নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কংক্রিটের জঞ্জালে একজন সাধারণ মানুষ।

অগ্নিপাখি

প্রতিদিন হাজারো মানুষ হারিয়ে যায়, আমি সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষদেরই একজন। ভালবাসি বই পড়তে, বই সংগ্রহ করতে, স্ট্যাম্প জমাতে, ভাল চলচ্চিত্র দেখতে, মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে, ভালবাসি কবিতা আর ভালবাসি একা একা পুরনো ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে। হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। এছাড়া অন্যান্য লেখকদের বইও ভালো লাগে। অন্যান্য লেখকদের মধ্যেঃ আহমদ ছফা, রশিদ করিম, মুনতাসির মামুন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, নিমাই ভট্টাচার্য, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, জাহানারা ইমাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, শহীদ জহির রায়হান, সত্যজিৎ রায়, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, সুনীল, সমরেশ , খূশবন্ত সিং, এলান পো, এরিখ মারিয়া রেমার্ক, মার্ক টোয়েন, ম্যাক্সিম গোর্কি, ভিক্টর হুগো, ফ্রাঞ্জ কাফকা, পাওলো কোয়েলহো, হারুকি মুরাকামির লেখাও অনেক বেশী ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে কবিতায় ডুবে যাই। আবুল হাসান, শহীদ কাদরি এবং জীবনানন্দ আমার খুব প্রিয় কবি। মুক্তিযুদ্ধ আমার অন্যতম পছন্দের একটা বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা যে কোন বই পেলে কিনে পড়ি। ঘৃণা করি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের। এইতো এই আমি।

অগ্নিপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাভেলগ ৩ঃ শ্রীমঙ্গল- দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ির শহরে

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

প্রথম শ্রীমঙ্গল গিয়েছিলাম ২০১৭ এর শেষের দিকে অফিসের কাজে- তাই কোন কিছুই দেখা হয় নাই তখন। এবার একদম হঠাৎ করেই প্লানটা করে ফেলা। টি ও বি এর শ্রীমঙ্গল সংক্রান্ত কিছু পোস্ট দেখে নিজেই বানিয়ে ফেললাম একটা প্ল্যান। সেই মোতাবেক গত ১ আগস্ট সকাল ৬ টা ৩৫ এর পারাবত এক্সপ্রেস এ রওনা দেই দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ির শহর শ্রীমঙ্গল এ

প্রথম দিন- ১-আগস্ট-১৯

ঠিক বেলা ১১ টায় শ্রীমঙ্গল স্টেশন এ পৌছাই। আগে থেকে ঠিক করে রাখা টমটম এর চালক (সাজিদ ভাই- ০১৭৯৯৯৩০৯৭৪) এর সাথে কথা বলে প্রথম দিন কোথায় কোথায় ঘুরবো তা বলে দেই। এরপর সোজা পানসী তে নাস্তা। নাস্তা করে সোজা ভানুগাছ রোডে (শ্রীমঙ্গল থেকে প্রায় ৩ কিঃ মিঃ) চলে যাই। আমরা ছিলাম শান্তি বাড়ি ইকো রিসোর্ট এ। গ্রামীণ আবহে গড়ে তোলা এ জায়গাটিকে আমার শ্রীমঙ্গলে থাকবার জন্য বেশ ভালো মনে হয়েছে। যাই হোক কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। প্রথম দিন যে সব জায়গায় গেলাম-

১। বি টি আর আই (বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট- খুবই সুন্দর জায়গা)
২। ফিনলে টি এস্টেট (ফিনলের বিশাল বিশাল চা বাগান পুরোটা এক দিনে ঘোরা সম্ভব না। আমরা শুধু কিছু অংশ ঘুরেছি)
৩। লাল পাহাড় (ফিনলে টি এস্টেট এর ভেতরেই অবস্থিত লাল মাটির পাহাড়। পাহাড়ের উপর থেকে ফিনলে টি এস্টেট এর খুব সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়)
৪। পাখির চিড়িয়াখানা (সম্ভবত ব্যাক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা বিভিন্ন পাখির সংগ্রহ- শহরের ভেতরেই একটা বাসায় অবস্থিত)
৫। শিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা।
৪। বধ্যভূমি ৭১ (বিকেলের দিকে গেলে খুব ভালো লাগবে)।

দ্বিতীয় দিন-২-আগস্ট-১৯
এদিন আমরা ঘুরলাম-
১। লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্ট। (এখানে আমরা গাইড নিয়ে ১ঃ৩০ ঘণ্টার একটা ট্রেইল করি)
২। খাসিয়া পল্লী (লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্ট এর ভেতরেই)
৩। মাধবপুর লেইক।
৪। নুরজাহান টি এস্টেট।
৫। আদি নীলকণ্ঠ টি কেবিন।
৬। মনিপুরি মার্কেট।

































তৃতীয় দিন- ৩-আগস্ট-১৯

দুপুর ১ঃ৪৫ এ ঢাকার বাস ছিল তাই সকাল ১১ টার মধ্যে বের হয়ে দুটি জায়গায় যাই-

১। বাংলাদেশ টি মিউজিয়াম।
২। জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ।
এরপর দুপুর ১ঃ৪৫ এ ঢাকার বাসে ঊঠে সন্ধ্যা ৬ঃ০০ টায় ঢাকা ফিরে আসি।

যেখানেই ভ্রমণে যান- অবশ্যই পরিবেশ এর প্রতি নজর রাখবেন। যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলবেন না।

হ্যাপি ট্র্যাভেলিঙ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রীমঙ্গল আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি। খুব সুন্দর।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০২

অগ্নিপাখি বলেছেন: আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.