নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালিদ মোশারফ ,আইআর , ১৪ তম ব্যাচ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

খালিদ১২২

আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......

খালিদ১২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরণ্যকের আত্মকথন-২

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৭

গত দুটো বছর আরণ্যকের সময় হয়নি দুটো বন্ধুর সাথে মেশার । একটু মাথা তুলে দাড়াবার । মাথায় অসুখ । চোখের রোগ। পেটের রোগ। পুরানো একটি সাইকেলে চড়ে আরণ্যকের সকাল সকাল কলেজ যাওয়া। এত রোগের মধ্যে শরীরটাকে সে ফিট রাখার চেষ্টা করেছিল। কোনদিন কলেজ ফাঁকি দেয়নি ।আজ এইচ এচ সি ফাইনাল রেজাল্ট দিবে। টেস্টে দ্বিতীয় হয়েছিল সে। আজ রেজাল্ট নেওয়ার জন্যে কলেজে সে সকাল সকাল এসেছে। মনে খুব আশা ছিল খুব ভালো রেজাল্ট পাবে সে। প্রতিটি সাবজেক্টের মূল পাঠ্য বইগুলো তার মূখস্থ ছিল তার। প্রতিটি সাবজেক্টের উপর দুটো করে গাইডও পড়েছে সে ।এইতো কলেজে ইতিমধ্যে সকল সহপাঠি চলে এসেছে। রেজাল্ট নেবার জন্যে । সকলের আগ্রহ রেজাল্টের জন্যে।যে আরণ্যক টেস্টের রেজাল্টে হয়েছিল দ্বিতীয়। অথচ তার প্রতি কারো কোন নজর নেই। আচ্ছা আরণ্যক কি খুব অগোছালো।নাকি আরণ্যক খুব অসুন্দর।
রেজাল্ট হবে। আরণ্যক ভেবেছিল সেই ফার্স্ট হবে। ফার্স্টতো দূরের কথা প্রথম বিশ জনের ভেতরে তার কোন নামই নেই।
বাবাকে গিয়ে সে এখন কি বলবে। এত রেজাল্ট খারাপ হবার কথাও ছিল না।আরণ্যক তার পুরানো সাইকেলটি নিয়ে দ্রুত দ্রুত চলে গেল মৃধা বাজারের গলির চায়ের দোকানে। এক কাপ চা খেয়ে । বাড়ী গিয়ে আর কি হবে। উল্টো পথে চলতে থাকলো আরণ্যক। আজ সে দুঘন্টা সাইকেল চালাবে। কেউ তার খোঁজ নেবে না তার। যদি বাড়ী ফিরতে অনেক দেরি হয়ে বৃদ্ধ বাবা হু করে একটু হেসে বলবে এত দেরি কেন আরণ্যক? আরণ্যক বলবে- এমনি, বাজারে ছিলাম। কাজ ছিল। নাহয় আরণ্যক বলবে- পেপার হাউজে পেপার পড়ছিলাম।
বৃদ্ধ পিতার হু করে একটু খানি হাসি তার প্রাণ ঠাণ্ডা করে দেয়। এটা যেন তাকে দেওয়া বৃদ্ধ পিতার সবচাইতে বড় উপহার।
রেজাল্ট ভালো হয়নি তাই কি হয়েছে। আকাশটা বড় । পৃথিবী বড়।নিজের কাজ নিজে ভালো করে গেলে হয়তো কোন জায়গায় ঠাই হয়ে যাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.