নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন নিয়মিত ব্লগার। মুক্তচিন্তার প্রকাশ ও চর্চা করি, গান শুনি, মুভি দেখি, আড্ডা মারি, ঘুরে বেড়াই আর জীবনকে উপভোগ করি। কারন জীবন তো একটাই। facebook.com/kamikaze.agnostic.blogger ব্লগ সাইটঃ thekamikazeblog.wordpress.com

কামিকাজি

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা ধর্মের প্রাচীর

কামিকাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চাই, কিন্তু শরিয়া আইন চাইনা। কিন্তু কেন?

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:২৪

যারা যারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দেখতে চান, তারা কি আদৌ তা চান?

আমি তো চাই বাংলাদেশকে ইসলামী রাস্ট্র ঘোষনা করা হোক, দেশে শরিয়া আইন চালু করা হোক, কুরআনের আইনে দেশ চলুক।:D

আসুন আমরা দেখে নেই, বাংলাদেশকে ইসলামী রাস্ট্র ঘোষনা করা হলে কি কি পরিবর্তন আসবে।

১) গান বাজনা, নাটক, সিনেমা, সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। টিভি চ্যানেলে শুধু ইসলামি অনুষ্ঠান ও নিউজ থাকবে।

২) পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, নবান্ন উৎসবের মত সব ধরনের বাঙালি অনুষ্ঠান বন্ধ।

৩) ভ্যলেন্টাইন্স ডে, রোজ ডে ইত্যাদি বে-শরিয়তি দিবস পালন করা বন্ধ।

৪) বাংলাদেশের কোন জাদুঘরে মূর্তি, ছবি জাতীয় কিছু থাকতে পারবে না, সব ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে হবে।

৫) বাংলাদেশে যত ভাস্কর্য, যেমন স্মৃতিসৌধ, অপরাজেয় বাংলা, শহীদ মিনার ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে হবে। শিখা অনির্বাণ থাকবে না।

৬) ফেসবুক, টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকবে না। থাকলেও কোন বে-শরিয়তি বিষয় শেয়ার করলে শরিয়া আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে হবে।

৭) জেনাকারী, অপরাধী, নাস্তিকদের-মুরতাদদের জনসম্মুখে ফাঁসি কার্যকর করা হবে। চুরি - ডাকাতি করলে হাত কেটে দেয়া হবে। ধর্ষণকারীকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা, ধর্ষিতা চারজন চাক্ষুস সাক্ষী জোগাড় করতে না পারলে জেনার অপরাধে জনসম্মুখে পাথর ছুঁড়ে হত্যা।

৮) সমস্ত অমুসলিমদের নিয়মিত জিজিয়া কর দিয়ে বাংলাদেশে থাকতে হবে অন্যথায় শরিয়া আইন মোতাবেক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

৯) আইন আদালত, ভোট , সংবিধান, গনতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না। একজন খলিফা নির্বাচিত করা হবে, বিভিন্ন স্থানে শরিয়া আদালত থাকবে। তারাই কুরআন ও শরিয়া আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিবেন।

১০) মেয়েরা স্বামী অথবা পিতার অনুমতি ছাড়া বাইরে বের হতে পারবে না। বাইরে বের হলে সাথে অভিভাবকের সাথে বের হতে হবে। অন্যথায় যৌন নির্যাতন অথবা ধর্ষণের শিকার হলে মেয়েকেই দোষী সাব্যস্ত করা হবে।

১১) মেয়েরা বাইরে কাজ করতে পারবে না,গাড়ি চালাতে পারবেনা। স্বামীদের কথা না শুনলে স্বামী স্ত্রীকে প্রহার করতে পারবে, এতে স্বামীর কোন বিচার হবেনা। বাবা এবং স্বামী, কন্যা অথবা স্ত্রীকে খুন করে ফেললে তাদের ফাঁসি হবেনা, ব্লাড মানি দিয়ে বেকসুর খালাস পাওয়া সম্ভব।

১২) মহিলারা পাতলা পোশাক পরতে পারবে না।
মহিলাদের পাতলা পোশাক পরা অপরাধ তুল্য। যে মহিলা পাতলা পোশাক পরে তার দেহের বৈশিষ্ট্য দেখাবে অথবা অন্যের প্রতি হেলে পড়বে অথবা অন্যকে তার দিকে হেলে পড়তে দিবে সেও এই পর্যায়ে পড়বে।
-শারিয়া আইন ডবলু ৫২.১

১৩) খৎনা একেবারে বাধ্যতামূলক। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যে। পুরুষদের জন্যে খৎনা হবে পুং জননেন্দ্রিয়ের আবরক ত্বক কর্তন করা। মহিলাদের খৎনা হবে ভগাঙ্কুরের আবরক ত্বক ছেদন দ্বারা।
-শারিয়া আইন ই ৪.৩ (উমদাত আল সালিক)

১৪) মেয়েরা সেলফি তুলতে পারবেনা, সামাজিক মাধ্যমে মুখমণ্ডল অথবা শারীরিক গঠন প্রকাশ পায় এমন ছবি পোস্ট করতে পারবেনা। :D

১৫) কোন ধরনের পতিতালয় থাকবে না, ছেলে মেয়েদের বিয়ের কোন নির্দিষ্ট বয়স থাকবে না। ৫০ বছরের বৃদ্ধ ৬ বছরের মেয়েকেও মোহরানা প্রদানের মাধ্যমে বিয়ে করতে পারবে অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে।

আরো অনেক পরিবর্তন আসবে, সময় এবং কালির অভাবে লিখতে পারলাম না।

আশা করি যারা যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চান, তারা এর পাশাপাশি বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে দাবি জানান এবং শরিয়া আইনের শাসন কায়েম করুন।

সবাই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চায়, কিন্তু বাংলাদেশে শরিয়া আইন চায় না কেন এটা একটা বড় প্রশ্ন। কারন শরিয়া আইন আসলে যেভাবে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করত, সেটা আর সম্ভব হবে না। তখন সবার অবস্থা হবে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি।

বাংলাদেশের মুসলমানরা হল সুবিধাবাদী টাইপের, গাছেরটাও খাবে, তলারটাও কুড়োবে।

বাংলাদেশে শুধু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না, শরিয়া আইনেরও শাসন চাই।:D

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: জিজিয়া কর এতা কি ?

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫৮

কামিকাজি বলেছেন: অমুসলিমদের জন্য ট্যাক্স

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:০১

কুয়েটিয়ান পাভেল বলেছেন: ধর্ষিতা চারজন চাক্ষুস সাক্ষী জোগাড় করতে না পারলে জেনার অপরাধে জনসম্মুখে পাথর ছুঁড়ে হত্যা। - এই বানানো গল্প কোথা থেকে পেয়েছেন? আসল নিয়ম হল অভিযোগকারীকে চারজন সাক্ষী যোগাড় করতে হবে।

শিখা অণির্বানের সাথে ধর্মের কন্ট্রাডিকশন কোথায়?

জিজিয়া কর দিয়ে থাকতে হবে !! আপনি কি ভ্যাট-ট্যাক্স না দিয়ে বাংলাদেশে থাকেন নাকি?

"মেয়েরা স্বামী অথবা পিতার অনুমতি ছাড়া বাইরে বের হতে পারবে না। বাইরে বের হলে সাথে অভিভাবকের সাথে বের হতে হবে। অন্যথায় যৌন নির্যাতন অথবা ধর্ষণের শিকার হলে মেয়েকেই দোষী সাব্যস্ত করা হবে।" - সৌদি রাজতন্ত্রের নিয়মের সাথে সবকিছু গুলায় ফেলছেন!!!

" মেয়েরা বাইরে কাজ করতে পারবে না,গাড়ি চালাতে পারবেনা। স্বামীদের কথা না শুনলে স্বামী স্ত্রীকে প্রহার করতে পারবে, এতে স্বামীর কোন বিচার হবেনা। বাবা এবং স্বামী, কন্যা অথবা স্ত্রীকে খুন করে ফেললে তাদের ফাঁসি হবেনা, ব্লাড মানি দিয়ে বেকসুর খালাস পাওয়া সম্ভব।" - এটাও সৌদি রাজতন্ত্রের নিয়ম

মহিলাদের খৎনা হবে ভগাঙ্কুরের আবরক ত্বক ছেদন দ্বারা। সাথে একটা আইন এর রেফারেন্স এর জায়গায় শরীয়া আইন এ/বি/সি/ডি ২১ লিখলেই রেফারেন্স হয়ে যায় !!! মনে যা চায়, আর নেটে কারো বানানো কথা, আর একটা বানানো রেফারেন্স দিলেই হয়ে গেলো !!!

গঠনমূলক কিছু লিখতে হলে জেনে লিখুন। আর বানিয়ে বানিয়ে লিখতে হলে রূপকথার বই লিখুন।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৩৩

কামিকাজি বলেছেন: আপনি যদি ইংলিশ বুঝে থাকেন আশা করি কুরআন ঘেঁটে একটু পড়ে দেখবেন।

ধর্ষিতার ব্যাপারে কুরানে এবং ইসলামিক ল' তে কি বলা আছে নিচে দিলাম।

Quran (2:282) - Establishes that a woman's testimony is worth only half that of a man's in court (there is no "he said/she said" gridlock in Islam).

Quran (24:4) - "And those who accuse free women then do not bring four witnesses (to adultery), flog them..." Strictly speaking, this verse addresses adultery (revealed at the very time that Muhammad's favorite wife was being accused of adultery on the basis of only three witnesses coincidentally enough). However it is a part of the theological underpinning of the Sharia rule on rape, since if there are not four male witnesses, the rape "did not occur".

Quran (24:13) - "Why did they not bring four witnesses of it? But as they have not brought witnesses they are liars before Allah."

Quran (2:223) - "Your wives are as a tilth unto you; so approach your tilth when or how ye will..." There is no such thing as rape in marriage, as a man is permitted unrestricted sexual access to his wives.

A recent fatwa from a mainstream Islamic site echoes this rule and even chides a victim of incest for complaining when she has no "evidence":
However, it is not permissible to accuse the father of rape without evidence. Indeed, the Sharee’ah put some special conditions for proving Zina (fornication or adultery) that are not required in case of other crimes. The crime of Zina is not confirmed except if the fornicator admits it, or with the testimony of four trustworthy men, while the testimony of women is not accepted.
Hence, the statement of this girl or the statement of her mother in itself does not Islamically prove anything against the father, especially that the latter denies it.
Therefore, if this daughter has no evidence to prove that her accusations are true, she should not have claimed that she was raped by her father and she should not have taken him to the court. (IslamWeb.net)

শিখা অনির্বাণ থাকা মানে আগুনের পূজা করা। সুত্রঃ Click This Link

জিজিয়া করের সাথে ভ্যাট ট্যাক্সের কি সম্পর্ক বুঝলাম না। অমুসলিম হলেই জিজিয়া ট্যাক্স দিতে হবে, ভ্যাট ট্যাক্স দেয়ার পরেও।

আপনি মনে হয় জীবনে কুরআন হাদিস পড়েন নাই। এগুলো সৌদি রাজতন্ত্রের নিয়ম না। ইসলামের নিয়ম।

The Prophet (blessings and peace of Allah be upon him) said: “No woman should travel except with a mahram and no man should enter upon her unless she has a mahram with her.” A man said: O Messenger of Allah, I want to go out with such-and-such an army, but my wife wants to go for Hajj. He said: “Go with her.”

Narrated by al-Bukhaari, 1862

Muslim (1339) narrated from Abu Hurayrah (may Allah be pleased with him) that the Prophet (blessings and peace of Allah be upon him) said: “It is not permissible for a woman who believes in Allaah and the Last Day to travel the distance of one day, except with a mahram.”

আর মেয়েদের খৎনা সম্পর্কে হাদিসেও এসেছে এবং এটা শরিয়া আইনের মধ্যে পড়ে।

There are reports in the Sunnah which indicate that circumcision for women is prescribed in Islam. In Madeenah there was a woman who circumcised women and the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said to her: “Do not go to the extreme in cutting; that is better for the woman and more liked by the husband.” Narrated by Abu Dawood (5271), classed as saheeh by Shaykh al-Albaani in Saheeh Abi Dawood.

শরিয়া আইনের সুত্রঃ Click This Link

আপনার মত ধর্মান্ধ মানুষ বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলে এবং রুপকথায় বিশ্বাস করে, অক্সিজেন ছাড়াই মানুষের মুখ সদৃশ ঘোড়ায় চড়ে সাত আসমান পাড়ি দেয়। আমি যুক্তিতে বিশ্বাস করি এবং যুক্তিবাদী মানুষদের সম্মান করি।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪২

বিজন রয় বলেছেন: তাহলে তো.....

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯

সাগর মাঝি বলেছেন: ধর্মান্ধ মানুষ বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলে এবং রুপকথায় বিশ্বাস করে, অক্সিজেন ছাড়াই মানুষের মুখ সদৃশ ঘোড়ায় চড়ে সাত আসমান পাড়ি দেয়। আমি যুক্তিতে বিশ্বাস করি এবং যুক্তিবাদী মানুষদের সম্মান করি।

লেখক ভাই আপনার লেখাটা আমি ভালো করে পড়েছি। খুব ভালো লাগলো।

কিন্তু আপনি যাদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন তারা কোনদিনও আপনার সাথে একমত হবে না।
তাদের মাথা আছে ঠিকই কিন্তু ভিতরে গোবর ভরা। তাদের কান আছে ঠিকই কিন্তু কান তুলা দিয়ে বন্ধ করা।
তাদের চোখ আছে ঠিকই কিন্তু চোখ অন্ধকারে নিম্জিত।
তারা বিচার মানে ঠিকই কিন্তু তালগাছটা তাদের হতে হবে।

ধন্যবাদ লিখার জন্য।

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২০

বিপরীত বাক বলেছেন: বাংলাদেশের মুসলমানরা হল
সুবিধাবাদী টাইপের, গাছেরটাও
খাবে, তলারটাও কুড়োবে।

এদেশে ইসলাম যেভাবে করাপ্টেড হয়েছে আর কোন দেশ তা করেনি। এদেশে ধর্মপালন ও এ বিষয়ে কথা বলা পুরোপুরি ব্যান করে দেয়া দরকার। এটা সময়ের দাবি।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২১

বিপরীত বাক বলেছেন: বাংলাদেশের মুসলমানরা হল
সুবিধাবাদী টাইপের, গাছেরটাও
খাবে, তলারটাও কুড়োবে।

এদেশে ইসলাম যেভাবে করাপ্টেড হয়েছে আর কোন দেশ তা করেনি। এদেশে ধর্মপালন ও এ বিষয়ে কথা বলা পুরোপুরি ব্যান করে দেয়া দরকার। এটা সময়ের দাবি।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২১

রাজু বলেছেন: এটা আপনার মনগড়া মন্তব্য। স্বধীনতার ৪০ বছর পরও কিন্তু ইসলাম ছিল। চাইলে তখন থেকেই এই আইন গুলি করাযেত। আপনে এটা বিরুদ্ধে যাওয়ার করন, সব শিয়ালের মরগির স্বাধিনতা চাই...হা হা হা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.