নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্ত আকাশ,মুক্ত ভাবনা

২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১:১৪



মুক্ত আকাশের মতো চিন্তার প্রসারণ বৃদ্ধি পেতে থাকে মুক্তভাবে মুক্তচিন্তায়।চিন্তার চৈতন্যে তখন আলাদা মাত্রা যোগ হয়।পূর্বে যে প্রশ্নে ভরকে যাওয়া হতো এখন নিন্তাতই তা ভরহীন মনে হয়।ঘটনার পিছনের ঘটনা জানতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি ।যুক্তি খুঁজি,তর্কে জড়ায়।খোলস থেকে বেরিয়ে উন্মুক্ত চিন্তায় সর্বক্ষণ যেন উন্মুখ হয়ে থাকি।নতুন উদ্দীপ্তটায় নতুন কিছু জানতে,নতুন কিছু করতে।নতুন মজাদার কিছু জানতে পেরে মনে ঝাঁকির মতো লাগে।আহ্লাদিত হই উল্লাসিত হই আত্মতৃপ্তিতে প্রফুল্লতা বাড়ে।
পারিস্পারিক পরিবেশ পরিস্থিতি সবসময় অনুকরণ হয়,অনুসরণ হয়,অনুপ্রাণিত হয়।মানুষ চমকপ্রদ কিছু করলে অবচেতন মন তার মতো হওয়ার অভিপ্রয়াস ঘটে।নিজের মধ্যে তা প্রতিফলিত করার অভিপ্রয়াস ঘটে।নতুন সময়,নতুন ভাবনায় সবসময় মানুষ সবকিছুকে সহজভাবেই গ্রহণ করতে চাই।এটা তার অচেনা,অজ্ঞাত বলেই।নতুন কিছুর স্বাদ তেঁতু না মিষ্টি অনুধাবন করতে কিছুটা সময় লাগে।যা দেখে,শুনে সবকিছুতেই অবাক,বিস্ময়ের সহিত আকর্ষিত হয়।আকর্ষণ বাড়তে থাকে।
প্রাকৃতিক ভাবে আবেগ আকাঙ্ক্ষা জৈবিক চাহিদা যে বিষয় গুলো থাকে।সেগুলোর ক্রমোসোম বৃদ্ধি পেতে ।যেহেতু নতুন ভাবনার অবতারণ হয় সেহেতু বয়সের সাথে সাথে বৃদ্ধি পাওয়া আবেগ জৈবিক চাহিদাতেও তা ঘ্রাস করে।নতুন কিছু পাওয়ার স্বাদ জাগে ইচ্ছা জাগে ।নতুন কিছু পেতে উন্মুখ এই বয়সটাতেই যাকে বলে টিনেজার বয়স।আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ,অবস্থা জীবন প্রবাহে অতি গুরুত্বপূর্ণ ।আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা আদি থেকেই পুরুনো।জীবনযাত্রার মান অনুন্নত।আমরা আদি থেকেই অনেক পিছিয়ে।সে কারণে অনুন্নত পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না।
এখন এই টি-নেজার বয়সে দেখছি অনেকে বখে যায়।সমাজবিজ্ঞানীর যার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছে পরিবারকে।যেহেতু পরিবার থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু।
সমাজ বিজ্ঞানীরা মনে করেন পরিবারে মিলবন্ধন শিথিল হলে সচরাচর বখে যাওয়ার বিভৎসতাময় ঘটনার জন্ম হয়।পরিবারের সাথে ছেলেমেয়ের সম্পর্ক ভাব বিনিময়ের জায়গা পোক্ত না হলে ঝরে যায়,খেই হারিয়ে যায়।
আমাদের সমাজে মেয়েদের ক্ষেত্রে মায়েদের সাথে কিছুটা ভালো সম্পর্ক,প্রাণ খুলে সবকিছু শেয়ার করার জায়গা থাকলেও ছেলেদের ক্ষেত্রে তার প্রেক্ষাপট উল্টো।আমাদের দেশে কয়টা ছেলে আছে যে,সে তার জৈবিক চাহিদা নিয়ে খুলাখুলি আলোচনা করে কিংবা বাবারা উৎসাহ নিয়ে ছেলেকে সে সম্পর্কে খোলাখুলি ভাবে বলে বুঝায়।ছেলেরা যা শিখে বন্ধুদের কাছ থেকেই শিখে।সেটার মন্দের দিকটাই বেশ লক্ষণীয়।কারণ যার কাছ থেকে শিখছে সে কি তার পরিবার থেকে খোলাখুলি ভাবে শিখতে পেরেছে।নয়তো।আসলে প্রশ্নটা এখানেই।আমরা জৈবিক চাহিদাকে বেশী বড় পরিসরে ভেবে ফেলছি।মাথার উপরেও নিয়ে ফেলছি।কিন্তু যেটা নিন্তাতই শরীরের নিচের একটা অঙ্গ মাত্র।মুখ,নাক,কান,চোখের মতই।
মুক্ত আকাশের মুক্ত চিন্তায় আমরা মুক্তভাবে পরিবারে আলোচনা,পর্যালোচনা করার পরিবেশ তৈরি করি।তাহলেই কেবল মুক্তিতে মুক্ত মিলবে,মুক্তি মিলবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.