নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কয়েছ আহমদ বকুলের লেখা

কয়েছ আহমদ বকুল

কবিতার জন্য আমি বাঁচি

কয়েছ আহমদ বকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুল পথে সরকার ০১

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০১

'না, আওয়ামীলীগ না'





কয়েছ আহমদ বকুল





আজকাল পুলিশ কে জামাত পেটাচ্ছে দৃশ্যটি প্রায়সই দেখা যায় টিভি -পত্রিকায়। পুলিশ কেন মার খাচ্ছে , কেন পুলিশ শিক্ষকদের উপর গরম পানি টিয়ার গ্যাস ছুঁড়লে ও জামাত কে করছে সমীহ তা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে পর পর দুই বার জামাত কে মহাসমাবেশ করার অনুমতি প্রধান ও অতঃপর কাদের মোল্লার অনাকাঙ্খিত রায়ের মধ্য দিয়ে।



বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়না , এই বিচারের মূলো ঝুলিয়ে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টাই হয়তো তাদের লক্ষ্য। আমরা যারা অন্তত গত ২০ বছর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির নোংরামী ও বেলাল্যাপনা দেখে আসছি তারা ভালো ভাবেই জানি সরকার তার এই খেলায় কতোটা সফল বা ব্যর্থ হবে। আমার আজকের লেখার বিষয় তাই সরকারের এই নীতি বর্জিত খেলা নয়। অন্তর পুড়া অন্য এক যন্ত্রণা থেকে এই লেখা।



কাল টিভিতে দেখলাম পুলিশের হাতে ধরা খাওয়া এক কিশোর চিৎকার করে করে বলছে 'আমার বাপ চাচা সবাই আওয়ামীলীগ, আমি শিবির নই, আমি শিবির নই'। ঐ কিশোরের আর্তচিৎকার শোনে আমার বারবার বিশ্বজিতের কথা মনে পড়ছিলো 'আমি জমাত বা বি এন পি নই, আমি আওয়ামীলীগ করি আমি হিন্দু'। বিশ্বজিৎ রক্ষা পায়নি, গ্রেফতার এড়াতে পারেনি ঐ কিশোরটিও। খুব মন খারাফ নিয়ে ঘুমাই রাতে। এলোমেলো অনেক স্বপ্ন দেখি, স্বপ্নে দেখি আমার এক সময়ের অনেক ঘনিষ্ট বন্ধু আমার এলাকার সাবেক জনপ্রতিনিধি স্থানিয় বি এন পি এক নেতাকে। ঘুম ভাঙ্গলে ইচ্ছা করে থাকে ফোন দেই। যেকোন কারনেই তার সাথে আজ আমার অনেক দূরত্ব, ফোন করতে দ্বিধা হয় খুব, তবু ও ডায়াল করি তার নম্বর। ভালো মন্দ দু চার কথার পর মানুষটি যা বলে তা অত্যন্ত বেদনা দায়ক। তার ভাতিজার নামে পুলিশ এসল্ট মামলা হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার নাতিকে শিবিরের কর্মী হিসাবে চিহ্ণিত করে মামলা হয়েছে।

সবুজ নামের ঐ ছেলেটি অত্যন্ত ভদ্র নম্র ও ভালো ছেলে হিসাবে এলাকায় পরিচিত, তার উপর মামলা কেন? অনেকের সাথে কথা বলে যা জানলাম তা দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক।

সবুজের কোন দোষ নেই, তার পরিবারের লোক বি এন পি করে তাই প্রতিহিংসা থেকে স্থানিয় ক্ষমতাশীন ও আমার বন্ধু ঐ সাবেক জনপ্রতিনিধির নির্বাচনিক প্রতিপক্ষই এই মামালার পেছনে কলকাটি নাড়ছে।

সবুজের দাদা একজন মুক্তিযোদ্ধা, সে কোন একদিন হয়তো আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হতে পারতো, কিন্তু এই যে মিথ্যা মালায় ছেলেটি বিপর্যস্ত হলো সে কোন দিন ভুলে ও কি আর আওয়ামীলীগ কে পছন্দ করতে পারবে।

শিবির তান্ডব করছে, তাদের টিকিটির ও কিছু করতে পারছে না পুলিশ বা সরকার কিন্তু দেশব্যপি স্থানিয় শত্রুতার রেষে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লাখ লাখ সবুজ নামের তরুণ।



না, আওয়ামীলীগ না, এটা টিক হচ্ছে না, জামাত বা শিবির কি চিহ্ণিত না করে ঢালাও মামলা দিয়ে আমাদের নীরব একদল তরুণ সমাজ কে শিবির বা জামাতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হতে বাধ্য করা উচিৎ হচ্ছে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.