নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গাজী আলআমিন

"এসো ঐক্য গড়ি অসুন্দরের বিরুদ্ধে"

গাজী আলআমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের প্রয়োজনে বর্তমান সরকারকে আগামীতে নির্বাচিত করা উচিত...

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭



একই সরকার কমকরে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন। যার উধাহরণ মালয়শিয়া সিঙ্গাপুর । বর্তমান সিঙ্গাপুর সকরকার টানা ৩০ বছর যাবত দেশ পরিচালনা করছে। আজ থেকে ১০ বছর আগেও সিঙ্গাপুরের মানুষ যেখানে সেখানে ময়লা ফেলতো। কিন্তু বর্তমানে এই ছোট খাটো সমসার ও সমাধান হয়েছে। ৩০ বছর আগে যখন ক্ষমতায় এসেছিলো তখন তাদের চিন্তা ছিলো দেশের অর্থনীতি নিয়ে কিন্তু বারবার ক্ষতায় আসার কারণে তারা সকল কিছু সমাধানে সফল হয়েছে।

আমরা গত জামাত বিএনপি আমাল দেখেছি। তারা কিভাবে দেশে লুটপাট করেছে। বিদূত সমস্যা, রাস্তা ঘাটে সমস্যা, চুরি ছিন্তাই। সংপ্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমান চাদা বাজির সাথে জড়িত ছিলো। বিদূতের খাম্বা লাগিয়ে যে সাড়া দেশে খাম্বা তারেক হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠে।



দেশের মানুষ তখন তাদের অত্যাচের অতিষ্ঠ হয়ে ২০০৮ সালের নিবার্চনে তাদের সেই ক্ষোভ প্রমাণ করেছে। মাত্র ২৭টি আসন পেয়েছেন সবেক সফল বিএনপি-জামাত সরকার। সুতরাং এখান আর বলার অপেক্ষা রাখে না কেন আমরা আওয়ামীলীগ কে আগামীতে ভোট দিবো।



তারপরও বলবো দেশের উন্নয়ন চিত্রটা একবার বিশ্লেষণ করুন।

গত বিএনপি আমলে আমার ৫বছর টানা দূনীতিতে চ্যাম্পিয়ান ছিলাম!!!!

আর বর্তমান সরকার দেশের জন্য সাউথ সাউথ পুরোস্কার এনে দিয়েছে।

বিএনপি সরকার ৫ বছরে করেছে ১টি ৮০০ মিটারের মহাখালী ফ্লাইওভার আর বর্তমান সকরকার কয়টা করেছে আসা করি বলতে হবে না।

বিদূত খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার দূনীতি করেছেন তারেক রহমান। যার বদলে আমরা পেয়েছিলাম খাম্বা তারেক কে( যিনি গত ৫ বছর লন্ডনে বিলাস বহুল জীবন যাপন করছেন সেই টাকায়) আর

বর্তমান সরকারের প্রধাণ চ্যালেন্জ ছিলো বিদূত যা সরকার সমাধান করতে পেরেছে। যদিও কিছু সমস্যা আছে এবং থাকবেই কিন্তু বিএনপি-জামাত এর শাসন আমলে আশা করি আমরা আর ফিরে যেতে চাই না।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

নীল জানালা বলেছেন: চোরা তারেক চুন্নি হাসিনা আর তাগো চোর চাটুকার --- এইসব মুক্ত বাংলাদেশ চাই।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

গাজী আলআমিন বলেছেন: কারে চান তাই জানান!!

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

জহির উদদীন বলেছেন: একই সরকার কমকরে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন। যার উধাহরণ মালয়শিয়া সিঙ্গাপুর । বর্তমান সিঙ্গাপুর সকরকার টানা ৩০ বছর যাবত দেশ পরিচালনা করছে।
সহমত কিন্তু মালয়শিয়ার সরকার আওয়ামীলীগের মতো এত বাটপার সরকার ছিল না.....

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

গাজী আলআমিন বলেছেন: আওয়ামীলীগ বাটপার সরকার তাহলে সাধু সরকার ছিলো কোনটা বলেন তো দেখি

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১১

গাজী আলআমিন বলেছেন: গত ১২ বছরে বাংলাদেশর ৩টি সরকারের কার্যক্রম এবং উন্নয়ন চিত্রটা একবার দেখুন। টানা ৫ বছর দূনীতিতে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার কথা ভুলে যাবেন না।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

তারেক রহমান বলেছেন: সহমত কিন্তু মালয়শিয়ার সরকার আওয়ামীলীগের মতো এত বাটপার সরকার ছিল না.....

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

গাজী আলআমিন বলেছেন: আওয়ামীলীগ বাটপার সরকার তাহলে সাধু সরকার ছিলো কোনটা বলেন তো দেখি

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

তিক্তভাষী বলেছেন: আওয়ামী সরকারের আরো কিছু কাজ বাকী রয়েছে। পুঁজিবাজার, ব্যাংকিং খাত, সরকারী বিদ্যুত উৎপাদন, বিডিআর ইত্যাদি ধ্বংসের কাজ সুসম্পন্ন হলেও পোষাকশিল্পসহ আরো কয়েকটি খাত ধ্বংসের কাজ সবেমাত্র হাতে নেয়া হয়েছে। ওগুলো শেষ করতে আরো সময় দরকার।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

গাজী আলআমিন বলেছেন: হা তাই তো সাড়া পৃথিবীর অর্থনীতি যখন হুমকির মুখে তখনও বাংলাদেশের অর্থনীতি অগ্রগতির পথে। আর সরকার বিদূত উৎপাদন করলেই তো আপনাদের লাভ । মাস শেষে বিল দেওয়া লাগবে না। অথবা সরকারি স্টাফকে মেনেজ করে অবৈধ লাইন। তবে ভুলে যাবেন না বিদূতের জন্য কানসাটে অনেক কৃষককে লাশ হতে হয়েছে। হাসপাতালে ঠিক মত অপারেশন করতে পারে নাই। আর এখ বলছেন বিদূত উৎপাদন ধংস। আপনারা পারেন ..........

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১১

গাজী আলআমিন বলেছেন: গত ১২ বছরে বাংলাদেশর ৩টি সরকারের কার্যক্রম এবং উন্নয়ন চিত্রটা একবার দেখুন। টানা ৫ বছর দূনীতিতে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার কথা ভুলে যাবেন না।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

এম ই জাভেদ বলেছেন: ডেসটিনি, হল মার্ক, কুইক রেন্টাল, সোনালি ব্যাংক, পদ্মাসেতু, ইলিয়াস আলি গুম, রেলের কাল বিড়াল - এ প্রসঙ্গ গুলি একেবেরে এড়িয়ে যাওয়া কি উচিত হয়েছে জনাব ?


১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

গাজী আলআমিন বলেছেন: ('যদিও কিছু সমস্যা আছে এবং থাকবেই কিন্তু বিএনপি-জামাত এর শাসন আমলে আশা করি আমরা আর ফিরে যেতে চাই না')
লাইন দুটো আমি আমার লেখেয়া লিখেছি আসা করি আবার পরে নিবেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১১

গাজী আলআমিন বলেছেন: গত ১২ বছরে বাংলাদেশর ৩টি সরকারের কার্যক্রম এবং উন্নয়ন চিত্রটা একবার দেখুন। টানা ৫ বছর দূনীতিতে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার কথা ভুলে যাবেন না।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: জহির উদদীন বলেছেন:সহমত কিন্তু মালয়শিয়ার সরকার আওয়ামীলীগের মতো এত বাটপার সরকার ছিল না....

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

গাজী আলআমিন বলেছেন: আওয়ামীলীগ বাটপার সরকার তাহলে সাধু সরকার ছিলো কোনটা বলেন তো দেখি

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

বোকা সোকা বলেছেন: ওই মিয়া চাটুকার থামলে ভাল লাগে। মালেশিয়া, সিংগাপরের উদাহরণ দিলেন ঠিক আছ্র কিন্তু আওয়ামী সরকার কি ওই সব দেশের রাজনৈতিক দল আর রাজনীতিবিদদের মত হল হতে পারবে??? যদি পারত তাহলে দেশবাসী তার নমুনা পেত। ওরা আম পাবলিক কে মুলা দেখাইয়া কলা খাওয়া লোক। ছোট একটা উদাহরণ দেই কিছু দিন আগে সিংগাপরের এক এমপি ড্রিঙ্ক করে ড্রাইভ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে দরা পরে তার পর তাকে আইন অনুযায়ী বিচারের মুখোমুখি করা হয়। বিচারের রাযে জরিমানা করা হয় এবং সেটা পরিশোধ করেই তবে মুক্তি মিলে। পারবে/পেরেছে আওয়ামী লীগ?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

গাজী আলআমিন বলেছেন: গোলাম মওলা রনি কি তাহলে এতদিন আপনার বাড়িতে আটক ছিলো। সেকি কারাবরণ করে নাই???

অন্ধের মত কথা বার্তা বলা বন্ধ করেন।

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪২

puronodin বলেছেন: লেখকের মাথা ঠিক আছে তো....কিসের সাথে কিসের তুলনা....

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

গাজী আলআমিন বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন, খাম্বা তারেকের সাথে তো আর শেখ হাসিনার তুলনা করা যায় না।..

৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

এম ই জাভেদ বলেছেন: যাদের কাছে বড় বড় দুর্নীতি গুলি সামান্য মনে হয় তাদেরকে দল কানা বলতেই হবে। আমার কাছে এ বলেন আর বি বলেন যে লাউ সে কদু।

বাংলাদেসে যে কোন দল টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকলে দেশের বারটা বেজে যাবার সম্ভাবনা আছে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১০

গাজী আলআমিন বলেছেন: তাহলে আপনি মনে করেন প্রতি বছর মন্ত্রী পালটাক আর নতুন নতুন মন্ত্রীরা নিজেদের পকেট গরম করুক???

আমি কোন দল কানা না ভাই
এ বলেন আর বি বলেন যে লাউ সে কদু আপনার এ কথার সাথে আমি ৪০% সহমত প্রকাশ করছি।

কিন্তু গত ১২ বছরে বাংলাদেশর ৩টি সরকারের কার্যক্রম এবং উন্নয়ন চিত্রটা একবার দেখুন। টানা ৫ বছর দূনীতিতে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার কথা ভুলে যাবেন না।

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

স্বাধীকার বলেছেন:
কম্বল চোর
চিনি চোর
লবন চোর
ব্যাংক ডাকাত
সেতুখোর
রেলডাকাত
শেয়ার ডাকাত
হলমার্ক ডাকাত
রেন্টাল চোর
জ্বালানী চোর
--------এসব গুণাবলী থাকার পরও মাত্র ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায় ভারতের দালাল বালেরা!! নেশাগ্রস্ত না হলে এমন কম সময় কেউ দাবী করে? বালেরা চিরস্থায়ী ক্ষমতাসীন হয়ে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী হলে কেমন হয়?

১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০০

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:

==================================

১৯৫৮ সালে আয়ুব খান ক্ষমতাগ্রহনের পরে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন শেখ মুজিবুর রহমান !! তার সাথে আরো যারা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তারা হলেন আবুল মনসুর আহমেদ, প্রাক্তন বানিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী; মোহাম্মদ আব্দুল খালেক, প্রাক্তন শ্রম মন্ত্রী, নুরুদ্দিন আহমেদ ও আরো অনেক রাজনীতিবিদ !!!

রাষ্ট্টদ্রোহীতার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন শুধুমাত্র মওলানা ভাসানী, বাগদাদ প্যাক্টের বিরোধীতাকারী ও বামপন্থি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতা !!

এখানে নিউ ইয়ার্ক টাইমসের ১২ ই অক্টোবর ১৯৫৮ সালের রিপোর্টের অংশবিশেষ তুলে ধরা হল !

Pakistan arrests opposition chiefs
One arrested for anti state activities - Corruption is charged to 5 others
By Elie Abel
Special to The New york Times Karachi, Pakistan, October 12, 1958

Maulana Bhasani, Bearded leader of left wing National Awami (People’s) party and opponent of Bagdad pact, was thrown into prison today charged with anti-state activities.
…….
…….
At the same time the new martial-law regime, headed by president Mirza and Gen. Mohammad Ayub Khan, rounded up five prominent politicians and three civil servants on charges of corruption.

Among those were four leading feagures in East Pakistan’s Awami league, a separate party led by former prime minister Hossein Suhrwardy. They were Sheikh Mujibur Rahman, general secretary of awami league; Abul Monsoor, former minister of Commererce and Industry; Mohammad Abdul Khaleq, former labor minister, and Nuruddin Ahmad.

The regime also arrested Hamidul Huq chowdhury, former foreign minister, who belongs to the Krishak Shramic (Peasants and Workers) party.

The New York Times report link : Click This Link
=================================
..................১৯৫৮ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর পূর্ব বাংলার ইতিহাসে এক কলংকময় দিন । এ দিন আওয়ামিলীগ তাদের অপছন্দের স্পীকার আব্দুল হাকিমের প্রতি অনাস্থা আনে এবং তাকে পাগল ঘোষণা করে । এ সময় স্পীকারের আসনে ছিলেন ডেপুটি স্পীকার জনাব শাহেদ আলী এবং সরকার দল আওয়ামিলীগ স্পীকার আব্দুল হাকিম যাতে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করতে না পারেন , সে ব্যবস্থা করে । ফলে সরকার দল এবং বিরোধী দলের প্রচন্ড হট্টগোলের মধ্যে জনাব শাহেদ আলী আহত হন এবং ২৬শে সেপ্টেম্বর মারা যান । (আত্মঘাতী রাজনীতির তিনকাল , ২য় খন্ড , জাতীয় রাজনীতি , আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর , ২য় খন্ড ) । এভাবে ক্ষমতার স্বার্থে আওয়ামিলীগ সংসদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ স্পীকারকে পাগল ঘোষণা করল এবং তাদেরই তান্ডবে শাহেদ আলীকে জীবন দিতে হল ।............ডেপুটি স্পীকার শাহেদ আলী হত্যা প্রসঙ্গে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য জনাব হাশিম উদ্দিন আহমদ অতি সম্প্রতি দৈনিক ইনকিলাবে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে তিনি বলেন- ‘ডেপুটি স্পীকার শাহেদ আলী ছিলেন শান্ত স্বভাবের লোক। অপর দিকে স্পীকার আবদুল হাকিম ছিলেন শক্ত লোক। কারো ইচ্ছা অনিচ্ছায় সংসদ চালাতেন না। আবদুল হাকিমকে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগের সদস্যরাই সরিয়ে দেয়। শাহেদ আলী কে এস পির লোক হলেও শান্ত স্বভাবের কারণে ক্ষমতাসীনরা তাকেই পছন্দ করে স্পীকারের আসনে বসায়। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এসেম্বলিতে। শাহেদ আলী এসেম্বলিতে ঢোকার সময় শেখ মুজিব ও মোহন মিয়া ধস্তাধস্তি করছিল। শাহেদ আলীকে ঢোকার সময় জিজ্ঞেস করলাম কেন এসেছেন? জবাবে শাহেদ আলী বললেন- আপনাদের দেখতে এসেছি। বিরোধী দলের সদস্যদের বিরোধিতায় শাহেদ আলী ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। খুব সম্ভব ভীতির কারণে তিনি আওয়ামী লীগের সদস্যদের বিরুদ্ধে কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন ও কৃষক শ্রমিক পার্টি (কে এস পি) সদস্যদের কিছু বলার চেষ্টা করেন। বাজেট নাকি অন্য কোন বিষয়ে বলতে গেলে আওয়ামী লীগ সদস্যরা ভীষণ ক্ষেপে যান শাহেদ আলীর উপর। একটা পেপার ওয়েট নিক্ষিপ্ত হয় শাহেদ আলীর কপালে। কে মেরেছিল আন্দাজ করতে পারলাম না, উনি কপালে হাত চেপে ধরেছিলেন। তবে সেদিন শেখ মুজিব হাউসকে শান্ত করার পরিবর্তে গরম করেছিলেন সবচেয়ে বেশি। প্রথমেই দেখলাম চেয়ার নিয়ে স্পীকারের দিকে তেড়ে যেতে। মুজিবের অন্য সাঙ্গ পাঙ্গরা সাথে ছিল, পুরো অধিবেশনে ভীষণ হট্টগোল লেগে গেল। লাউড স্পীকার বন্ধ। পরে দেখলাম শাহেদ আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তার কয়েকদিন পরে শাহেদ আলী পাটোয়ারী মারা গেলেন। (দৈনিক ইনকিলাব ২২ এপ্রিল, ১৯৯২)

উল্লেখ্য যে,এই ঘটনার দায়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা আবু হোসেন সরকার সহ ১২ জন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যকে গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে ডেপুটি স্পীকার জনাব শাহেদ আলীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়,যাদের মধ্যে শেখ মুজিব ও ছিলেন।পরে অবশ্য তাদের জামিনে মুক্তি দেয়া হয়।


==================================

তারেক জিয়া এবং খাম্বার ইতি কথা।
===========================

খাম্বা সম্মন্ধে অনেক কথাই বলি, না জেনে। বিদ্যুৎ নাই, খাম্বা কেন? এবার শুনেন খাম্বার ইতি কথা।

২০০০ সালে পাওয়ার জেনারেশনে ফান্ড দেয়ার পর এডিবি নতুন বিএনপি সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে পাওয়ার সেক্টর ডেভেলপমেন্ট এর উপর, যার বড় একটি অংশ জুড়ে ছিল পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউসন সিস্টেম উন্নয়ন করা, সিস্টেম লস কমানো ও বিল আদায় বাড়ানো। সেই পলিসির কারনে পাওয়ার জেনারেসনে ফান্ডিং কমিয়ে দেয়। এবং ভবিষ্যত ফান্ডিং এর উপর 8 টি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।

তার একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল বহুল আলোচিত খাম্বা।

২০০১ এর ১৭ ই ডিসেম্বর ২৬০ মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয় বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের খান্বার জন্য ও অন্যান্য রিফর্মের জন্য। যার মধ্যে ২০০ মিলিয়ন ডলার ছিলো এডিবি লোন।

West Zone Power System Development Project
Click This Link (Page 5)
http://www.adb.org/projects/31296-013/main

তারপর, ২০০৩ সালের ১০ই ডিসেম্বারে ২ ভাগে আরো ২৮০ মিলিয়ন ডলার লোন দেয়া হয় পাওয়ার সেক্টর রিফর্ম ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের খাম্বা ও মেঘনাঘাট-২ প্রজেক্ট।

Power Sector Development Program
http://www.adb.org/projects/36205-013/main
http://www.adb.org/projects/36205-023/main

তারপর ২০০৫ সালে ৮০০০০০ ডলার দেয়া হয় আরেকটি রিফর্মের জন্য।

Corporatization of Bangladesh Power Development Board(BPDB)
Click This Link (Page 9)

এখানে সব প্রজেক্টের খবর পাবেন।

Click This Link

এইসব শর্ত পুরনের উপর ভিত্তি করেই বলা হয় যে বাংলাদেশ ২ ভাগে আরো ৪৬৫ মিলিয়ন ডলার পাবে পাওয়ার জেনারেশনের জন্য।

Sustainable Power Sector Development Program (Project)
http://www.adb.org/projects/36107-013/main
http://www.adb.org/projects/36107-023/main

যা কিনা ২০০৭ সালে দেয়া হয়েছে। এর বড় একটি অংশ যাবে জেনারেশনে।

--------------------------------------------------------------------------------------------

সুতরাং খাম্বাগুলো ছিলো এডিবির শর্তের একটা বড় অংশ। তারেক জিয়ার কোনো চুরির ধান্দা না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.