নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসমাপ্ত অধ্যায়

জন্ম নিয়েছিলাম আমার মায়ের মত একজন মানুষের গর্ভে,সেই সূত্রে হয়তোবা আমিও মানুষ। কিন্তু আমার অবুঝতা কাটবার পর থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজ থেকে মানুষ হবার। সাধারণ আমি আর এই সাধারনের মাঝেই খুঁজে বের করার চেস্টা করি অসাধারন কিছু। সোজা সাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করি। আমি প্রচন্ড বাস্তববাদী একজন পাবলিক। আবেগের ধার খুব কমই ধারি।

অসমাপ্ত অধ্যায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুটবল যখন বৃত্তে বন্দী

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

হকি স্টিক নিয়ে দাড়াইলেই যদি "সেরা হকি স্ট্রাইকার" হওয়া যাইতো তাইলে তো হইসিলোই। ক্রিকেট বল হাতে নিলেই সবাই গ্ল্যান মাকগ্রা হয়ে যায় না। ফুটবল নিয়ে পোস দিয়ে জিদানের সমপর্যায়ে যাওয়া যায় না।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো একজন অসাধারন খেলোয়াড়, কোনো সন্দেহ নেই তাতে।

কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো হকি স্টিক নিয়ে দাড়িয়ে গেলেই যে তিনি "প্রতিভাবান হকি খেলোয়াড়" হয়ে যাবেন, এমনটা ভাবা কতটুকু ম্যাচুরিয়িটির প্রকাশ করে, সেটা একটা প্রশ্ন থেকে যায়।

আপনি ক্রিশ্চিয়ানো-মেসির ফুটবলের অর্জন নিয়ে কথা বলতে পারেন, পাস্ট সিজনের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে পারেন, কিন্তু তাদেরকে নতুন করে "সেরা হকি খেলোয়াড়", সাগরে সাতরাতে দেখে "সেরা সুইমার", ক্রিকেট বল হাতে দেখে "তিন ফরম্যাটের র‌্যাংকিং "ওয়ান" অল রাউন্ডার বানিয়ে দিতে পারেন না।

ক্রিশ্চিয়ানো-মেসিরা হয়তো অবকাশ যাপনের জন্য কোনো জায়গায় গিয়ে শখের বসে হকি স্টিক, ক্রিকেট ব্যাট-বল ধরে থাকেন। আর ফ্যানরা গুলা "প্রতিভা" "প্রতিভা" বলে লাফায়। আরে ভাই যেই জায়গায় প্রতিভা প্রদর্শন গত ১০-১৫ বছর করে চলেছে, সেগুলো নিয়ে কথা বলেন না। তর্কটা ফুটবল নিয়েই থাকুক, ফুটবলাররে তো জোড় করে ক্রিকেটার, দাবাড়ু, পাইলট, কাওরান বাজারের ডিম বিক্রেতা এগুলা বানানোর দরকার নাই।

এইযে প্লেয়ারদের পচানো এই অভ্যাসটাকে কিন্তু আমরা নিজেরাই প্রশ্রয় দেই। আমরা যারা একটু বিবেকবান, মাথায় বুদ্ধিসুদ্ধি কিছু আছে, তারা ট্রল ওই বাইরের খেলোয়াড়টিকে করি। নিজের দেশের প্লেয়ারের ক্ষেত্রে অনেকেই আবার তা করি না। কিন্তু ভাই, হাতের পাঁচ আঙ্গুল তো আর সমান না, আমাদের দেশের অনেক মানুষ এখনো সুশিক্ষাটা পায় নাই। ফেসবুকে ফুটবল-ক্রিকেট গ্রুপ গুলোতে লাখ লাখ মেম্বার আছে। সবার তো আর সমান ম্যাচুয়িরিট থাকে না। আপনি হয়তো নিজের দেশের খেলোয়াড়কে পচান না, বাইরের রাইভাল দলের খেলোয়াড়দের পঁচান। কিন্তু আপনারটা দেখে দেখে ওই লাখ-লাখ মেম্বারদের মধ্য থেকে হাজার খানেক মেম্বার ইন্সপায়ার হয় "খেলোয়াড়দের" পঁচানোর জন্য। সেই হাজার খানেক গুষ্ঠী কিন্তু বাইরের দেশ নাকি নিজের দেশ সেটা যাচাই বাছাই করে না। তার আক্রমনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন "খেলোয়াড়"।

Doesnt matter from which country those players belong to

ফলাফল-- মাশরাফি পেইজ বন্ধ করে দেয়, নাসির আনফলো করতে বলে। আমরা কি করে, সেই সব ফ্যানদের গালি দেয়া শুরু করি। কিন্তু লাভটা কি ?? প্লেয়ার নিয়ে বাজে কথা বলার চর্চাটা তো সেই ফ্যানদের আমরা নিজেরাই আগে থেকে শিখিয়ে দিচ্ছি। তারাতো এইসব পঁচানি দেখেই অভ্যস্ত। দেশে ক্রিশ্চিয়ানো-মেসির পেইজের ক্রিকেটের তুলনায় অ্যাক্টিভনেস কম থাকায় সেই চর্চা গিয়ে অ্যাপ্লাইড হচ্ছে ক্রিকেটারদের পেইজ গুলোতে। এটা একটা সাইকেলের মতো।

সামনে ইপিএল আসছে, আসছে বুন্দেসলীগা, লা লাগী। আমরা ট্রান্সফার সিজন নিয়ে কথা বলতে পারি, কথা বলতে পারি প্রি-সিজনের ম্যাচ গুলো নিয়েও। না তা না, আমাদের কাছে ফুটবল মানেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, ফুটবল মানেই মেসি-ক্রিশ্চিয়ানো। এর বাইরে আমরা কিছু বুঝি না, বুঝতে চাইও না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.