নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শঙ্খচিল

রুপন হাবিব রহমান

রুপন হাবিব

রুপন হাবিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী ও শিশুদের অন্তর্ভূক্ত করে বাংলাদেশে জঙ্গিরা কি তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা থেমে নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ত্যপরতার কারণে জঙ্গিরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। তারা এখন গোপন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি দলের মধ্যে নারী-কিশোরদের অন্তর্ভূক্ত করে তাদের দিয়ে আত্মঘাতি হামলা চালানোর জন্য ট্রেনিং দিচ্ছে। সময় সুযোগ বুঝে বড় ধরনের প্রাণঘাতি হামলা চালানোর জন্য তারা তৈরি হচ্ছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহর থেকে রাজধানী আশকোনায় সূর্য ভিলাকে ঘিরে ১৬ ঘন্টাব্যাপী 'অপারেশন রিপন ২৪' নামে অভিযান শেষ হওয়ার পর প্রাপ্ত্য বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেশন করে দেশের নিরাপত্তা বিশ্লেশকরা এমন অভিমতই প্রকাশ করেছেন। এই অভিযানে এক নারী জঙ্গি আত্মঘাতি গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত এবং এক মেয়ে শিশু গুরুতর আহত হয়। এর আগে ঘরের মধ্যে আরেক গ্রেনেড বিস্পোরণে অপর এক কিশোর নিহত ও এক মহিলা আহত হয়। অভিযানের সময় আত্মসমর্পনকৃত ও গ্রেফতারকৃত কয়েকজন নারী ও শিশুকে বর্তমানে কারগারে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মুসার স্ত্রী ও মেয়ের আত্মসমর্পনের কথা জানালেও কোন পুরুষ জঙ্গি ধরা পড়ার কোন তথ্য জানায়নি পুলিশ। ফলে গ্রেফতারকৃতদের সাথে সংশ্লিষ্ট পুরুষ সদস্যদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত পুলিশের ২৪ ডিসেম্বরের অভিযান শেষ হয়েছে এমন কথা বলা যাবে না।
পুলিশের তালিকায় জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছে এমন গোপন সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে জেএমবি, নব্য জেএমবি, হরকাতুল জেহাদ (হুজি), আনসারুল্লাহ বাংলা টিম প্রভৃতি। তবে জুলাইয়ের ভয়াবহ গুলশান হামলার সাথে জড়িতরা নিজেদের আইএস সদস্য বলে দাবি করলেও সরকার বলছে এরা স্থানীয় জঙ্গি। এরা নিজেদের সংগঠনের নাম আড়াল করার জন্য বা কৌশলগত কারণে আইএস'র নাম বলছে। অথবা বিদেশী অর্থের বিনিময়ে আইএস'র হয়ে হামলাটি চালিয়েছিল।
বিষয়টি যা-ই হোক, এ ধরনের জঙ্গি তৎপরতা শান্তিপ্রিয় মানুষের জন্য খুবই উদ্বেগের এবং দেশের ভাবমূর্তির জন্যও ক্ষতিকর। তাই সরকারকে জঙ্গিবাদি অপতৎপরতা বন্ধে কেবল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর নির্ভর করলেই চলবে না। সাধারণ মানুষ এবং দেশের সকল রাজনৈতিক দলকেও ব্যাপক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে এ কার্যক্রমে শামিল করতে হবে। দেশে জঙ্গি বিরোধী জনসচেতনা সৃষ্টি করতে হবে। তরুণদেরই এ তৎপরতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান কার্যক্রমকে এক সময় বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের পানির মতই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি ঘটনাতে পারে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা ধর্মকে বুঝার অবস্হানে নেই; তাদেরকে শিক্ষিত হতে দেয়নি আওয়ামী লীগ, বিএনপ-জামাত; ফলে, কি হচ্ছে বুঝা মুশকিল; আবার সরকারের সাথে মানুষের কোন যোগাযোগ নেই; সরকার মানুষকে ফাঁকি দেয়; ফলে, জংগী কি সমস্যা, নাকি সরকার মানুষকে ভয়ের ভেতর রাখতে চায় বুঝা মুশকিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.