নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের তুলনা মানুষের সাথে হতে হবে

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে গুটিকতক রাজনীতিবিদ ভদ্র, মার্জিত,শিক্ষিত ,সংস্কৃতিবান এবং সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিত নিঃসন্দেহে তাদের মধ্যে অন্যতম।আওয়ামী লীগ বা বিএনপি’র প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক মতাদর্শীদের মধ্যে ফখরুল সাহেবের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। রয়েছে শ্রদ্ধাবোধ। যেমনটা বিএনপি’র মধ্যে সৈয়দ আশরাফের জনপ্রিয়তা বা আস্থার জায়গাটা ছিল বেশ শক্তিসালী।নিজ দলের মাঝে আস্থা , আনুগত্য, শ্রদ্ধাবোধ অর্জন খুব একটা কঠিন বিষয় না। এরজন্য দলীয় প্রধানের গুডবুকে থাকা একটা দায়িত্বশীল পদ থাকাই যথেষ্ট। কিন্তু প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক আদর্শিক বিশ্বাসীদের মাঝে, দেশের বিরাট সংখ্যক রাজনীতিবিমূখ মানুষদের (অথচ রাজনীতি সমালোচক) আস্থা অর্জনের জন্য প্রথমে উল্লেখিত গুণাবলীর প্রয়োজনীতা অত্যাবশ্যক।অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক মতাদর্শিক , ভিন্নমতাবল্বী বা রাজনীতিবিমূখ সাধারণ নাগরিকদের আস্থা কি খুব বেশি জরুরী। সহজ উত্তর –হ্যা জরুরী।কারণ যে বা যেসব রাজনীতিবিদ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করার ইচ্ছা পোষণ করেন তাদের অবশ্যই ভিন্নমতাদর্শীদের আস্থা অর্জন করতে হবে অন্যথায় লাগাতারভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক বা গোষ্ঠীগত বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হবে। সমস্যা হচ্ছে এধরনের সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর আস্থা অর্জনকারী নেতৃত্ব যখন কোন বিশেষ কারণে বা সাময়িক অসচেতনার জন্য বেফাঁস মন্তব্য করেন তখন কিন্তু তাঁর প্রতি, তাঁর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল বিপুল সংখ্যক নাগরিক হতাশ হয়ে পড়েন।যা গতকাল বরিশালে জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্য প্রদানের পরে হয়েছে। যেখানে তিনি বলেছেন,’’২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গেছে গরু,ছাগল, কুকুর......’’ । দেশের মানুষ তাঁর বক্তব্যের মূল স্পিরিট বুঝতে পেরেছেন, তিঁনি কি বোঝাতে চেয়েছেন তাও বুঝতে পেরেছেন কিন্তু এক্ষেত্রে যে শব্দের ব্যবহার তিঁনি করেছেন তা অনেককেই হতাশ করেছে।কারণ এধরনের শব্দের ব্যবহার ফখরুল সাহেবের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ইমেজের সাথে যায় না। এ শব্দচয়ন যদি রিজভী সাহেব বা ওবায়দুল কাদের করেন তা সবাই মেনে নেবেন। কারণ ওনাদের সম্পর্কে মানুষের এধরনের একটা পারসেপশন তৈরি হয়েই আছে।কিন্তু ফখরুল সাহেব বা সৈয়দ আশরাফ সাহেব যখন এধরনের শব্দের ব্যবহার করবেন তখন মানুষ আড়মোড়া ভেঙে সোজা হয়ে বসবেন।একটা সমাজ বা রাষ্ট্রকে টিকে থাকতে হলে কিছু মানুষ থাকা জরুরী ,যাদের উপর আস্থা রাখা যায় ,যাদেরকে চোখবুজে বিশ্বাস করা যায় অন্যথায় সেই সমাজ বা রাষ্ট্র একটা দুর্বল থেকে দুর্বলতর দিকে যেতে থাকে।তাই কঠিন পরিস্থিতির মাঝে এধরনের গুটিকতক মানুষকে আবেগতাড়িত না হয়ে সবসময় বার্ডস আই এঙ্গেল থেকে কথা বলতে হবে।তাতে আস্থার পরিবেশটা ঠিকঠাক থাকবে। যা থাকাটা খুব বেশি জরুরী ।বিশেষ করে বিভক্ত আমাদের বর্তমান সমাজব্যবস্থায়!

শেষ করব, জনপ্রিয় ঔপান্যাসিক হুমায়ুন আহমেদের ‘মধ্যাহ্ন’ উপন্যাসের একটা ঘটনা দিয়ে।‘’সময়টা ব্রিটিশ শাসনের শেষদিককার। হরিচরন নামে একজন সমাজচ্যুত ব্যবসায়ী বাচাল স্বভাবের চাকুরী হারানো ধনু শেখকে বলছেন’-কুকুরের বাচ্চা ও মানুষের বাচ্চা নিইয়া তুমি যে এক মীমাংসা দিয়েছ, মীমাংসাটা আমার মনে লেগেছে।.........হরিচরন বললেন, মানুষের তুলনা মানুষের সাথে হবে।অন্য কোন প্রাণীর সঙ্গে হবে না।একটা মন্দ মানুষের তুলনা অন্য একটা মন্দ মানুষের বিবেচনা হবে।কোনো মন্দ প্রাণীর সঙ্গে হবে না। ......মানুষের তুলনায় পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী তুচ্ছের তুচ্ছের তুচ্ছ।ধুলিকনার চেয়েও তুচ্ছ......

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.