নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফকির আবদুল মালেক

ফকির আবদুল মালেক

আমি এক উদাস ফকির তারা দানা তসবী গুনিপ্রাণীসম দেহ মাঝে মানুষ নামে স্বপ্ন বুনি

ফকির আবদুল মালেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই উদ্ভিদ-প্রাণীদের গণিত শেখালো, শিক্ষক টা কে?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছিড়েছেন কখনো?
ছিঁড়লেও নিশ্চয়ই গুণে দেখেন নি, কয়টা
পাপড়ি থাকে। ১৩, ২১, ৩৪, ৫৫ কিংবা ৮৯ টা।
কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া প্রায় সব ফুলই এই নিয়ম
মেনে চলে। অদ্ভুত মনে হচ্ছে? আসুন আরো সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে। আপনি সায়েন্স হোন আর আর্টস হোন, অঙ্কে দুর্বল হোন, আর সুপার ডুপার হোন খুব সহজেই হিসাবটা করতে পারেন।
.
০, ১, ১, ২, ৩, ৫, ৮, ১৩, ২১, ৩৪, ৫৫, ৮৯, ১৪৪, ২৩৩, ৩৭৭…… এই যে সংখ্যাগুলো, এদেরকে বলা হয় ফিবোনাচ্চি সংখ্যা। অর্থাৎ, আগের সংখ্যার সাথে পরের সংখ্যাটা যোগ করলেই আরেকটি ফিবোনাচ্চি সংখ্যা পাওয়া যায়।
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব ফুল এই নিয়ম মেনে চলে।
শুধু ফুল নয়, প্রকৃতির অনেক জায়গায় এ সংখ্যা পাবেন। ফলেও ফিবোনাচ্চি সংখ্যা দেখা যায়। আনারসের “চোখ” গুণে দেখুন। এক সারিতে ৮ টা কিংবা ১৩ টা থাকে।
.
নাম লিওনার্দো ফিবোনাচ্চি। জন্ম ইটালিতে। তিনি-ই সর্বপ্রথম এটি আবিষ্কার করেন। তার নামানুসারেই এই ধারার নাম হয়েছে, ফিবোনাচ্চির ধারা! ১২০৩ খ্রিষ্টাব্দে খরগোশের প্রজননে তিনি সর্বপ্রথম এই ধারার অস্তিত্ব দেখতে পান। অর্থাৎ দুটি খরগোশ থেকে যদি প্রজনন হয়, আর একটা খরগোশও না মরে, তাহলে যদি ১০ মাস পর ৫৫ টা খরগোশ হয় ১১ মাস পর হবে ৮৯ টা, ১২ মাস পর হবে ১৪৪ টা।
.
এখানেই শেষ না। পাশাপাশি দুটি ফিবোনাচ্চি সংখ্যার যদি পরেরটাকে আগেরটা দিয়ে ভাগ করেন ১.৬১ হয়। অর্থাৎ ২৩৩ কে ১৪৪ দ্বারা কিংবা ৩৭৭ কে ২৩৩ দ্বারা ভাগ করলে ১.৬১ পাওয়া যাবে। একে বলে গোল্ডেন রেশিও। মানবদেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গে এই গোল্ডেন নাম্বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। একটা অঙ্গের দৈর্ঘ্যকে ১.৬১ দ্বারা গুণ করলে আরেকটা অঙ্গের দৈর্ঘ্যের সমান হয়।
.
বর্তমানে মিউজিকে এর বহুল ব্যাবহার দেখা যায়। বড় বড় ব্যান্ড দলগুলো বিভিন্ন মিউজিকে ফিবোনাচ্চির ছন্দ ব্যাবহার করেছে। এ মিউজিকগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

.
চমক শেষ হয়নি।
পাখিরা যখন দলবেঁধে আকাশে ওড়ে, গণণা করে দেখবেন। প্রতি দলে হয় ১৩ টা নাহয় ২১ টা নাহয় ৩৪ টা…….অর্থাৎ ফিবোনাচ্চির সংখ্যানুযায়ী এরা দলে বিভক্ত থাকে। যদি শিকারীরা কোনো একটা পাখিকে মেরে ফেলে, এরা দল ভেঙ্গে আবার ফিবোনাচ্চি সংখ্যানুযায়ী দলবদ্ধ হয়।
সত্যি-ই এটি প্রকৃতির এক অদ্ভুত রহস্য!
এই উদ্ভিদ-প্রাণীদের গণিত শেখালো, শিক্ষক টা কে?

সংগৃহিত

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আগে জানা ছিল না। শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আমারও জানা ছিল না।
ধন্যবাদ।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

কানিজ রিনা বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম অদ্ভুত রহস্য। ধন্যবাদ

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: কতকিছু অজানা থেকে যায় আমাদের।

ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

মেরিনার বলেছেন: ভালো লাগলো...

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে আমারও ভালো লাগলো।


সত

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪০

দাঁড়িকমা প্রকাশনী বলেছেন: চমৎকার

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: চমৎকার। অমত কার?

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

‍সাদ্দাম বলেছেন: এই উদ্ভিদ-প্রাণীদের গণিত শেখালো, শিক্ষক টা কে?
-আল্লাহ তাআলা

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য ।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



নিঝুম রাতে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে,
ছোট্ট খোকা বলছে মাকে- স্রষ্টা আমার কে?

সুন্দর। ভাল থাকবেন।

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আহা রুবন বলেছেন: অদ্ভুত ব্যাপার! :|

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২২

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ব্যাপারটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।

১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

হাসান রাজু বলেছেন: অবিশ্বাস্য । গুনে দেখা দরকার ।

১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: এই ব্যাপারটা কি কাকতলীয় নাকি গুঢ কোন রহস্য লুকিয়ে আছে এর মধ্যে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.