নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বর্ণা, শহিদুল এবং মামুনুলের গল্প ।

০২ রা জুন, ২০২১ সকাল ৭:২৩

মেয়েটির নাম স্বর্ণা। বিয়ে করেছে একজন কোরানে হাফেজ'কে। কোরানে হাজের নাম শহিদুল। ইমু'তে পরিচয়। ইমুতেই প্রেম। এরপর বিয়ে।

বিয়ের প্রথম বছরেই সন্তানের জন্ম দে স্বর্ণা। হাফেজ শহিদুল মসজিদের ঈমামতি, কোরান খতম এবং আরবি শিখিয়ে যা ইনকাম করে তা দিয়ে সংসার ভালো মতন চলে না। টানাপোড়েন লেগেই থাকে।

এদিকে স্বর্ণা অর্থনৈতিক অভাব ঘুচাইতে ইমু'তে প্রবাসীদের সাথে ফোনসেক্স এবং ক্যামসেক্স করে। ক্যামসেক্সের সময় কন্ডিশন হিশেবে দেয়, চেহারা দেখানো হবে না। বাদবাকি সবই দেখানো হবে।

এতে খুব বেশি আয় না হইলেও বেশ ভালোই চলছিলো। কিন্তু একদিন হাফেজ শহিদুলের নজরে পরে যায় স্বর্ণা। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। স্বর্ণা স্পষ্ট করে জানতে চায় শহিদুল্লাহর কাছে, তোমার আয় ইনকাম দিয়ে কী আমি তিনবেলা খাইতে পারতেছি? তুমি কী আমায় খাওন পরন দিতে পারতেছো?- হাফেজ শহিদুল নিজের অসহায়ত্ব বুঝতে পারে।

হাফেজ শহিদুল তার ঘরের ব্যাপারটা নিয়ে তার ওস্তাদ বড় হুজুর মামুনুল হকের সাথে আলাপ করে পরামর্শ চায়। মামুনুল হক শহিদুলের বাড়িতে যায়। স্বর্ণার সাথে কথা বলে। স্বর্ণা সংসারের অভাব অনটনের কথা জানায়। বড় হুজুর মামুনুল হক স্বর্ণাকে ভরসা দেয় অর্থনৈতিক সহায়তার। আর স্বর্ণা থিকা ওয়াদা নেয় সে যেনো আর অনৈসলামিক কাজে অর্থের বিনিময়ে নিজেকে লিপ্ত না করে।

যেকোন অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য বড় হুজুর মামুনুলের সাথে স্বর্ণার যোগাযোগ হয়। মামুনুল হকও সহায়তা করে। এভাবেই যোগাযোগ বাড়তে থাকে। বাড়ে সম্পর্ক। একদিন বড় হুজুর মামুনুল স্বর্ণাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। স্বর্ণা রাজি হয়ে যায়।

একদিন শহিদুল ব্যাপারটা বুঝতে পারে বড় হুজুরের সাথে তার বউয়ের কিছু একটা চলছে। শহিদুল নিজের ভেতর নিজেই ধুমড়ে মুচড়ে যায়। শহিদুল স্বর্ণা ছাড়া নিজেকে অসহায় ফিল করে সবসময়। শহিদুল জানে তার অর্থনৈতিক অসহায়ত্ব আছে কিন্তু স্বর্ণাকে সে ভালোবাসে। অভাব অনটনের জন্য তার ভালোবাসা বেহাত হবে- কল্পনা করলেই হৃদপিন্ড পোড়া গন্ধ পায় সে।

সে স্বর্ণাকে অনেক বুঝিয়েছে একজন কোরানে হাফেজ ঈমামতি, কোরান খতম দেওয়া, মাদ্রাসায় শিক্ষকতা এবং আরবি শেখানো ছাড়া এই দুনিয়ায় তেমন কিছুই করতে পারে না। তার অর্থনৈতিক অবস্থা রাতারাতি বদলে যাওয়ারও সম্ভাবনা নাই। সে যেনো অন্য হুজুরের বউয়ের মতন সহ্য করে সংসারটা করে। কিন্তু স্বর্ণা সামনে সব মাইনা নিলেও গোপনে জেনায় লিপ্ত হয়।

একদিন সংসারের ছোট একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। রাগের মাথায় স্বর্ণাকে শহিদুল এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক দিয়ে দেয়। স্বর্ণা চিল্লাইয়া চিল্লাইয়া বিলাপ কইরা কইরা কাঁদতে শুরু করে। পরক্ষণেই শহিদুল বুঝতে পারে সে বিরাট ভুল করে ফেলেছে। স্বর্ণা শহিদুলের পায়ে পরে মাফ চায়। ওয়াদা করে যতো অভাবেই থাকুক সে শহিদুলের ঘরেই থাকবে। না খেয়ে হইলেও শহিদুলের ঘরেই মরতে চায় সে। অতীতের সকল কিছুর জন্যও সে মাফ চায়। শহিদুল যেনো তার তালাক ফিরাইয়া নেয়। ছোট বাচ্চা নিয়ে স্বর্ণা কার কাছে যাবে কার কাছে থাকবে!

শহিদুল জানে ইসলামে তালাক দেওয়া বউকে ফিরে পেতে হইলে হিল্লা বিয়া ছাড়া অন্যকোন বিকল্প নাই। কিন্তু হিল্লা কার কাছে দিবে? কে একরাত থাইকা তার বউরে আবার তালাক দিবে?

শহিদুল বড় হুজুর মামুনুলকে ফোন করে। বড় হুজুর বলে, সমস্যা নাই। তোমার বউয়ের সাথে কথা বলো সে যদি আমার সাথে হিল্লায় রাজি হয় তাইলে আমি হিল্লা বিয়া করবো। আর এক রাত আমরা একসাথে ঘুমাবো ঠিকই কিন্তু কোন সহবত করবোনা। এবং তার পরেরদিন তালাক দিয়ে দিবো।

শহিদুল স্বর্ণাকে বিষয়টা জানায়। স্বর্ণা রাজি হয়। পরেরদিন বড় হুজুর মামুনুলের সাথে স্বর্ণার হিল্লা বিয়া হয়। কিন্তু পরেরদিন বড় হুজুর মামুনুল আর তালাক দেয় নাই।

শহিদুল বহুত করে মিনতি করছে কিন্তু বড় হুজুর মামুনুল বউ আর ফেরত দেয় না। স্বর্ণাকে বড় হুজুর মামুনুল বুঝিয়েছে, শহিদুলের কাছে ফেরত গেলে তার অভাব কোনদিন ঘুচবেনা। তার সাথে থাকলে কোন অভাব থাকবেনা। চাকরির ব্যবস্থা করে দিবে ভালো থাকার ব্যবস্থা করে দিবে। স্বর্ণা বড় হুজুরের কথায় ভরসা পায়।

বড় হুজুর মামুনুল স্বর্ণাকে একটা পার্লারে চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। এবং নিয়মিত অর্থনৈতিক প্রয়োজন মিটায়। স্বর্ণার জীবনে সুখ নেমে আসে। কিন্তু স্বর্ণা চায় সামাজিক স্বীকৃতি। কিন্তু বড় হুজুর মামুনুল শর্ত দেয়, ১। সামাজিক মর্যাদা দাবি করতে পারবেনা। ২। সম্পদের ভাগ দিবে না। ৩। সন্তান নিতে পারবে না। যদি এইসব মানতে পারে তাইলেই কেবল বড় হুজুর তার সাথে যোগাযোগ রাখবে নইলে সব কিছু খতম।

স্বর্ণা শহিদুল থিকা তালাক পেয়ে আশ্রয় হিশেবে বড় হুজুরকে পেয়েছে এখন যদি এই আশ্রয়ও চলে যায় তাইলে তার আর যাওয়ার জায়গা কোথাও থাকবে না। বাধ্য হয়ে সে সব মেনে নিয়ে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

বড় হুজুর রাজনৈতিক ভাবে বেশ জনপ্রিয় এবং ঘৃণিতও বটে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ধর্মের দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়তই ঘায়েল করে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বড় হুজুর মামুনুলের উপর চরম ক্ষ্যাপা। কিন্তু বড় হুজুর মামুনুলের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতার কাছে তারা আসলে কিছুই না।

এলাকার কিছু উঠতি তরুণ টং দোকানে নিয়মিত আড্ডা-ফাড্ডা দেয়। চা-বিড়ি খায় আর রাজনৈতিক গল্প গুজব করে। সেদিনও তাই করতেছিলো। এমন সময় পাজেরো গাড়িতে করে বড় হুজুর মামুনুলকে একটা নারী সমেত রিসোর্টে উঠতে দেখে তারা। সন্দেহ হয় তাদের। কে এই মেয়ে? রিসোর্টে বড় হুজুর মেয়ে নিয়ে আসার কারণ কী হতে পারে? বউও হতে পারে। একজন তরুণ বলে, বড় হুজুরের বাড়ির পাশে আমার এক বন্ধু থাকে। তাকে ফোন দিয়ে কনফার্ম হই হুজুরের বউ বাড়ি আছে কি না। যেই কথা সেই কাজ। পাঁচ মিনিটের মধ্যে কনফার্ম হয়ে যায় বড় হুজুর মামুনুলের বউ বাড়িতেই আছে। তাইলে কে এই মেয়ে?

সবাই সিদ্ধান্ত নিলো রিসোর্টে গিয়েই কনফার্ম হবে। যদি কোন গলদ থাকে তাইলে বড় হুজুর মামুনুলের আসল চরিত্র জাতির সামনে এনে মুখোশ খুলে দেওয়া যাবে।

রিসোর্টে গিয়ে ম্যানেজারকে ডাকতে বলে রিসিপশনিষ্টকে। ম্যানেজার আসলে তরুণরা নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে বড় হুজুর মামুনুলের সাথে থাকা মেয়ের পরিচয় জানতে চায়। ম্যানেজার রেকর্ড খুলে দেখায়। সেখানে লেখা স্ত্রী।

তরুণরা সবাই মিলে বড় হুজুর মামুনুলের রুম নাম্বার ৫০১- এর দরজা ধাক্কায়। মামুনুল বের হয়ে আসলে ক্যামেরার রেকর্ড অন হয়ে যায়। জেরার পর জেরা চলতে থাকে। অনলাইনে লাইভ ভাইরাল হইতে থাকে। লোকজন জড়ো হয়। মূহুর্তের মধ্যে গোটা দেশ জেনে যায় বড় হুজুর মামুনুল হকের আসল এবং আদি চরিত্র।

মানুষ ধিক্কার দিতে থাকে বড় হুজুর নামক মামুনুলকে। মানুষ বুঝে যায় বড় হুজুর মামুনুল হক আসলে একজন ভন্ড বেঈমান মোনাফেক এবং ধোঁকাবাজ।

ক্ষ্যাপাচোদা ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখতে দেখতে কইতেছিলো, ওস্তাদ ধর্মের নামে ধান্ধাবাজি চুদানিরপোয়াতো আসলেই একটা চোদনবাজ।

তারপর থিকা দেশের নয়া প্রজন্মের সামনে আলেম ওলেমা নামক প্রাণী পরলেই কেবলই মনে হয়, ধর্মের নামে ধান্ধাবাজ চুদানিরপোয়াও একজন চোদনবাজ।

[এই গল্পের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই। যদি কেউ কোন বাস্তব ঘটনার লগে মিল খুঁজে পান তাইলে তা হবে কেবলই আশ্চর্যের ব্যাপার! ]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০২১ সকাল ৮:৩৯

ইনদোজ বলেছেন: বাস্তবের সাথে গুরুতর অমিল আছে। নায়িকার নাম স্বর্ণা নয়, ঝর্ণা।

২| ০২ রা জুন, ২০২১ সকাল ১০:১০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কাহিনী তাহলে এই?

৩| ০২ রা জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেশের জগাখিচুড়ি শিক্ষা ব্যবস্থা হাজার হাজার শহিদুল সৃষ্টি করে প্রতিবছর।

৪| ০২ রা জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: একই জিনিস ২ বার পোস্ট করেছেন। একটি মুছে ফেলতে পারেন।

৫| ০২ রা জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: এটা বাস্তব গল্প।

৬| ০২ রা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯

জগতারন বলেছেন: আর্থিক দুরবস্থার জন্যই হোক কিম্বা মামনুল হুজুরের প্রতি প্রচন্ড দুর্বলতা বা
প্রেমের কারনেই হোক ঝর্না মহিয়সী নারী যে তার জীবনকে
পুরোপুরি হুজর মামনুলের হাতে সপে দিয়েছিল।
সেটা মনে হচ্ছে কিন্তু গোপন জীবন নরক হয়ে।
এই নারীটির জীবনকে দুর্বিসহ করে দিয়েছ।
ডাইরীতে তার লেখাগুলোতে যন্ত্রনা ফুটে উঠ।
তার পরেও কিন্তু ঝর্না মহিয়সী নারী কারো কাছে অভিযোগ করেন না।
ঝর্নার লিখা ডাইরীগুলোতে যা প্রকাশ পেলো সেটাও মনে হল ঝর্না মহিয়সী নারী করছেন না।
তার ছেলে করছে।
মা প্রতিবাদ না করলেও মায়ের মর্মযন্ত্রনা সব ছেলেই বুঝতে পার।
হুজুর মামনুলের প্রথম স্ত্রীর জন্য সম্পূর্ন সমবেদনা রেখেই বলছি
মামনুল হুজুরের উচিত এবার ঝর্না মহিয়সী নারীকে তার প্রাপ্যমর্যাদা দেওয়া।
আর বাংলাদেশের সরকারের উচিত ঝর্ণা মহিয়সী নারী ও তার ছেলেকে protection দেওয়া।
ইসলামকে যারা কলঙ্কিত করছে তাদের দুনিয়া থেকে বিচার আরম্ভ হয়ে শেষ হবে হাশরের মাঠে।
হে আল্লাহ মুনাফিকদের হাত থেকে ইসলাম এবং আমাদের রক্ষা করুন।

(আমার উপরের অভিমত মামাউনুল হক মামুন্নার প্রতি কিছু দিন আগে করা। এখানে আবার তুলে দিলাম)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.