নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-সাধারণ ভাবনা এবং কয়েকটি প্রশ্ন?-

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪০



কয়েকদিন ধরেই মাথায় খালি ঘুরে ঘুরে কয়েকটি প্রশ্ন আসছে-

মুসলমানদের বন্ধু কে? সৌদি আরব কি মুসলমানদের বন্ধু? যারা ইহুদীদের সাথে হাত মিলিয়ে মিশরের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত সরকারকে অপসারন করতে কোটি কোটি ডলার ঢেলেছে। যারা হাজার হাজার ইখওয়ানীকে হত্যা করতে সহায়তা করেছে। যারা ইজরাইলের পরিক্ষিত বন্ধু। যারা ইয়েমেনের গরিব মানুষগুলোকে বোমা মেরে হত্যা করছে, তারা মুসলমানদের বন্ধু হয় কিভাবে?

তাহলে মুসলমানদের বন্ধু কি ইরান? তা কি করে হয়। যারা বাশারকে দিয়ে হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করাচ্ছে। যারা শিয়া গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। যারা ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে অপশারন করেছে। তারা মুসলমানদের বন্ধু হয় কিভাবে?

তাহলে তুরষ্ক কি মুসলমানদের বন্ধু? যারা ন্যাটো বাহিনীর সদস্য, যে ন্যাটো বাহিনী ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়ায় লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের হত্যা করেছে। যারা ইজরাইলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে। তারা কিভাবে মুসলমানদের বন্ধু হতে পারে?

আসলে মুসলমানদের বন্ধু এ দুনিয়াতে কেউ নেই। ইহুদি, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু, শিখ, মুর্তি পুজারী, গোমুত্র ভক্ষনকারীরা তো নয়ই, মুসলমানরাও মুসলমানদের বন্ধু নয়। মজার ব্যাপার হল মুসলমানদেরকে নির্যাতন নিপীড়িনের ব্যাপারে মুসলমানদের শত্রুরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু মুসলমানরা বহুধা বিভক্ত।

আসলে মুসলিম দেশের লিডাররা সুবিধাবাদী। নিজের স্বার্থ ও ক্ষমতার জন্য কাজ করে।বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহর জন্য নয়। অনেকে সাময়িকভাবে কোন কোন জায়গায় মুসলমানদের বন্ধু সাজার চেষ্টা করে, তাও নিছক নিজের স্বার্থের জন্য। নির্যাতিত রোহিংগা মুসলমানদের জন্য ত্রান পাঠিয়ে অনেক দেশ মায়া কান্না কাদছে। কিন্তু তাদেরকে নিপীড়ন থেকে স্থায়ীভাবে উদ্ধারের জন্য কেউ কার্যকর কিছু করছে না। যতটুকু করছে, তা আমার মতে, দায়সারা গোছের অথবা লোক দেখানো।

বিঃদ্রঃ- মতামতগুলো আমার খুবই ব্যক্তিগত, অনেকেরই হয়ত ভিন্নমত থাকতে পারে। ভিন্নমত গ্রহণযোগ্য, প্লিজ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাই, পোষ্টে ভালো লাগা রইল।

রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার চেষ্টা যদি কোন দেশ করে থাকে তো সে বাংলাদেশ করছে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

রুপম হাছান বলেছেন: ভালোলাগা সহমত আপনার প্রতিও রইল। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

বারিধারা বলেছেন: Click This Link

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

রুপম হাছান বলেছেন: ঐক্য না থাকার কারণে বর্তমান বিশ্বে মুসলিমদের এই হাহাকার। ঐক্য প্রয়োজন। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আমরা বাংলাদেশে বসে মোসলমানদের বন্ধু খুজে বেড়াই অথচ মুসলিম সাম্রাজ্যের ধারক বাহক এরা কিন্তু এই ব্যাপার নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নয়। আর এটাই স্বাভাবিক। এই সব বন্ধু শত্রু খোজা বাদ দিয়ে নিজের উন্নতি সাধন করেন দেখবেন বন্ধুর অভাব হবে না সেই সাথে শত্রুও বেড়ে যাবে। আপনি মুসলিম আপনি আপনার উন্নতি সাধন করেন অন্য এক মুসলিম কে উন্নতি সাধনে সহায়তা করেন তা সে যেভাবেই হোক।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

রুপম হাছান বলেছেন: জানতে চাওয়া মানে খুঁজা-খুঁজি না কিন্তু একে অপরের সহায়তায় এগিয়ে আসবে সেটাই প্রত্যাশা। ভালো থাকবেন সব সময়। ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

কানিজ রিনা বলেছেন: মুসলিমরা হযরত মোহাঃ সঃ সাহাদাৎ বরনের
পর থেকেই বিভক্ত। যে বিভক্তর কারনে
সিফফিনের যুদ্ধ হয়েছিল। নবীর বংশধরকে
ক্ষমতার লালসায় সহীদ বরন করতে হয়েছিল।
যারা নবী সাঃ বংধর দনিয়া থেকে মুছে
ফেলেছিল তারা খারেজি মুসলমান। তারাই
দলগত ভাবে বিভক্ত ক্ষমতার অধিপতি।
ধন্যবাদ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

রুপম হাছান বলেছেন: যেটা এই দেশের মুসলিমদের মাঝেও আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু বৃহত্তর জীবনের স্বার্থে মুসলিমদেরকে নবীজীর আদর্শ গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করি।

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেকেই দারুনভাবে আশাহত হয়েছে , তারা মনে করেছিল, বাংলাদেশ মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে বেসামাল হয়ে যাবে ,সরকার এদেরকে আশ্রয় দিবেনা , কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এদেরকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে ও এদেরকে ফেরত নেয়ার জন্য কুটনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সমর্থন ও প্রসংসা কুড়াচ্ছে । মানুষের যেকোন সৎউদ্দেশ্যকে আল্লাহ সহায়তা করেন এবং অসৎ উদ্ধেশ্য প্রতিহত করেন । দোয়া করি আল্লাহ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মঙ্ঘল করুন এবং বাংলাদেশকে
সর্বদিক দিয়া শক্তিশালী করুন যেন বাংলাদেশ বিশ্বকে একটি শান্তিময় বসবাসের জায়গায় পরিনত করার জন্য কাজ করে যেতে পারে ।
আল্লাহর অদেয় কিছুই নেই । তিনি পরম দয়ালু ও সর্ব শক্তিমান , আমীন ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

রুপম হাছান বলেছেন: খুবই সুন্দর মতামত দিয়েছেন। ভালো লাগলো। লাইকস।

আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি। এবং আশা করছি, মহান আল্লাহ যেনো পুরো বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে প্রিয় নবীজীর আদর্শ মোতাবেক এক হয়ে কাজ করার তৌফিক দান করেন। এবং সর্বোপুরি বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের সকল নাগরিকের মনে মানবিক মূল্যবোধ আরো বাড়িয়ে দেন। আমীন।

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

এম আর তালুকদার বলেছেন: ভাল লাগলো পোস্টটি।হায়রে মুসলিম বিবাদ ভুলে এক হও।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

রুপম হাছান বলেছেন: আপনার ভালো লাগার প্রতি সহমত প্রকাশ করছি। আপনি ভালো থাকুন সব সময়। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে কৃতার্থ করার জন্য।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৩

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ,আসলে মুসলমানেরা শুধু নামে মুসলিম কিন্তু ইসলামের মূল কর্মে তারা নেই। মুসলিমরা নির্বোধ-বোকা। কেননা মুসলিমদের কর্ম ও ধর্মের মধ্যে কোন মিল নেই। অন্য ধর্মাবলম্বিরা ধর্ম ও কর্মে মিল না রাখলেও তা নিয়ে মাতামাতি করেনা। কিন্তু মুসলিমরা ধর্মনিয়ে অহেতুক নিজেদের মধ্যে ভাগ-ভাগ সৃষ্টি করে অপ্রয়জনিয় ও অযৌক্তিক কর্ম সাধনে গোলযোগ সৃষ্টি করে। সেটা সারা পৃথিবী খুবভাল করে জেনে গেছে।
যদিও উল্লেখিত বিষয়টি অনেক বড় তবুও একটি ছোট্ট উদাহারন মনে পড়ে গেল। কিছুদিন আগের কথা,এক অল্প-পরিচিত (৫২)- ব্যক্তি কোরবানির জন্য বড় এক গরু নিয়ে যাচ্ছে। তো কথোপকথোনে তার কাছে জিজ্ঞাসা করলাম,জুমআর নামাজ পড়েন কি ঠিকমত? সে বল্লো আমি জুমআর নামাজ কখনও মিস করিনা। বেশ গর্বের সাথে বল্লো-একদা আমার কোমরে মাল বাধা আছে তবুও জুমআর নামাজ মসজিদে আদায় করেছি। আমি বল্লাম কি মাল? সে আস্তে বল্লো কেন ঐ ফেনসিডিল। আমিতো শুনে অবাক হলাম।
মুসলমানেরা আপন রক্তের সম্পর্ক ছিন্ন করে শশুরালয় ও অন্যদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ মনে করে। আবার আপন রক্তও নিজেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে একটুও দিধাবোধ করেনা। এসমস্ত আবেগি কর্মকান্ড মুসলিমদের মধ্যেই ঘটে থাকে।
যাহোক রোহিঙ্গাদের করুন পরিস্থিতির কারনে যে দেশ আশ্রয় দিবে সে দেশ অবশ্যই মহত্তের কাজ করবে। কিন্তু পরবর্তিতে কি হতে পারে তাদের দ্বারা আল্লাহ জানেন। কেননা মুসলিমরা নিজের মঙ্গল ও কৃতজ্ঞতা কখনও বুঝবে কিনা কে জানে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

রুপম হাছান বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার একটি মতামত দিয়েছেন ভাই শৈবাল আহম্মেদ। একদম সঠিক ভাবে উপস্থাপন করেছেন বর্তমান মুসলিমদের মধ্যে বিরাজ করা খারাপ অভ্যাসের। সত্যিই তো, আমরা যার দ্বারা পথ খুঁজে পাই তাকেই পরে পশ্চাদে লাথি মারতে ভুল করি না! যার ফলে আজকে মুসলিমদের এই অবস্থা, যা আমাদের নিজেদেরই সৃষ্টি। মহান আল্লাহ পুরো বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে এই ভুল থেকে বেরিয়ে এসে সঠিক বুঝে একে-অপরের ভালো/মন্দের এগিয়ে যাওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।

ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময় এমটাই প্রত্যাশা।

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: সালাউদ্দিন আইয়ুবী চাই।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

রুপম হাছান বলেছেন: পাবো কোথায়? হা হা হা।

তবে আমি মনে করি, প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীরা যদি তাদের ধর্মের ভালো দিকটা মনে প্রাণে গ্রহণ করে তবে কখনো, জাতিতে-জাতিতে/ধর্মে-ধর্মে/শক্তিতে-শক্তিতে প্রতিযোগিতা কিংবা রাহাজানির ঘটনা কখনোই ঘটবেনা বলেই বিশ্বাস করি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তাত্ত্বিক পোস্ট।

যাই হোক বহুদিন পর ব্লগে আসলেন । সুস্বাগতম । :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

রুপম হাছান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ থাকলো আপনার প্রতি। ভালো থাকবেন সব সময় এবং সকল ভালোর সাথেই থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.