নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফরিদুর রহমান

ফরিদুর রহমান

ফরিদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে যায় লঙ্কায়: শ্রীলঙ্কা সফর/১৬

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩


খ্রিষ্টিয় দ্বিতীয় শতকে টলেমির মানচিত্রে গলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। সে সময় মধ্যপ্রাচ্য গ্রিস এবং চীনের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের সূত্রে গল ছিল এক ব্যস্ত বন্দর। আধুনিক গলের গােড়াপত্তন অবশ্য পর্তুগিজদের হাতে ষোড়শ শতাব্দীতে। তারও আগে ইবনে বতুতা এই বন্দর ছুঁয়ে গেছেন বলে জানা যায়। অষ্টদশ শতকে ডাচ ঔপনিবেশিক আমলে দুর্গ নগরী গল অর্থ বাণিজ্য ও স্থাপত্য শিল্পের শীর্ষে আরোহণ করেছিল। প্রকৃতপক্ষে শ্রীলঙ্কা বৃটিশদের দখলে চলে যাবার অনেক আগে থেকেই গল ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ নগরী। এখানকার স্থাপত্যে ইওরোপের শিল্পরীতির সাথে দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে।

অহনগামায় পৌঁছাতেই বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল। ফলে হাতমুখ ধুয়ে জামা কাপড় বদলে তৈরি হতে না হতেই খেতে যাবার ডাক পড়লো। বিশাল দোচালা ডাইনিং হলের তিন দিকের পুরোটাই খোলা। সমুদ্রের দিকে মুখ করে বসলে খেতে খেতেই সমুদ্র দর্শন হয়ে যায়। আকাশে চাঁদ ছিল না। হোটেলের শেষ সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা ল্যাম্পপোস্টগুলো সাধ্যমতো আলো দেবার চেষ্টা করলেও বেলাভূমির খানিকটা ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না। তবে আধো অন্ধকারে সমুদ্র দেখা না গেলেও ক্ষণে ক্ষণে ছুটে আসা ঢেউয়ের গর্জন ঠিককই ভেসে আসে। আমরা টেবিলে বসার একটু পরেই সমুদ্রের তর্জন গর্জন ছাপিয়ে তরুণ গায়কের দল গিটার বাজিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করলে পুরো পরিবেশটাই পাল্টে গেল। ক্যান্ডির মতো জমজমাট নাগরিক হেটেলের পরিশীলিত ব্যান্ড দল নয়। এদের পরিবেশনা কিছুটা সৌখিন ঘরানার। আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি জেনে ওরা যে গানটি ধরলো তার কথা বুঝতে না পারলেও সুরটি বাংলাদেশের পরিচিত লোক সঙ্গীতের কথা মনে করিয়ে দেয়।

ইনসাইটের খাবারের তালিকায় খুব বেশি বৈচিত্র্য না থাকলেও আয়োজন ছিল চমৎকার। বিশেষ করে পালং শাকের মতো শাকপাতা দিয়ে রান্না করা গরুর মাংসের স্বাদ অনেক দিন মনে থাকবে। পরদিন সকালে প্যাশান ফ্রুট জুসের ব্যাপারেও একই কথা বলা যায়। প্যাকেটে আমদানি করা প্যাশান ফ্র্রুট জুস ঢাকার অভিজাত ডিপার্টমেন্ট শপগুলোতে পাওয়া যায়। কিন্তু গাছপাকা প্যাশান ফ্রুটের রস জগে ভরে টেবিলে হাজির করার ঘটনা অন্তত আমার জীবনে আর কখনো ঘটেনি। প্যাশানের ব্যাপারে সকলেই বেশ প্যাশনেট। একটু দেরিতে নাস্তা করতে এসে দেখা গেল জগের তলায় ছোট ছোট বিচি দেখা যাচ্ছে। অবশ্য পরিবেশকদের বলার সাথে সাথেই খালি পাত্র আবার পূর্ণ হয়ে গেল।

আমি বসেছি সমুদ্রের দিকে পিঠ দিয়ে। পামেলা বললো, ‘আপনি যে কি মিস করছেন-’ আমি ইঙ্গিতটা বুঝতে পারলাম। বললাম, ‘আমি কিছুই মিস করছি না। ওই যে সামনের আয়নায় দেখছি, প্রতি মুহূর্তে ভেঙে পড়ছে সমুদ্রের ঢেউ।’
‘তাই নাকি!’ যারা বেলাভূমির দিকে মুখ করে বসেছিল, তারা সবাই এবার পেছনে ফিরে দেখতে শুরু করলো। ইনসাইটের লোকজন আসলেই গভীর দৃষ্টি সম্পন্ন। প্রত্যেক টেবিলের পেছনে একটু দূরে বেশ বড়সড় আয়না বসিয়ে রেখেছে। সমুদ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকলেও সাগরের ঢেউ গোনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।

হোটেলের সীমানা ঘেরা কাঠের রেলিং পার হলে বালির উপরে কিছুটা সবুজ লতাগুল্ম ছড়ানো। তারপরে কয়েক পা সোনালি বালি মাড়িয়ে সোজা নেমে যাওয়া যায় সাগরের জলে। এখানে সমুদ্র যথেষ্ট শান্ত হলেও পানিতে নেমে ঝাঁপাঝাপি করতে দেখা গেল না কাউকেই। তবে সকালে গোসলখানায় স্নানের আগে ভোরবেলা আমাদের একদফা প্রায় সমুদ্র স্নান হয়ে গেছে। প্রায় বলতে হলো এই কারণে, আমরা ইচ্ছে করে সমুদ্রে না নামলেও সমুদ্র তার আকস্মিক ঝাপটায় ভিজিয়ে দিয়েছে বেশ কয়েক বার। ভাঙন রোধের জন্যেই কিনা জানি না, বেলাভূমি জুড়ে কিছু পরপরই প্রকা- সব পাথরের চাঁই ফেলে রাখা হয়েছে। অনেকটা টি বাঁধের মতো পাথরের বাঁধ নেমে গেছে সাগরের পানিতে। এ সব উঁচু নিচু পাথর খণ্ডে পা রেখে রেশ বিপজ্জনক অবস্থানে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় মাঝে মধ্যেই বাঁধের উপরে ভেঙে পড়া ভঢউ আমাদের ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছিল। অতি উৎসাহী মাহবুবা হাঁটু পানিতে নেমেছিল। ক্রমেই ঢেউয়ের আস্ফালন বাড়তে থাকায় পুরোপুরি ভেজার আগেই সে ঘরে ফিরে গেছে।

এখানে বেলাভূমিতে ঝিনুকের মালা বা বিচিত্র আকার আকৃতির প্রবালের পসরা সাজিয়ে বসেনি কেউ। তবে এক সিংহলি বৃদ্ধা ভোরবেলাতেই কিছু জামা কাপড়ের দোকান সাজিয়ে বসেছিলেন। স্যুনামিতে তার সব কিছু ভেসে যাবার করুণ কাহিনি তিনি বলতে শুরু করেছিলেন। আমাদের বাইরে বেরোবার তাড়া ছিল, তাই গল্পের পুরোটা শোনা হয়নি। তবে প্রয়োজন না থাকলেও শুধুমাত্র স্যুনামি কাহিনির কারণে তার কাপড়ের পসরা থেকে দু একটা শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ পর্যন্ত এসেছিল।

প্রত্যেক দেশেই কিছু অতি প্রচলিত নাম আছে। শ্রীলঙ্কায় প্রতি দশজনে অন্তত একজন পাওয়া যাবে যার নাম তিলক। আমাদের দলের সকলে যখন বেলাভূমিতে দ্বিতীয় দফা ছবি তােলা নিয়ে ব্যস্ত তখন রিসেপশানে বসে ইনসাইটের ম্যানেজার তিলক গুনাবর্ধনের সাথে আলাপ জমে উঠেছিল। তাকে বললাম, ‘শ্রীলঙ্কার ছয়টা শহরে আমরা যে হােটেলগুলোতে থেকেছি এবং থাকবা তোমাদের ট্যারিফ হিসাব করলে দেখা যাবে ইউনিক ট্রাভেলসকে আমরা পেমেন্ট দিয়েছি তার চেয়ে কম। তাহলে দেশজুড়ে ঘুরে বেড়াবার ট্রান্সপোর্ট, সবগুলো হােটেলে ডিনার, সাথে ইংরেজি বলা গাইড, সব মিলিয়ে ট্যুর অপারেটররা ব্যবসা করে টিকে আছে কেমন করে?’
তিলকের উত্তর, ‘আই এ্যাম টেলিং ইউ এ সিক্রেট, নেভার বুক ইয়োর হোটেল ডাইরেক্টলি। সাধারণত ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্ট অথবা বুকিংডটকম বা আগোডার মতো বুকিং এজেন্টের মাধ্যমে বুক করলে নির্ধারিত ট্যারিফের চেয়ে অনেক কম খরচে হােটেল পাওয়া যায়। আমরা ৪০ থেকে ৫০ এমনকি অনেক সময় ৬০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ছাড় দিই।’

পরামর্শের জন্য তিলককে ধন্যবাদ জানিয়ে অহনগামা ছেড়ে আবার গলের দিকে আমাদের যাত্রা শুরু হলো। ছিমছাম ছােট্ট শহর ছাড়িয়ে দুর্গ নগরী গলের প্রধান আকর্ষণ গল ফাের্ট পর্যন্ত পৌঁছাবার আগে প্রথম বিরতি ডাচ রিফর্মড চার্চে। ১৭৫৫ সালে অর্থাৎ পলাশির প্রন্তারে ইস্ট ইন্ডিয়া কােম্পানীর কাছে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় বরণেরও বছর পাঁচেক আগে প্রতিষ্?িত এই গির্জার ইতিহাস আসলে ধর্ম বিশ্বাসের প্রচার ছাপিয়ে ক্ষমতা দখলের ইতিহাস। ১৬৪০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীলঙ্কার মাটিতে পা রেখে চৌদ্দ বছরের মাথায় রোমান ক্যাথলিক পর্তুগিজদের হটিয়ে দিয়ে দক্ষিণ শ্রীলঙ্কায় নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ষ্ঠা করে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। একশ বছর পরে এই গির্জার প্রতিষ্?া নিয়েও গল্প গাথার অভাব নেই। প্রচলিত কাহিনি অনুসারে ডাচ সামরিক বাহিনির এক কর্মকর্তা তাঁর বহু প্রতিক্ষিত কন্যান জন্ম লাভের সংবাদে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এই চার্চ প্রতিষ্?ার অর্থ দান করেছিলেন। কিংবদন্তি যাই হােক, দখলদার ওলন্দাজদের ধর্ম বিশ্বাস এতোটা প্রবল মনে করার কোনো কারণ নেই। পর্তুগিজদের ধর্মীয় আচার আচরণ থেকে স্থানীয়দের খানিকটা সরিয়ে নিজের আস্থায় না নিয়ে আসা পর্যন্ত নব্য ঔপনিবেশবাদীরা খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না। পরবর্তীতে বৃটিশ শাসনামলেও রিফর্মড চার্চের ভেতরে ও বাইরে যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটেছে। সাম্প্রতিক কালে গির্জাটির ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে ডাচদের অর্থাৎ নেদারল্যান্ডের অর্থায়নে। এটি এখন ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অংশ।
মেঝে জুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য মৃত মানুষের নাম ফলক। পুরো গির্জাটি প্রকৃত অর্থে একটি সমাধিক্ষেত্র আর পাথরের সমাধি ফলকের নিচে দুশ বা আড়াইশ বছর আগের মৃত মানুষেরা শুয়ে আছে। দু একটি ফলকের লেখা পড়লেই বােঝা যায় মৃতদের কেউই এখানে নাম পরিচয়হীন সাধারণ মানুষ নয়। গোয়া, পেনাং বা মালাক্কার অন্যান্য আরো অনেক পুরোনো গির্জার মতোই ভেতরটা নিতান্তই সাধারণ। তবে সারি সারি মৃতদেহের উপর দিয়ে পাথরের মেঝেতে হেঁটে হেঁড়াতে গা ছমছমে একটু অন্য রকম অনুভূতি তো হতেই পারে!

আড়াই শ বছর আগের গির্জা থেকে বেরিয়ে আবার গাড়িতে উ?লাম তবে খুব বেশি দূরে যেতে হলো না। একটু পরে রাস্তার বাঁধে উঠতেই দেখা গেলো যতোদূর চোখ যায় ততোদূর পর্যন্ত বিস্তৃত গলের সমুদ্র ভারত মহাসাগর। নীল সমুদ্র থেকে ছুটে আসা সফেদ তরঙ্গমালা বেলাভূমি জুড়ে ছড়ানো বড় ছোট পাথরের গায়ে আছড়ে পড়ে আবার ফিরে যাচ্ছে সাগরে। পথের বাঁ পাশের বাঁধ চলে গেছে বেশ দূওর গল ফোর্টের বিস্তৃত অংশ পর্যন্ত। আর ডান পাশে কিছু দোকান পাট, বসত বাড়ি আর একটি সুদৃশ্য মসজিদ। বাড়িগুলোর বেশির ভাগই লাল টালির ছাদওয়ালা দোতলা দালান। সবচেয়ে বিস্ময় জাগায় গলের রাস্তা এবং গলিপথ। ধূলি মলিন এশিয়ার একটি দেশে পথঘাট এতোটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে কি করে! বাড়িগুলো সদ্য রং করা, কোথাও কোথাও বাড়ির সামনে ছোট্ট বাগান অথবা দু একটি গাছ। পাথরে বাঁধানো পথটা যেখানে দু ভাগে বিভক্ত হয়ে একটু বাঁক নিয়েছে সেই েমাড়ে দেখা গেল সুদৃশ্য একটি মসজিদ। দোতলা মসজিদের নির্মাণ শৈলীর সাথে কিছু আগে দেখা রিফর্মড চার্চের আশ্চর্য মিল দেখে অনুভব করা যায় মসজিদ মন্দির গির্জা, উপাসনালয় যাই হােক সবকিছু একই কারিগরের তৈরি!

মসজিদের মাথায় বসানো গম্বুজটা বাঁধের উপর থেকে দেখা যায় না, তবে চার কোনায় চারটি, সামনের বর্ধিত অংশে দুটি এবং মাঝে আরও কয়েকটি ছোট ছোট মিনারের অস্তিত্ব চোখে পড়ে। এ গুলো না থাকলে কোনো উঁচু মিনার বা গম্বুজ বিহীন সুদৃশ্য প্রাচীন ভবনটিকে গির্জা বলে ভুল হতে পারতো। সম্ভবত আসন্ন ঈদেও প্রস্তুতি হিসাবে ঘষে মেঝে রঙ করার ফলে মসজিদটির আকর্ষণ বেড়েছে। সাদা রঙের প্রলেপ দেয়া দেয়াল দিয়ে ঘেরা মসজিদটি গলের স্থাপত্য শিল্পের চমৎকার নিদর্শন।

গল ফোর্টের একটি অংশ রাস্তা পেরিয়ে সমুদ্রের ভেতরে ঢুকে গেছে। এককালে হয়তো এখান থেকেই দূর সাগরে ভেসে আনা শত্রুদের জলযানের দিকে নজর রাখা হতো। এখন এটি একটি টুরিস্ট স্পটে পরণিত হয়েছে। ছবি তােলার জন্যে জায়গাটি নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয়। ফলে নানা দৃষ্টিকোণ কােণ থেকে বিভিন্ন কায়দায় ছবি তুলে অনেকটা সময় গেলো। এখানে দাঁড়িয়ে চোখে পড়ে মসজিদের বিপরীতে গলের বাতিঘর। দুর্গের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার পরিত্যক্ত হলেও বাতিঘরটি এখনও দূর দূরান্ত দথকে আসা জাহাজকে পথ দেখায়।

গল ফোর্টের ইতিহাস পর্তুগিজদের শ্রীলঙ্কা দখলের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত। ষােড়শ শতকের শুরুতেই পর্তুগিজরা গলের বন্দরে এসে নামে। রাজা ধর্মপরাক্রম বাহুর সাথে বন্ধুত্বেও সুযোগ নিয়ে তারা খুঁটি গেড়ে বসে শ্রীলঙ্কায়, কাদামটি আর তালগাছ দিয়ে ১৫৪১ খ্রিস্টাব্দে গড়ে তেোলে গলের দুর্গ। একশ বছর পরে ওলন্দাজ এবং পরবর্তীতে অষ্টদশ শকের শেষ দিকে বৃটিশরা শ্রীলঙ্কার ক্ষমতা দখলের বিভিন্ন পর্যায়ে বদলে গেছে গলফোর্টের চেহারা এবং চরিত্র। গল নগরীর সুরক্ষাসহ ব্যবসা বাণিজ্যে আধিপত্য বজায় রাখার জন্যে নির্মিত হলেও সামরিক কর্মকর্তা কর্মচারিদের বাসভবন, প্রশাসনিক দপ্তর এমন কি বন্দীশালা হিসাবেও ব্যবহৃত হয়েছে এই দুর্গ। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতাকামী মানুষ যখনই দখলদারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে তাদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালানো হয়েছে গলফোর্টে আটকে রেখে। বলা নিষ্প্রোজন এক্ষেত্রে পর্তুগিজ, ওলন্দাজ বা ইংরেজ কেউই কম যায়নি। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা লাভের পরে অবস্থার পরির্বন ঘটেছে। বর্তমানে গলফোর্ট ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যেও তালিকায় যুক্ত হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি গলফোর্টের গায়ে লাগানো। স্টেডিয়ামে কোনো খেলা ছিল না। অনুমতি নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের যে ঝামেলা তার জন্যে যথেষ্ট সময়ও হাতে ছিল না। তবে আমাদের হতাশ হতে হয়নি। দুর্গে ঢুকতে পারলে সিঁড়ি বেয়ে দুর্গ প্রাচীরের বেশ কয়েটি জায়গা থেকে চমৎকার দেখা যায় পুরো স্টেডিয়াম।

‘যখন খেলা চলে তখনও কি দর্শক দুর্গের ভেতরে ঢুকে দিব্যি বিনা টিকেটে খেলা দেখতে পারে?’ প্রশ্নটা করেছিলাম আমাদের গাইড অনুঢ়া এবং ড্রাইভার বান্দারাকে। কিন্তু উত্তর কারোরই জানা নেই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

শোভন শামস বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপনা, ভাল লাগল। পুরো পর্ব গুলো একত্রে দিলে একবারে পড়া যাবে। ধন্যবাদ +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.