নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দলীয় প্রতীকই শুধু বিজয়ের সোপান হতে পারে না-

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

এফ-৩৫এ আমেরিকার তৈরি যুদ্ধবিমান। যা এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের আকাশ যুদ্ধের জন্য ভয়ংকরতম বিমান হিসেবে পরিচিত।সম্পূর্ণভাবে অশনাক্তযোগ্য এই বিমানের গতিবিধি কোনোভাবেই চিহ্নিত করা যাবে না এবং যে কোনো অবস্থায় এটি সব ধরনের যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে ইচ্ছামাফিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে।নিঃসন্দেহে আকাশ যুদ্ধে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এফ-৩৫এ বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।আকাশ প্রতিরক্ষায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীর বেশির দেশই এধরনের যুদ্ধবিমান তাদের বিমান বহরে যুক্ত করতে মুখিয়ে থাকবে।বাংলাদেশও তার ব্যক্তিক্রম নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের যোগ্যতা বেশিরভাগ দেশের বিমান বাহিনীরই কিন্তু নাই। তাই হুট করে ইচ্ছে থাকলেও এধরনের বিমান ক্রয় বড় ধরনের অপচয় বা বুমেরাং হিসেবে চিহ্নিত হবে।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের অর্ধশিক্ষিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দুর্নীতিবাজ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা স্বস্তা আবেগ ও আর্থিক সুবিধা লাভের আশায় অনেক সময় দেশের সাধারণ মানুষের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্জিত অর্থ নিজের জ্ঞান করে সাগরে ঢেলে দেয়ার মানসে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান ক্রয় করেন, অথচ এই দানব সাইজের যুদ্ধবিমান রক্ষণ ও পরিচালনার পর্যাপ্ত লোকবলই তাদের নেই। ফলশ্রুতিতে দেখা যায় বছর কয়েক পরে এসব দানব বিমান অচল হয়ে পড়ে আছে। মিগ-২৯ বিমান হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
তাই এ বিষয়টি কিন্তু পরিস্কার অত্যাধুনিক যন্ত্র থাকলেই হবে না, সেটা চালাতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ থাকা চাই।প্রশিক্ষণবিহীন কাউকে যত আধুনিক যন্ত্রই দেয়া হোক না কেন ,তাতে কার্যকরী কোন ফল পাওয়া যাবে না। এটা অনেকটা রাজনীতির ময়দানে আনকোরা , অনভিজ্ঞ কাউকে নির্বাচনী যুদ্ধে নামিয়ে দেয়ার মত। দেখা যাবে আনকোরা ও অনভিজ্ঞ নেতৃত্বের হাতে পরে বিপুল জনপ্রিয় ব্রান্ডিং প্রতীক জনগণের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়।অথচ অনেক প্রতিবন্ধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভেবে থাকেন একটা জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্রান্ড কারো হাতে তুলে দাও , সে পরিচিত , অপরিচিত , অভিজ্ঞ , অনভিজ্ঞ ,ইমেজ সম্পন্ন হোক বা নাই হোক, বিজয় তার নিশ্চিত।কিন্তু তারা ধারণাই করতে পারেন না,তাদের আবেগমিশ্রিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে বাধ্য। কারণ প্রশিক্ষণ বিহীন কাউকে দিয়ে যেমন অত্যাধুনিক বিমান চালানো যায় না, তা এফ-৩৫এ হোক বা মিগ-২৯ যাই হোক না কেন ,তা মুখ থুবরে পড়বেই। তেমনি অনভিজ্ঞ , আনকোরা ও অপরিচিত কাউকে দিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে জেতা যায় না। তা অসম্ভব জনপ্রিয় রাজনৈতিক প্রতীক নৌকা বা ধানের শীষ যাই হোক না কেন। নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী ফলাফল দেখে অন্তত তাই মনে হয়েছে।
তাই যেসব রাজনৈতিক নেতৃত্ব শুধুমাত্র দলীয় প্রতীক যে কারো হাতে (অর্থ্যাৎ যদু , মধু , কদু ) তুলে দিয়েই মসনদে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর, তারা ঘুমিয়েই থাকুন !
কারণ ঘুম ভাঙলেই যে, আপনাদের স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে যাবে!!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেগম রওশন এরশাড চালাবেন এফ-৩৫

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এ জন্যই খাম্বাচোরারা সদ্য কেনা সর্বাধুনিক একমাত্র ফ্রিগেট ও সেই আমলের সর্বাধুক মিগ বিমানগুলো ৫ বছর অবহেলায় ফেলেরেখে অচল করে ফেলে রেখেছিল।
এখন তারা কাঁদে, ব্যাপক ব্যাবহৃত হলেও বলে নষ্ট জিনিষ!

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

রাফা বলেছেন: গাড়ি বানানোর পুর্বেই ঘোড়া জুড়ে দেওয়ার মত হয়ে যাবে ব্যাপারটা। সৈনিকদের প্রশিক্ষিত না করে আধুনিক অস্র তুলে দিলে।

আপনার পোষ্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি খুবই হতাশ।সাংগাঠনিকভাবে দুর্বল একটি নির্বাচনের মাঠে এর চাইতে ভালো ফলাফল আশা করতে পারেনা।তাদের কৃতকর্মের জন্য পরিনতি আরো করুন হতে পারতো-পক্ষান্তরে কিন্তু তা হয় নাই।কমিশনার পদে তারা সমানে সমান লড়েছে।এটাতেই প্রমাণ হয় সত অন্যায়ের পরেও বাঙালী ভুলে গিয়ে আবার একই ভুল করে।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

জাহিদ মজুমদার বলেছেন: নারায়ণগঞ্জ বিষয়ক কান্ডকাহিনীতে আমার যা মনে হয়, তা হচ্ছে আইভি এখানে এককভাবে জেতার ক্ষমতা রাখে। যদি বিএনপি-আওয়ামী লীগ আলাদা করে প্রার্থীও দিত, তাহলেও সেখানে আইভিই জিততো। এখানে বিএনপির যা ভোট, তারা সেটাই পেয়েছে, আওয়ামী লীগের গতবারের ভোট ছিল ৭৮০০০। শেখ হাসিনা এখানে একটি কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে, দুটি গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে জরিপ করিয়ে, তৃণমূলের মতামতকে অগ্রাহ্য করে আইভিকে মনোনয়ন দেওয়া মানে শেখ হাসিনা আইভিকে অনেক স্নেহ করেন এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। হাসিনা যদি আইভিকে অনেক ভালোবাসতেন, তাহলে গতবারই মনোনয়ন দিতেন। আইভি কি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কোনো পদে আছে? তাহলে হাসিনা কেন আইভিকে মনোনয়ন দিলেন? কারণ ওই একটাই, আইভির জনপ্রিয়তা ও এককভাবে জেতার ক্ষমতা। এরপর থেকেই সরকারি দলের নেতা ও শেখ হাসিনার মুখে সুষ্ঠু নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন নামক জিগির উঠেছে। হাসিনা গতবার শামীমকে দিয়ে হেরেছেন, এবারও দিলে হারতেন, দুইবার হারতে চাননি। কৌশল এখানেই। এ জন্যই আইভিকে ডেকে এনে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাই জেতার পর আইভি যতই প্রধানমন্ত্রীর বুকে ঝাপিয়ে পড়েন না কেন এটা আইভিও ভালো করে বোঝেন, বোঝেন সাধারণ মানুষও। বিএনপি কিন্তু এই ভুলই করতো। আর নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ আইভিকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ শামীম ওসমান গংদের বিরুদ্ধে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আইভিরই আছে, সাখাওয়াত ওখানে খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে। সুতরাং নারায়ণগঞ্জের মতো পরিস্থিতি দেশের আরও দুয়েকটা জায়গায় মিলে যেতে পারে ব্যক্তি ইমেজের কারণে কিন্তু সারাদেশের চিত্রই এমন হবে এমন ভাবারও বোধহয় কারণ নেই।

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এফ-৩৫এ তাব্লিগ ওয়ালারা চালাবেন! কারণ তাদের হাতের আংগুল তসবিতে যেভাবে চলে এফ-৩৫এ এর অধেক চালাতে পারলে এম্রেরিকান বিমান সেনারা তাদের কাছে ফেল মারবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.