নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ঘরের মলিন দীপালোকে-জল দেখেছি প্রিয় তোমারই চোখে......

২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:২৪


এই জীবন যেন এক বাঁক বদলের খেলা। আজকাল প্রায়ই আমার মনে হয় আমার এতটা বয়স পর্যন্ত বড় বেশি যেন ছুটেছি আমি। এই ছোটাটা ছিলো হয়ত আমার নিজের সাথে নিজেরই লড়াই। অলিখিত এক প্রতিযোগীতার খেলা। এই প্রতিযোগীতায় আমার নিজের প্রতিদ্বন্দী আসলে হয়ত ছিলাম আমি নিজেই। সে যাই হোক বলছিলাম জীবনের বাঁক বদলের কথা। আসলে শুধু আমিই না প্রতিটা মানুষই তার ইহজীবনে পেরিয়ে চলে নিত্য নতুন বাঁকের পর বাঁক। বক্র রেখায় চিত্রিত সেই বাঁকগুলি মানুষ তার বুদ্ধি, শক্তি ও প্রখর মনোবলে পার করে চলে একের পর এক।

অনেকগুলো দিন পর আজ নিজেকে বড্ড বেশি থিতু হয়ে পড়েছি বলে মনে হয়। তবুও আজীবন ছুটে চলা এই অক্লান্ত আমির নিজেকে বড় ক্লান্ত লাগে। এই ক্লান্তি অনেকটা রণে ক্ষ্যান্ত দেবার মত, অনেকটা ঠিক সেই শকুন্তলার পথ হারানো পথিকের মত কিংবা সেই ক্ষেপার মত যে আজীবন খুঁজে চলেছিলো অমূল্য সেই পরশ পাথর। পরশ পাথর! যার স্পর্শে লোহা হয় সোনা। ক্ষেপা খুঁজে ফেরে সেই পরশ পাথর। আমিও এক ক্ষেপা। আজীবন বুঝি খুঁজেই চললাম সেই অধরা পরশ পাথরটাকেই।

খ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফিরে পরশপাথর।
মাথায় বৃহৎ জটা ধূলায় কাদায় কটা,
মলিন ছায়ার মতো ক্ষীণ কলেবর।
ওষ্ঠে অধরেতে চাপি অন্তরের দ্বার ঝাঁপি
রাত্রিদিন তীব্র জ্বালা জ্বেলে রাখে চোখে।
দুটো নেত্র সদা যেন নিশার খদ্যোত-হেন
উড়ে উড়ে খোঁজে কারে নিজের আলোকে।

নিজের মনেই বিড়বিড় করি আমি। সত্যিই মাঝে মাঝে মনে হয় কোন সে পরশ পাথরের পিছে ছুটেছিলাম আমি! ধরেই নিয়েছিলাম যে সেই পরশ পাথরের স্পর্শে আমার অপূর্ণ হৃদয় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠবে। আমি গাইবো হৃদয় খুলে, আমার জীবন পাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছো দান। তুমি জানো নাই তুমি জানো নাই তার মূল্যের পরিমান।আচ্ছা, আমি কি আজও জানি জীবনের পূর্ণতা কোথায়? নিজেকেই প্রশ্ন করি। রুনা লায়লার সেই গানের মত জানতে ইচ্ছে করে সুখ তুমি কি বড় জানতে ইচ্ছে করে? সেলুলয়েডের ফিতের ফ্লাশব্যাকে দোলে পলেস্তারা খসা, রঙহীন চিলেকোঠার সেই এক কামরার ঘর, শেওলা ধরা কালচে সবুজ রেলিং ঘেরা সেই অপরূপ মায়াময় চালচুলোহীন বাড়িটি। নারকেল গাছের ঝিরিঝরি পাতার আলোক নক্সা যা সন্ধ্যায় আশে পাশের বাড়ির বৈদ্যুতিক বাল্বগুলো জ্বলে ওঠবার পর সে বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে ঝলকাতো। আমার মুদ্রিত নেত্রে ঝলকায় সে সব চিত্রকল্প। বসে থাকি নিশ্চুপ একাকী দুপুরে, পড়ন্ত বিকেলে, বারান্দার কোনে নিঝুম সন্ধ্যায়। তেপান্তরের মাঠে বধু হে একা বসে থাকি।

আরবাজ বড় অদ্ভুৎ এক মানুষ! আমার জীবনে আরবাজ এসেছিলো হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে এক অমূল্য রতন হয়ে। চমকে দিয়েছিলো, থমকে দিয়েছিলো আমাকে। আমার সকল ভালোবাসায়, সকল আঘাত সকল আশায় সে ছিলো আমার সঙ্গে ছায়ার মত ছায়া সঙ্গী হয়ে। একরাশ ক্লান্তিতে ক্লান্ত আমি তখন জীবন যুদ্ধের এক অদম্য সৈনিক। আরবাজ আমার লড়াই এ সঙ্গী হয়েছিলো। অনেকটা পথ হেঁটে এসেও হাত ধরেছিলো সে আমার। আরবাজ যেন এক অকূল দরিয়ায় কূল হারানো নাবিকের আশার বাতিঘর। জীবনের এই বিশাল বাঁক বদলটাতেই বদলে দিয়েছিলো আমার আমিকে। নিজের কাছে নিজের চেনা এই চিরচেনা আমিকে।

জীবনটাও কম অদ্ভুৎ নয়। এই জীবন আর জীবননাট্যের ঘটনাবলী আর তার পাত্রপাত্রীগুলো খেলে চলেছে কোন অদৃশ্য আঙ্গুলের পাপেটিয়ারের সুতোর ডগায় পাপেট হয়ে? সত্যিই আজকাল বড় অবাক লাগে আমার! জানিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি জীবনের সে সব আজ কেনো এত মূল্যহীন লাগে? এই জীবন পথের বাঁক বদলের পথিক হয়ে দিশাহারা যেন আমি আজ। আরবাজকেও যেন প্রায়ই আমার দূর্ভেদ্য ঠেকে। সদা সৌম্য শান্ত ও বিচক্ষন আরবাজ তার বিচক্ষনতায় হয়ত নড়েনি একচুল তবে আমার সবকিছু কেনো আজ বড় এলোমেলো হয়ে যায়! খুব অস্থির এক হাহাকার ঘিরে থাকে আমাকে সর্বক্ষন।

আরবাজ প্রায়ই তার অফিসে নতুন যোগ দেওয়া একজন অফিসারের কথা বলে। তার বুদ্ধিমত্তা, যুক্তি তর্কের প্রশংসা করে। চিরকাল সুসংযত ও স্বল্পভাষী আরবাজকে আগে কখনও এমন কারো প্রশংসা করতে দেখিনি। তাতেও অবশ্য আমার তেমন কোনো মাথাব্যাথা থাকে না। আরবাজ তার মতন বলে যায় আমি হু হা করি। নিজের কাজ ও ঘরসংসার, নিজের সৌখিনতা আনন্দ নিয়ে থেকে যাই আমি। আজকাল আমাদের খানাপিনাতেও একটু পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তন এসেছে জীবন যাত্রাতেও। আরবাজ স্মোকিং ছেড়েছে। সন্ধ্যার পর রোজ হাঁটতে যায় পার্কে। আমি অবশ্য এসবের ধার ধারিনা। পার্কে হাঁটার মত বোরিং কাজটা যে কেমনে করে মানুষ ভেবেই পাই না আমি। সে যাইহোক, এরই মাঝে একদিন হঠাৎ আরবাজ তার প্রিয় সেই অফিসের মানুষটিকে ইনভাইট করে বসলো।

আমি কিছুই বুঝলাম না কেনো আরবাজ পুরো অফিসের এতগুলো মানুষের মাঝে শুধুমাত্র এই লোককেই এত পক্ষপাতিত্ব করে যাচ্ছে। আরবাজ বললো, মেসে থাকে কি খায় না খায় এমন একজন জিনিয়াস ছেলে। আমার তো তাক লেগে যায়! জীবনকে কেউ এত অন্যভাবে দেখতে পায় জানাই ছিলো না আমার। আমি মুগ্ধ হয়ে যাই তার কর্মকান্ডে। এই মানুষটা একা একা থাকে। একটাবেলা আমাদের সাথে ডিনার করলে ভালো লাগবে আমার। জানো ইন্টারভিউ বোর্ডে সেই প্রথম দেখা থেকে আজ পর্যন্ত এই ছেলে আমার চোখে এক বিস্ময়!
আমি এও জানি আমি ছাড়াও সকলের কাছেই সে এক বিস্ময়রুপেই নিজেকে প্রমান করতে পারে।


ড্রইংরুমে প্রবেশ করে চমকে উঠলাম আমি! আমার নিজ হাতে সাজানো সুসজ্জিত আলো আধারের খেলায় ভেসে যাওয়া ড্রইংরুমের এক কোনে খুব আনমনে অবহেলে বসে আছে মানুষটি। যার পা থেকে মাথা পর্যন্ত আপাদমস্তক চেনা আমার। ঐ একই বসার ঢং, ঐ একই অবজ্ঞা অবহেলায় উদাসীনতায় উড়িয়ে দেওয়া চারপাশ, ঐ নিরুদ্বেগ চাহনী...... আমার মাথা ঝিমঝিম শুরু হলো। আমি সামান্য সৌজন্যটুকু দেখাতেও ভুলে গেলাম। আমার অমন ফ্যাকাশে চেহারা দেখে উৎকন্ঠিত হয়ে উঠলো আরবাজ কিন্তু শুভ্র ঠিক সেই স্বভাবসিদ্ধ কৌতুকে অতি স্বাভাবিক ভাবেই আমাকে জিগাসা করলো-
- কেমন আছো তুমি কবিতা?

শুভ্র তার চিরায়ত হাসি হাসি মুখে নির্বিকার চেয়ে রইলো আমার দিকে।

শুধু তার হৃদয়ের অন্তঃক্ষরণ কেউ জানলো না......আমি ছাড়া......
আমার ঘরের মলিন দীপালোকে জল দেখেছি যেন তোমার চোখে

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাঝখানে 'চিলেকোঠার প্রেম'-এর একটু আমেজ পেলাম।

'শেষের কবিতা'য় বন্যার অবহেলা আর অবজ্ঞায় যে প্রেম নীরবে দগ্ধ হচ্ছিল, তার নাম যদ্দূর মনে পড়ে মাখন লাল। এখানে 'আরবাজ' ক্যারেক্টার অবশ্যই অমিট রায়ের মতো না, আরবাজ অন্য মাত্রার অনন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। কিন্তু শুভ্র যেন সেই সাক্ষাৎ মাখন লাল, আমার মনে হলো।

যাই হোক, এটা কোনো ধারাবাহিক, নাকি এলেবেলে ব্যক্তিগাথা, জানি না। হোক যাই, ভালো লেগেছে। আর পড়তে পড়তে আমিও ব্যথিত হয়েছি। এভাবে ব্যথিত হওয়ার মধ্যেও প্রভূত আনন্দ আছে।

২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভাইয়া এই লেখাটা লেখার কারণ মানে পেছনের ইতিহাস বলবো। তবে এখন নহে। একলব্য ভাইয়ু আর মিররমনি আসুক তারপর।


তবে এটা ধারাবাহিক না।

কেনো লিখেছি সেটাও বলবো।

২| ২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ড্রয়িং রুম দেখে তো আমি অজ্ঞান। এমন সাজানো গোছানো পরিপাটি রুম পেলে খুব মজা করে এলোমেলো, অগোছালো করে দিতে পারতুম।

২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: করুণাধারা আপুর কথা মনে আছে? আপু বলেছিলো তার এক বান্ধবী নাকি সারাদিন বিছানা গুছিয়ে ঝকঝকে তকতকে করে রাখে আর রাতের বেলা বেডের নীচে থেকে চৌকি টেনে বের করে তার উপর ঘুমায়। :P


হা হা ভাগ্যিস তোমার সেটা মনে হয়নি। ভাইয়া সারাদিন আমি ঘরবাড়ি সাজাই। কোনো কোনো দিন পুতুল খেলার মত পুরো ছুটির দিন এক এক ঘরের পিছে কাটিয়ে দেই। বাসায় ফিরে আমার প্রথম কাজ আমার চেক করা যে আমার ঘরের একটা কিছুও একটুও নড়েছে কিনা।

৩| ২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আরেকটা কথা বলা হয় নি। গানের কথাটাকে মনে করেছিলাম রবিকাকার। লিংকে গিয়ে দেখি দুখুমামার গান। শোনা হয় নি অবশ্য।

আরেকটা কথার পরের কথাটা হলো, এত যে নিবিড় রাখেন ড্রয়িং রুমের সাজানো, তো, গেস্ট আসলে তাদের কি বাইরে আর এফ এল চেয়ারে বসান? =p~ =p~ =p~ সাজানো ঘরে বসাইলে তো সাজানো গোছানো নষ্ট হইয়া যাইব =p~ =p~ =p~

আমার কাছে কোনোকিছু সাজানো গোছানো থাকে না। মুহূর্তে সব এলোমেলো হয়ে যায়। কারণ, আমি সবকিছু আমার হাতের চারপাশে রাখি, ল্যাপের উপর থাকে টিপয়, তার উপর ল্যাপটপ। পেছনে ৪ খানা বালিশ। এ অবস্থা থেকেই হাত বাড়িয়ে ডানে, বামে, পেছন ও সামনে থেকে প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ, পানি যখন টানাটানি করি, তখন সাজানো গোছানো ভাব ছ্যাড়াব্যাড়া হইয়া যায়। অবশ্য, এরকম রাজকীয় ড্রয়িং রুম বা বেডরুম যদি থাকতো, তাহলে হয়ত ড্রয়িং রুম তালা দিয়া বাইরে বসে ব্লগিং করতাম :) =p~ =p~

২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ভাইয়া সোফাসেটটা পারটেক্স গ্যালারীর বিশেষ ডিজাইনের সোফা। যতই বসো আর লাফাও ফোম আর ফেব্রিকস এক চুল নড় চড় হয় না। আর গেস্ট চলে গেলেই কুশনগুলো গুছানো হয়ে যায়। বিশেষ ট্রেইনিং প্রাপ্ত লোকজন রাখা হয়েছে তো। তাহারা গেস্ট এবাউট টার্ণ করলেই লাফ দিয়ে চলে এসে পুনরায় যথাস্থানে পরিপাটি করিয়া দেয়। হা হা হা

ভাইয়া আমি রাজকন্যা না? রাজকীয় আসবাব না হইলে কেমনে চলিবেক? তুমিই বলো???

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন:



আমার সব রাজকন্যার আসবাবের ছবি দেখা যায় না কেনো? তাই আমার দিলাম ছবিগুলা। বাসা সাজানো আমার হবি ভাইয়া। :)

৪| ২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:৩৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: ত্রিভূজ প্রেমের ঘ্রাণ পেলাম, একদিকে সালমান খানের ভাই আরবাজ খান অন্যদিকে শুভ্র! আরও পর্ব কি আসবে সামনে?

২৮ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ভাইয়া এ আমার দুই গল্পের দুই নায়কের একই সুত্রে গাঁথামালার গল্প।

আরবাজ খান একি খেলা আপন সনের রাজপ্রাসাদের নায়ক আর শুভ্র চিলেকোঠার নায়ক।

৫| ২৮ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:১৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: রাজকন্যার গল্প ভাল হয়েছে। রাজকীয় ড্রইংরুম বড়ই সৌন্দর্য । মেঝেতো দেখছি স্বচ্ছ আয়নার মত ঝকঝকে , চেহারা দেখা যাবে বলে মনে হচ্ছে।

২৮ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ঘরবাড়ি সাজানোতে আমি কিন্তু ফিচারড হয়েছি ভাইয়া...... হা হা এটাও আমার এক মজার শখ। একেক সময় একেক স্টাইলে আসবাবপত্র ঘরের সাজুগুজু উলটে পাল্টে ক্লান্ত হয়ে যাই তবুও আমার ঘরের সাজগোজ কমেই না। হা হা


০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন:



ছবিগুলো আজ দেখলাম নাই হয়ে গেছে। তাই আবার দিলাম ভাইয়া।

৬| ২৮ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২১

অপু তানভীর বলেছেন: আমি তো ভাবলাম তুমি বুঝি নিজের গল্প বলছো । এখন তো দেখি গল্প ! 8-|

২৮ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হুম!!!


গল্প তবে অল্প স্বল্প গল্প আর এর পিছের কারণটাও বলে দেবো মিররমনি আর শুভভাইয়া আসলে। :)

৭| ২৮ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভবঘুরে (বাদাইম্মা) শুভ্রের প্রত্যাবর্তন !!!! :) একটা চাকরী তাহলে জোগাড় করেছে। ভালো এখন কাবাব মে হাড্ডি হতে এসেছে মনে হয়। :)

আমার বোন যখন প্রথম গান শেখা শুরু করে ১৯৮১ সালে তখন 'আমার ঘরের মলিন দীপালোকে' গানটা শিখেছিল। তখন থেকেই ভালো লাগতো। আরেকটা গান শিখত সেটা হোল' 'সাতটি তারার এক তিমির একটি প্রেমের শান্ত নীড়'।

২৮ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা শুভ্র কি জিনিস আরবাজ খানও বুঝলো আর এতদিনেও তোমাকে আমি বুঝাতেই পারলাম না। :(

চাকরী তো তার হবেই তবে সে নিজেই কতদিন করবে সেটাই ভাবনার বিষয়। শুভ্র হলো স্বাধীনচেতা। বাঁধন হারা। যেমন ছাড়া বনের পাখি মনের আনন্দে রে .....

আমিও ঐ দুইটা গান শিখেছিলাম। সাতটি তারার ঐ তিমির এই গান শিখতে আমার খুবই রাগ হত কারণ এর মানে কিছুই বুঝতাম না। এখনও বুঝি না।

সাতটি তারা এই তিমির একটি প্রেমের শান্ত নীড়
আজ আকাশে নেই ভাবনা চন্দ্রকলায় চন্দনে...... X((

দিয়েছো এনে একটি কলি
ভাবনা জাগে কি যে বলি !!!X(( X((
বলতে গিয়ে তোমায় গিয়ে লাগে মনে ভয়
জানিনা কি যে হলো কেনো এমন হয়!!! X(( X(( X(( X(( X((

আবারও রাগ লেগে গেলো!!

কি অসহ্য গান!!! X(( আমার টিচার দূর্গাপদ সেন জ্বালায় মেরেছিলো আমাকে X(( X(( X(( X(( X((

এই গান কে লিখেছিলো এতদিনে জানলাম সুবীর হাজরা.....X(( X(( X(( X(( X(( হাজতে আটকাতে হত এইটাকে.....

আর গেয়েছেন দুনিয়ার সকল আবোল তাবোল গান গাওয়া প্রতিমা....... যে যাই রাগ করুক আর যাই করুক আমি বলবোই।

প্রিয়তম কি লিখি তোমায়!! কতবার শুনি মনের কথা বলে তাই বলে গানটা যে যাও পাখি বলো তারে টাইপ গাইয়া এতে কারো সন্দেহ আছে!!!!!!!!


হায় হায় হায় কি লিখছি সব রেগে মেগে X(( X(( X(( X(( X((

আসলে অন্য একটা কারণে রাগ লাগছে। :(


বলবো??

৮| ২৮ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ঘর, আপনার রান্নাঘর, আপনার ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র আমাকে মুগ্ধ করে।
খুব দরদ দিয়ে ঘর সাজিয়েছেন সেটা বুঝা যায়।

২৮ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমার ঘর জিনিসপাতি রান্নাঘর বারান্দা ছাদ খুব সুন্দর আর সুন্দর করে সাজিয়েছি এই কথা শুনলে আমি গলে যাই গল গল। :)
আমাকে অনেক সুন্দর লাগছে( সত্যই বলুক আর মিছা কথা বলুক) তাতেও ঢলে যাই ঢলঢল.........

তবে হ্যাঁ আমি শুধু এই সব দরদ দিয়ে সাজাই তাইনা যাই করি আমার ১০০% এফোর্ট লাগিয়ে করি। কখনও সুন্দর কখনও বান্দর হয় কখনও খেত্তুও হয় তবুও আমি সে সব করেই মহা খুশি হয়ে যাই।

৯| ২৮ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন:



এটা আমি বানিয়েছি পুরোনো ফোটোফ্রেম আর নষ্ট হয়ে যাওয়া ডেকোরেশন পিস দিয়ে। রঙ করে আর আঠা দিয়ে জুড়ে।

১০| ২৮ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

বিজন রয় বলেছেন: লেখাটায় একটা আলাদা লাবণ্য বা ফ্লেভার পেলাম।
সুন্দর।

২৮ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিজনভাইয়া।

কোথা থেকে উঁকি দিলে এতদিন পর?

১১| ২৮ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৪

একলব্য২১ বলেছেন: কঙ্কাবতীর নতুন পোস্ট এসছে অথচ আমি জানি না। এখন মোবাইলের স্ক্রিন স্ক্রোল করে নিচে নামতেই দেখি তোমার পোস্ট। তোমার পোস্ট দেখলেই এক ধরনের আনন্দ হয়। আর একটা কথা মনে হয় যে তোমার লেখা মানেই সুখপাঠ্য। পরে আরামসে(!) পড়বো। একটু পর ক্ষুদেকে নিয়ে ঘুরতে হব।

মিরোরডলের জন্য মন ভাল নেই।

২৮ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা যাও ক্ষুদেকে নিয়ে ঘুরে আসো। আজ কি তোমাদের ঈদ?
যাইহোক অনেক দিনের ইচ্ছা ছিলো মফস্বলের ঈদ দেখবো। কাল একখানে যাবার প্লান করেছি। একদম ঈদের দিনের সফর। আকাশের অবস্থা দেখে গাড়ি নিয়ে যেতে ভয়ও পাচ্ছি!

কোন দিকে যে যাই আমি!!! :(

মিররডলের জন্য মন খারাপ এই দিকে কাল রাতে খবর আসলো আমাদের আসমার বাবা মারা গেছেন। আসমা এত রাতে কি করে যাবে কি করবে সেসব নিয়েও অনেক ঝামেলা হলো। শেষমেষ পাঠাতে পেরেছি আমরা ওকে ওর বাড়িতে।

১২| ২৮ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার বোনের সঙ্গীত শিক্ষকও হিন্দু ছিলেন। নাম মনে নাই। 'কি লিখি তোমায়' গানটাও শিখিয়েছিল। তবে গানটা কিন্তু সুন্দর। আপনার এই পোস্টের কি আরও পর্ব আছে?

আপনার বাসাটা বেশ সুন্দর এবং পরিপাটি। নিখুতভাবে সাজানো।

২৮ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমার মনে হয় সেও দূর্গাপদ সেনই ছিলেন! নইলে একই সব গান কেমনে শিখালেন?
তবে আমি শিখেছিলাম ৮৫/৮৬ তে।
কি লিখি তোমায় তাও একটু সুন্দর!
কিন্তু সাতটি তারার এই তিমির আসলেও অসহ্য!

ভাইয়া আমি যে গ্বহসজ্জায় বিশেষভাবে পুরষ্কৃত এইবার বিশ্বাস করলে তো!!!!!
যাইহোক করুণাধারা আপু আমার সুসজ্জিত বিছানা দেখে কি বলেছিলো দেখো সোনাবীজ ভাইয়ার কমেন্টের উত্তরে। হা হা

আমার মনে হয় সেও দূর্গাপদ সেনই ছিলেন! নইলে একই সব গান কেমনে শিখালেন?
তবে আমি শিখেছিলাম ৮৫/৮৬ তে।
কি লিখি তোমায় তাও একটু সুন্দর!
কিন্তু সাতটি তারার এই তিমির আসলেও অসহ্য!

ভাইয়া আমি যে গ্বহসজ্জায় বিশেষভাবে পুরষ্কৃত এইবার বিশ্বাস করলে তো!!!!!
যাইহোক করুণাধারা আপু আমার সুসজ্জিত বিছানা দেখে কি বলেছিলো দেখো সোনাবীজ ভাইয়ার কমেন্টের উত্তরে। হা হা

১৩| ২৮ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

শেরজা তপন বলেছেন: যেমন পরিপাটি ড্রইং রুম তেমনি পরিপাটি লেখা!
তবে প্রথমের কথাগুলো অনেক বয়েসী মানুষের আত্মউপলব্ধির। দ্বিতীয় অংশটুকু বেশ কয়েক বছরের পুরনো সংসারের।
আর শেষেরটুকু মনে হচ্ছে সে কিছুকাল হল সংসার পেতেছে- পুরনোকে এখনো ভুলতে পারেনি।
আপনার লেখায় জীবন নিয়ে হতাশার কথা মানায় না।

২৮ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একদম ঠিক ঠিক ঠিক! :)

১৪| ২৮ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

বিজন রয় বলেছেন: কোথা থেকে উঁকি দিলে এতদিন পর?
......... আপনি আমাকে চিনতেন জানতাম না, হয়তো বা ভুলে গিয়েছি, আপনাকে কোনো দিন মন্তব্য করেছি কিনা তাও মনে নেই। সে হোক, আমাকে একসময়ে চিনতেন এবং এখনো মনে রেখেছেন এটা জেনে আমার ভাল লাগল। আমি আছি বা থাকি আপনাদের আশে-পাশেই।

অনেক অনেক শুভকামনা।

২৮ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমি তো তোমাকে চিনি ভাইয়া।
তুমি আমাকে চিনতে পারোনি। তবে এখন আমাকে সবাই চিনে।
যাইহোক এইবার আর একটু ভেবে দেখোতো আমাকে চিনতে পারো কিনা ভাইয়ামনি!:)

১৫| ২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেয়ে বাহ এতদিন পর !
দারুণ।

২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা আরবাজ আর শুভ্র মুখোমুখি। এটা খেয়াল করেছো তো?

১৬| ২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাগের কারণটা বলবেন না? :)

২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কারণটা হলো অনেকদিনের শখ মফস্বলের একটা ঈদ আবার দেখি। কিন্তু দেখা হয় না। যাওয়াই হয় না। কত রকম প্লান প্রোগ্রাম কত কিছু। এবারে মামাত বোন বললো ওর বাসায় গিয়ে ঈদ করতে। ঈদের আগে অনেক ভীড় হবে ভেবে ঠিক করলাম ঈদের দিন চলে যাবো সেখানে এবার। খুব ভোরে রওয়ানা দিয়ে পৌছে যাবো সক্কাল সক্কাল। হঠাৎ আজ সকালে উঠে দেখি বৃষ্টি, আকাশ এত্ত মেঘলা। যাওয়াটাই অনিশ্চিৎ হয়ে পড়লো। তাই মেজাজও তিরিক্ষি হলো। :(

১৭| ২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা দেখতে।

২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কেউ তো নাই ব্লগে। প্রায় জনশূন্য ব্লগ!

১৮| ২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৫

মেঘলামানুষ বলেছেন: বাহ। সুন্দর।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: থ্যাংক ইউ মেঘলা মানুষ।

১৯| ২৯ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: দুই একজন পড়ার পরই লেখাটি আমার নজরে আসে।কি মন্তব্য করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। কিছু মন্তব্য দেখি তার পর একটা কিছু লিখবো।কয়েকটা মন্তব্যের পরই নজরে আসলো,বিশেষ দুই জনের মন্তব্যের অপেক্ষায় আছেন।ভাবলাম তাদের মন্তব্য আগে দেখি।কিন্তু তাদের কোন খবর নাই।ইতিমধ্যে শেরজা তপন এমন একটি মন্তব্য করে বসলো যে তার পর আর কিছু বলার থাকে না।ঈদের শুভেচ্ছা।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা। আসলেই লেখাটা অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ মিলিয়ে ঝিলিয়ে জগাখিচুড়ি হয়ে গেলো। তবে আরবাজের সাথে শুভ্রের দেখাটাই গল্পের মূল কথা! হা হা

২০| ০১ লা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫১

আরোগ্য বলেছেন: সেই বর্ণচোরা শুভ্রর সাথে শান্তশিষ্ট আরবাজ সাহেব। :|

এটা পর্বাকারে হলে শীঘ্রই পরের পর্ব চাই।

অতি কষ্টে ফুল ভার্সনে আসতে পারলাম। কয়দিন যাবৎ চেষ্টা করছি মন্তব্য করার জন্য অবশেষে আজকে সফল হতে পারলাম। :)

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আরোগ্য ভাইয়া আমিও মোবাইল থেকে। ফুল ভারসনে আসতে পারি না। :(

বর্ণচোরা আর আর বিশাল বড় রাঘব বোয়ালের খিঁচুড়ি পাকিয়ে দিলাম।

২১| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আরোগ্য ভাইয়া আমিও মোবাইল থেকে। ফুল ভারসনে আসতে পারি না। :(

বর্ণচোরা আর আর বিশাল বড় রাঘব বোয়ালের খিঁচুড়ি পাকিয়ে দিলাম।

২২| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:



শুধু তার হৃদয়ের অন্তঃক্ষরণ কেউ জানলো না......আমি ছাড়া......

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মিররমনি
তোমার কোনো এক বোনের মৃত্যুসংবাদ শুনলাম।
শুধু এইটুকু ছাড়া কিছুই জানিনা।
খুব মন খারাপ হয়েছে। দূর দেশে থেকে তোমার মনের কি অবস্থা বুঝতে পারছি।
শুধু বলো সে কি তোমার আপন বোন? নাকি কাজিন?
আর কিভাবে মৃত্যু হলো?
না বলতে চাইলে কোনো সমস্যা নেই।
শুধু খুব খারাপ লেগেছে শুনে। যদিও জন্ম মৃত্যু এই অবধারিত সত্য থেকে আমরা কেউ পালাতে পারবো না। তবুও মন খারাপ হয়।

২৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:



সে আমার আপন বড় ভাই, মাত্র বাহান্ন বছর বয়সে চলে গেলো!
আমরা অনেকগুলো বোন, তার আদরের ছোটবোন।
সামুতে বোনদের গল্প অনেক করেছি।
ভাই অনেক দূরে থাকতো বলে কখনো সেভাবে তার কথা বলা হয়নি কিন্তু গত কয়েক বছর he was too close to us.
জীবন থেকে একবারে চলে যাবে বলেই হয়তো দূর থেকে কাছে আসা!

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম তোমরা কয়েক বোন কোনো ভাই নেই।

কারুর চলে যাওয়া বড় কষ্টের।
আর আপনজন হলে সেটা ভোলাও বড় কঠিন।

ভাই ভালো থাকুক ওপারের দেশে।

২৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

একলব্য২১ বলেছেন:

শায়মা আপু,

Khaja khana bhi hai aur rakhna bhi. :D

এই কথাটা কেন বললাম। কারণ তোমার লেখা আরামসে পড়বো বলে অপেক্ষা করছি। কিন্তু ঈদের এই ব্যস্ততায় আমি আর সময় পাচ্ছি না। তবে আজ সো কলড আরামসে পড়ার ইচ্ছা রাখি।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আর তোমাদের জন্য আমি এই গল্পের পিছনের গল্প বলছিই না।

ক্ষুদে তো মহানন্দে আছেন।

তো কোথায় থাকো তুমি???

পিরামিড আর মমির দেশে???

২৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: এমন কি হয় কখনো!! দেখা যাক পরে কোন দিকে গল্প যায়। আবার বলে বোসো না, এটা এক পর্বে শেষ। এক কাজ করতে পার, একটা ডুয়েট লাগিয়ে দাও।

আশ্চর্য! তোমাকে চিনতে এত সময় লাগে! :D

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হবে না কেনো?

এই যে হলো!!!

:P

এটা তো এক পর্বেই শেষ করবো ভেবেছিলাম। সামনে এত এত ঝামেলা লেগে আছে। মানে নাচতে নাচতেই আমি শেষ। এমন মোটি হয়েছি কোভিডের পর যে নাচলেই পা লেং বেং করে। হা হা

তবে ডুয়েট লাগিয়ে দিতে পারি। হা হা

বিজনভাইয়া আমাকে চিনে না আর ভাইয়ার মনে মনে আমার উপর যে এত রাগ আছে!!!!!!!!!!!!! কি বলবো!!!

আমাকে ভাইয়া দুনিয়ার এক নাম্বারের শয়তান আর বদরাগী আর অহংকারী আর অভব্য মনে করে!!! :P

কোনোদিনও বলেনা কিন্তু আমি তো জানি! হা হা

২৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০

মিরোরডডল বলেছেন:



আরবাজ আর শুভ্র একসাথে, বিষয়টা আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়েছে।
কারণ আমি নিজেই অনেকটা এরকম ঘটনার উইটনেস।



০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: স্বাভাবিক নিয়েই তো অস্বাভাবিক গল্প হয়।
তোমার ঘটনাটা বলো দেখি।

২৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

করুণাধারা বলেছেন: @ বিজন রয়,

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বিজনভাইয়া তো অমাবস্যার চাঁদ!!!!

দেখবেই না এই জবাব!

২৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:

এই লেখাটা আরেক পর্ব লিখতে পারো।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তারপর কি হলো?
এই নিয়ে?

আসলেও তারপর কিছু আছে যা লিখাই উচিৎ।
কিন্তু আমার টাইট সিডিউলে আমি বিপর্যস্ত।
২০ তারিখ স্কুল ছুটি হলো ২১ তারিখ নাচের প্রোগ্রাম ছিলো- আজি ভাহাহাল করিয়া বাজানরে দোতরা...
একদিন পরেই আবার পারিবারিক বিবাহের অনুষ্ঠান।
তারপর বৌভাত তারপর ঈদ।

ঈদে যশোর গিয়েছিলাম। সেই ভ্রমনে কত মেমোরী যে ফিরে এলো। তারপর আবার আরেকটা অনুষ্ঠান আছে নাচের ৫ তারিখে। ৬ তারিখ সিলেট যাচ্ছি। জীবনে প্রথম কলিগদের সাথে। ৯ তারিখ ফিরবো। সেদিন রাতেই আবার আরেক বিয়ের অনুষ্ঠান। ১০ থেকে ২০ মোটামুটি ফ্রি থাকবো। তবে তখন যশোরের কথা লিখতে চেয়েছিলাম। আরও এক পর্ব অস্ট্রেলিয়া ভ্রমন হাফ ডান পড়ে আছে। :(


কোথায় যাই! কি করি! :(

মাথায় কত লেখা আছে
হচ্ছে না তো সময় তার......

২৯| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

একলব্য২১ বলেছেন:

ইয়ার্কি না সিরিয়াসলি ক্ষুদেকে আমি আসল মমি দেখাতে নিয়ে যাব।

গ্রাম বা মফস্বলের ঈদ কেমন হয় তা নিয়ে কি লিখবে। জানতে ইচ্ছা করে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভেরী গুড!
ক্ষুদেকে পেয়ে তুমিও মহা খুশি!!!

গ্রাম বা মফস্বলের ঈদই শুধু না তোমার জন্য আছে এক মহা বিস্ময়!!

আল্লাহর রহমতে সিলেট থেকে ফিরে এসে লিখবো। :)

৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২১

একলব্য২১ বলেছেন: পড়লাম। লেখার মান খুব ভাল।

এই লেখাটা লেখার কারণ মানে পেছনের ইতিহাস বলবো।

বান্দা বান্দি হাজির। এইবার ঝটপট গল্পের পিছনের কাহিনীটা বল। :)

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আরেক পর্ব লিখতে বলেছে মিররমনি।

কাজেই ১০ তারিখে ফিরে এসে লিখবো।
আর যদি এই ৫ তারিখের রিহার্সেল ভালো হয়ে যায় তো ৫ তারিখেই লিখবো।

৩১| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৪২

একলব্য২১ বলেছেন: তোমার বৈঠকখানা খুবই রাজকীয়ভাবে নিখুঁতভাবে সাজানো। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আর জায়গায় জিনিস জায়গায় রাখাটা আমার পছন্দনীয়। কিন্তু কেন জানি আমার মনে হয় এই ধরনের বৈঠকখানায় একটা পা ভাঁজ করে সোফার রেখে আয়েস করে বসে আড্ডা দিতে বাঁধো বাঁধো লাগবে। :P

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পা ভাঁজ করারও জায়গা আছে তো!!
তবে এই বৈঠকখানায় তেমন কেউ বসে না।
কাছের আত্মীয় স্বজনের মিলনমেলা আমাদের ছাদ আর ছাদ বাগান আর ছাদের ঘরে।

৩২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১০

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

লেখালেখিতে তুমি সিদ্ধহস্ত। তোমার লেখার ধরন আমার ভাল লাগে আর আমি তা আগ্রহ নিয়ে পড়ি। নতুন লেখার জন্য অপেক্ষাও করি। কিন্তু এখন তো জেনে গেছি এগুলো কোথায় কার কার জীবনে ছিটেফোঁটা কিয়দংশ ঘটেছে, তা তুমি জোড়াতালি দিয়ে গল্প ফাঁদছ আর আমাদের পাগলামি দেখি বিভিন্ন রকমের হাসিতে হাসছ। তোমার ফাঁদে আর পড়বো না। X((

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হি হি ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে লিখেছিলাম বলে সাড়ে ভাইয়ার সে কি ষাড়ের মত গাক গাক রাগ!!!!!!!

যাইহোক সত্য মিথ্য মিলিয়ে ঝিলিয়ে যাহা লিখিলাম তাহার সকলি কি বলিলাম!!!!!!!!

জানোই আমাকে আগে সবাই রহস্যময়ী বলতো। এখনও পুরান মানুষেরা বলে। নতুনদের কাছে রহস্যের জট খুলি ( অথবা আরও পাঁকিয়ে দেই! ) আমি ভালা মানুষ!!!!!!!

তবে হ্যাঁ আজ রাতেই লিখবো তোমার জন্য একখানা লেখা তুমি হয়ত সত্য মিথ্যা দ্বিধা দ্বন্দের মাঝেও একটু চিন্তায় পড়বে।

তবে আগেই বলে দিচ্ছি এত চিন্তার কিছু নেই।

যা কিছু হারায়ে গেলো যাক না
তাই নিয়ে লিখবো আমি গল্প নামের পাখনা !!!!! :)

৩৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:



শায়মাপুর স্বচ্ছ সুন্দর সাজানো বাড়ির ছবি দেখে মনে পড়ছে ইউনিতে পড়ার সময় এক বন্ধুর বাসায় এরকম ছিলো।
আমরা ওখানে গেলে বলতাম বসবো না দাঁড়িয়ে থাকবো? এ যেন এক ডিসপ্লে হাউস!

ল্যান্ডলর্ড বাসা ভিজিট করে খুশি হয়ে ভাড়া কমিয়ে দিয়েছিলো এভাবে মেইনটেইন করে বলে।
ভাড়া কমে এরকম আগে শুনিনি, সেটাই প্রথম।

বর্তমানে সব কয়টা বন্ধুর বাসায় দেখি এরকম ফর্মাল একটা, পাশাপাশি সেকেন্ড লিভিং রুম।

আমার ভুবন অন্যরকম।
সুন্দর পরিপাটি আধুনিক কিন্তু কমফোর্টেবল।
অনেক রাতে আমি লাউঞ্জে সোফায় শুয়ে টিভি দেখি।
বন্ধুরা আসলে সোফায় বসার পাশাপাশি অনেকসময় ফ্লোরে কার্পেটে বসেও আড্ডা হয়।
আমি মানুষটাই ক্যাজুয়াল।
তাই বাসায় নো ফর্মাল লাউঞ্জ।
যেটা শুধুই ডেকোরেশনের জন্য :)


০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শুনো তোমার ঘরের ছবি দাও। আমার মনে হয় তুমিও অনেকককককককককককক পরিপাটি এবং একই সাথে আরামপ্রিয়!

আমার মনে হয় তুমি সাদা বা অফ হ্যোয়াইট টাইপ সোফা বেড এসব লাইক করো। আর সবুজ লাইক করো তার সাথে বা ব্রাউন এবং ব্লাক!

আমার ধারনা কি সত্যি?

৩৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২৬

একলব্য২১ বলেছেন: হাতি কে দাঁত খানে কে অৌর দেখানে কে অৌর।

তোমার বৈঠকখানা দেখে আমার এই কথাটা মনে পড়লো। এই ড্রয়িং রুম এত নিখুঁত করে সাজিয়েছ অথচ এখানে বসে গল্প আড্ডা হবে না। হবে ছাদের ঘরে। :D :P

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কে বলেছে হবে না??
তবে ছাদের ঘরে এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আছে।

এখানে তো একটু হাস ফাস ভাব আছে।

আমরা তো আসলে প্রকৃতি বিলাসী।

ছাদ আর বাগান এসবের মাঝে প্রাণ খুঁজে পাই তাই বলে কি ড্রইংরুম সাজাবো না!!!!!

আমার কিচেনও তো সাজাই আমি!

জটিল্লা আমাকে টয়লেট সজ্জা দেখাতে বলেছিলো। হা হা হা আমার বেডরুম লাগোয়া ওয়াশরুমে সারা দেওয়ালে পুতুল আর পুতুল...... তাও আবার বারবি ডল বেবি ডল এইসব বাচ্চাদের খেলনা পুতুল.... :P

৩৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:




আমি খুবই আরামপ্রিয় একথা সত্যি।
ক্লিন এবং গোছানো থাকতে পছন্দ করি।
আমার সবকিছুই পরিমিত, যতটুকু দরকার ততটুকু।
মায়াটাই শুধু বেশি :)
I'm not fussy about anything.
ফার্নিচার হোয়াইট না কিন্তু কিচেন মার্বেল থেকে শুরু করে পুরো বাড়ি হোয়াইট এবং আলোকিত।

পর্দার আড়ালের মানুষ আমি।
তোমার মনে হলো আমি বাসার ছবি দিবো!!!
অলিভ গ্রিন আমার প্রিয় রঙের একটি।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দেখলে আমি কত্তবড় জ্যোতিষী!!!!!!!!!!!!!!!

:) :) :)

৩৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:




কাল সারারাত ঘুমাতে পারিনি।
তাই আজ অফিসে যাইনি।
এখন রাত বাজে তিনটার বেশি।
দেখি ঘুমানোর ট্রাই করি।

সামুতে ঘুমানোর ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো :)
থাকো তোমরা, যাই তাহলে জ্যোতিষী মা।


০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মিররমনি ভালোবাসা!

ঘুমিয়ে যাও।

এই পৃথিবীতে সুখ দুঃখ ভালোবাসা বেদনা সব কিছুই থাকবে।

তবুও পৃথিবী চলবে।

আমাদেরকেও চলতে হবে।

অনেক অনেক ভালোবাসা!!! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.