নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম নিয়েছিলাম আমার মায়ের মত একজন মানুষের গর্ভে,সেই সূত্রে হয়তোবা আমিও মানুষ। কিন্তু আমার অবুঝতা কাটবার পর থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজ থেকে মানুষ হবার। সাধারণ আমি আর এই সাধারনের মাঝেই খুঁজে বের করার চেস্টা করি অসাধারন কিছু। সোজা সাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করি। আমি প্রচন্ড বাস্তববাদী একজন পাবলিক। আবেগের ধার খুব কমই ধারি।
অবশেষে “আফ্রিকান” যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলে। দীর্ঘ ১১ বছর পর আফ্রিকান মুক্ত কোনো দল নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে ইংলিশরা।অ্যাশেজের ৩য় টেস্টেই এই নতুন যুগের সুচনা করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।
২০০৪ সাল থেকে শুরু। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলে সুযোগ পেয়ে ওপেনিংয়ে নেমে পড়েন সাউথ আফ্রিকার জোহেনেসবার্গে জন্ম নেয়া সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক #অ্যান্ড্র_স্ট্রাউস। ব্যাস, তারপর থেকেই শুরু ইংলিশ দলে আফ্রিকান খেলোয়াড়দের আধিপত্য। ধীরে ধীরে ইংলিশদের নজড়ে পড়েন সাউথ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া #কেভিন_পিটারসেন, #ম্যাট_প্রিয়র, #জনাথন_ট্রট, #নিক_কম্পটনের মতো বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরা।
দলে আফ্রিকান বংশদ্ভুত সর্বশেষ সংযোজন #গ্যারী_ব্যালেন্স। ব্যালেন্স অবশ্য জন্মেছেন জিম্বাবুয়েতে। ঘুরে ফিরে ওই আফ্রিকা মহাদেশরই !!
এই ৬জনে মিলে ইংল্যান্ডের হয়ে মোট ৩৫৯টি ম্যাচ জিতিয়েছেন। সেঞ্চুরি করেছেন ৬৬টি ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ৬জনকে আবার যেই ২জন কোচ ক্যাপ পড়িয়েছেন, তারাও আফ্রিকার !!
একজন ডানকান ফ্লেচার, আরেকজন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ২জনেই জিম্বাবুয়ের ।
স্ট্রস,ট্রট,পিটারসেন,প্রিয়র একসাথে তো অনেকদিনই খেলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। ২০০৯-২০১২ এই ৩ বছর এই চারজন খেলোয়াড় ইংল্যান্ডের হয়ে একসাথে ৩০ টি টেস্ট খেলেছেন।
শুধু এই ৬ জনই না, আরো অনেক প্রতিভাবান সাউথ আফ্রিকান রয়েছেন যারা খেলেছেন ইংল্যান্ডের রঙিন জার্সি নিয়ে। মাইকেল লাম্ব, ক্রেইগ ক্রিসওয়েটার, জেড ডর্নবেচ, স্টুয়ার্ট মিকার, এবং জেসোন রয় সবাই আফ্রিকান। বেন স্টোকসও কিন্তু ইংল্যান্ডে জন্ম নেননি, উনার জন্ম নিউজিল্যান্ডে !!
অ্যাশেজ-২০১৫ এর ৩য় টেস্টে জনি বেয়ারস্টোওর কাছে জায়গা ছেড়ে দিচ্ছেন গ্যারী ব্যালেন্স। আর এরই মধ্য দিয়ে ১১ বছর কোনো আফ্রিকান প্লেয়ার বিহীন দল নামাচ্ছে ইংল্যান্ড।
©somewhere in net ltd.