নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

...সম্পূর্ণ দায় তার...।

১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

বলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা শাহরুখ খান ও রানী মুখার্জি অভিনীত ‘’ চলতে চলতে ‘ চলচ্চিত্রটির কথা অনেকেরই মনে থাকার কথা! এর একটা দৃশ্যের কথা কাল থেকে বার বার আমাকে নাড়া দিচ্ছিল। তার আগে বলে রাখি গত ২৪ ঘন্টায় একটা ঘটনা নিয়ে কিছু লিখব কি লিখব না , এ নিয়ে এক ধরনের মানষিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। কিছুতেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। বারবার চেষ্টা করছিলাম স্পর্শকাতর এ ইস্যুটা এড়িয়ে যেতে। কিন্তু ঐ যে বিবেক নামক ‘অশরীরী আমি’ স্বস্তি দিচ্ছিল না। অবশেষে ‘’ চলতে চলতে’ ছবির শাহরুখের খানের উচ্চারিত একটি ‘ডায়ালগ’ আমাকে বিবেকের অন্তর্দাহ থেকে মুক্তি দিয়েছে। দৃশ্যটি ছিল অনেকটা এরকম’’ শাহরুখ খান রানী মুখার্জিকে নিয়ে একটি পুলের পাশে দাঁড়িয়ে। যেখানে অনেক মানুষ তাদের ইচ্ছে পূরণের জন্য পুলের মধ্যে মুদ্রা নিক্ষেপ করে। রানি মুখার্জিও একটা মুদ্রা নিক্ষেপ করে।কিন্তু যে লোকটা পুলের জলে ডুব দিয়ে মুদ্রা ওঠায় সে কিছুতেই রানির ছোড়া মুদ্রাটি উঠাতে পারে না। খুব স্বাভাবিক কারণেই রানির মন খারাপ হয়ে যায়। যা শাহরুখ খানের হৃদয় খানের জন্য যথেষ্ট ছিল! শত হলেও নায়ক বলে কথা ! হঠাৎ দেখা গেলো কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শাহরুখ খান পুলে লাফ দিয়েছে।চারিদিকে পিনপতন নিরবতা ! শাহরুখ খান উঠছে না। এরমধ্যে কেউ কেউ রানিকে শাহরুখ জলে ডুবে মারা যাওয়ার কথা বলে শান্তনা দিতে শুরু করে! বিরক্ত নিয়ে রানি পুলের দিকে তাকিয়ে দেখে মুদ্রাসহ একটি হাত ! যাইহোক রানি মুখার্জি কৃত্রিম রাগান্বিত হয়ে শাহরুখকে জিজ্ঞাসা করে কেন সে পুলে লাফ দিয়েছে ! শাহরুখ তখন উত্তর দেয়, রানির মন খারাপ দেখে তার হৃদয় বা মন বলে ওঠে ‘’কুৎ যাও’’ তাই সে ...।অনেকেই হয়ত বিরক্ত হচ্ছেন,’’ধান ভানতে শিবের গীত ...। সত্যি বলতে ‘অশরীরী আমি’ বা বিবেকের ডাকে সাড়া দিতে অনেক সময় শিবের গীত বেশ সহযোগিতা করে।‘অশরীরী আমি’ আমাকে বা আপনাকে যখন বিভিন্ন প্রশ্ন করে অতিষ্ঠ করে ফেলবে তখন সেই ‘অশরীরী আমি’ যদি বলে ওঠে ‘’কুৎ যাও’ তখনি কুৎ যাবেন ! সেখানে কে কি ভাবল, কে কি বলল তা ভাবার কোন অবকাশ নাই ! কারণ শেষ বেলায় ঐ ‘অশরীরী আমি’ আপনার মৌলিকত্ব,এটা যদি হারিয়ে ফেলেন তবে আপনাকেই আপনি হারিয়ে ফেললেন ! যেমন ধরুন , আপনার একজন পছন্দের মানুষ বা আদর্শিক বিশ্বাসের একই কাফেলার যাত্রী যিনি ব্যক্তিগত জীবনে চুরি করেছেন বা ছলচাতুরি বা চালাকি অথবা অপকৌশল অবলম্বন করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করে একসময় ধরা পরেছেন বা অভিযুক্ত হয়েছেন ! সেক্ষেত্রে আপনি কি তার ব্যক্তিগত অপরাধ বা সুবিধাবাদিতার দায় নৈতিকভাবে সমর্থন করবেন ,তা যত কৌশল বা চাতুর্যের মাধ্যমে সবার বা আপনার সামনে তুলে ধরা হোক না কেন ! নিশ্চয়ই না!কারণ একজন ব্যক্তির দায় বা লোভ বা অপকর্মের পৃষ্ঠপোষক বা নৈতিক সমর্থনকারী কোনভাবেই একটি দল,সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এমনকি বৃহত্তর সমর্থকগোষ্ঠী হতে পারে না। যদি এর মধ্যে নূন্যতম মাত্রায় বৃহত্তর গোষ্ঠী বা দলের কোন রাজনৈতিক স্বার্থ না থাকে।কারণ এতে আপনার বা ঐ বৃহত্তর গোষ্ঠীর মৌলিকত্ব হারিয়ে যাবে। আর মৌলিকত্ব হারিয়ে গেলে আমি, আপনি, আমরা , আমাদের আদর্শিক সংগঠনের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে যাবে।
তাই ব্যক্তির কৌশল, চাতুর্য তা যতই সৃজনশীলতার সাথে করা হোক না কেন ,তার সমস্ত দায়ই স্রেফ তার এবং তারই...।
দ্রষ্টব্যঃ ব্যরিষ্টার মওদুদ সাহেবের বাড়ি উচ্ছেদ ইস্যু’র ক্ষেত্রে এ কথাই প্রযোজ্য......।...সম্পূর্ণ দায় তার...।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

বিজন রয় বলেছেন: কোথা থেকে শুরু আর কোথায় এসে শেষ!

কুৎ গেলাম।

২| ১০ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

করুণাধারা বলেছেন: দ্রীঘাংচু

লিখেছেন সুকুমার রায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.