নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কয়েছ আহমদ বকুলের লেখা

কয়েছ আহমদ বকুল

কবিতার জন্য আমি বাঁচি

কয়েছ আহমদ বকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্বল বিরোধীদল তাই বলে কি সরকার স্বৈরাচার হবে!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

দুর্বল বিরোধীদল তাই বলে কি সরকার স্বৈরাচার হবে!

''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''

কয়েছ আহমদ বকুল



বাংলাদেশে এই মুহূর্তে একটি সরকার আর দু'টি বিরোধীদল বর্তমান। কিছুটা হাস্যকর হলেও এটাই সত্য এটাই বাস্তব। তার চেয়েও বড় সত্য নির্মম বাস্তবতা বিরোধীদল গুলো কেবল নামে মাত্র বিরোধীদল, বস্তুত কোনঠাসা অপরিপক্ক রাজনৈতিক বুলি আওড়ানো কিছু হুংকার সর্বস্ব রাজনৈতিক দল ছাড়া আর কোন উপনাম দেবার নেই তাদেরকে।



বি এন পি এই দেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ছিলো, আজ তারা তলানিতে এসে টেকেছে, কেন? এই অপ্রিয় প্রশ্নটির জবাব খোঁজার আগ্রহ তাদের মধ্যে আছে বলে মনে হয় না। কারণ কি? দলীয় স্বৈরতন্ত্র এর জন্য হয়তো দায়ী তার চেয়েও বেশী দায়ী পেশাদার রাজনীতিবীদদের বদলে অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের উপরে ছিলো দলটির নির্ভরতা বেশী। একটি রাজনৈতিক দল ভেঙে যাওয়া নিশ্চিহ্ণ হওয়া একটি জাতীর জন্য ভালো খবর নয়। সেই রাজনৈতিক দলটির চরিত্র যদি দেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের পক্ষে না হয় হয়তো তা ঠিকে থাকবে না কিন্তু তার মধ্যে যদি এই দোষ গুলো না থাকে তবে তাকে ঠিকিয়ে রাখার দ্বায়িত্ব রাষ্ট্রেরই।



এরশাদের জাতীয় পার্টি এরশাদ পত্নি রওশন এরশাদের নেতৃত্বে সংসদে বিরোধীদল। আসলে তার সরকারও। জাতীয় স্বার্থে বা দেশ জনগণের প্রয়োজনে সংসদে তুমুল বিরোধীতা করে সরকারের বিরুদ্ধে ভালো কিছু বলার যোগ্যতা সম্পন্ন তাদের মধ্যে কেউ আছেন বলে আমার জানা নেই। যদি থেকেও থাকেন তারা মুখ ফুটে কিছু বলবেননা কারণ এরশাদ মঞ্জুর হত্যা মামলার আসামী। আর মামলাটা সরকারের পক্ষ থেকে গাধার সামনে বাঁধা মূলো।

বি এন পির প্রায় সব সাহসী নেতৃবৃন্দ জেল ফেরত জামিনের আসামী। তাঁদের সাহস ও ক্ষমতা এখন অদৃশ্য সুঁতোয় বাঁধা। তাঁরা এখন মূক ও বধির। যাঁরা তবু মুখ খুলেন সেই পুরানো কথা সেই ভাঙা রেকর্ড, নতুনত্বের কোন সংযোজন নেই।

তাহলে বলা যায় দু'টি বিরোধীদল থাকলেও উভয়েই তারা দুর্বল অথবা ক্ষুদ্র স্বার্থে মতিত।



ক'দিন আগে বি এন পি প্রধান সংবাদ সম্মেলন করলেন, আসলে সংবাদ সম্মেলনের প্রয়জোনটা কি ছিলো অনেকের মতো আমারও বোধগম্য হয়নি। তাঁর বাংলা ভালো ভাবে না পড়তে পারার বিষয়টা দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার করাই কি এই সংবাদ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিলো নাকি এই সরকার বিদেশীদের অভিনন্দন পেয়েছে সমর্থন নয় এই বিষয়টা সবাই কে বুঝানো? এই দেশ আমাদের, বি এন পি এই দেশের সংঘটন, তারা বারবার কেন কেবল বিদেশীদের উপর নির্ভর করে। তবে কি আওয়ামীলীগের অভিযোগই সত্য বি এন পি অতীতে যে দুই বা তিন বার ক্ষমতায় এসেছিলো তা বিদেশীদের সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই জনগণের ভোটে নয়? এই সরকারকে অবৈধ সরকার বলছেন ভালো কথা, নিজের দেশের মানুষকে বিষয়টা বুঝান, তাদেরকে সাথে নিয়ে অবৈধ সরকারের অবৈধ কার্যক্রমের মোকাবিলা করুন। কিন্তু অবৈধ সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে কেন আপনাদের প্রার্থীদেরকে অবৈধ ভাবে নির্বাচিত করার স্বপ্ন দেখেন? একটি দিক চয়ন করাই কি বাঞ্ছনিয় নয়, হয় সরকার অবৈধ, তাদের সাথে কোন আলোচনা নয় কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ নয় অথবা যেভাবেই হোক যে সরকারটি গঠিত হয়েছে তার বৈধ অবৈধতা নিয়ে কোন কথা নয়, কথা সব আগামী নিয়ে, আগামীতে যেনো এই সরকার এমন কিছু না করে যা দেশ ও জনগণের বিপক্ষে না যায়। বি এন পি যদি এই মুহূর্তে এই সরকারের বিরুদ্ধে বৈধ অবৈধ বিতর্ক ত্যাগ না করে আর সরকার উপজেলা নির্বাচনে বড় ধরনের কোন কারচুপি বা জামেলা করে পেলে বি এন পির তখন কিছু বলার থাকবে না, কারণ যে সরকারকে আপনার অবৈধই বলছেন তাদেরকে এর পরে আর কি বলবেন?



শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন এই সরকার তাঁর অন্য যে কোন সরকারের চেয়ে বেশী প্রগলব কিংবা বাচাল। প্রধানমন্ত্রী নিজে যখন একজন সাবেক সরকার প্রধানকে উদ্দেশ্য করে গোলাপী বা ট্রেন ধরনের বক্র উক্তি করেন তা শুধু বেমানানই নয় আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কতো নীচু মানের তা নতুন করে আমাদের মাঝে প্রকাশিত হয়। মন্ত্রিরা তো এখন লাগামহীন।



আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বি এন পি কে শর্ত দেয়া হয়েছে জামাত সঙ্গ ত্যাগ করলে উভয়ের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। আসলে ঠিক কি বিষয়ে আওয়ামীলীগ বিএন পির সাথে আলোচনা করতে চায় তা আমাদের কারো বোধগম্য নয়। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের কে প্রায়ই বলতে শোনা যায় তার পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বা সরকার গঠন করেছেন তাহলে আলোচনার এজেন্ডাটা কি? নাকি বি এন পি জামাতের মধ্যে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করাটাই মূল লক্ষ্য? এর মানে কি এই দাঁড়ায় বিগত নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হলে এবং জামাত বি এন পি এক সাথে নির্বাচন করলে আওয়ামীলীগ হেরে যেতো?

কাল মাহবুব আলম হানিফ আলোচনার নতুন শর্ত দিতে দেখলাম, আলোচনায় আসতে হলে নাকি বি এন পি কে বলতে হবে এই সরকার বৈধ, অবৈধ নয়। এই সব আবাল প্রস্তাব দিয়ে নিজেদের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে সরকার নিজেই।



দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ের পর অতি মাত্রায় আওয়ামীলীগদের কেউ কেউকে অতি উৎসাহী হয়ে বি এন পি প্রধানকে ঐ মামলায় জড়াবার প্রাণান্ত চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই বহিঃপ্রকাশ। পরবর্তী কোন সরকার এসে যদি বি ডি আর বিদ্রোহ বা পদ্মা সেতু দুর্নীতি কিংবা হলমার্ক কেলেঙ্কারি অথবা শেয়ার বাজার দূর্নীতির সাথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সম্পৃক্ততা দাবী করে মামলাটুকে দেয় তখন সাধারণ মানুষ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আজকের সরকারের অবস্থান মনে করবে। প্রতিহিংসা প্রতিহিংসা বাড়ায় এটা সকলের মনে রাখা দরকার।



সরকার কতোটা স্বচ্ছ বা সুন্দর ভাবে দেশ পরিচালনা করবে তা হয়তো বলার সময় এখনো আসেনি তবে তুলনা মূলক দুর্বল বিরোধীদলের বিপরীতে দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে আমাদের সরকার যেনো অতি মাত্রায় স্বেচ্চাচারী বা স্বৈরাচার না হয়ে উঠে সেটাই কামনা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

ব্লাক উড বলেছেন: আওয়ামীলীগতো আজীবনই স্বৈরাচার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.