নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শঙ্খচিল

রুপন হাবিব রহমান

রুপন হাবিব

রুপন হাবিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচারহীনতার রাজনীতি: সন্ত্রাসী বোমা হামলার পর দেশে চলছে খুন-গুমের ঘটনা

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৪৫

গতকাল ছিল ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের ঐদিনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় মহিলা লীগ সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন। ঐ হামলায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেভ হাসিনা, গত বছর প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনসহ শতাধিক লোক আহত হন। মূলত তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়। এর আগেও ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার জনসভা স্থলের কাছে খুবই শক্তিশালী বোমা পোতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে জনসভা শুরুর আগে তা' উদঘাটিত হওয়ায় বহু মানুষ প্রাণে বেঁচে যান। ১৭ বছর এক মাস পর গত সোমবার ঐ মামলার রায় হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-২ ঐ বোমা হামলা চেষ্টার রায়ে ১০ জনকে ফাঁসি ও ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেন। কিন্তু ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনার বিচার এখনও চলছে। আদালতসূত্র জানিয়েছে, আগামী বছর এ মামলার রায় দেওয়া হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এধরনের গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারকাজ শেষ হতে যদি ১৩ থেকে ১৭ বছর লেগে যায়। তবে অন্য সব মামলার কি দশা হবে। যদিও সরকারি কৌশলী বলেছেন, বিগত সরকারের সময়ে মামলার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করে বিলম্বিত করা হয়েছে। তাই ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বাস্তবিক অর্থে বিচারকার্য থমকে ছিল। তাই বলা যায়, যে কোন সন্ত্রাসী হামলা বা খুন-গুমের ঘটনাবলীর পর সরকারের মনোভাব এবং বিচার হওয়া না হওয়ার ওপর একই ধরনের ঘটনার ধারবাহিকতা চলে। সন্ত্রাসী বোমা হামলার ঘটনাগুলোর পর তাই বর্তমানে দেশে বেড়েই চলছে খুন-গুমের ঘটনাবলী।
বিচারহীনতার এই নীতির কারণে দেশে তাই তৎকালীন সরকারের আমলে ২০০৪ সালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলাসহ অগণিত সন্ত্রাসী হামলায় (২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি) সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, দুই বিচারকসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ২০০৯ সালে ঐসব হামলার ঘটনার বিচার শুরু হলে দেশে লক্ষণীয়ভাবে কমে যায়। কিন্তু বর্তমানে ব্যক্তির ওপর হামলা, খুন কিংবা গুমের ঘটনাগুলোর ব্যাপারে প্রশাসনিক বা বিচারিক কার্যক্রম দৃশ্য বন্ধ রয়েছে। ব্যক্তিক্রম আছে সরকার দলীয় কেউ নিহত হওয়ার বেলায়। এখানে উল্লেখ্য করা যায়, সাবেক এমপি বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম এবং একই দলের সিনিয়র নেতা সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ গুম হওয়ার ঘটনা। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্য রাত থেকে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তাকে কেউ জোরপূর্বক তুলে নিয়ে খুন করে লাশ গুম করা হয়েছে। চৌধুরী আলমের ভাগ্যেও একই ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে অবশ্য গুম হওয়ার কয়েক মাস পর রহস্যজনকভাবে সালাউদ্দিন আহমেদ ভারতের শিলং এর কাছের একটি গলফ মাঠে জীবিত কিন্তু উদভ্রান্ত অবস্থায় আবিস্কৃত হন। বলা হচ্ছে, তিনি এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মূলত দেশে ফিরতে তার ভয়, যদি তাঁর ওপর পাল্ঠা মামলা করে হয়রানী বা জেলে পুরে রাখা হয়। এভাবে গত ৯/১০ বছরে শত শত মানুষ গুম হওয়ার পর দুই-এক জন ছাড়া আর কেউ পরিবারের কাছে ফিরে আসেননি। আর এসব ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিযোগের তীর উঠে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তথা সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোন সন্তোষজনক জবাব মিলেনি। এখানে আবার দেশে-বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর নারায়নগঞ্জের ২০১৪ সালের এপ্রিলের ৭ খুন ও লাশ গুম চেষ্টা মামলার সুষ্ঠু তদন্তে র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। নিন্ম আদালতে রায়ের পর বর্তমানে তা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
সেভেন মার্ডারের মত অন্য ঘটনাগুলোরও দ্রুত বিচার আশা করে দেশের প্রতিটি শান্তিপ্রিয় মানুষ। আর তা না হলে খুন-গুমের ঘটনা চলতেই থাকবে। উন্নয়ন উন্নয়ন বলে সরকার শত িচৎকার করেও মানুষের আস্তাভাজন হতে পারবে না।্এখন সরকারেরই দায়িত্ব তারা কি চায়; পপুলার হতে, না-কি যে কোনভাবে ক্ষমতা টিকে থাকতে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনার সরকার ৯ বছরে গ্রেনেড হত্যার বিচার করতে সক্ষম হয়নি, এগুলোকে কি সরকার বলে?

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:২৯

শুভ্র বিকেল বলেছেন: দ্রুত বিচার হোক ২১ আগস্টসহ সব মামলার।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩

সোহানী বলেছেন: ।্এখন সরকারেরই দায়িত্ব তারা কি চায়; পপুলার হতে, না-কি যে কোনভাবে ক্ষমতা টিকে থাকতে।...

উত্তরটা জানা কি খুব জরুরী........!!!

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনার সরকার ৯ বছরে গ্রেনেড হত্যার বিচার করতে সক্ষম হয়নি, এগুলোকে কি সরকার বলে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.