নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন নিয়মিত ব্লগার। মুক্তচিন্তার প্রকাশ ও চর্চা করি, গান শুনি, মুভি দেখি, আড্ডা মারি, ঘুরে বেড়াই আর জীবনকে উপভোগ করি। কারন জীবন তো একটাই। facebook.com/kamikaze.agnostic.blogger ব্লগ সাইটঃ thekamikazeblog.wordpress.com

কামিকাজি

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা ধর্মের প্রাচীর

কামিকাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিয়া ক্রাইসিস ও কিছু পর্যালোচনা

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

প্রসঙ্গঃ সিরিয়া ক্রাইসিস
--------------------------------------------------------------------------------------------------------
একের পর এক সিরিয়ার গ্রাম ও শহরগুলি আইসিস নামক নরপশুদের দখলে চলে যাওয়ার ফলে সিরিয়ার অধিবাসিরা ছুটছে ইউরোপের দিকে। হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। মানবিক দিক দিয়ে চিন্তা করলে মানুষ হিসেবে সবার কর্তব্য তাদেরকে আশ্রয় দেয়া এবং সাহায্য করা।
কিন্তু যেই প্রশ্নগুলি আমাদের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে সেগুলো আমার নজর এড়ায়নি। প্রশ্নগুলি আমাকেও চিন্তিত করেছে। আপনাদের করেছে কি?

১) সব মিলিয়ে প্রায় ১ মিলিয়ন সিরিয়ান অভিবাসী ইউরোপের দিকে আসছে, আপনার কি ধারনা সবাই আইসিস দ্বারা আক্রান্ত?
২) আশ্রয় যদি দরকারই হবে, তবে মিডলইস্টের অনেক দেশ আছে যারা যুদ্ধ-আক্রান্ত নয়। যেমন, টার্কি, লিবিয়া, আলজেরিয়া, ইরাক, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত।
এত দেশ থাকতে কেন ইউরোপেই আশ্রয় নিতে হবে? তাও শুধুই জার্মানিতে? কারন জার্মানি গেলেই সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। যাদের কোন যুদ্ধ সংক্রান্ত সমস্যাই নেই তারাও ভিটেমাটি বিক্রি করে রওনা দিয়েছেন জার্মানির উদ্দেশে।
সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত হয়তবা আশ্রয় দিবে না, কিন্তু অন্য দেশগুলো কি দোষ করলো?
৩) যারা ইউরোপে আসছে তাদেরকে গ্রীসের মতো গরিব রাষ্ট্র যতটুকু সম্ভব সাহায্য করছে, তারপরেও তারা খুশি নয়। এমন ভাবে পানি খাবারের জন্য দাবি করছে, যেন গ্রীস তাদের খাবার, পানি দিতে বাধ্য। হাঙ্গেরির পুলিশের দেয়া খাবার, পানির বোতল লাথি দিয়ে ফেলে দিচ্ছে তাদেরকে পাবলিক ট্রেনে গাদাগাদি করে উঠতে দিচ্ছেনা তাই।রেডক্রসের দেয়া সাহায্য ফেলে দিচ্ছে শুধুমাত্র খাবারের গায়ে ক্রস চিহ্ন থাকার কারনে। নুন্যতম সৌজন্যবোধটুকু নেই।
৪) প্রায় প্রতিদিন গ্রীস ও হাঙ্গেরির পুলিশের সাথে মারামারি লেগেই আছে, গ্রীসের পর্যটক সংখ্যা শূন্যের কোঠায়। পুরো ইউরোপ বিশেষ করে হাঙ্গেরির রাস্তাঘাট, রেলস্টেশনের দুরবস্থা চোখে পড়ার মতো। যেই ইউরোপে কোন বর্ডার ছিলনা আজ অনেক দেশেই দেখা যাচ্ছে কাটাতারের বেড়া। আর কয়েকদিন এমন চললে পুরো ইউরোপের অবস্থা কি হবে সহজেই অনুমেয়।
৫) শরণার্থীদের সাথে কত সন্ত্রাসী, আইসিস ইউরোপে ঢুকে পরছে তা ফিল্টার করার সুযোগ কোথায়? আইসিস এর হিসাবমতে তারা ৪ হাজারের মতো সশস্র আইসিস যোদ্ধা শরণার্থীদের সাথে ঢুকিয়ে দিয়েছে ইউরোপে। আইসিসের সিরিয়া প্রধান মুচকি হেসে বলেছেন, ''জাস্ট ওয়েট''। যাদের সনাক্ত করা গেছে তাদের ছবি সংযুক্ত করা হল।
৬) শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ানরা আশ্রয় নিতে গেলেও তাদের সাথে যোগ দিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশের লোকজন এমনকি বাংলাদেশিরাও। ৪০-৫০ জন বাংলাদেশীকে সিরিয়ান নাগরিকদের সাথে দেখা গেছে বলে জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে। মজার ব্যাপার হল, আফ্রিকার টোগোর ৩ জন নিজেদের সিরিয়ান দাবি করে আশ্রয় প্রার্থনা করেছে।
৭) যারা ইতিমধ্যে জার্মানি পৌঁছে গেছেন তাদের জার্মানিরা হাসিমুখে করতালির মাধ্যমে বরন করে নিচ্ছেন, দৃশ্যটা খুবই সুন্দর। আর যারা পোঁছাচ্ছেন তাদের অঙ্গভঙ্গি দেখে মনে হল যেন তারা কোন সেলিব্রেটি। এমনকি তাদের পোশাক আশাক দেখে বোঝার উপায় নেই এরা শরণার্থী,মনে হল কয়েকজন টুরিস্ট জার্মানি ঘুরতে এসেছেন।

আমি শরণার্থীদের সাহায্যের বিপক্ষে নই। কিন্তু এই সহমর্মিতা, মনুষ্যত্ব ও সরলতার যদি কেউ সুযোগ নেয় আমি সেটারও পক্ষে নই। ইউরোপের নাগরিকদের এত জেনরিসিটির যদি পরিনাম হয় উলটো, সেটা সমর্থনযোগ্য নয়।
যে ইউরোপ আজ বুক খুলে সবাইকে আমন্ত্রন জানাচ্ছে, এই বুকেই যদি ভবিষ্যতে কেউ ছুরি বসায় আমি সেটারই ভয় পাচ্ছি।
মনুষ্যত্বের জয় হোক।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪২

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ভালো লেখছেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.