা শুনে মনে হচ্ছে সেখানে অবিবাহিত বা সংসারের একমাত্র উপার্জনাকারী নেই ।
আর কজনই বা গার্মেন্টসে কাজ করছে বা অন্য কোন চাকুরী করছে!

"একটা তথ্য দিই, আমাদের অর্থমন্ত্রী ইংরেজিতে অনার্স পাশ। আর তিনি দশ বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। "
- বাহ্! তাহলেতো আর কথাই নেই। তার কাছে জাতির জন্য কার্যকর বাজেট আশা করাটাই বিরাট বোকামী।

আওয়ামিলীগে যদি অর্থনীতিবিদ না থেকে থাকে, অন্তঃত দেশের স্বার্থে একজন অর্থনীতিবিদকে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা জরুরী ছিলো। আর কিছু না হলেও বাজেটটি তিনি যথাযথ ভাবে প্ল্যান করতে পারতেন।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো।

০৯ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মানবী আপু, অনেক সুন্দর একটা মন্তব্য রেখেছেন, আমার কথা অনুধাবন করেছেন কৃতজ্ঞ রইলাম

ওই ভদ্র লোকের কথা কি আর বলবো, নিজে সুখী তাই দুনিয়ার সবাইকে সুখী মনে করে, উনি মনে করেন দুনিয়া অনেক সহজ।
আমাদের দেশে অর্থনীতি বোধহয় কেউই বুঝেনা, তাইই মুহিত সাহেবের মতন লোক অর্থমন্ত্রী হয়ে বসে আছেন। উনি যে পরিস্থিতিতে মন্ত্রী হয়ে বসে আছেন, পরিস্থিতি এমন যে যা ইচ্ছা তাই সে করতে পারবে, কেউ কোনো কিছু বলতে পারবে না, কিছু করতেও পারবে না। উনি সরাসরি বলে দিয়েছেন এই বাজেট মানতেই হবে, কোনো আন্দোলন করে কাজ হবে না, সব আন্দোলন দাবায়া রাখা হবে!
এবার বুঝুন কি দেশে আমরা বাস করছি, একজন মন্ত্রী আমাদের হুমকি দিচ্ছে, আর জনগণ তা মেনে নিচ্ছে...!!!!!
তার বাজেট তো বাজেটই আর কোনো কিছুই কার্যকর আশা করা যায় না।

আওয়ামিলীগে যদি অর্থনীতিবিদ না থেকে থাকে, অন্তঃত দেশের স্বার্থে একজন অর্থনীতিবিদকে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা জরুরী ছিলো। আর কিছু না হলেও বাজেটটি তিনি যথাযথ ভাবে প্ল্যান করতে পারতেন।


আপনার এই কথার প্রেক্ষিতে দুঃখের সহিত কথাটা বলতে হয় যে, এরা দেশের স্বার্থে কোনই চিন্তা করে না , এক বিন্দুও না।


অনেক শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন নিরন্তর ।

২৮| ০৯ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

পার্থিব লালসা বলেছেন: মাথায় যদি কিছু থাকতো তাহলে নষ্ট হতো উনার মাথায় তো কিছুই নেই!
আর উনাকে অর্থ মন্ত্রী বানানো হয়েছে। বুঝেন এবার কি একটা দেশে বাস করি!!

লিখাটা যথরথ,অর্থবহ
+++++++++++্

০৯ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন।

২৯| ০৯ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া দেখো মিলা আর বাজেট

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ওয়াইফাই কানেকশন নাই তাই ভিডিও টা দেখা হয় নাই, সরি আপু।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: গত কয়েকমাস যাবৎ খুব খুব সমস্যার মধ্যে দিয়ে পর হচ্ছি। সমস্যা গুলো অনেক রকমের তাই...!!!
তবুও লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছি অনেক কষ্ট হলেও।

৩০| ০৯ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

রাফিন জয় বলেছেন: নির্মম বাস্তবতা!

১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বাস্তবতা খুব নির্মম! জনগণ সকলকে এক হতে হবে। তবেই সব প্রতিকূলতা থামবে।

অনেক শুভ কামনা রইলো।

৩১| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কেমন আছেন ভাই ? পাঁচ-ছ দিন ছিলাম না।

১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো আছি, জানতে চেয়েছেন কেমন আছি খুব ভালো লাগলো।
আশা করি আপনি ভালো আছেন.

৩২| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নতুন বাজেট মানেই নতুন কিছু বাজে সময় আমাদের জীবনে মিশে যায়।

১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এটাই সমস্যা, বাজেট করা মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য। আর আমাদের দেশে বাজেট মানুষ মারার মন্ত্র!!
খুব দুঃখ লাগে।


অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৩৩| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: আমাদের বাজেট মানেই হলো দূর্ণীতির নতুন ক্ষেত্র তৈরী করা।

১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন, কথাটা আরও গুছিয়ে বললে দুর্নীতির ক্ষেত্র আরও বড় করা।
অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম।


অনেক শুভ কামনা রইলো।

৩৪| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

মোজাহিদ আলী বলেছেন: গুরুত্ত্বপুর্ণ বিষয়ের বাস্তব ধর্মী লিখার জন্য ধন্যবাদ

১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, অনেক ভালো থাকুন।

শুভ কামনা রইলো।

৩৫| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৭

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ,

অনেক শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন নিরন্তর।

৩৬| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ---- তার মানে সরকারি চাকুরী যারা করেন তাদের মতে দুনিয়ার সবই সহজ, সুন্দর, কোনো অভ্যন্তরীণ সমস্যা নাই। !!!!!!

আমাদের অর্থমন্ত্রী সাহেবেরও একই অবস্থা হয়েছে, !!!! উনি নাকি জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজেট দিয়েছেন। উচ্চাভিলাসী বাজেট।

মানুষ মারার জন্য শ্রেষ্ঠ বাজেট -শতভাগ সহমত!

বিশ্লেষনী লেখায় +++++++++

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভৃগু ভাই, এতো গুলো প্লাসে খুব অনুপ্রানিত।

অনেক শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন।

৩৭| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। পড়ে অনেক কিছু জানলাম।
সুন্দর লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৯ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৫:০২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, খুব অনুপ্রানিত হলাম।

অনেক শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন, আর জাতির জন্য বেশি বেশি দোয়া করুন যেন একটু মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ায়।

৩৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

শায়মা বলেছেন: জীবনে তো সমস্যা থাকবেই ভাইয়া!
সমস্যা যেমন আছে সমাধানও আছে তো!
দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে!

ধৈর্য্য হারিওনা! :)

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। কৃতজ্ঞ র'লাম।

আপনার কথা যেন সত্যি হয়, সব সমস্যা সমাধান হোক। মনে একটু হলেও প্রশান্তি আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.