নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝেমধ্যে নিজেকে কেন জানি প্রতিভাবান বলে মনে হয়! কেন মনে হয়, তা খুঁজতে খুঁজতে প্রতিভা শেষ করে ফেলছি

ফাহাদ মিয়াজি

মাঝেমধ্যে নিজেকে কেন জানি প্রতিভাবান বলে মনে হয়! কেন মনে হয়, তা খুঁজতে খুঁজতে প্রতিভা শেষ করে ফেলছি

ফাহাদ মিয়াজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীক্ষা-বিষয়ক কিছু প্রস্তাব ;)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

* কোনো পাবলিক পরীক্ষার অন্তত এক মাস আগে দেশের নামীদামি কম্পোজারদের দিয়ে পরীক্ষা নিয়ে ‘থিম সং’ বানানো যায়। ওই থিম সংয়ের ভিডিও, ফ্ল্যাশমব ইউটিউবে আপলোড করে দেশের আনাচকানাচে থাকা সব শিক্ষার্থীকে উদ্বুদ্ধ করা যাবে। তবে থিম সংয়ের লিরিক কোনোভাবেই ‘পরীক্ষা পরীক্ষা হইহই, পরীক্ষার প্রশ্ন গেল কই’ ধরনের হবে না।

* পরীক্ষাকে ঘিরে কত-না হ্যাপা! সঠিক প্রশ্নপত্র ফাঁস না হওয়ার ভয়, সময়স্বল্পতার কারণে উঁকি মেরে দেখতে না পারার আতঙ্ক, একজনকে আরেকজনের সিটে বসিয়ে দেওয়ার মতো নির্দয় আচরণ! এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়িয়ে চলার জন্য কর্তৃপক্ষ চাইলে স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের ব্যবস্থা করা যায়। এতে এক ফাঁকে পরিদর্শক বা পরীক্ষকেরাও চা-নাশতা খাওয়া সেরে ফেলতে পারবেন।

* অনেকেরই পরীক্ষাভীতি, হলভীতিসহ অনেক ভীতি থাকে। চিন্তায় অনেকে মনমরা হয়ে পরীক্ষা দেয়। তাদের কথা চিন্তা করে পরীক্ষার হলে অন্তত রং-বেরঙের বেলুন ও দেয়ালে ‘শুভ পরীক্ষা-দিন’ লেখা পোস্টার লাগানো যেতে পারে। এতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হবে এবং তারা পুলকিত মনে নিজ নিজ সুকুমার বৃত্তির বিকাশ ঘটিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে।
* ফুটবল, ক্রিকেট বিশ্বকাপের মতো ‘বিশ্ব পরীক্ষা কাপ’ নামে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যেতে পারে (লাইভ টেলিকাস্টসহ)। পরীক্ষার ধারাবিবরণী দেবেন বিখ্যাত সব ধারাভাষ্যকার। তাঁদের স্বনামধন্য, বরেণ্য, বিশ্বনন্দিত পরীক্ষা-বিবরণীতে উত্তর ভুলে যাওয়া শিক্ষার্থীদেরও উত্তর মনে পড়ে যাবে।

* ভুলক্রমে পরীক্ষক যদি ‘নির্দোষ’ শিক্ষার্থীর খাতা নিয়ে নেন, তবে তা ‘নো বল’ হিসেবে গণ্য করা যায় এবং ফ্রি হিট হিসেবে তাকে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার বিধানও রাখতে হবে।

* প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা ‘পরিত্যক্ত’ ঘোষণা করা বাধ্যতামূলক। কারণ, এ ক্ষেত্রে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে পরীক্ষা নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।

* পরীক্ষা চলার সময় একেকজনের মুখের ভঙ্গি একেক রকম হয়। সেই মুহূর্তগুলো চিত্রশিল্পীরা চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুললে দেশের চিত্রশিল্পের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে। তাই হলের বাইরে বা ভেতরে, ফ্লোরে বা দেয়ালে হেলান দিয়ে, বসে বা শুয়ে শিল্পীরা মুখচ্ছবি আঁকতে পারেন। কারণ, বলা তো যায় না, হয়তো আরেকটা ‘মোনালিসা’ আমরা পেয়ে যেতে পারি পরীক্ষার হল থেকেই!

* বৈচিত্র্যের জন্য ডে-নাইট পরীক্ষার আয়োজন করা যেতে পারে। কারণ, অনেকেরই সকালে ঘুম ভাঙতে দেরি হয়। সকালে পরীক্ষা দেওয়ার চেয়ে রাতে পরীক্ষা দেওয়াই অনেকের জন্য আনন্দদায়ক হতে পারে।

সর্বোপরি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রশ্ন ফাঁসহীন পরীক্ষাই সবার কাম্য

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সিরিয়াসলি?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

ফাহাদ মিয়াজি বলেছেন: সত্যি বলছি ভাই

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনারে একটা সুপরামর্শ দিইঃ- হেমায়েতপুরে ভাল ডাক্তার আছে। চলে যান।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০০

ফাহাদ মিয়াজি বলেছেন: যাওয়ার চেষ্টা করবো।
পরামর্শ দেয়ার জন্য থ্যাংকস :-)

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: গেম চেঞ্জার এইডা কি কইলেন?

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০১

ফাহাদ মিয়াজি বলেছেন: ;)

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: কই শেষেতো জানালেন না যে আপনি নিয়মিত রসালো পড়েন/লেখেন... ...

গেম চেঞ্জার ঠিকি বলেছে... ... শুনে দেখতে পারেন তার কথা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.