নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শঙ্খচিল

রুপন হাবিব রহমান

রুপন হাবিব

রুপন হাবিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব এড়ানো সুযোগ নেই

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৭


ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দু’দফা হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও বাড়ি-ঘরে হামলার ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর ঠাকুরগাও-এ, হবিগঞ্জের মাধবপুরে এবং েনত্রকোনার কলমাকান্দায় মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া েগছে। এর আগে টার্গেট করে করে বিদেশী এবং খ্রিষ্টান ধর্মযাজক, বৌদ্ধ ও হিন্দু পুরোহিদের হত্যা ঘটনা েদখেছেন েদশবাসী। কিছুদিন পরপর এসব কি হচ্ছে, আমাদের েদশে। কারা েদশে এসব ঘটাচ্ছে? একটি ঘটনার রহস্য েখালাসা হওয়ার আগেই আরেক ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা েয বা যারাই ঘটাক না েকন তা কঠোর হস্তে দমন করা সরকারেরই দায়িত্ব। তা এড়ানোর েকান সুযোগ েনই।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ েদশে মানুষের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য সৃষ্টির পাঁয়তারা কারা করছে, কারা এসব ঘটনা েথকে ফায়দা লুঠতে চাচ্ছে-তা পরিষ্কার হওয়া এখন সময়ের প্রয়োজন। আর এ কাজটি ক্ষমতাসীনদেরই করতে হবে। েকান ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ দায়িত্ব পালনে অক্ষমতার জন্য আইন-শৃ্খংলা বাহিনীর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুললেও বাহিনী প্রধানরা নিজ অধীনস্তদের সম্মান বাঁচাতে েকান তদন্তের আগেই রাখডাক না করেই মন্তব্য করতে থাকেন ‘তাদের’ েকান গাফিলতি ছিল না। আর সরকারী দল সুনিপূনভাবে ব্লেইম েগইম চালিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের েনতা-কর্মীদের দমন করার েনশায় েমতে উঠেন। এবার অবশ্য সরকারের আগেই প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দায়ি করেছে। হয়ত কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা পাল্টা দাবিও আমরা দেখতে পাব। এ সব দৃশ্য আমাদের েদশে নতুন কিছু নয়। অতীতের সরকারগুলোর আমলেও আমরা েদখে এসেছি। আমাদের েদশের সরকারি ও বিরোধী দলগুলোর এধরনের মানসিকতার কারণে েকান সন্ত্রাসী ঘটনা বা তৎপরতার মূলোৎপাটন সম্ভব হচ্ছে না। আমরা অতীতে েদখেছি সিনেমা হলে েবামা হামলায় বহু মানুষ হতাহতের ঘটনার পর েদশের বিশিষ্ট নাগরিকদের বিরুদ্ধে এ সংশ্লিষ্ট অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে তাদের েগ্রফতার এবং হয়রানি করা হলো। আর নিকট অতীতে েপট্রোল েবামা েমরে যানবাহন েপাড়ানো এবং যাত্রী নিহত করার ঘটনায় প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ েনতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। যার ঘানি এখনো ঐ েনতারা েটনে যাচ্ছেন। অতীতের অনুরূপ ঘটনার মামলায় েদখা যায়। দীর্ঘ েভাগান্তির পর কথিত মামলার অভিযুক্তরা েবকসুর খালাস েপয়ে যান আর মামলাটিও ডিসমিস হয়ে যায়। অবশ্য মামলা দায়েরকারীদের উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও সফল হয়। দীর্ঘ হয়রানি েভাগের (এক ধরনের সাজা) পর হয় সরকার বিরোধী রাজনীতি েথকে নিজেকে কিছুটা সরিয়ে রাখেন বা স্বইচ্ছায় েঘাষণা দিয়ে রাজনীতি েথকে অবসর নিয়ে পরিবারসহ নিজেকে নিরাপদ করার প্রয়াস চালান। এভাবেই ভবিষ্যতে মন্ত্রী হওয়ার আশায় বিস্তর হিসেব-নিকেশ কষে রাজনীতিতে েযাগ দেওয়া বহু শীর্ষ পর্যায়ের আমলা ও েহামড়া-চোমড়া ব্যবসায়ীর স্বপ্নভঙ্গ হয়।
রাজনৈতিক দলগুলো খুব সহজেই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার ব্যাপারে যতটা পারঙ্গম এবং এক ঢিলে দুই পাখি মারার প্রচেষ্টায় যতটা তৎপর তার শতভাগের একভাগও যদি আত্মসমালোচনা বা আত্মপর্যালোচনা করত তবে দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি আজ এ অবস্থায় থাকত না। ধর্ম-বর্ণ, েদশী-বিদেশী নির্বিশেষে সকলের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারেরই দায়িত্ব। এতে সফল না হলে জনকল্যাণমূলক বড় বড় উন্নয়ন করা সত্ত্বেও সরকার জনপ্রিয়তা হারাবে। একইসাথে বিদেশীদেরও আস্থা হারাবে। এ সত্যটি যত তাড়াতাড়ি সরকার অনুধাবন করবে, ততই সকলের জন্য মঙ্গল।[-লেখক: সাংবাদিক]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.