নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিতর্ক করি ও খেতে ভালোবাসি।

আনাছ আল জায়েদ

আনাছ আল জায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকদের ভূমিকাই মূখ্য না সহায়ক

২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৩০

------আনাছ আল জায়েদ

একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হয় সে দেশের সরকার, শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা - কর্মচারীর সহ জনগণের সহযোগিতায়। শিক্ষা অর্জন, মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকারের একটি। খাদ্য, বস্ত্রের মত শিক্ষাও আমাদের জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশ। শিক্ষা আমাদের অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে মুক্তি দিয়ে আলোর পথের পরিচালিত করে। আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আমাদর ভালো মন্দ বুঝতে সহযোগীতা করে। শিক্ষা আমাদের হৃদয় সততা, নিষ্ঠা, মিতব্যয়ীতা, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, ক্ষমার জন্ম দেয়।

আমাদের দেশ, বাংলাদেশ। একটি সবুজ শ্যামল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ। অর্থনীতিক দৃষ্টি থেকে বাংলাদেশ একটি উন্নায়নশীল দেশ। এদেশে অন্যতম সমস্যা হল অশিক্ষা। আমাদের সাক্ষরতা হার মাত্র ৬৫%। এখনো ৩৫ ভাগ মানুষ জ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত। একটি দেশ এগিয়ে যাওয়া অন্যতম সোপান হল " শিক্ষিত জাতি"। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক এগিয়েছে। এক্ষেত্র শুধু শিক্ষকদের ভূমিকাই মূখ্য নয়, সহায়ক। সরকার, ছাত্র-ছাত্রী, জনগণ এর সাথে শিক্ষক সমাজ সম ভাবে ভূমিকা পালন করছে, একক বা মূখ্য ভাবে নয়। সরকার যদি বিনামূল্যে পাঠ্যবই না দেয়, ছাত্রছাত্রীরা যদি ক্লাসে না আসে, জনগণ যদি ট্যাক্স না দেয় তাহলে কি কোনদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা চলবে? শুধু শিক্ষক সমাজ দিয়ে চলবে কোন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা? তাহলে সরকার, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক সমাজ একে অপরের পরিপূরক।

"বিদ্যালয় " শিক্ষা অর্জনের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। বাংলাদেশে এখনো সব জায়গা সরকারি বিদ্যালয় নেই। বিদ্যালয় থাকলেও নেই বিদ্যুৎ, পর্যাপ্ত বেঞ্চ-টেবিল বা ক্লাস রুম। এখনো প্রায় সংবাদ পত্রে দেখি " খোলা আকাশের নিচে বসে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করছে "। বিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট নেই। কমন রুম নেই, লাইব্রেরি নেই। ঢাকা শহরে ৬০% বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই। তাই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে প্রথমেই কাঠামোগত উন্নতি প্রয়োজন। শুধু শিক্ষক দিয়ে উন্নায়ন করা যাবে না। আমাদের দেশের স্কুল গুলোর শিক্ষকদের সচ্ছতা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। খবরের কাগজে দেখতে পাই শিক্ষকরা কোচিং করার জন্য বাধ্য করছে না হলে পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দিবে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর দিবে না। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার সুষ্ঠু কাঠামো। যেখানে সরকার বিনামূল্য বই দিয়ে, মেধাবীদের বৃত্তি দিয়ে, মেয়েদের উপবৃত্তি দিয়ে, আবিখা ( স্কুলে আসার বিনিময় খাদ্য) দিয়ে শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে সেখানে এক শ্রেণির অসাধু শিক্ষক শিক্ষাকে ব্যবসায় পরিনত করছে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থারর অগ্রগতির জন্য ছাত্র-ছাত্রী, সরকার, জনগন ও শিক্ষক সমাজের সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। কোন একক গুষ্ঠিকে মূখ্য বলা যাবে না। পরিশেষে, কাজী মোতাহার হোসেনের ভাষায়য় " একটা মইকে উপরে তুলতে হলে নিচ থেকেও ঠেলা দিতে হবে আবার উপর থেকেও টান দিতে হবে "। মই> শিক্ষা ব্যবস্থা মনে করলে, সরকারকে নিচ থেকে ঠেলা দিতে হবে আবার ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক সমাজকে উপর থেকে টান দিতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.