নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবনাহীন ভাবনাগুলো

মাহের ইসলাম

মাহের ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আংকারা টু ইস্পারটা – এ জার্নি বাই বাস

২০ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৪১



- এক্কেবারে শেষ মুহূর্তে এসেছো!
ড্রাইভার অনেকটা তাজ্জব হয়েই এই মন্তব্য করলেন।

মধ্য বয়স্ক লোকটির বড় টাকের দিকে শুধু এক নজর তাকিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম হাতের সুটকেস সামলাতে। উত্তর দেয়ার সময় পেলাম না, কোন মতে বড় সুটকেসটা লাগেজ বক্সে তুলেই বাসে উঠে পড়লাম।

উঠার মুহূর্তে চোখে পড়ল একটা ফরসা মুখ, স্কার্ফ এবং সানগ্লাস যা পুরোপুরি ঢাকতে পারেনি – সবচেয়ে সামনে ডানের দুটো সিটের এক একটাতে বসে আছে।
অন্য পাসেঞ্জারদের দিকে তাকানোর সুযোগ পেলাম না, কারণ বাস ততক্ষণে আস্তে আস্তে চলতে শুরু করেছে।
আর আমার সিট সামনে হওয়ায় ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকানো রীতিমত লজ্জাস্কর মনে হচ্ছিল, কারণ প্রায় ছেড়ে দেয়ার মুহূর্তে দৌড়ে বাসে উঠেছি বলে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যেই ছিলাম।

আমার সিট কোনটা জানাই ছিল, কারণ কয়েকদিন আগে নিজেই অনলাইনে এই টিকেট্ বুক করেছিলাম।
চলন্ত গাড়ীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি আমার সিটে বসতে।
হ্যান্ডব্যাগটা পায়ের কাছে নামিয়ে সীট বেল্টটা বাঁধার সময় হঠাৎ সিটের সামনের টিভির স্ক্রিনে স্কার্ফে আধো ঢাকা সুন্দর একটা মুখ ভেসে উঠল।

লক্ষ্য করে দেখলাম, আমি বসেছি বাসের বামে সিংগেল সীটের সারির সবচেয়ে সামনের সীটে, যা কিনা ঠিক ড্রাইভারের পিছনে। প্রত্যেক সীটের সামনে একটা করে ছোট টিভি স্ক্রিন দেয়া আছে। আর, বন্ধ থাকায়, আমার স্ক্রিন অনেকটা আয়নার কাজ করছে – ফলে একটা নির্দিষ্ট এংগেলে আমার ডানে বসা তরুণীর চেহারা প্রায় পরিস্কার দেখা যাচ্ছে। ফরসা কিছুটা লম্বাটে মুখ, বয়স বিশের কোঠায় হতে পারে, কোন মেক আপ নেই কিন্তু ঠোটের লিপস্টিক দেয়া আছে মনে হচ্ছিল; অনেকটা নির্বিকার ভঙ্গিতে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। প্রতিবিম্ব হলেও পিকচার কোয়ালিটি ভালো বলতেই হবে – তাই একটু সময় নিয়েই খেয়াল করলাম।

হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় কি কুলক্ষণে যে মাথায় আইডিয়াটা এসেছিল যে, মুরতেজার ছেলে-মেয়ের জন্যে কিছু চকলেট কিনে নেই, রাস্তায় পছন্দ মত কিছু পাবো কিনা তার ঠিক নেই।
সেই চকলেট কিনতে গিয়েই বিপত্তিটা বেঁধেছিল।
অর্ডার প্লেস করে অপেক্ষা করছি, আর আমার সামনের কাস্টমার তার সিদ্ধান্তহীনতায় আমার ধৈর্য পরিক্ষা নিচ্ছিলেন।
বাস মিস করার উৎকন্ঠায়, অভদ্রের মতো একবার বলেও ফেললাম যে আমার একটু তাড়া আছে।

এরপরেও কোন লাভ হল না।
তারপর দোকানের তরুণী এক সুন্দরী তার পেশাদারিত্ব দেখিয়ে ধীরে ধীরে যত্নের সাথে আমার চকলেট প্যাক করতে লাগলো। মনে মনে চাইছিলাম কোন মতে একটা ব্যাগে ভরে দিলেই হয় – কিন্তু সে সুন্দর করে গিফট প্যাকটা শেষ করল।
প্যাকেটটা দেখে অবশ্য আমার মনটা ভালো হয়ে গেল।

প্রায় ছোঁ মেরে প্যাকেটটা নিয়ে হোটেলের বাইরে অপেক্ষারত ট্যাক্সিতে উঠে পড়লাম আমি আর ফিক্রি।
ফিক্রি চেকিজ হল আমার লোকাল গাইড টাইপের। আসলে, আমাকে বাসে তুলে দেয়ার জন্যে এসেছে, অফিস থেকেই তাকে এই দায়িত্বটা দেয়া হয়েছে।
মনে মনে দোয়া পড়তে পড়তে ভাবছিলাম টারকিশ বাসগুলো যেন আমাদের দেশের মতই একটু দেরী করে ছাড়ে। তাহলে বাস মিস হবে না, না হলে আজ বাস মিস হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে।
মিস করলে আর যাওয়া হবে কিনা সন্দেহ, কারণ সরাসরি যে বাস যায়, তার শেষেরটাতেই টিকেট কেটেছি। এখন এটা মিস করলে, অন্য শহরে নেমে তারপরে লোকাল বাসে করে আমার গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে – এক্সট্রা টাকাতো যাবেই, সময়ও যাবে।

অটোগার মানে বাসস্ট্যান্ডে এসে সব চেয়ে কাছের কাউন্টারে গিয়ে ফিক্রি খোঁজ করল আমার বাসের।
কপাল খারাপ হলে যা হয়, জানা গেল আমার বাস টার্মিনালের শেষ মাথায়।
শুরু হল আমাদের দুজনের দৌড় – আমি বড় সুটকেস নিয়ে দৌড়াচ্ছি আর সে আরেকটা ছোট ব্যাগ নিয়ে আমার আগে আগে ছুটছে। আমার বয়স আর সুটকেসের ওজনের কারণে তার সাথে তাল মিলাতে পারছিলাম না।
ভীরের মধ্যে হারিয়ে ফেলার ভয়ে প্রাণান্তকর চেস্টা করছিলাম, তাকে অন্তত দৃষ্টিসীমার মধ্যে রাখতে।

প্রায় শেষ মাথায় গিয়ে সে একটা বাসের সামনে দাঁড়িয়ে কি যেন জিজ্ঞেস করল, বাসটা ততক্ষণে ব্যাক গিয়ারে ধীরে ধীরে পিছিয়ে টারমিনালের ওয়েটিং জোন থেকে বের হতে শুরু করেছে।
আমি দৌড়াতে দৌড়াতে বাসের কাছে গিয়ে দেখলাম ছোট একটা বোর্ডে লেখা ‘স্পারটা’।
বুঝলাম, এটাই আমার বাস।

মুরতেজা চাম আমার অনেক আগের বন্ধু।
তার সাথে প্রায় ১৯ বছর আগে শেষ দেখা হয়, আমি তখন ইস্তাম্বুলে পড়াশোনার জন্যে এসেছিলাম। এরপর দেশে ফিরে গেলেও মাঝে মাঝে তার সাথে যোগাযোগ হত। কয়েকদিন আগে যখন অফিসের কাজে তুরস্ক আসার সুযোগ হল, তখন মনে হল তার সাথে একবার দেখা করা যায়।সে এখন সপরিবারে ‘স্পারটা’ থাকে, আর তার সাথে আমার বন্ধুত্ব ছিল সবচেয়ে গভীর। তাই, আংকারা থেকে বাসে ‘স্পারটা’ যাচ্ছি। প্রায় ৭ ঘন্টার রাস্তা, কিন্তু তুরস্কের বাস আর রাস্তা উভয় সম্পর্কেই আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল – তাই একটা অসাধারণ জার্নির আশায় এই বাসে চেপে বসা। তার সাথে এখানে আসার আগেই সমস্ত যোগাযোগ করা করা শেষ, আমি ‘স্পারটা’ যাচ্ছি শুনে আমাদের আরেক বন্ধু ভেলি দেনিজও আজ আসবে। সে থাকে ইজমিরে, আজই রওয়ানা দিবে; কিন্তু আমার আগেই ‘স্পারটা’ পৌঁছে যাবে। তারা দুজন এসে আমাকে স্পারটা বাসস্ট্যান্ডে রিসিভ করবে – এমনি এক প্ল্যান করা হয়েছে।


বাইরের সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে সানগ্লাসের কথা মনে পড়ল, কিন্ত্ পায়ের কাছে রাখা হ্যান্ডব্যাগটা তন্ন তন্ন করেও খুঁজে পেলাম না। খুব সম্ভবত তাড়াহুড়ার মধ্যে হোটেলে ফেলে এসেছি।
একবার ভাবলাম ফিক্রিকে জানাই, সে যেন হোটেল থেকে আমার সানগ্লাসটা কালেক্ট করে নিজের কাছে রাখে, আমি পরে তার কাছ থেকে নেয়ার একটা উপায় বের করে ফেলব।

হোয়াটসঅ্যাপ এ কল দিতে হবে, তাই বাসের ওয়াই ফাইয়ের পাসওয়ার্ড চাইতে গিয়ে বুঝলাম আমার ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল ১৯ বছর আগের মত নেই। যাই হোক, ইংরেজি আরে টার্কিশ মিশিয়ে বাসের গাইড ছেলেটাকে বুঝাতে পারলাম। তার কাছ থেকে পাসওয়ার্ড নিয়ে দেখি সব জায়গায় নেট থাকে না। তাই ফিক্রির সাথে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। আমার আবার লোকাল সিমকার্ড নেই, কারণ ইন্টারনেট থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ দিয়েই সমস্ত যোগাযোগ চলছিল এই কয়েকদিন।

কয়েক ঘণ্টা পরে এক পেট্রল পাম্পে থামল।
বাস থেকে নামার সময় ড্রাইভার সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল যে, চাইলে ওয়াস রুম ব্যবহার করতে পারেন।
আমি নেমে পুরুষ লেখা দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম।
ওয়াস রুম থেকে বের হওয়ার সময় খেয়াল করলাম দরজার কাছে একটা প্লেটে কিছু কয়েন রাখা। বুঝতে অসুবিধা হল না, এগুলো ওয়াস রুম ব্যবহার করে যাত্রীগণ পেমেন্ট করে গেছে। আমি পড়লাম মুশকিলে, কারণ আমার কাছে কোন টার্কিশ কয়েন বা ছোট মুদ্রা নেই। কারণ ডলার ভাঙ্গানোর সময় স্বাভাবিক ভাবেই কোন ছোট নোট পাইনি। তদুপরি, গত কয়েকদিন কার্ড দিয়েই কেনা কাটা করেছি বেশীরভাগ সময়, তাই কোন কয়েনও হাতে আসেনি।

টাকা নেয়ার জন্যেও কাউকে দেখছি না।
তাই, আমার অসহায়ত্ব বুঝানোর জন্যে এগিয়ে গেলাম মহিলা লেখা দরজার দিকে – হয়ত ঐখানে কেউ থাকবে যারা এই ওয়াশ রুম গুলো পরিচালনা করে। কারণ আমাদের দেশে তো সব সময় কেউ কেউ টাকা নেয়ার জন্যে দরজার কাছে থাকেই।

আমাকে মহিলাদের দরজার দিকে এগুতে দেখে বাসের ড্রাইভার চিৎকার করে উঠল
– মেয়েদের ওয়াশ রুমে কেন ঢুকতে যাচ্ছ ? পুরুষদেরটা তোমার পিছনে।

লজ্জায়, মাথা নিচু করে বাসে উঠে পড়লাম।
বোঝানোর চেষ্টা করলাম না।
কারণ পাস ওয়ার্ড চাইতে গিয়ে টের পেয়েছি – সে এক বর্ণ ইংরেজি জানে না আর আমি টার্কিশ ভাষায় অত দক্ষ নই।
বসেই আড়চোখে ডান পাশের তরুণীর দিকে তাকালাম। তাকে নামতে দেখিনি, বসেই ছিল।
দেখি, কেমন একটা দৃস্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম। পরের পুরোটা সময় আর তার দিকে তাকানোর মতো সাহস করে উঠতে পারিনি।

পরের পর্ব আংকারা টু ইস্পারটা – এ জার্নি বাই বাস (পর্ব – ২ )

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ২:০৪

কাইকর বলেছেন: আহা...পড়া শুরু করতেই না শেষ।খুব ভাল লিখেন দাদা।আশা করি আরো গল্ল পাবো এরকম।আমিও ছোটখাটো গল্পকার। সময় পেলে আমার ব্লগে ঘুরে আসবেন।দাওয়াত রইলো। ধন্যবাদ ও শুভ কামনা দাদা

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মাহের ইসলাম বলেছেন:
আমাকে উৎসাহিত করার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আশা করছি, আপনার ব্লগে শীগগিরই দেখা হবে।

২| ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:০৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: কি মাহের সাহেব??
এক দেখাতেই টাশকি??:P
সেকি নায়ক? নাকি কমেডি সিনেমার হিরো??

গল্পটা ভালই;)

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মাহের ইসলাম বলেছেন:
টাশকি তো ভাই এক তরফা হয়ে গেছে।
নায়ক তো দুরের কথা ভিলেন হিসেবেও কাছে ঘেষতে পারে নাই।

৩| ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: এদের মধ্যেই ট্রয়ের যুদ্ধ হয়েছিলো।

২০ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:১৯

মাহের ইসলাম বলেছেন:
সময় নিয়ে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

আসলে এখানে স্পারটার যুদ্ধ হয় নাই।
সেই স্পারটা আর এই গল্পের ইস্পারটা একই জায়গা নয়।

৪| ২০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৮

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: আসলেই পড়তে যেই শুরু করলাম ওমনি শেষ। ধন্যবাদ

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

মাহের ইসলাম বলেছেন:
আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
আশা করছি, পরের অংশে এর সমাপ্তি টানতে পারব।

৫| ২০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মাহের ভাই হৃদয়ে তো বেশ নাচিয়ে গেল দেখলাম। তবে এদেখা কী শুধু বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে? না অন্য দিকে মোড় নেবে? যাইহোক ১৯ বছর পরে বন্ধুর বাড়ি যাওয়াটা বেশ স্মরণীয় হয়ে থাকলো বৈকি।

অনেক অনেক ভাল লাগা প্রিয় মাহের ভাইকে।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

মাহের ইসলাম বলেছেন:
অন্য দিকে মোড় নেয়ার সুযোগ নেই।
সিনেমা বা নাটকে হয়ত হয়, তবে আমার এখানে পারিনি।
আপনি ঠিকই বলেছেন, ১৯ বছর পরে যে কারো সাথে দেখা হওয়াটাই একটা বিরাট ব্যাপার।
বন্ধু বলে, এটা অতি বিরাট ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে, বাস্তবেই।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঝরঝরে, সাবলীল লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মজা করে পড়লাম।
ধন্যবাদ।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

মাহের ইসলাম বলেছেন:
আপনাকে পাঠকের কাতারে দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আন্তরিক ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৮

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা ভ্রমণ কাহিনী। তবে আংকারা থেকে স্পারটা-এর দুরত্ব কত এবং ভ্রমণে কত সময় লেগেছে সে কথা কিন্তু বলেন নি।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

মাহের ইসলাম বলেছেন:
সরি ভাই।
আসলে ঐ দিকটাই অতটা খেয়াল করা হয়নি।

দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিঃমিঃ (হাইওয়ের ভিন্নতায় ৪৬০ কিঃমিঃ পর্যন্ত হতে পারে)।
যাতায়াতে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার কাছাকাছি সময় লাগে, গাড়িতে।

৮| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

ক্স বলেছেন: ট্রয় জায়গাটা তুরস্কের ঠিক কোথায়? আঙ্কারা থেকে স্পারটা যেতে হলে তো ইজমির ও এ্যাথেন্স হয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যেতে হয়, তাই না?

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

মাহের ইসলাম বলেছেন:
প্রাচীন ট্রয় নগরী তুরস্কের চানাক্কালে (canakkale) শহরের কাছে। ১ম বিশ্ব যুদ্ধের বিখ্যাত Gallipoli Campaign এই শহরের কাছেই হয়েছিল। ইস্তাম্বুল থেকে পশ্চিমে, বাসে প্রায় ৬ ঘণ্টা লাগবে।
এর পরে প্রায় ৩০ কিমি দূরে ট্রোজান হর্স পাবেন ট্রুভা (Truva) নামের এক জায়গায়।

ঈস্পারটা (Isparta) শহর আংকারা থেকে দক্ষিন পশ্চিমে। এটা প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার স্পারটা নগরী নয়। তাই, সমুদ্র পার হতে হয় না।

আমি ইচ্ছে করেই ইংরেজি বানানগুলো দিয়েছি, যাতে আপনি goggle map এ গিয়ে নিজেই ম্যাপে দেখে নিতে পারেন।

৯| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

মাহের ইসলাম বলেছেন:
আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

১০| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

লাবণ্য ২ বলেছেন: ভালো লাগল।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

মাহের ইসলাম বলেছেন:
আমাকে উৎসাহিত করার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১১| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শেষ হয়ে গেল!! পরের পর্ব আছে নাকি?
বেশ ভালই লাগছিল।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

মাহের ইসলাম বলেছেন:
মোস্তফা ভাই,
আসলে শেষ হয় নাই।
যাত্রাপথ আরেকটু লম্বা। তাই, পরের পর্ব এখনো শেষ করতে পারি নাই।
সময় নিয়ে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: অনেক মজা পেলাম পরের পর্বের অপেক্ষাতে থাকলাম।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

মাহের ইসলাম বলেছেন:
আমাকে উৎসাহিত করার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
পরের পর্বের লেখাটা এখনো শেষ করতে পারি নাই।
তবে, আপনাদের শুভ কামনায় এমন উৎসাহ পেয়েছি যে, চেষ্টা করছি যেন আজই শেষ করতে পারি।

১৩| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা, ভাল লাগলো মাহের আরেক পর্ব হবে নাকি?

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

মাহের ইসলাম বলেছেন:
ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই ধরেছেন। আরেকটু বাকী আছে।
চেষ্টা করছি, যেন তাড়াতাড়ি লিখে শেষ করতে পারি।

১৪| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২২

পবন সরকার বলেছেন: ভালো লাগল।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

মাহের ইসলাম বলেছেন:
আমাকে উৎসাহিত করার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৫| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

নাজিম সৌরভ বলেছেন: স্পার্টাতে নারী থাকবেই! সে লেংটা হোক আর হিজাবওয়ালি হোক !

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

মাহের ইসলাম বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন, ধন্যবাদ।

১৬| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

সমুদ্রচারী বলেছেন: আপনার বর্ণনা বেশ সহজ,সাবলীল।ভালো লাগলো।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মাহের ইসলাম বলেছেন:
পরের পর্বের লেখাটা এখনো শেষ করতে পারি নাই।
চেষ্টা করছি, যেন তাড়াতাড়ি লিখে শেষ করতে পারি।

আমাকে উৎসাহিত করার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৭| ২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

ডুম বলেছেন: ভালো লাগলো চমৎকার।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মাহের ইসলাম বলেছেন:
আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

১৮| ২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বর্ণনা সুন্দর কিন্তু গল্প ভাল লাগেনি।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মাহের ইসলাম বলেছেন:
মাইদুল ভাই,
আপনার অকপ্ট স্বীকারোক্তিতে মুগ্ধ হয়েছি।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

চেষ্টা করবো যেন, ভালো কিছু লিখতে পারি।

১৯| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

নতুন বলেছেন: ছবি ছাড়া ভ্রমন ব্লগ?

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মাহের ইসলাম বলেছেন:
আপনার সাথে একমত, ছবি ছাড়া ভ্রমন ব্লগ মানানসই নয়।
আমি আসলে ছবি না দেখিয়ে গল্প টা শেয়ার করতে চেয়েছিলাম।
এর পরে কোন এক ফুরসতে কিছু ছবি শেয়ার করে নিবো, না হয়।

তবে এখন শুধুমাত্র রাস্তার একটা ছবি আপলোড করলাম।

২০| ২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একবারে লাল করেই ছেড়ে দিলেন :P হা হা হা

আগেও না পরেও না ;) দারুন সাসপেন্সে আটকে রাখলেন সবাইকে!

দেখা যাক কি হয় অত:পর!

ভাল লাগল লেখনি :) +++++++++

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

মাহের ইসলাম বলেছেন:
সময় নিয়ে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যের সরলতায় মুগ্ধ হলাম।
যাত্রাপথ আরেকটু লম্বা। তাই, পরের পর্ব এখনো শেষ করতে পারি নাই।

২১| ২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শিখা রহমান বলেছেন: মাহের বরাবরের মতোই সুন্দর লেখা। ভালোলাগা ও শুভকামনা।

২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মাহের ইসলাম বলেছেন:
আমাকে উৎসাহিত করার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনার প্রতিও রইল শুভ কামনা।

২২| ২১ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৩১

রেইড ইন স্কাই বলেছেন: বেশ ভাল লাগল।

২১ শে মে, ২০১৮ রাত ১:১১

মাহের ইসলাম বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ, উৎসাহিত হলাম।

২৩| ২১ শে মে, ২০১৮ রাত ১:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহারে !!!
চমৎকার বর্ণনায় আকর্ষণীয় ভ্রমণ গল্প !!!
অনেক অনেক ভালোলাগা :)

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

মাহের ইসলাম বলেছেন:
সময় নিয়ে পড়ার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
উৎসাহিত হয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.