নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে - ১৬

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২০


ফেরার পথে আমি ম্যুভেন পিকের আইস্ক্রিম পারলারটাতে থামলাম কিছু সময়ের জন্য। উদ্দেশ্য আইসক্রিম নয় আসলে বাড়ি ফিরে যাবার আগে আমি কিছুটা সময় নিজের মত কাটাতে চাচ্ছিলাম। নিজের মত করে ভাবতে চাচ্ছিলাম। ওদের দোতলার বড় উইন্ডো গ্লাসটার ধারে এক বাটি বাটারস্কচ আইসক্রিম নিয়ে বসলাম আমি, কিছুটা নিজের মত সময় কাটাতেই। নীচে চলমান রাজপথে তখন ব্যাস্ত নগরীর ছবি। একের পর এক গাড়ি ছুটে চলেছে অবিরাম। ছোট ছোট একদল ফুলশিশুরা ঘিরে ধরেছে এক বিদেশিনীকে। বিরক্ত করছে ফুল নেবার জন্য। আমাদের দেশী কাউকে এইভাবে বিরক্ত করলে তার ফল ভালো হত না ওদের জন্য। কিন্তু এই বিদেশী রমনী হাসি মুখে ওদের কথা শোনার ও বুঝার চেষ্টা করছেন। পাশে একটু দূরেই দাঁড়িয়ে হাসছে পানওয়ালা । তার জন্য বিদেশিনীর এই এক দঙ্গল শিশুদের কাছে বিব্রত হবার দৃশ্যটা যেন বড়ই মজার।

ভাবছিলাম আমি, আরবাজ চৌধুরীর কথা। কি অমায়িক নিপাট একজন ভদ্রলোক। এতগুলো বছর বিদেশে কাটিয়েও বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসার টান এক বিন্দু কমেনি তার। জীবনসঙ্গিনী হিসাবেও পেতে চান কোনো বাঙ্গালী ললনাকেই। কথা বার্তা আচার আচরণে চৌকশ ও কেতা দুরস্ত একজন মানুষ। অথচ মানুষকে আপন করে নেবার যেন এক আশ্চর্য্য ক্ষমতা রয়েছে তার। পাত্র হিসাবে তিনি এক নাম্বারের আরও অনেক বেশি উপরেই থাকবেন। যে কোনো মা বাবাই লুফে নেবেন তাকে তাদের কন্যার জন্য। যে কোনো পাত্রীরও বুঝি তাকে ফেরানোর ক্ষমতা বা দুঃসাহস কোনোটাই হবে না। কিন্তু আমি! আমি কি করবো? আইস্ক্রিমের বাটিতে বাটার স্কচ গলতে থাকে। আমি জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকি দূরে। আশে পাশে কাপলদের ভীড় বাড়তে থাকে। টুং টাং বাটি চামচের আওয়াজ, মৃদু কথন, হাসাহাসি ভেসে বেড়ায় আমার চারপাশ ঘিরে। আমাকে একা একা এইভাবে বসে থাকতে দেখে অনেকেই আমার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে। তাকাবার কারণ হয়তো এই একা একা বসে থাকাটাই না, আসলে এমন আনউইজ্যুয়াল পোষাক আশাকে এখানে কেউ আইসক্রিম খেতে আসেনা। আমি ভেবে কোনো কূল কিনারা পাইনা। কি করবো আমি? বাড়ি ফিরে মা যখন জিগাসা করবেন কি জবাব দেবো তার?

সন্ধ্যার অনেক পরে বাড়ি ফিরি আমি। মাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। চুপচাপ নিজের ঘরে ফিরে আসি। পোষাক পালটে হাত মুখ ধুঁয়ে বিছানায় পা তুলে বসে ভাবতে থাকি। আরবাজ চৌধুরীর কথা। আজ সারাদিনের দৃশ্যচিত্র আমার চোখের সামনে সদ্য দেখা কোনো জলজ্যান্ত ম্যুভির দৃশ্যের মতই ভাসতে থাকে। বিছানার উপর পড়ে আছে সেই ছোট বড় মাঝারি চার রকমের চারটি গিফ্ট বক্স। মনে হয় শিউলিই রেখে গেছে। উপহারগুলো ঝাঁ চকচকে গোল্ডেন র‌্যাপিং পেপারে মোড়ানো হয়েছে খুব সুনিপুনভাবে। আমার মনে হঠাৎ প্রশ্ন জাগে আচ্ছা আরবাজ চৌধুরী কি শুধু আমাকেই পাত্রী নির্বাচন করেছেন নাকি উনি বিয়ের উদ্দেশ্যে দেশে এসে একের পর এক মেয়ে দেখে বেড়াচ্ছেন? তাই যদি হয় তবে কি উনি সব কটি পাত্রীকেই এই ভাবে ছোট বড় মাঝারি ও গোল্ডেন পেপারে মুড়িয়ে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন? আমার মাথায় নানা প্রশ্ন খেলা করতে থাকে। কোনোটারই উত্তর পাই না আমি। আচ্ছা কে এই আরবাজ চৌধুরী? কোথায় পেলেন মা একে? মায়ের কাছে কিছু প্রশ্ন এবার করতেই হবে আমাকে। আমি রাতে কিছু খাবো না বলে ঠিক করলাম। আমি না খেলে যে কেউই আমাকে ডাকতে আসবেনা সে বেশ জানি। কিন্তু আজ শিউলী এলো। বললো, খালাম্মা আপনাকে ডিনারের পরে উনার রুমে ডেকেছেন। আপনার সাথে জরুরী কথা আছে নাকি।

আমি বললাম, মাকে বলে দাও, আমি রাতে খাবো না। আজ রাতে আমি কথাও বলতে পারবোনা কারো সাথে। যা বলার কালকে বলবো। কাল সকালে।

এতগুলো কথা বলে আমি নিজেই অবাক হচ্ছিলাম। কোনোদিন আজ পর্যন্ত মায়ের অমতে বা মায়ের মুখের উপরে আমি কোনো কথা বলিনি। তার ইচ্ছা অনিচ্ছার বিরুদ্ধে যাইনি। আজ প্রথম আমি মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু বললাম। এই কাজটার জন্য আমার ভেতরে এক আনন্দ হচ্ছিলো। কেনো সেই আনন্দ আমি ঠিক জানিনা। শিউলী চলে গেলো।যাবার আগে আমি ওকে লাইট অফ করে দরজা লক করে দিয়ে যেতে বললাম। গোল্ডেন পেপার মোড়ানো গিফটগুলি বেডের এক সাইডে ঠেলে দিয়ে। আমি শুয়ে পড়লাম। হাত বাড়িয়ে সাইড টেবিলের উপর নীল ডিমলাইটের বেড সাইড ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে সেই ছোট্ট বেলার দিনগুলো, আমার আসল বাবার বাড়ি থেকে শুরু করে নানা কথা নানা দৃশ্য ফ্ল্যাশব্যাকের মত ভাবতে শুরু করলাম। এ আমার এক মজার খেলা। প্রায় প্রতিদিনই আমি ঘুমুতে যাবার আগে আমার শৈশব, কৈশোর, অতীত এবং এসবের ব্যাথা বেদনা আনন্দ ভালোবাসা ভালো লাগা নিয়ে ভাবি। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ি। আমার ভাবনা চিন্তার ডালপালা যে এত বেশি প্রসারিত যে মাঝে মাঝে আমি অতীতের সাথে সাথে ভবিষ্যতও চলে যাই। আর এই ভাবনার পাখায় ভাসতে ভাসতে ভবিষ্যৎ বা ব্যাক টু দ্যা ফিউচারে যখনই হারাই, নিজেকে আমি দেখি এক অদ্ভুত জগতে। সেই স্বপ্নে আমি বেগুনী কিংবা সবুজ সূতি জরিপাড় শাড়ী টান টান করে পরা কোনো এক নিবেদিত প্রান সমাজকর্মী টাইপ কাউকেই দেখি যেটা কিনা আমি নিজেই। এই রকমটা আমি স্বপ্ন ছাড়া জেগে থেকে কখনই ভাবি না। স্বপ্নের নাকি রঙ নেই শুনেছি কিন্তু স্বপ্নে আমি লাল নীল হলুদ সবুজ কিংবা কমলা রঙের জরিপাড় শাড়িতে নিজেকে ঠিকই দেখতে পাই।


জানিনা কতক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম। ঘুম ভাঙ্গলো ফোনের শব্দে। এত রাতে কে ফোন করছে? মনে পড়ে সেই আমলের বিশাল সেলফোনটা বিছানার মাথার কাছে ভুতুড়ে আমেজে দপ দপ করে জ্বলছিলো, নিভছিলো। আমি ফোনটা ধরতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসলো আরবাজ চৌধুরীর পরিশিলীত সুমার্জিত কন্ঠস্বর।
-স্যরি। ঘুমিয়ে পড়েছিলেন?
আমি ঘুম থেকে উঠে থতমত খেয়ে কি বলবো না বলবো খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আর তাছাড়া সন্ধ্যা থেকে ঘুমাচ্ছি। কতটাই বা বেজেছে কে জানে! আমি বললাম না মানে, খুব ক্লান্ত লাগছিলো তাই....আমাকে থামিয়ে দিয়ে উনি বললেন,
-আসলে আমি নিজেই এত রাতে কেনো ফোন করে বসলাম জানিনা। এটা খুবই অভব্যতা হলো হয়তো। কিন্তু একটা কথা বলতে আপনাকে এই অসময়ে আপনাকে ফোন দেওয়া। আমি আসলে কোনো কথা চেপে রাখতে পারিনা এবং স্পষ্ট করে বলতেই ভালোবাসি। হঠাৎ মনে হলো আপনাকে আমার বলা হয়নি-
আরবাজ চৌধুরী থমকালেন। তারপর আবার বলতে শুরু করলেন,
- আমি যা বলতে এত রাতে আপনাকে ফোন দিয়েছি মানে যে কথাটা আজ আপনাকে আমার বলা হয়নি সেটা হলো, আমি ঠিক যেমনটি চেয়েছিলাম আপনি ঠিক সেই মেয়েটিই।
আমি মৃদু চমকালাম। আরবাজ চৌধুরী বলে চলেছেন,
- দেখেন সারাজীবন পড়ালেখা নিয়েই কাটিয়েছি। যদিও কলেজে আমি সেরা তার্কিক ছিলাম, টেবিল টেনিসেও চ্যাম্পিওন খেতাব পেয়েছি তবুও এই পড়া পড়া করেই কোনোদিন কোনো মেয়ের দিকে ফিরে তাকাবার সময় হয়নি আমার। তবুও মনের মাঝে একটি আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো। সেই স্বপ্নে যেই মেয়েটিকে আমি মনের মাধুরী মিশিয়ে এঁকেছি সে হুবুহু আপনিই। আপনি যাবার পরেও আপনার ছবি আমি মন দিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছি। আপনি কি জানেন বিধাতা সবচেয়ে সুন্দর করে আপনার কোন জিনিসটি গড়েছেন? সে আপনার এই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দু'টি হাত। ঐ অদ্ভুত সুন্দর হাত দু'টি দিয়ে পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য্যের সৃষ্টি করা যায়। ঐ যাদুকরী হাত একটাবার কারো কপালে রাখলে যে কারো অসুখ সেরে যাবে। আপনি ঠিক আমার মনের মতন। কল্পনায় আমি যে মেয়েটিকে নীল শাড়ি এবং রেশমী চুড়িতে সাজিয়েছি, সে আপনি ছাড়া কেউ নন।
আমি চুপচাপ শুনছিলাম। আমার ভীষন কষ্ট হচ্ছিলো। হঠাৎ ফুঁপিয়ে উঠলাম আমি। আরবাজ চৌধুরী বেশ অবাক হলেন। উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন। বার বার জানতে চাইলেন। উনি উনার অজান্তে কোনো দুঃখ দিয়ে ফেলেছেন কিনা। যদিও মা বলেছেন তাকে আমার কোনো সাত কাহনই না জানাতে তবুও এই অসম্ভব কাজটি কোনোভাবেই আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আরবাজকে আমি সব জানাবো। আমার অতীত, আমার লড়াই, আমার হার, জয় কিংবা পরাজয়। সবই জানাবো আমি তাকে। নিজেকে সামলালাম। উনার থেকে ১০টা মিনিট চেয়ে নিলাম নিজেকে ধাতস্ত করবার জন্য।

চোখে মুখে পানির ঝাঁপটা দিয়ে ছাঁদের সিড়ি বেয়ে ছাঁদে চলে এলাম ঐ অত রাতে একা একা। রাতের আকাশে সেদিনও চাঁদ ও চকোরের খেলা। হিম হিম বাতাসের শীতল পরশে শরীর জুড়িয়ে যাচ্ছিলো। আমি রেলিং এর আলসে ঘেসে বসে ফোন দিলাম উনাকে। ফোন ধরেই উনি বললেন,
- ১০ মিনিটের কথা বলে তো পৌনে এক ঘন্টা কাটিয়ে দিলেন। আমি তো ভেবেছিলাম ফের ঘুমিয়ে পড়লেন।
আমি লজ্জা পেয়ে বললাম,
- না না ঘুমাইনি। আসলে সন্ধ্যা থেকে ঘুমাচ্ছিলাম তো.....
আসলে আমার খুব লজ্জা লাগছিলো কিছু আগে উনার সামনে মানে ফোনে কেঁদে ফেলার কারণে। এটা কিছুতেই আমার ঠিক হয়নি। নিজেকে অপরাধী লাগছিলো। বেচারা কত স্বপ্ন নিয়ে....অথচ আমি.....আমাকে অবাক করে দিয়ে সেসবের কিছু জিগাসা না করেই আরবাজ বললেন,
- একটা গান শুনাবেন? আমি রাজী হয়ে গেলাম। কারণ এই মুহুর্তে তার সাথে কথা চালানোর চাইতে বরং এই কাজ অনেক সহজ। কিন্তু কি গান শোনাবো? সাত পাঁচ কিছু না ভেবেই আমি গান গাইতে শুরু করলাম,


আমার প্রাণের 'পরে চলে গেল কে
বসন্তের বাতাসটুকুর মতো।
সে যে ছুঁয়ে গেল, নুয়ে গেল রে--ফুল ফুটিয়ে গেল শত শত।
সে চলে গেল, বলে গেল না-- সে কোথায় গেল ফিরে এল না।
সে যেতে যেতে চেয়ে গেল কী যেন গেয়ে গেল--
তাই আপন-মনে বসে আছি কুসুমবনেতে।

আমি থেমে গেলাম। কিছু আগেই কান্নার কারণে আমার গলা ধরে আসছিলো তবুও সেসব উপেক্ষা করেই আমি গাইছিলাম। আমি থেমে যাওয়ায় উনি উতলা হয়ে উঠলেন। বললেন, প্লিজ থামবেন না। পুরো গানটা শোনান.... আমি আবার শুরু করলাম সেই ধরে আসা গলাতেই।

সে ঢেউয়ের মতন ভেসে গেছে, চাঁদের আলোর দেশে গেছে,
যেখান দিয়ে হেসে গেছে, হাসি তার রেখে গেছে রে--
মনে হল আঁখির কোণে আমায় যেন ডেকে গেছে সে।
আমি কোথায় যাব, কোথায় যাব, ভাবতেছি তাই একলা বসে।

সে চাঁদের চোখে বুলিয়ে গেল ঘুমের ঘোর।
সে রাণের কোথায় দুলিয়ে গেল ফুলের ডোর।
কুসুমবনের উপর দিয়ে কী কথা সে বলে গেল,
ফুলের গন্ধ পাগল হয়ে সঙ্গে তারি চলে গেলো
হৃদয় আমার আকুল হল, নয়ন আমার মুদে এলে রে--
কোথা দিয়ে কোথায় গেল সে॥


মধ্যরাত্রীর হিম হিম শীতল বাতাস তখন বেশ জোর হাওয়ায় রূপ নিয়েছে। উতল বাতাসে শন শন হাওয়া। আমার গানের প্রতিটি চরণ, কথা ও বাণী খান খান হয়ে ভেঙ্গে পড়ছিলো সেই মধ্যরাত্রীর ক্ষন প্রহরে।

গান শেষ হলো। বেশ কিছুক্ষণ মৌন নীরবতায় কেটে যাবার পরে আরবাজ চৌধুরী জিগাসা করলেন,

- তুমি তাকে ভুলতে পারোনি না?

আমি চমকালাম......

ভীষণ চমকালাম আমি......

(চলবে)

একি খেলা আপন সনে- ১৫

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার খুব ইচ্ছে করছে এই ঠিকমতো শেইপ আপ না হওয়া সম্পর্কের পরিনতি কি তা বলে দিতে। কিন্তু সবাই, আই মিন, যারা খুব আগ্রহ নিয়ে এই লেখা পড়ছেন তারা রাগ করবেন!!

বরাবরের মতোই, অসম্ভব সুন্দর লেখা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বলে দেন। কিভাবে কেউ রাগ করবে বলেন? তারা তো কি ঘটতে যাচ্ছে জানে না । এটাও জানেনা যে আপনি আমার ঘটনাটা সত্যিই যে জানেন।
আমার তো এবার নিজেরই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে তাদের পরিনতি কি হবে?
মফিজভাই আমার সন্দেহ হচ্ছে আপনিও আরবাজ চৌধুরীর মতনই কেউ নন তো?

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪০

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এই পর্ব টাও ভালো লেগেছে আপু । আপু প্রথম হয়েছি । আইসক্রিম দিন ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আইসক্রিম চান? ছবিতে আইসক্রিম খেলে চলবে? যদি চলে তো বলেন। এখুনি হাজির করছি।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ধুর ২য় হয়ে গেলাম । :|

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার জন্য আইসক্রিম এনেছি।

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আমি তৃতীয় হইলাম। আগে এক কাপ চা পাওনা ছিল। এবার কফি পাওনা হইল :P দেরী করিলে কাজা-কাফফারা দিতে হইবে কিন্তু! B-))

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আজ সবাই চা, কফি, আইসক্রিম চাচ্ছেন কেনো? এযে দেখছি গল্প শোনাতে গেলে খাইয়ে দাইয়ে শোনাতে হবে। আপনিও আপাতত আইস্ক্রিমই নেন।

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: একেতো ঠান্ডারা পেয়েছে। আইসক্রিম দিয়া সর্বনাশ করিলেন রাজকন্যা... =p~
আমার চা-কফি চাই!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নেক্সট পর্বে চা বানিয়ে রাখবো। এখন তো চা নাই কাছকাছি।

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিভাবে কেউ রাগ করবে বলেন? এটা একটা কথা বললেন!! কেউ একটা মুভি দেখছে বা বই পড়ছে, আপনি যদি বলে দেন কি হতে যাচ্ছে, রাগ করবে না!!! আমার তো খুন করে ফেলতে ইচ্ছা করবে।
আপনিও আরবাজ চৌধুরীর মতনই কেউ নন তো হা হা হা, আমি এরকম কেউ না। আই এ্যাম নোবডি।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না আপনি বলেন। আপনি তো লিখছেন না । আর আমার গল্প মোটামুটি লেখা আছে। আমি বদলে দেবো না। মিলে গেলে মিলে যাাবে। শুধু প্রমান পাওয়া হবে আপনি নিজেই আরবাজ চৌধুরীর মতনই কেউ। তাই প্রেডিকশন সঠিক ছিলো ধরে নেবো।

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

আমার আব্বা বলেছেন: আমি চাই শীতে খেজুরের মিষ্টি সাহিত্য রস সেখানে গোপাল ভাঁড়ের রশিকতা নাই ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনি কোনটা চান? বুঝলাম না ভাই।

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পর্বটি পড়েছি সত্য তবে চিত্রায়নের মতো। গতপর্ব পাঠ শেষে যা কিছু এই পর্ব সম্পর্কে দারণা জন্মেছিল তার কিছুর প্রতিফল দেখে আরো বেশী ভাল লাগলো এই পর্বটিও। আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ বোন আপনাকে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সুজনভাই অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পর্ব চোখে না পড়লে আমি গিয়ে আপনাকে জানিয়ে আসতাম।

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ধুর ২য় হয়ে গেলাম । :| স্যরি, আগে জানলে একটু পর কমেন্ট করতাম। তবে চাইলে আমিও আইসক্রিম খাওয়াতে পারি!!!!!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনিই খাইয়ে দেন হাফসা আপাকে। উনার প্রথম না হবার কারণ আপনি। দায় কিছুটা আপনার আছে বটে।

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

আব্দুল্লাহ আল তানিম বলেছেন: ভালো লেগেছে..।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ তানিমভাই।

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

আমার আব্বা বলেছেন: যা ব্যক্তিকে, মনকে, সমাজকে, , রাষ্ট্রকে, বিশ্বকে এবং যা কুপ্রবৃত্তিকে প্রভাবিত না করে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বাহ! বড় ভালো চাওয়া। বিশ্ব বিধাতা আমাদের কাজে সহায় হোন।

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: কী বলব বুঝতে পারছি না। রোমেনা আফাজ স্টাইলে ইতি টানলেন!
এ পর্ব পড়ে কোন উপসংহারে পৌঁছুতে পারলাম না। আগামী পর্ব পড়ার পর মন্তব্য করব।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: রোমেনা আফাজের ইতি টানার স্টাইলটা জেনে মজা পেয়েছি। এ পর্বে কোনো উপসংহার নেই। পরের পর্বে কিছু থাকবে। তবে বেশি পর্ব আর টানছি না আমি। নিজেই এ লেখায় নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। সব সময় মন এই লেখাতেই পড়ে থাকে।

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি । আইসক্রিম ভালো ছিল ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আইসক্রিমওয়ালাকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেবো। ভালো থাকবেন হাফসা আপা।

১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৩

কাতিআশা বলেছেন: খুব সুন্দর as usual!...

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ কাতিআশা। এই নামের অর্থ কি? রাশান উপকথা থেকে?

১৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আইসক্রিমের ছবি দেখে এর লোভ সামলাতে পারলাম না.......... :P



গল্প পরে পড়ে নিবো!!!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ইদানিং বেশ ঠান্ডা পড়েছে। এই ঠান্ডায় আইসক্রিম খাওয়াটা কি ঠিক হবে? ভেবে দেখেন আরেকবার।

১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:



আচ্ছা পরের পর্বে দেখি

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ পরের পর্বে নতুন কিছুই ঘটতে যাচ্ছে।

১৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মানব মনের বিচিত্রতর ভাবনার প্রকৃতি নিয়ে আপনার এই সিরিজটি।। একই সাথে মা এবং মেয়ের ভাবনাগুলি সাথে তাদের মানসিকতাকেও ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করছেন (যদিও আমি সবটা পড়ি নি)!!
গল্প বা উপন্যাসের ভাবনা করছেন কি??

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সময় হলে সবটা পড়েন সচেতনহ্যাপী ভাই।

তেমন ভাবনা নিয়ে লেখাটা শুরু করিনি। তবে পাঠকের এত এত উৎসাহে ভাবছি কি করা যায়।

১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৮

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন:
সে ঢেউয়ের মতন ভেসে গেছে, চাঁদের আলোর দেশে গেছে,
যেখান দিয়ে হেসে গেছে, হাসি তার রেখে গেছে রে—

হুমম্‌! তাইতো বলি! কাদম্বরীদেবীর বিরহে(বিয়োজনে) রচিত রবিবাবুর এ গানটা-ই বা কেন? আবার, ঠিক ঐ গান শুনেই সাথে সাথে আরবাজ চৌধুরীর আপনি থেকে তুমিতে নেমে যাওয়া - সচকিত প্রশ্ন - তুমি কি তাকে ভুলতে পারনি না - নিশ্চত একটা কিছুর ইংগিত দেয়।

যে জন দেয় না দেখা যায় যে দেখে,
ভালো বাসে আড়াল থেকে।
আমার মন মোজেছে সেই গভীরে ...

আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি,
পথে যে জন ভাসায়।।

দারুন ভাললাগা আবারও। ধন্যবাদ রাজকন্যে, ভাল থাকুন যথাস্তু।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জানতে ইচ্ছে করে স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি বা আরও কোনো উচ্চতর শিক্ষাক্ষেত্রে আপনার রেজাল্ট কি ছিলো। আপনি যে এত মনোযোগী পাঠক ভেবে অবাক হই। অবশ্য অংকের মাথা থাকলে মনোযোগী হবারই কথা। রবীন্দ্র সঙ্গীতও ভালোই জানা আছে আপনার।

আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়
আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি,
পথে যে জন ভাসায়।।

গানটি একটা সময় আমার কানে সদা জগরুক ছিলো।

সে অবশ্য অনেক পরের কথা।

পরের গল্প....

১৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০১

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: আর হ্যাঁ! আমারও কিন্তু বাটারস্কচটাই চাই - যদিও শীতের কাঁপন শুরু হয় হয়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা নিয়ে আসবো।

২০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:১০

নীল-দর্পণ বলেছেন: উফ এমন একটা যায়গায় এসে পর্বটা থামিয়ে দেন একদম দম বন্ধ হয়ে যাই যাই অবস্থা। অবশ্য এটাই লেখকের মুন্সীয়ানা, এখানেই স্বার্থকতা।

অনেক অনেক ভাললাগা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ইচ্ছা করে থামাই না। আমাকেই থেমে থেমে লিখতে হয় যে। অশেষ ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা নীল দর্পণ।

২১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গরম-গরম আইসক্রিম দিয়ে শুরু করেছেন দেখছি ;)
এই পর্বে মনে হল একটু ফাঁকি দিয়েছেন।মানে এই পর্বটি বেশ ছোট মনে হল।
তবুও দারুন হয়েছে।পরের পর্বের অপেক্ষায়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ এই পর্বটি একটু ছোট হয়েছে। মেনে নিচ্ছি। তবে কিছু করার ছিলো না এখানে থামতেই হলো।

আর আমার আইসক্রিম ঠান্ডা ছিলো তবে গরম আইসক্রিম আজকাল চল হয়েছে।

টোকিও এক্সপ্রেসে এ আইসক্রিম খেয়ে আমার গলার বারোটা বেজেছিলো।

২২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: খুবই দ্রুত হচ্ছে গত পর্ব আর এই পর্বের গল্পগুলো | যাক, বন্ধু নীল দর্পনের সাথে একমত হয়েও বলছি এই আরবাজ সাহেবের সাথে সম্পর্কটা ভেঙে দিন | নইলেতো নটে গাছটি মুড়ে যাবে এখানেই | লেখাটা এখানেই শেষ না করে আমাদের আরো দীর্ঘ ভালো লাগার সাথে জড়িয়ে রাখুন | খুব মনখারাপ হলে আপনি বাটারস্কচ ফ্লেভার আইসক্রিম খান ? অবশ্য খুব চড়া টেস্ট | এলার্ট করে রাখতেই পারে যে কাউকে | ভালো লাগা লেখায় অনেক অনেক |

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আরবাজ সাহেবের মত মানুষের সাথে কি কারো বন্ধুত্ব ভাঙ্গা সম্ভব? কি মনে হয় আপনার? কিছু কিছু সম্পর্কের নটে গাছ আমৃত্যু বা মৃত্যুর পরেও রয়ে যায়।


দীর্ঘ ভালোলাগায় বেঁধে রাখতে গেলে নিজেকেই বেঁধে ফেলতে হবে। আমি বন্ধন পছন্দ করি না মানে বেশি আষ্ঠেপৃষ্ঠে বন্ধন আমার ঠি সহ্য হয় না । সেই ক্ষেত্রে লেখাটা শেষ করে দেওয়াটাই ভালো বোধ হয়।
আমি না আমার গল্পের মেয়েটা খেয়েছিলো। আমি মিন্ট বা ইংলিশ টফি বেশি পছন্দ করি।

অশেষ অশেষ ধন্যবাদ মলাসইলমুইনা ভাই। ভালো থাকবেন।

২৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম আইস আইস কুল কুল লেখা।

আইসক্রিম ভাজার মত উপরে হট ভেতরে সফট মিষ্টি !!!!



ভালোলাগা ভালোলাগা !!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ অশেষ ধন্যবাদ আপা।

২৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শকুন দৃষ্টি আর নীল দর্পনে সহমত :)

মুগ্ধতায় বুদ হয়ে পড়ে যাচ্ছি :)

++++++++++++

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা।

২৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

সামিয়া বলেছেন: বাংলা ছবিতে এই কাহিনী গুলো খুব বেশি দেখা যায়।।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা হা সত্যি বলতে এই কমেন্টটা পড়ে আমি সবচেয়ে বেশি হেসেছি। কেনো হেসেছি আপনাকে বলছি একে একে। একটু সময় নিয়ে আসছি।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হাসির কারণটা ছিলো-
১।
আরবাজ চৌধুরীকে এই গল্পের নায়িকা প্রায়ই মজা করে এ কথাটি বলেছে।

সারাজীবন অপেক্ষা করবা মানে? বাংলা সিনেমা পাইসো নাকি?

এই ব্যাঙ্গ করাটা অবশ্য ছিলো তাকে তার এই দূর্গম পথ পাড়ি দেওয়া হতে বিরত করবার জন্যই।


তবে এই ডায়ালগটি বাংলা সিনেমার ডায়ালগ বা নায়িকার কথা হলেও এই রকম কাহিনী আপনি সচরাসচরের বাংলা সিনেমায় দেখেননি। কেনো দেখননি বললাম সেটাও আপনাকে আমি বলবো। কিছুক্ষন বিরতি নিচ্ছি আপাতত...

২৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

সামিয়া বলেছেন: আপু আপনি কি রাগ করছেন? সরি ডিয়ার। হয় না প্রায়ই নাটকে সিনেমায় বাবা মা তার পছন্দের ছেলেকে নায়িকার উপর জোর করে বিয়ের জন্য চাপিয়ে দেয় । সরি সরি ইফ আই হার্ট ইউ।
আপনি অনেক ভালো আর যত্ন করে লিখেন আপু , অনেক ভালো লিখেন কিন্তু। শুভকামনা সবসময়।।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না রাগ করিনি। তবে হেসেছি বটে। আসলে জীবনের প্রতিফলনই তো গল্প সিনেমায় ঘটে থাকে।

হ্যাঁ আমি জানি আপনি হুট করে পড়েছেন বলেই আপনার মনে হয়েছে বাবা মা তার পছন্দের ছেলেকে বিয়ের জন্য চাপিয়ে দেয়।
প্রথম থেকে পড়ে আসলে বা এ গল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে হয়তও এ কথাটা বলতেন না। বাংলাদেশের সমাজে এই কিছুকাল আগেও প্রেম ও বিয়ে পারিবারিকভাবে খুব একটা গ্রহনযোগ্য ছিলো না বা এখনও অনেক পরিবারেই নেই। আর আমার গল্পে গ্রহনযোগ্য হবার ব্যাপারটি ছিলো বড়ই আনউইজুয়াল বলতে গেলে অসম্ভব। এই রকম পরিস্থিতিতে সকল বাবামাই প্রথমেই যে কাজটি করবে তা মেয়েকে বিয়ে দেবার চেষ্টা যা এই গল্পে হয়েছে। যদিও এই মেয়ের অভিভাবক বা প্যারেন্টসকে গল্পে কখনই দায়িত্ববান বা মেয়ের জন্য গভীর বোধ অনুভব করা বলে মনে হয়নি।

তারা যা করেছে সম্পূর্ণ ইগোইজম বা আত্মসন্মানে আঘাত লাগার কারণে অথবা অন্য কোনো অজানা জটিল সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার ছিলো।

তারপরেও গল্পটি কেনো বাংলা সিনেমা নয় তার ব্যাখ্যা আমি দেবো। আমার নিজের জন্যও পাঠক মতামত ও তার উত্তর বড় জরুরী।

অনেক ভালো থাকবেন।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সচরাচর বাংলা সিনেমায় যেটা হয়-
১। বাবা বা মায়ের দ্বিতীয় বিয়েতে বাচ্চারা সাফারার হয়। সৎ মা বা বাবার দ্বারা সেই নির্যাতনটা হয়ে থাকে যা মানষিকও শাররিক দুই রকমই হতে পারে।
২। প্রতিকূল পরিবেশে নায়ক বা নায়িকা বেশিভাগ সময় ভেঙ্গে পড়ে। মানুষ হতে পারেনা হলেও অনেক কষ্ট করে বড় হয় কোনো হৃদয়বান মানুষ বা কুৎসিত মানুষের সংস্পর্শে।
৩। প্রেম যদিও শ্রেনীবিভেদ মানে না । তবুও সেটা সিনেমাতে ধনী গরীব, উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্তের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে।
৪। প্রেম পারিবারিকভাবে গ্রহনযোগ্য না হলে পরিবার তড়িঘড়ি বিয়ের চেষ্টা করে। ( বাংলা সিনেমা ও বাস্তব জীবনেও)
৫। প্রেমিককে প্রেমিকা ভুলতে পারেনা তার ফলস্বরূপ কোনো মানুষকেই সে আর এক্সসেপ্ট করে না তথা সহ্যই করতে পারেনা তার প্রেমিকের স্থানে অন্য কাউকে তার কূৎসিত, অযোগ্য লাগে।


১। আমার গল্পে মায়ের দ্বিতীয় বিবাহের পরে বাচ্চাটা নিজের মায়ের থেকেই বিরুপ আচরনের শিকার হয় সবচেয়ে বেশি। এটাই গল্পের মেইন থিমটি ছিলো।
২। আমার গল্পে নায়িকা প্রতিকূলতাকে হ্যান্ডেল করা শিখেছে এবং বলতে গেলে নিজের মনোবল সেটার মূল অস্ত্র ছিলো।
৩। আমার গল্পে এই প্রেমে দেশ, ধর্ম জাঁত পাত এই বিষয়গুলো বৈষম্য ছিলো। উভয়েই উচ্চবিত্ত শ্রেনীর পরিবার থেকে হলেও তাই এই প্রেম বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।
৪। প্রেম পারিবারিকভাবে গ্রহনযোগ্য না হলে পরিবার তড়িঘড়ি বিয়ের চেষ্টা করে। ( বাংলা সিনেমা ও বাস্তব জীবনেও) এটাই এইখানে সিমিলার হয়েছে।
৫। এখানে আরবাজ চৌধুরীকে নায়িকার ভীষণরকম যোগ্য মনে হয়েছে।

আপাতত গল্পে এতটুকুই এসেছে এবং পার্থক্য এগুলোই।

২৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন:
আরে না, যা ভাবছেন তা নয়, আমি অতটা স্কলার কখনও ছিলাম না বা এখনও নই। জীবনের হিসাবগুলো কি আর এত সহজ সমীকরণ মেনে চলে সবসময়?

হুমম্‌! শান্তনিকেতন, রবীন্দ্র সঙ্গীত, অংক বা প্রোগামিং - এগুলির ভেতরে দারুন একটা যোগসুত্র আছে বলেই মনে হয়।

আর, সাথে চা/কফি/আইসক্রিম - আর আপনার কথার যাদুভরা, সহজবোধ্য, জীবন-ঘনিস্ঠ, সাবলীল-সুখপাঠ্য গল্প - এক নিদারুন টাইম কিলিং অনুসঙ্গ - সন্দেহ নেই।

আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায় - গানটি একটা সময় আপনার কানে সদা জাগরুক ছিলো - শুনে মন উৎসুক্য হয়ে উঠল - অপেক্ষায় রইলাম - পরের গল্প(আপনার ভাষায়) - শুনতে, যদি চলে ...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বাহ!
শান্তনিকেতন, রবীন্দ্র সঙ্গীত, অংক বা প্রোগামিং - এগুলির ভেতরে দারুন একটা যোগসুত্র আছে বলেই মনে হয়।
সত্যি বলতে আমারও এমনটাই মনে হয়। কেনো তার ব্যাখ্যা আছে আমার কাছে। আপনি হয়তো খেয়াল করে থাকবেন আমার লেখাতে বুঝেও থাকবেন খুব ক্ষুদ্র জিনিস বা বিষয়ও আমি খুঁটিয়ে দেখতে পাই। সেসব নিয়ে ভাবতেও ভালোবাসি।

আপনার প্রশংসাময় কমেন্ট সব সময় অনুপ্রেরনামূলক।

আর পরের কোনো গল্পে( যদি লিখি) তো এই গানটির কথা মনে রাখবো। তবে সে শুধু পরের গল্পই নয় অনেক পরেরও পরের গল্প।

ভালো থাকবেন।

২৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে! শেষে এসে কবিতার মত কিছু একটা আরো ভাল লাগা রইল++

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এটা কবিতা না। এটা গান। রবিঠাকুরের গান। ধন্যবাদ শাহরিয়ারভাই।

২৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫

কাতিআশা বলেছেন: ডিয়ার রাজকন্যা, হা, নাম টা রাশান..আমার খুব প্রিয়, কাতিয়া কে আদর করে কাতিয়াশা বলে অনেকে..

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কাতিয়াশা, তাতিয়ানা,আলিউনুশা সবই রাশান আর প্রিয় নামগুলি। ধন্যবাদ কাতিয়াশা।

৩০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

মিথী_মারজান বলেছেন: তারপর!....???

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আসবে। কাল পরশুই এনে ফেলবো।

৩১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পড়লাম, ছোট হলেও ভাল লেগেছে।
ইয়ে গরম আইসক্রিমের কথা শুনে লোভ হচ্ছিল! যা ঠান্ডা পড়ছে =p~

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: গরম আইসক্রিম খাবার কোনো মানে নেই বলে মনে হয় আমার। ঠান্ডাই হোক আর গরমেই হোক আইসক্রিম আইসকুল হলেই ভালো। ধন্যবাদ গিয়াসভাই।

৩২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: পরের পর্ব কি ভাবা হয়ে গেছে?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লেখাও আছে।

তবে এডিটিং করার সময় অনেক কিছুই ভাবতে হবে।

৩৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা অনুরোধ করি, গল্পটা তাড়াতাড়ি শেষ করে দেন, পাঠকের মনে যেন ''শেষ হয়েও হইলো না শেষ'' জাতীয় রেশ রয়ে যায়! তাছাড়া আমার অনুমানের পরিনতি দেখার তরও সইছে না। জানেন তো, অনেক ভালো প্লেয়ারই ফর্মে থাকা অবস্থায় কেন রিটায়ারমেন্টে যায়?
তবে দ্বিতীয় গল্পটা খুব দ্রুত চাই, আপনার লেখা পড়তে আসলেই খুব ভালো লাগে.... :)। শুভ কামনা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: প্রায় শেষের পথেই। বেশি আর এই গল্প টানবো না। বলেছি আগেই নিজেই এডিক্টেড হয়ে যাচ্ছি এই লেখায়। আপনার অনুমান কি ছিলো লেখাটা শেষ হবার পর অনেস্টলি জানাবেন। ভুল হলেও জানাবেন।

আপনার প্রশংসায় আপ্লুত হলাম। অনেক ভালো থাকবেন।

৩৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: তাহলে মনে হয়, গল্প পড়তে একটু ফাঁকি দিয়েছিলাম । :) :)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ কারণ সেখানে লেখা আছে এটা যে গান।

৩৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বেশ মোড় ঘুরেছে গল্পের!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ । ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো ভাই।

৩৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমিও চমকালাম মনে হচ্ছে!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ তূর্য্যভাই। লেখাটা পড়েচেন জেনে ভালো লাগলো।

৩৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪

শামচুল হক বলেছেন: খুবই ভালো লাগছে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ শামচুলভাই।

৩৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: এখন আপনার লেখাটা কিনতু বেশি মাতরায় গতানুগতিক হোয়ে যাচ্চে...আধুনিক টিভি সিরিাল এর মতোন...

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমার লেখাটাও সিরিয়াল বা সিরিজ লেখা। শুভকামনা।

৪০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আইসক্রীম পার্লারে অবস্থানকালীন ভাবনা ও অনুভূতিগুলো খুব সুন্দর করে ব্যক্ত করেছেন।
আগের পর্বেও বলেছিলাম, আরবাজ চৌধুরীর চমৎকার ব্যক্তিত্বে আমি মুগ্ধ! এ পর্বেও তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে কেন যেন মনে হলো, অতীত স্মৃতিচারণ করে যেহেতু লিখছেন, হয়তো সামান্য হলেও, এখানে কিছুটা "মনের মাধুরী" মিশেছে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ মনের মাধুরী মিশেছে বটে তবে সকল মাধুরী ব্যাক্ত করার মত এত পারদর্শীতাও যে আমার জন্মায়নি তা লিখতে গিয়েই আমি বুঝেছি। ক্ষনে ক্ষনে থমকে যেতে হয়েছে। সেই ব্যাপারটাও পীড়াদায়ক।

৪১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: গীত রবীন্দ্র সঙ্গীতটি কি আপনি আচমকাই চয়ন করেছিলেন?
রবীন্দ্র সাহিত্য-সঙ্গীতের কত গভীর পর্যন্ত আপনার অবাধ ও অনায়াস বিচরণ, ভেবে অবাক হচ্ছি!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: রবিঠাকুর তো এমনই একজন যাকে জীবনের প্রতি পদক্ষেপেই খুঁজে পাওয়া যায়...

৪২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

জুলকারনাইন নাঈম বলেছেন: আরবাজ চৌধুরীকে হিংসা করতেছি।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা হিংসা কইরেন না। হিংসার কিছু নাই। হি ইজ আ জেন্টেলম্যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.