নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কয়েছ আহমদ বকুলের লেখা

কয়েছ আহমদ বকুল

কবিতার জন্য আমি বাঁচি

কয়েছ আহমদ বকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ'তে হাসিনা তুমি বড়ো হাস্যকর............

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:০৯

হ 'তে হাসিনা তুমি বড় হাস্যকর...!

------------------------------------------------------------------

----------------------------------------------------------------------



কয়েছ আহমদ বকুল



নব্বই দশকের প্রথম দিকে কৈশোর পেরুত উন্মত্ত সময়ে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে যাবার মূহুর্তে আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবা একদিন আমাকে ডেকে বলেছিলেন 'তুমি ছাত্ররাজনীতি বা আমাদের দেশের চলমান রাজনীতিতে জড়াও আমি চাইনা তবে কোন দিন যদি জড়াতে চাও তোমার দলটা যেনো হয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বা তার অঙ্গ সংগঠন, কারণ তুমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।' সেই থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমার সংগঠন আমার প্রাণের সংগঠন। কিন্তু........



কত শত দিন রাজপথের মিছিলে নিজের নেতৃত্বে শ্লোগান তুলতাম

'গনতন্ত্রের মানস কন্যা - শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা'

'শেখ হাসিনার কিছু হলে - জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে'

'হাসিনা তোমার ভয় নাই - রাজপথ ছাড়ি নাই'

'কে বলেরে রাসেল নাই - আমরা আছি তোমার ভাই'

কিন্তু হায়, আজ সময়ের ব্যবধানে সেই কন্ঠে হাহাকারময় হতাশায় উচ্চারিত হয় 'হ তে হাসিনা তুমি বড় হাস্যকর.......'



আমি বারবার আমার লেখায় বা যে কোন আলোচনায় একটি কথা বলে থাকি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নির্বাচনে পরাজিত হলে একটি দল পরাজিত হয়না, কয়েকজন এম পি পরাজিত হয় না পরাজিত হয় একটি রাষ্ট্র পরাজিত হয় লাল সবুজ পতাকা পরাজিত হয় এই ভুখন্ডের আপামর জনগন আর আওয়ামীলীগ পাস করলে পাস করে কয়েকজন এম পি, মন্ত্রী হয় কয়েকজন চুর, উপদেষ্টা হয় কয়েকজন মাতাল আর প্রধানমন্ত্রী হোন হাস্যকর হাসিনা। হায় অভাগা জাতি তোমার গতি হবার নয়।



১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকার যা হোক হাস্যকর ছিলো না অন্তত। মানুষ কে হাসি আনন্দ দিয়ে নিজেকে হাস্যকর করে তোলার খেলায় শেখ হাসিনা এই সরকারের প্রথম থেকেই মেতে উঠেন। বর্ষিয়ান ও জননন্দিত নেতা সর্বজনাব আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ, আব্দুল জলিল, নাছিম, ওবায়েদুল কাদির, আমির হোসেন আমু, শ্রীমান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ছাড়া ও

মহাজোটের শরিকদের অন্যতম নেতা রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু কে সরকারের বাহিরে রেখে সরকার গঠন করেন তিনি।তারুন্য আর নারীর ক্ষমতায়নের ধুয়ো তুলে সংস্কারপন্থি হিসাবে চিহ্ণিত অথচ যোগ্যদেরকে দূরে শরিয়ে যাদেরকে নিয়ে নিজের একনায়কোচীত মানষিকতা থেকে মন্ত্রী সভা গঠন করেন হাসিনা তারা যে কত বড় চুর বাচাল আর অযোগ্য তা আর বলে বুঝাতে হবে না, ফলাফল ব্যালটেই আসছে।



মন্ত্রীদের কোটি টাকার দূর্নীতি বাচাল বাক্যলাপ মানুষের সাথের অসদাচারণ বা শতরকমের ব্যর্থতা দল বা সরকারের ততটা ক্ষতি করে না যতটা ক্ষতি করে সরকার প্রধান বা দলনেত্রী শেখ হাসিনার হাস্যকর অবিবেচনা প্রসূত হঠাৎ হঠাৎ মন্তব্য। গত চার সাড়ে চার বছরের এরকম হাজারটি মন্তব্যের উদৃতি টানা যায় ইচ্ছা করলে। তা না করে হাল আমলের দু একটি বেপাস মন্তব্য নিয়ে আলোচনা করে এ লেখার ইতি টানবো।



শুরু করি শেষ থেকে

আল্লামা শফি নামের সুযোগ সন্দানি এক ধর্মান্ধ বৃদ্ধ কবে কোথায় নারী সমাজ কে নিয়ে কি এক বাজে বক্তব্য রেখেছে, হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন সংগটন বিভিন্ন ভাবে ঐ বক্তব্যের প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মতো উচ্চাসনে বসে ঐ তুচ্চাতিতুচ্চ মানুষের বক্তব্যের সমালোচনা করা কি সমীচিন? সমালোচনায় আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কত হাস্যকর ভাবে ঐ মৌ লোভীকে ধর্মীয় নেতা হিসাবে আখ্যায়িত করে জান। ছিঃ ছিঃ ছিঃ.......।



খালেদা নামের অশিক্ষিত এক গৃহবধু তার ভাগ্যগুনে আর আমাদের চরম দুর্ভাগ্যতার কারণে এবং ম্যাডাম হাসিনার ৯১ এর নির্বাচন পূর্ববর্তি সময়ের হাস্যকর ভাষনের ফলস্বরুপ এই বাংলার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, সেই মহিলা বাংলাদেশের গনতন্ত্র স্বাধীনতা ও সতের কোটি মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বৃটেনের একটি পত্রিকায় তার ইংরেজি জানা স্বজনদের সহযোগিতায় একটি নিবন্ধ লিখেছেন। মানুষ জেনে তাকে ধিক্কার দিয়েছে। সরকার বা আওয়ামীলীগ খালেদার এই উদ্যত আচরনের বিরুদ্ধে ততটা সোচ্চার ছিলো না। কিন্তু হালে মিথ্যাবাদী খালেদা সংসদের মতো পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে যখন ঐ নিবন্ধ তার নয় বলে দাবী করছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী বড়ো হাস্যকর ভাবে একটি পত্রিকা উচিয়ে 'এইযে প্রমান এইযে প্রমান ' বলে হাসছিলেন।



হ'তে হাসিনা হ'তে হাস্যকর।

হ'তে হতবাক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা হতবাক কালো বিড়াল খ্যাত সেন বাবুকে আপনার মন্ত্রী সভায় এখনো দেখে, আমরা হতবাক লিমন নামের এক কিশোরের প্রতি আপনার সরকারের আচরন দেখে, আমরা হতবাক ডঃ ইউনুসকে নিয়ে আপনার সরকারের হাস্যকর ছেলেখেলা দেখে, আমরা হতবাক হেফাজত নামের জামাত সর্বস্ব এক ভূঁইপোড় সংঘটনের অশিক্ষিত নেতার কাছে আপনার মন্ত্রী কিংবা ঐ লেবেলের নেতাদের দৌড় ঝাঁপ দেখে, আমরা হতবাক গোলাম আযমের রায়ের পূর্বমুহূর্তে গহর রিজবীর তৎপরতা অতঃপর গোলাম আযমের ফাঁসীর আদেশ না হওয়াতে।

আমরা সাধারন মানুষ, স্বাধীনতা গনতন্ত্র সাবর্ভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দিতে রাজী অসহায় মানুষ সর্বোপরি হতবাক পাঁচ সিটি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শোচনীয় পরাজয় দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।



শ্রদ্ধাস্পদেষু, মাননীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আগামী নির্বাচনে পরাজিত হলে আপনার ব্যক্তিগত কোন ক্ষতি হবে না, আপনি ঠিকই বিরোধিদলীয় নেতা হবেন, এস এস এফ পাবেন। সম্মান মর্যাদা সবই পাবেন। আপনার চোর মন্ত্রীরা বিদেশে পালিয়ে যাবে, বেইমান এম পি রা গা ঢাকা দেবে। কিন্তু কোথায় যাবে বাঁশখালী সহ সারাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা, কোথায় যাবে সারা দেশের বিস্তৃত আওয়ামীলীগের কোটি কোটি অসহায় কর্মী সমর্থক, কে রক্ষা করবে তাদের কে পরবর্তী সরকারের প্রতিহিংসার দাবানল থেকে।



বড়ো আপসোস, এমন নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্টতা নিয়ে সরকার গঠনের পর ও কেবল কিছু হাস্যকর সিদ্ধান্ত ও হিংসাত্মক মানষিকতার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ পুরো জাতিকেই এক হাস্যকর পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।



আমি আশাবাদী, মনে হয় এখনো সময় আছে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী পদটির যোগ্যতা সম্মান ও মর্যাদা অনুধাবন করতে হবে এখনই।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২১

ননদালীনাজ বলেছেন: আপসোস, এমন নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্টতা নিয়ে সরকার গঠনের পর ও কেবল হিংসাত্মক মানষিকতার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ পুরো জাতিকেই এক ভয়ংকর পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

জামান2021 বলেছেন: চোরায় না শুনে ধর্মের কাহিনী।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫১

শিহাব হোসেন বলেছেন: বড়ো হাস্যকর ভাবে একটি পত্রিকা উচিয়ে 'এইযে প্রমান এইযে প্রমান ' বলে হাসছিলেন.. =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~
আমি তো হাসতে হাসতে হাসের ডিম খাইয়া ফালাইছিলাম..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.