নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম নিয়েছিলাম আমার মায়ের মত একজন মানুষের গর্ভে,সেই সূত্রে হয়তোবা আমিও মানুষ। কিন্তু আমার অবুঝতা কাটবার পর থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজ থেকে মানুষ হবার। সাধারণ আমি আর এই সাধারনের মাঝেই খুঁজে বের করার চেস্টা করি অসাধারন কিছু। সোজা সাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করি। আমি প্রচন্ড বাস্তববাদী একজন পাবলিক। আবেগের ধার খুব কমই ধারি।
বড়ই আবেগ-প্রিয় জাতি আমরা....কিছু দেখলেই,কিছু শুনলেই আবেগে উতলা হয়ে পড়ি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিএনজির ড্রাইভারকে কানে ধরিয়ে উঠ-বস করার ছবি নিজের ফেইসবুক পেইজে আপলোড দিয়ে ব্যাপক ভাবে সমালোচিত হচ্ছেন সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী #ওবায়দুল_কাদের। এমন একজনের নামে বদনাম করা হচ্ছে, যিনি বলা যায় এই সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় মন্ত্রী।
"অপরাধ" আর "অনৈতিক" দুইটা দুই জিনিস, দুইটারে এক পাল্লায় মাপলে চলবে না। সবকিছুরই একটা সীমা আছে, "আইন-আদালত" ও এই সুত্রের আওতায় পড়ে।
ধরুন আপনার বন্ধু আপনাকে খুন করেছে, এ নিয়ে আপনার পরিবার আদালতে হাজির হতে পারে। আইনে এটির বিচার আছে। কারন এটি একটি অপরাধ।
আবার ধরুন, আপনার বন্ধুটি আপনার সাথে মিথ্যা কথা বললো। আপনি কিন্তু আপনার বন্ধুর এই কাজ নিয়ে আদালতে যেতে পারবেন না, মামলা ঠেকে দিতে পারবেন না। কারন এটি অপরাধ না, এটি "অনৈতিক"। এর বিচার নৈতিকতার মধ্য দিয়ে কখনো কখনো করা হয়।
আসল ঘটনায় আসি। সিএনজি চালককে কানে-ধরে উঠ-বস করানোয় ব্যাপক ভাবে ব্যাথিত হয়েছে বাঙ্গালী। অনলাইন পত্রিকা বিডিনিউজ_২৪ এ দেখলাম ফেসবুকে কয়েকজনের মতামতের স্ক্রিন শট প্রকাশিত হয়েছে...কয়েকজন সেখানে লিখেছেন---
“মানুষকে এভাবে অপমান করার এখতিয়ার এই মন্ত্রী সাহেব কোথায় পেলেন? আইন লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। কিন্তু এভাবে সবার সামনে অপমান করার অধিকার তারে দিল কে? এই প্রজাতন্ত্র? এই দেশ? এই জনগণ?
আরেকজন লিখেছেন--
"সংবিধানের আর্টিকেল ৩৫ (৫) অনুসারে কোন ব্যক্তিকে নির্যাতন, অমানবিক ভাবে সাজা দেয়া যাবে না।”
আচ্ছা, ভাল কথা। তার মানে গিয়ে দাড়ালো কেও অন্যায় করলে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিত....মন্ত্রী মহোদয়ের তাহলে কোনটা উচিত ছিলো?? মন্ত্রী মহোদয়ের উচিত ছিলো তাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়া.....তারপর সোজা জেলহাজতে....
ফলাফল???
একটি পরিবারের ভাত বন্ধ হয়ে যেতো....তাতে কি আসে যায়...অপরাধীর অপরাধের বিচার আইন অনুযায়ী হওয়া উচিত....সেই ক্ষেত্রে আবেগ নিয়া টানাটানির দরকার নাই.....কিন্তু কানে ধরে উঠ-বস করিয়ে ফেসবুকে প্রচার করলে আবেগ আবার ঠিকই কাজ করবে, দয়া-মায়া তখন উতলাইয়া পড়বে...মন্ত্রী মহোদয় যে ড্রাইভারের ভাত বন্ধ করে নাই, সেটা দেখার প্রয়োজন বোধ হয় আর পড়ে না। লঘু পাপে গুরু দন্ড বলতে একটা কথা আছে কিন্তু,,,,,এখন কোনটা লঘু হতো আর কোনটা গুরু হতো,সেটা নিজেরাই ভাবেন.....
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৪৯
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: “মানুষকে এভাবে অপমান করার এখতিয়ার এই মন্ত্রী সাহেব কোথায় পেলেন? আইন লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। কিন্তু এভাবে সবার সামনে অপমান করার অধিকার তারে দিল কে? এই প্রজাতন্ত্র? এই দেশ? এই জনগণ?
হীনমন্যতারও একটা সীমা থাকা উচিৎ।আরেকবার তিনি টিকিটের টাকা বেশী নেয়ার অপরাধে ক্যামেরার সামনে এক রেল কর্মচারীকে চর মেরেছিলেন।এই সমস্ত স্টানবাজির রাজনীতি সবাই বুঝে।যেদিন এই সাধারণ জনতা তাদের কুকর্মের বিচার করবে পালানোর পথ খোঁজে পাবেনা।কি করে ভুলে যান তিনি যে ১/১১ এর পর দূর্নীতির মামলায় পলাতক তাকে খিলগাও চৌধূরিপাড়ায় বন্ধুর বাড়ীর খাটের নীচ থেকে গ্রেফতার করা হয়।