নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপিঃ যাত্রা হলো শুরু.... কানাডার পথে – ৩ (শেষ পর্ব)

১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪

এর আগের পর্বটি পড়তে পারবেনঃ এখানে


@রিজাইনা বিমানবন্দর, ০৬ মে ২০২৩

একেতো পরবর্তী ফ্লাইটের এক ঘণ্টা আগেই চেক-ইন, ইমিগ্রেশন ইত্যাদি সম্পন্ন করা শেষ হলো, তারপরও আবার পরবর্তী ফ্লাইট দুই ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়বে- একেবারে শেষ স্টেশনে এসে মোট এই তিন ঘণ্টার অলস সময় যেন আর কিছুতেই কাটতে চাচ্ছিল না। লাউঞ্জে উদ্দেশ্যহীন, ইতস্ততঃ পায়চারি করা ছাড়া আর করার তেমন কিছুই ছিল না। ফ্রী ওয়াই-ফাই সংযোগ থাকা সত্ত্বেও ঢাকায় তখন গভীর রাত বিধায় কারো সাথে কথা বলারও ইচ্ছে হচ্ছিল না। সবাইকে শুধুমাত্র "আমরা ভালো আছি, সবকিছু ঠিকঠাক আছে"- এ ধরণের একটা সংক্ষিপ্ত বার্তা দিয়ে রাখলাম। বোর্ডিং না হওয়া পর্যন্ত একটা অহেতুক টেনশন ও অস্বস্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছিল, ফলে ক্লান্তি ও অবসাদও বেড়ে যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করে সময় কাটিয়ে লাউঞ্জের পরিষ্কার ওয়াশরুমে ফ্রেশ হয়ে নিলাম, এতে অবসাদ কিছুটা লাঘব হলো বলে মনে হলো। সব ক্লান্তি, সব অবসাদ, সব অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে এক সময় প্লেনে আসন গ্রহণের ডাক এলো। দুর্ভাগ্যক্রমে এবারেও আমার এবং আমার স্ত্রীর আসন পাশাপাশি পড়েনি, সামনে-পিছনে পড়েছে। দু'জনেরটাই তিন আসনের মধ্যবর্তী আসনে। আমরা দু'জন যার যার আসন খুঁজে বসে পড়লাম, দু'জনেরই আশেপাশের আসন দুটো তখনও খালি ছিল। একটু পরে এক বিশাল বপুর মধ্যবয়সী মহিলা আস্তে আস্তে হেঁটে আমার সারির (row) দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। তাকে দেখে আমি মনে মনে প্রমাদ গুণতে শুরু করলাম এই ভেবে যে তিনি সারির অভ্যন্তরে প্রবেশ করবেন কিভাবে! আমার সারির কাছে এসে তিনি ইশারায় আমাকে জানালেন যে আমার পাশের জানালার ধারের আসনটিই তার। আমি তৎক্ষণাৎ সারি থেকে পুরোপুরি বের হয়ে এসে ওনাকে প্রবেশের জন্য gesture করলাম। আমার খুব কৌতুহল হচ্ছিল এটা দেখতে যে তিনি এই অস্বাভাবিক বপু নিয়ে কিভাবে প্রবেশ করেন। বেশ খানিকটা কসরৎ করে তিনি অবশেষে ধপাস করে তার আসনের উপর দেহ স্থাপন করলেন। এবারে আইলের পাশের আসনে কেমন যাত্রী আসেন সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

একটু পরেই দেখি স্যান্ডো গেন্জী আর শর্টস পড়া এক মোটাসোটা মধ্যবয়স্ক লোক কাঁধে একটা ব্যাগ ঝুলিয়ে আর হাতে একটা ক্যারী-অন লাগেজ টেনে আমাদের সারির দিকে আসছেন। বোধকরি এসব টানাটানির কারণে তার সাদা চামড়াটা ঈষৎ লাল বর্ণ ধারণ করেছিল। টাক-মাথা, গোলগাল মুখের এই ভদ্রলোকও আমার কাছে এসে ইশারায় জানালেন যে আমার পাশের খালি আসনটি তার। আমি সম্মতিসূচক ইঙ্গিত করলে তিনিও একরকম ধপাস করেই তার আসনে বসে পড়লেন। আমি ভেবে অবাক হচ্ছিলাম যে আমার পাশের দুজন যাত্রীই অস্বাভাবিক রকমের স্থূ্লদেহী, তবুও আসন গ্রহণের সময় তাদের উভয়ের হাতেই একটি করে কোকের ক্যান ধরা ছিল। আসন গ্রহণের পর ওরা দু'জনেই প্রথমে ঢকঢক করে কোক পান করলেন, তারপর সীট বেল্ট বাঁধার কাজে মনোনিবেশ করলেন। আমার সন্দেহ হচ্ছিল যে হয়তো প্লেনের সীট বেল্ট তাদের বিশাল বপুকে বাঁধতে পারবে না। তবে না, তারা সফলভাবেই সীট বেল্ট বাঁধতে পেরেছিলেন। আমার স্ত্রী পেছন থেকে আমাকে একটা খোঁচা দিয়ে বললেন, দুই মোটকা-মুটকির মাঝখানে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে বসেছো, সাবধানে থেকো। ঘাড় ঘুরিয়ে সীটের ফাঁক দিয়ে দেখতে পেলাম, সে মুখ টিপে হাসছে। ওর একপাশে অবশ্য একজন মহিলাই ছিলেন, অপর আসনটি তখনও খালি ছিল।

আমাদের এ বিমানভ্রমণ মোট তিনটি সেক্টরে ভাগ করা ছিলঃ ঢাকা-দুবাই, দুবাই-টরন্টো এবং টরন্টো-রিজাইনা। তিনটির মধ্যে কেবল শেষেরটি পুরোপুরি দিবাভাগে ছিল। আমাদের যাত্রার দিনটি ছিল পূর্ণিমার দিন/রাত। ইচ্ছে ছিল, রাতের বেলায় পূর্ণিমার চাঁদ আর মেঘের লুকোচুরি খেলা দেখতে দেখতে কিছুটা সময় পার করে দিব। কিন্তু বিরূপ আসন বণ্টনের কারণে সে ইচ্ছেটি এ যাত্রায় পূরণ হলো না। তবে টরন্টো থেকে আমাদের প্লেনটি আকাশে উড্ডীন হবার পর আলো-ঝলমল, রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশটাকে দেখতেও খুব ভালো লাগছিল। আমাদের দেশের শরতের আকাশের মত অনেকটা। উন্মুক্ত আকাশ দেখতে দেখতে এক সময় বিমান অবতরণের প্রস্তুতিমূলক ঘোষণা শোনা গেল। স্থানীয় সময় বিকেল ঠিক চারটার সময় আমাদের বিমানটি রিজাইনার ভূমি স্পর্শ করলো। আনায়াকে দেখার জন্য বের হবার তর সইছিল না, তাই মাত্র ছয় মিনিট পরেই দরজা খোলার সাথে সাথে আমরা দ্রুত বের হয়ে হাঁটা শুরু করলাম। ক্লান্তিকর এক যাত্রা শেষ করে ব্যাগেজ কালেকশন পয়েন্টের দিকে তরতর করে এগোচ্ছিলাম।

ভেবেছিলাম, ব্যাগেজ পয়েন্টে পৌঁছে ছেলেকে ফোন দিব। দোতলা থেকেই দেখতে পেলাম তিন ক্ষুদে সদস্যসহ মোট ছয়জনের একটি রিসেপশন টীম আমাদেরকে রিসীভ করার জন্য অপেক্ষমান। ওদের মধ্যে ছিল আমার বড় ছেলে এবং নাতনি আনায়া, ভাগ্নি তানিয়া, ভাগ্নি-জামাই সবুজ আর ওদের দুই মেয়ে আর্শী ও আয়রা। ওরা নিজেদের মধ্যে আলাপরত ছিল। আমি তাদেরকে দেখে হাত নাড়াতে নাড়াতে নীচে নামছিলাম। ওদের মধ্যে সবুজই প্রথমে আমাকে দেখতে পেয়ে হাত নাড়ালো। ওকে দেখে বাকি সবাই একে একে আমাদের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়াতে থাকলো। বাচ্চাগুলোর সবার হাতে ধরা ছিল একটা করে কার্ড। নীচে নেমেই সবাইকে একে একে বুকে জড়িয়ে ধরলাম। ওরা আমাদের দিকে কার্ডগুলো এগিয়ে ধরলো। আমি আগ্রহ সহকারে ওদের হাত থেকে কার্ডগুলো নিয়ে পড়া শুরু করলাম। প্রতিটি কার্ডের লেখায় এবং ছবিতে ওদের কচি মনের উষ্ণ অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছে। ওদের উষ্ণতায় সকল অবসাদের অবসান হলো।

বাচ্চারা ওদের দিদি/নানুর সাথে সোফায় বসে গল্প শুরু করে দিল। তানিয়াও ওদের সাথে যোগ দিল। আমরা বাকি তিনজন লাগেজ সংগ্রহের জন্য এগিয়ে চললাম। অবাক হ'লাম দেখে যে এখানকার ডমেস্টিক বিমানবন্দরে ভিজিটরদেরকে baggage carousel পর্যন্ত আসতে দেয়া হয়। নাগরিকরা স্বভাবে ভালো হলে সুযোগ দিতে তো কোন অসুবিধে নেই। চলমান কনভেয়র বেল্টের উপর রাখা লাগেজের মধ্যে আমাদেরগুলোকে আমি শনাক্ত করে দিলাম, আমার ছেলে আর সবুজ মিলে সেগুলো নামিয়ে ট্রলীতে তুললো। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে সেগুলোকে দুই গাড়িতে ভাগ করে তোলা হলো। খোলা আকাশের নীচে এটুকু সময় দাঁড়িয়ে থাকার মধ্যেই ঠাণ্ডা বাতাস গায়ে লেগে শীতের দেশ কানাডার গ্রীষ্মকালের একটু ধারণা দিয়ে গেল, মনে হলো তা আমাদের দেশের শীতকালের ঠাণ্ডার চেয়েও বেশি। তানিয়া তাড়াতাড়ি করে গাড়ি থেকে একটা জ্যাকেট বের করে আমার হাতে দিল। আমি সেটা গায়ে চড়িয়ে গাড়িতে প্রবেশ করলাম।

বিকেল ঠিক পাঁচটায় ছেলের বাসায় প্রবেশ করলাম। সূর্যাস্তের সময় নির্ধারিত ছিল সাড়ে আটটায়। আমরা গোসল সেরে নিয়ে মাগরিবের আগেই ডিনার করে ফেললাম। এখানে অবশ্য প্রতিদিনই সবাই তাই করে বলে জানলাম। ডিনারের পর বাচ্চারা খেলা এবং বাকিরা গল্প শুরু করে দিল। মাগরিবের নামায পড়ে একটু বিশ্রাম নিব বলে আমি বিছানায় একটু গা এলিয়ে দিলাম। সাথে সাথেই গভীর ঘুমে চলে গেলাম। ঘুম যখন ভাঙলো, তখন ঘড়িতে সময় দেখি রাত সাড়ে দশটা। ইতোমধ্যে তানিয়ারা ওদের বাসায় চলে গেছে। আনায়া একমনে কিছু ছবি আঁকছে।

(সমাপ্ত)


রিজাইনা, কানাডা
০৬ মে ২০২৩
শব্দ সংখ্যাঃ ৯১৮


@রিজাইনা বিমানবন্দর, ০৬ মে ২০২৩


@রিজাইনা বিমানবন্দর, ০৬ মে ২০২৩


@রিজাইনা বিমানবন্দর, ০৬ মে ২০২৩


@রিজাইনা বিমানবন্দর, ০৬ মে ২০২৩


@রিজাইনা বিমানবন্দর, ০৬ মে ২০২৩


@রিজাইনা বিমানবন্দর, ০৬ মে ২০২৩


@রিজাইনা বিমানবন্দর, ০৬ মে ২০২৩


@রিজাইনা বিমানবন্দর, ০৬ মে ২০২৩

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: আছি সাথে আপনার লিখার............ চলুক। আর অপেক্ষায় আছি দেখা করার।

১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। টরোন্টো আসলে ইন শা আল্লাহ দেখা হবে।

২| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:২২

শেরজা তপন বলেছেন: মোটকা মুটকি আর কোন জ্বালাতন করেনি আপনাকে? :)
চমৎকার এগুচ্ছে- আপনার সামনের দিনগুলোর ভ্রমণগল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম...

১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার প্রশ্নটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, আপনি কিছু একটা 'জ্বালাতন' এর সম্ভাবনার কথা অনুমান করেছেন। আমি বিষয়টিকে উহ্য রাখতে চেয়েছিলাম, তবে আপনার অনুমান অনেকটা সঠিক। মোটকা তেমন একটা অসুবিধা করেননি, তবে মুটকি খুব হাঁসফাস করছিলেন, এতে আমি বেশ খানিকটা অস্বস্তি বোধ করছিলাম। মাঝখানে একবার তিনি আমাকে বলেছিলেন যে তিনি ওয়াশরুমে যাবেন। আমি এবং মোটকা উভয়ে আমাদের আসনের সারি থেকে বের হয়ে ওনাকে যাবার পথ করে দিয়েছিলাম। উনি ফেরার পথেও একই এক্সারসাইজ করতে হয়ছিল।

৩| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আহা কি সুন্দর।
এবার একটা ভ্রমন কাহিনীর উপর একটা বই প্রকাশ করুণ। আমাদের দেশের লোকজন ভ্রমন কাহিনী পড়তে পছন্দ করে।

১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমাদের দেশের লোকজন ভ্রমন কাহিনী পড়তে পছন্দ করে" - ঠিক বলেছেন। বহু বছর ধরে বইমেলায় ঘোরাঘুরি করে এটা আমারও পর্যবেক্ষণে এসেছে। আমার অনেক লেখাও হাতে জমে আছে। কিন্তু একটু সময় নিয়ে সম্পাদনা করে সেগুলোকে মুদ্রণোপযোগী করে তুলতে ভীষণ আলসেমি লাগে। আর একসাথে অনেক কিছু করি তো! যখন যেটা করতে ভালো লাগে, তখন সেটিই করে থাকি।
লেখার প্রশংসা করে উপযুক্ত পরামর্শ প্রদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। এবারে চেষ্টা করে দেখবো, আগামী ফাল্গুনে নতুন কিছু প্রকাশ করা যায় কিনা।

৪| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
দীর্ঘদিন ধরে ব্যানে আছি। আমার লেখা প্রথম পাতায় আসে না। তবু আপনি আমার আইডিতে গিয়ে, খোঁজাখুঁজি করে আমার কন্যাকে নিয়ে লেখাটা পড়েছেন।

২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, আমার পরামর্শটুকু গ্রহণ করেছেন বলে।

৫| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ছবি ছাড়া ভ্রমণ পোস্ট জমজমাট মনে হয়না আমার কাছে।

২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: কথাটা ঠিক বলেছেন। কিছু ছবি দিয়েছি। আরেকবার দেখতে পারেন।

৬| ২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ জানাই আমার মন্তব্য দুটির উত্তর দিয়েছেন বলে।

২০ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অলওয়েজ ওয়েলকাম!

৭| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: লম্বা ভ্রমন শেষ করলেন।এবার একটু বিশ্রাম নিন।তারপর চারদিকটা ঘুরে ফিরে দেখুন,নিয়মিত আপডেট দিন।পড়ে আমরা অনেক কিছু জানতে পারবো।খুব ভালো সময়ে এসেছেন।আবহাওয়া খুবই ভালো।

২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, অনেক লম্বা সফর। এবাড়ি থেকে ওবাড়ি আসতে মোট সাড়ে সাঁয়ত্রিশ ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল, তার মধ্যে প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই আকাশে ছিলাম।
গত চারদিন ধরে ম্যানিটোবার উইনিপেগ ঘুরে এলাম। সেসব স্মৃতি নিয়ে আস্তে আস্তে লিখবো বলে আশা রাখছি। আবহাওয়ার কথা বিবেচনায় রেখেই সময় বেছে এখানে এসেছি, কারণ এখন আর তীব্র শীত সহ্য করার মত বয়স আমাদের নেই, আর লেয়ারে লেয়ারে একগাদা কাপড় চোপড় পরে কোথাও বের হতেও ইচ্ছে করে না।

৮| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: খুব ভালভাবে রিজাইনা পৌছেছেন জেনে অনেক ভাল লাগলো।
আনায়া এবং পরিবারের সকলের সাথে অনেক চমৎকার সময় কাটুক এই কামনা করি।

২৫ শে মে, ২০২৩ ভোর ৫:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি আমার এ সিরিজটি অনুসরণ করছেন দেখে অত্যন্ত প্রীত বোধ করছি। চমৎকার এবং আন্তরিক শুভকামনাটুকুও ছুঁয়ে গেল।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৯| ২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

করুণাধারা বলেছেন: দীর্ঘ যাত্রার সমাপন হলো প্রিয়জনের সাথে মধুর মিলনে! ভালো লেগেছে যাত্রা পথের খুঁটিনাটি নানা কিছুর উল্লেখ, যার কিছুটায় আমি দারুন উপকৃত হয়েছি।

মনে পড়লো আনায়া যখন প্রথমবার কানাডা গেল তখন আপনি পোস্ট দিয়েছিলেন, তাতে আনায়ার সাথে বিচ্ছেদের বেদনা প্রকাশ পেয়েছিল, আনায়ার রেখে যাওয়া ছোট ছোট জুতা আর জামার ছবি দিয়েছিলেন... অথচ এই পোস্টে দেখছি আনায়া নিজের হাতে সুন্দর ছবিওয়ালা কার্ড তৈরি করে এনেছে। প্রিয় নাতনির বড় হওয়া, বিকশিত হওয়া দেখতে পেয়ে আশাকরি ভালো লাগছে আপনার।

সুন্দর সময় কাটুক কানাডায়, আশাকরি মাঝে মাঝে কানাডা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে পোস্ট দেবেন।

২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ! জ্বী, শেষ পর্যন্ত সহিসালামতেই পৌঁছে গেছি আমার প্রিয়জনদের কাছে। এখন একটু একটু করে ঘুরে বেড়াচ্ছি, আজ এখানে তো কাল ওখানে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে মাঝে মাঝে হাঁটাহাটিও করছি। সপ্তাহান্তে একটু দূরে কোথায়ও যাচ্ছি। এসব নিয়ে লিখবো একটু একটু করে, যখনই লেখার মত সময় বের করে আনতে পারি, ইন শা আল্লাহ।

যাত্রা পথের খুঁটিনাটি নানা কিছু দেখতে এবং সে সম্বন্ধে আমার পাঠকদেরকে জানাতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমার ভ্রমণ কাহিনীগুলোতে এসব সাধারণ গল্পের কিছু না কিছুর উল্লেখ থাকেই, এগুলো না বললে মনে হয় আমার গল্প বলাই হলো না।

আমি আগেও একাধিকবার উল্লেখ করেছি, আপনার স্মরণ শক্তি খুবই প্রখর। প্রায় ৫/৬ বছর আগে আনায়ারা যখন প্রথম দেশ ত্যাগ করে কানাডায় এলো, তখন এই ব্লগেই প্রকাশিত আমার একটা লেখায় অভিব্যক্ত আমার অনুভূতির কথা আপনি এতটা স্পষ্ট মনে রেখেছেন, আমি তা পড়ে সত্যিই অভিভূত হয়ে গেলামে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এতটা সমনযোগ পাঠের জন্য।

"প্রিয় নাতনির বড় হওয়া, বিকশিত হওয়া দেখতে পেয়ে আশাকরি ভালো লাগছে আপনার" - জ্বী, খুব ভালো লাগছে। 'তবে বড় হওয়া, বিকশিত হওয়া'র সাথে সাথে বোধকরি এখন থেকেই একটু একটু করে দূরে সরে যাওয়াও শুরু হবে, কেননা ধীরে ধীরে চারিপাশে এখন থেকেই কিংবা আর কিছুদিন পর থেকেই ওর একটা নিজস্ব জগতও তৈরি হতে থাকবে।

আশাকরি মাঝে মাঝে কানাডা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে পোস্ট দেবেন - জ্বী, অবশ্যই আমারও সে আশা রয়েছে। আপনিও আপনার এই সাময়িক প্রবাস জীবন সম্পরর্কে কিছু কিছু করে লিখতে শুরু করুন, আমরাও শুনি আপনার কিছু কথা।

১০| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৩:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সত্যিই অনন্যসাধারণ খুশ আমদেত পেয়েছেন ।
ওদের সৃজনশীলতা হসপিটালিটির প্রসংসা করি ।
কানাডায় আপনার অবস্থানের দিনগুলি আনন্দে
কাটুক এ কামনাই করি ।

২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ১:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ওদের সৃজনশীলতা এবং হসপিটালিটিতে আমরাও রীতিমত মুগ্ধ ও অভিভূত।
মন্তব্যে ও প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।

১১| ২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

জটিল ভাই বলেছেন:
আগের পোস্টের মতো করেই সুস্থ্যভাবে প্রত্যাবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করে গেলাম......

২৬ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে ও প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১২| ২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

নাজনীন১ বলেছেন: এতো এতো চমৎকার কার্ড! ভাল সময় কাটুক আপনার! এ দেশটাতে যাবার অনেক শখ, একবার চেষ্টাও করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত ভিসা এপ্লিকেশন করা হয়নি।

২৬ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য কানাডার ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে এখন অনেকটা সহজ করা হয়েছে বলে মনে হয়। আপনি আরেকবার উদ্যোগ নিতে পারেন।
মন্তব্য ও শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




আদরের ধন বাচ্চাদের হাতে আঁকা ওয়েলকাম কার্ডের ছবি, টরেন্টো থেকে রিজাইনা ভ্রমনের বৃত্তান্তকে এক আলাদা মাত্রা দিয়েছে।
বোঝা গেছে, বিশাল বপু সহযাত্রীর মতো আয়ানার দাদাও আনন্দে বিশাল - বিপুল হয়ে উঠেছিলেন বাচ্চাদের আঁকা কার্ডে তাদের হৃদয়ের কথা শুনে।
মনে হচ্ছে রবীন্দ্রনাথকে একটু ঘুরিয়ে বলি--
ছোট প্রাণ ছোট কথা,
ছোট ছোট সুখ গাঁথা
নিতান্ত সহজ সরল......


আপনার টরেন্টো থেকে রিজাইনা যাবার আকাশযান যেমন লেট-লতিফ হয়েছিলো আমিও মনে হয় এই পোস্টে আসতে তেমনি লেট-লতিফ হয়েছি!
তবুও বলে যাই, সুন্দর এবং সাবলীল লেখা হয়েছে।

কানাডা থাকার সময়টুকু কাটুক নিরাপদে আর আনন্দে।
শুভেচ্ছান্তে।

২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আদরের ধন বাচ্চাদের হাতে আঁকা ওয়েলকাম কার্ডের ছবি, টরেন্টো থেকে রিজাইনা ভ্রমনের বৃত্তান্তকে এক আলাদা মাত্রা দিয়েছে" - একজন আঁকিয়ের কাছ থেকে আসা এ মন্তব্যটিও লেখাটাকে 'এক আলাদা মাত্রা দিয়েছে'

বোধকরি, আমার চেয়ে বড় 'লেট-লতিফ' এ ব্লগে আর অন্য কেউ নেই। সেই তুলনায় আপনার এই 'লেট-লতিফ' হওয়াটা কোন ব্যাপারই নয়।

"তবুও বলে যাই, সুন্দর এবং সাবলীল লেখা হয়েছে" - আপনার এ বলে যাওয়া এবং পোস্টে প্লাস দেওয়াটা অনেক প্রেরণা যুগিয়ে গেল। অশেষ ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

১৪| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:১৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ওখানকার ভ্রমন ও ছবি সহ পোষ্ট চাই।

২৭ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, শীঘ্রই কিছু ছবিসস রোজনামচা লিখার চেষ্টা করবো।

১৫| ৩১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: সহযাত্রীদের বর্ননা পড়ে হাসলাম। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এই বুঝি আপনাদের দুজনের এক সাথে বসার ব্যবস্থা হবে।
কার্ডগুলো এত সুন্দর, যত্ন করে ভালোবাসা দিয়ে বানানো।

আশা করি সুন্দর সময় কাটছে আপনাদের লক্ষ্মী ছানাদের নিয়ে।

০৩ রা জুন, ২০২৩ ভোর ৬:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এই বুঝি আপনাদের দুজনের এক সাথে বসার ব্যবস্থা হবে" - জ্বী, সেটা হয়েছিল, তবে মাঝপথে, যখন একবার মহিলাটি রেস্টরুমে যাবেন বলে আমাকে ইঙ্গিতে বোঝালেন এবং আমি আর সেই মোটা ভদ্রলোক উভয়েই তখন আসনের সারি থেকে বের হয়ে তাকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করেছিলাম। আমি দাঁঁড়িয়ে যাবার পর দেখি আমার স্ত্রী পেছনের জানালার পাশে বসা, আর আইলের পাশের আসনে বসা আরেকজন ক্ষীণাঙ্গী মহিলা। মাঝখানের আসনটি তখনও কোন কারণে ফাঁকা রয়ে গেছে। আমি তার অনুমতি নিয়ে দুজনের মাঝখানে আসন গ্রহণ করেছিলাম। বাকিটা পথ দুই মোটা-মুটি আমার ছেড়ে দেয়া আসনের কারণে কিছুটা স্বস্তিতে বসে পার করেছে। আমিও হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম।

আলহামদুলিল্লাহ, সময় আমাদের ভালো কাটছে। আগামী সপ্তাহান্তে একটু দূরে কোথাও যাবার কথা আছে। যদি যাই, ফিরে এসে পোস্ট দেব ইন শা আল্লাহ।

আপনার একই মন্তব্য তিনবার এসে গেছে। এটা রেখে বাকি দুটো মুছে দিচ্ছি।

১৬| ৩১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ক্লান্তিকর হলেও অবশেষে শেষ হল বহুপ্রতীক্ষিত যাত্রা। আপনার দুই দিকে দুই মোটামুটি সহযাত্রীদের সঙ্গে কথোপকথন জানতে পারলে আরও ভালো লাগতো। কচিকাঁচাদের তাদের দাদাজি ও দাদিম্মকে নিজেদের হাতে তৈরি কার্ড দিয়ে অভ্যর্থনা জানানোর দৃশ্যটি খুব ভালো হয়েছে। ভালো লেগেছে একপ্রকার নির্বিঘ্নে যাত্রা সম্পন্ন করতে পেরেছেন দেখে। ভিনদেশে নাতি নাতনিদের নিয়ে আনন্দ উপভোগ করুন কামনা করি।
পোস্টে ত্রয়োদশ লাইক।
বেশ কিছুদিন যাবৎ ব্লগে ফুল ভার্সনে ঢুকতে না পেরে আর আসার ইচ্ছা করে না। ব্লগের নিজস্ব কিছু সমস্যা ছিল। আজকে স্মুথলি লগ ইন করতে পেরেছি।

০৩ রা জুন, ২০২৩ ভোর ৬:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আজ একটু আগে থেকে মনে হয় ব্লগ ত্রুটিমুক্ত হলো, ফলে আপনার এই চমৎকার মন্তব্যটি পড়তে পারলাম।
অনেক ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্য এবং ত্রয়োদশ লাইক এর জন্য। ব্লগের সাময়িক ত্রুটিজনিত কারণে মন্তব্যটি আমি এখানে তাৎক্ষণিক পড়তে পারবো না বলে এটি ফেসবুক পোস্টে উদ্ধৃত করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

আপনার একই মন্তব্য তিনবার এসে গেছে। এটা রেখে বাকি দুটো মুছে দিচ্ছি।

১৭| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ৭:০৪

মিরোরডডল বলেছেন:



দুর্ভাগ্যক্রমে এবারেও আমার এবং আমার স্ত্রীর আসন পাশাপাশি পড়েনি, সামনে-পিছনে পড়েছে। দু'জনেরটাই তিন আসনের মধ্যবর্তী আসনে।

এটা কেমন হলো!
বুকিং এর সময়ই ঠিক করে নিতে হতো।

এয়ারপোর্টে রিসিভ করার লেখাটুকু পড়ার সময় মনে পড়ে গেলো কত স্মৃতি!
আবার কবে যে এই দিনটা আসবে।
কি যে ভালো লাগে ফ্যামিলি যখন এখানে ভিজিট করতে আসে!

ক্যানাডার সময়গুলো আনন্দে কাটুক কাছের মানুষগুলোর সাথে।

০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ৮:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এতদিন ধরে ট্রাভেল করি, কেমন করে, কবে থেকে যে দিনকাল এমন হয়ে গেল, খেয়ালই করিনি। আমি তো জানতাম যে একটা ফ্যামিলি যখন একসাথে ট্রাভেল করে, তখন তাদের আসনগুলোকে যতদূর সম্ভব পাশাপাশি দেয়া হয়। আর টরন্টোর পীয়ারসন বিমানবন্দরে যখন চেক-ইন করলাম, তখন কাউন্টারের ভদ্রমহিলাকে বলেছিলাম যে আমরা স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু বোর্ডিং পাস হাতে পাওয়ার পর আর সেটা চেক করে দেখিনি, এর আগেও কখনো চেক করিনি। ধরেই নিয়েছিলাম, আসন দুটো পাশাপাশিই থাকবে। প্লেন ওড়ার পরে জানলাম যে আমার স্ত্রীর পাশের আসনটি শেষ পর্যন্ত ফাঁকা রেখেই প্লেন আকাশে উড়েছিল। মাঝপথে আমি আসন পরিবর্তন করেছিলাম।

১৮| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২২

মিরোরডডল বলেছেন:



আমার স্ত্রীর পাশের আসনটি শেষ পর্যন্ত ফাঁকা রেখেই প্লেন আকাশে উড়েছিল। মাঝপথে আমি আসন পরিবর্তন করেছিলাম।

পাশের সিট খালি থাকলে অবশ্যই সেখানে গিয়ে বসবে, সেই সুযোগ কি আর কেউ ছাড়ে!
মজাই লাগলো কিছুক্ষনের জন্য সাময়িক বিরহ, পরে আবার মিলন, জার্নিটা এঞ্জয়েবল করেছে নিশ্চয়ই :)
হা হা হা।

You two are always romantic :)
That's how this meant to be.

০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি জার্নি বেশ এঞ্জয় করি। এবারের তিন সেক্টরের জার্নিটা সুদীর্ঘ হলেও বেশ এঞ্জয়েবল ছিল।
পুনঃমন্তব্য এবং প্লাসের জন্য (আগের মন্তব্যের সময় দেয়া) আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৯| ২৪ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২০

শোভন শামস বলেছেন: অপূর্ব, কানাডা ভ্রমনের নতুন একটা বই আশা করছি

২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ৩:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেখা যাক, আশা তো আমারও আছে। কিন্তু বই প্রকাশে হালে যত ঝামেলা হয়....!
পোস্ট পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.