নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ম্যাক্সিম

ম্যাক্সিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি এখন কী করবে

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯

ভোটারদের আস্থা পোক্ত করতে বিএনপি কে স্পেসিফিক গোল সেট করে তা ব্যাপক প্রচারণা করতে হবে। যে গোলটা একটা বাজওয়ার্ডে পরিণত হবে।

মানুষ আওয়ামী দুঃশাষণে বিরক্ত বা ভোটাধিকার দেয়না শুধু এমন ভিত্তির উপর নির্ভর করে বা এমন বক্তৃতা দিয়ে বিএনপির প্রতি জনগনের বিশ্বাস পোক্ত করা যাবে না।

বিএনপির নেতৃবৃন্দ যেসব ভাষণ দিচ্ছে তা খুবই এজ ইউজুয়াল। যেমনঃ

* আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিরোধী দল দমনে লাগামহীন হয়ে পড়েছে: ফখরুল
* বোকা বানাতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করছে: ফখরুল
* নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীনরা চেহারা পাল্টিয়ে ভদ্র সাজছে: মির্জা ফখরুল
* সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে: ফখরুল

* সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: রিজভী
* অনর্গল মিথ্যা বলছেন তথ্যমন্ত্রী: রিজভী
* সংবিধান কি বড় পাথর যে সংশোধন করা যাবে না: রিজভী

এই টাইপের ভাষণ হচ্ছে জাস্ট রিএকটিভ কথাবার্তা। এমন ভাষণ দিলে কোন সাধারণ মানুষ বা ভোটার বিএনপির প্রতি ইমপ্রেসড হয় না। এগুলা একরকম হাস্যকর সাধারণ মানুষের কাছে।


সাধারণ মানুষদের মনে জায়গা নিতে বা তাদের ভোট নিশ্চিত করতে বা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দুইটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

১. সলিড গোল বা সলিড কোন প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যা হবে সংক্ষিপ্ত এবং তা মানুষ নিজেদের সাথে রিলেট করতে পারবে।

যেমনঃ আওয়ামি লীগ "ডিজিটাল বাংলাদেশ" "১০ টাকায় চাল খাওয়াবো" এমন কথা ২০০৮ সালে জনগণকে খাওয়াইছিলো। এরপর ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ এমন বিভিন্ন শব্দবন্ধ তারা জনমনে প্রতিষ্ঠা করেছে। এগুলো এতবার এতভাবে প্রচার হইছে এই কথাগুলোর বিরাট ইমপ্যাক্ট কিন্তু মানুষের মনে পড়েছে। মানুষ কোন কথা যখন বার বার শোনে ও দেখে সেগুলো অবচেতনেই তারা গ্রহণ করে। এভেইলেবিলিটি বায়াসের কারনে এমন হয়।

২. সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন জীবনে যে প্রবলেম ফেইস করছে সেগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আইডেন্টিফাই করা ও সেগুলো সমাধানে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া। প্রতিশ্রুতি ব্যাপকভাপবে প্রচার করা। এটা যেন মানুষের মুখে মুখে হয়ে যায় সেটা নিশ্চিত করা।

সাধারণ মানুষ কী প্রবলেম ফেইস করছে অনেক সময় নেতাদের মাথায়ই থাকে না। না থাকাটা অস্বাভাবিক না। এক পেশার মানুষই অন্য পেশার মানুষের সমস্যা সম্পর্কে জানে না।

যেমন ধরেন ছোট ব্যবসায়ীরা কৃষকদের সমস্যা সম্পর্কে ক্লিয়ার জানবে না। কৃষকরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের সমস্যা সম্পর্কে জানবে না। গার্মেন্টস শ্রমিকরা পরিবহন শ্রমিকদের সমস্যা সম্পর্কে জানবেনা। অথচ এমন গোষ্ঠীগুলোই ভোটের ফলাফল চেইঞ্জ করতে বড় ভূমিকা পালন করে।

সংখ্যায় বেশি এমন সেক্টরের মানুষদের সমস্যা সম্পর্কে আগে জানতে হবে তারপর সেগুলো সমাধানের ব্যাপক প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

সংখ্যায় বেশি কারা। যেমন ধরেনঃ

কৃষক শ্রেণী
তরুণ বেকার সমাজ
গ্রামের দৈনিক ব্যাসিসে কাজ করা শ্রমিক
পরিবহন ও গার্মেন্টস শ্রমিক
প্রবাসী শ্রমিক
সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী

বিএনপির নিজস্ব রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট টিম থাকবে যারা সরেজমিনে খোঁজ খবর নিবে ও প্রত্যেকটি বড় সেক্টরের সমস্যা আইডেন্টিফাই করে সেগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিবে।

বিএনপি এখন যেভাবে কথাবার্তা বলছে ও আগাচ্ছে তাতে বিএনপি আবার নির্বাচনে হারবে বা নির্বাচন আগের মত হবে।

একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। আপনি একই ইনপুটে কখনই ভিন্ন আউটপুট আশা করতে পারবেন না। এজ ইউজুয়াল কথাবার্তা বা খোচা মারা কথাবার্তা বলে রাজনীতির মাঠে বক্তৃতা দেওয়া যায় কিন্তু সাধারণ ভোটারদের নজরে পড়া, তাদের ভালবাসা পাওয়ার জন্য আলাদা কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়।

যে এজ ইউজুয়াল রাজনীতি বিএনপি ২০০৮ থেকে করে আসতেছে এখনও একইভাবে রাজনীতি করলে আউটপুট ভিন্ন হবে না অর্থাৎ ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচনের মত হবে। যদি ২০১৪ ও ২০১৮ এর মত আউটপুট না চান তাহলে ইনপুট ও চেঞ্জ করতে হবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ইশতেহার নভেম্বরে, আপনি এখনই দিয়ে দিলেন।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৭

ম্যাক্সিম বলেছেন: ভার্চুয়াল প্রাটফর্মগুলোতে বিএনপির এখনই ব্যাপক প্রচারণায় যাওয়া উচিৎ

ইশতেহারে কী থাকবে R&D টিম এখন থেকেই সেটা নিয়ে কাজ করবে। ফাইনাল ইশতেহার জনগনের সমস্যার সমাধানে যত প্রাসঙ্গিক হবে বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা তত বাড়বে।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

কামাল১৮ বলেছেন: কৃষক শ্রমিকদের সমস্যার কথা বলে তাদের সচেতন করলে বিএনপি আওয়ামী লীগ দুই দলই বিপদে পড়বে।তাদের মঙ্গল কেহই চায় না।তারা চায় নিজেদের মঙ্গল।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

ম্যাক্সিম বলেছেন: বিএনপির নিজেদের মঙ্গলের জন্যই তাদের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। ভোটের প্রতিশ্রুতি যে মিথ্যা হয় তা বিএনপিও যেমন জানে, কৃষক শ্রমিক ও জানে। তারপর ও প্রতিশ্রুতি শুনতে ভালো লাগে।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
এই মুহূর্তে দরকার সার্বজনীনভাবে গ্রহনযোগ্য এবং বিশ্বাস যোগ্য একটা প্রতিশ্রুতি।
যেমন - দ্রব্য মুল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। খাদ্য উৎপাদনে দেশকে স্বনির্ভর করা ইত্যাদি।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:১০

ম্যাক্সিম বলেছেন: এক্সাক্টলি।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: শূধু ভাল ভাল কথা বললেইতো আর হবে না, সেটা বিশ্বাসযোগ্য লাগতে হবে। । লন্ডনে থেকে তারেক রহমান অনেক প্রতিশ্রুতির কথা অনলাইনে শোনাচ্ছে। কিন্ত অবৈ্ধ টাকায় লন্ডনে বিলাস ব্যসনে বসে থাকা কারোর প্রতিশ্রুতির কানাকড়ি মূল্য নাই।বিএনপির উচিত ভাল , যোগ্য লোকদের সমন্বয়ে ঐক্যজোট গড়া গতবারের মত। একমাত্র তাহলেই তারা সরকার পতনের আন্দোলনে জনসমর্থন পাবে।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপির কিচ্ছু করার নেই। ওদের কোমর একেবারে ভেঙ্গে গেছে।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিএনপি অনশনে বসতে পারে, অথবা কাঁন্নাকাটি সমাবেশের আয়োজন করতে পারে।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩০

মোগল সম্রাট বলেছেন:



রাজনৈতিক দলগুলো শুধু পাওয়ারের রাজনীতিতে আটকা পড়ে আছে গত চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে। কারন পাওয়ারে গেলে মন্ত্রীগীরি, এমপিগীরি, পাশ পারমিট, এধারকা মাল ওধার করার চুড়ান্ত উদযাপন করা যায়। জনগণের জীবনমানের আর নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করার প্রবনতা কোন দলের মধ্যে আর নুন্যতম অবশিষ্ট নাই। সব ফাঁকা বুলি আর বাকওয়াজ।

আর জনগনও এখন গা সওয়া করে ফেলেছে এসব। তারা খুব ভালো করেই জানে এরা পালাক্রমে ধর্ষিত হবে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে। কি আর করার ধর্ষণ যখন অবধারিত তখন তাকে উপভোগ করাই শ্রেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.