নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"প্রেরণা" পলাতক!!!!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১



আমরা প্রেরণা খুঁজি,অন্যকে দেখে উৎসাহিত হয়।ঈশ... তার মতো যদি বড় কিছু হতে পারতাম।একটা আক্ষেপ মাখা আবেগ কাজ করে।আমরা অন্যের আদর্শে আর্দশিত হতে চেষ্টা করি।
কিন্তু আদর্শের জায়গাটা দিন দিন কলুষিত হচ্ছে,কলুষিত করছে।কাকে আমরা আদর্শ হিসেবে বেছে নিবো।যাদের কিনা বলা হয় সমাজ গড়ার কারিগর।আদর্শিক করার কারিগর। তাদের ভিতরেই কিনা মহামারি আকারের গলদ অন্তর্নিহিত।
ইদনিং পত্র পত্রিকায় যখন বড় করে শিরোনাম দেখি "প্রশ্নফাসে একাধিক শিক্ষক জড়িত" তখন মহামারি আকারের ধাক্কা খাই।শিক্ষকতা পেশাটা অনেক সম্মানের,মর্যাদার,অনেক উচুমানের,অনেক ভারী একটা পেশা।তারা নিঃস্বার্থে জ্ঞানদান করে থাকেন।সমাজকে পরিবর্তন,সমাজের সমস্যা সমাধান, এক কথায় মানুষকে মানুষের মতো ভাবে গড়ে তুলে নিঃস্বার্থ ভাবে।মহান পেশা যাকে বলে।যে পেশায় থাকে না আত্মতুষ্টি, থাকে আত্মত্যাগ।হুট-হাট আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পেশা তো অনেক আছে ।কিন্তু শিক্ষকতা পেশায় কেনো??? শিক্ষকতা পেশাতে নেই কোন টাকার লোভ লালসা কিংবা এই পেশা মহামারি টাকা উপার্জনের কোন মাধ্যম না।কিন্তু ইদানীং তাই ঘটছে অহরহ,হরহামেশাই।
শিক্ষকরা কেন এমন হবে????অতীতে তো এমন ছিল না।নাকি সময়ের সাথে সাথে মানুষের মনুষ্যত্ব বিকৃত হয়ে যাচ্ছে।নাকি মানুষের "জাত" করেই উপরে উঠার তাড়না বেশী বেশী???অতীতে শিক্ষকরা কি স্বঃস্ফূ্র্ত,সচল ভাবে চলে নাই???নাকি শিক্ষকরা অবহেলিত ছিল???তাদের কি চাহিদা কম ছিল????ইদানীং শিক্ষকদের মধ্যে কেন এতো এতো চাহিদা???কেন এতো জোচ্চুরি???আমরা দিনকে দিনকে সত্যিই অতি ভেজাল জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছি।যেখানে জাতির কারিগরেই ভেজাল তাহলে আমরা কি ভাবে নির্ভেজাল থাকবো ।ইদানীং যে পরিমাণ ভেজাল আমরা গ্রহণ করছি,আমাদের মনুষ্যত্বে ভেজালের কারখানায় রূপ নিচ্ছে।

অন্যদিকে দেখা যায় আমোদর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিনকে-দিন হয়ে যাচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।শিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে ফায়দা লুটছে কিন্টারগার্ডন স্কুল থেকে শুরু করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও।শিখার মতো তো কিছু শেখানোই হচ্ছে না।শিখানো হচ্ছে বইয়ের পাতা মুখস্থ করার পদ্ধতি ।এরমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও দেখা যায় রাজনৈতিক কোন্দলে ক্লাস ঠিকমতো হয় না।বাধ্যহয়ে শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট পড়তে আগ্রহী হয়।শিক্ষকরাও সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঝুপ বুঝে কূপ মারে।আর কোচিং নামক ব্যবসা তো চলছে সমান তালে ।সময় বাড়ে,বাড়ে আশঙ্কা,বাড়ে বিষন্নতা,সেই সাথে বাড়ে কারো পকেটের আকার,আয়তন!!!!!

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটাই হচ্ছে অতি জগণ্য।হাতে কলমে না শিখিয়ে শেখানো হয় ঠাডা মুখস্থ বিদ্যা।যেখানে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে প্রকৃত শিক্ষার হার।প্রতিবছর দেখানো হচ্ছে এতো-শত গোল্ডেন,এতো-শত প্লাস,এতো-শত পাশের হার।যা স্বপ্নের মতোই কারণ বাস্তবক্ষেত্রে এর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।যার প্রমাণ পাবলিক পরীক্ষা গুলোতে দেখা যায়্‌...ঢাবিতে ইংরেজিতে পাশ নাম্বার তুলতেই হিমশিম খায় আর চান্স পাওয়া তো দূরের কথা।এরজন্য সহজ পদ্ধতি দেখছি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস !!!! আর সৃজনশীল নামে যে... অ-সৃজন,অনুশোচনীয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।সেখানে না হচ্ছে শিক্ষার্থীর কোন সৃজন,না হচ্ছে কোন নতুন কিছু উদ্ভাবন।সৃজনশীল তৈরী করতে যে নিয়ম এবং এর জন্য যে কারি কলাম দরকার তার ধারের কাছেও নেই আমরা, নেই আমাদের পড়ালেখার ব্যবস্থাপনা,সরঞ্জাম।তাহলে কেমনে সম্ভব পড়ালেখার মান উন্নতি করা।পড়ালেখার মান এখন অতি নির্মম পর্যায় অবস্থান করছে।শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড এখন মেরুদণ্ডহীন হয়ে বিকলাঙ্গে রূপ নিচ্ছে!!!

কথায় আছে... যেখানে সম্মানী ব্যক্তির কদর করা হয় না...সেখানে সম্মানী ব্যক্তি জম্মায় না।দিন দিন আমরা জাতি হিসেবে খেই হারিয় ফেলছি তেমনি আমাদের প্রেরণা উৎসাহের জায়গা আদর্শে খেই হারিয়ে যাচ্ছে।আমরা কাকে দেখে শিখবো,কার কাছ থেকে শিক্ষা নিবো।পলাতক,গুম হয়ে হচ্ছে আমাদের প্রেরণার জায়গা।আমারা বিবর্তিত হয়ে ক্রমে ক্রমে ধাবমান হচ্ছি অকেজো,অসচ্ছল,জজ্ঞাল মনুষ্যত্বে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.