নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারিপার্শ্বিকতা এবং আইন

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৬



প্রকৃতি এবং পারিপার্শ্বিকতা আমাদের জীবন প্রবাহ ঠিক করে দেয় কোন দিকে প্রবাহিত হবে ।এই প্রভাবকের মাত্রা অত্যাধিক যার বলয় থেকে বেরোনো সহজ ব্যাপার না।এর বলয় থেকে বেরিয়ে আসার শতকরা হার অতি নগণ্য।কিন্তু এই বলয়ে মিলিয়ে যাওয়ার শতকরা হার অধিক এবং সার্বজনীন। প্রকৃতি এবং পারিপার্শ্বিকতা প্রতিনিয়তই প্রতিচ্ছবি রূপে আমাদের অবচেতন মনে দাগ কাটে ।যার প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক,হতে পারে মন্থর গতি।একটা শিশু কোন পরিবেশ থেকে বেড়ে উঠছে?তার পারিপার্শ্বিকতা কি?তার পুরো প্রতিফলন ঘটে তার চিন্তাশক্তিতে,তার আচার-আচরণে,তার কথাবার্তায়।শহরের পরিবেশে বেড়ে উঠা ছেলেমেয়েদের চিন্তাশক্তি,আচার-আচরণে, কায়দা করে কথাবার্তা বলার সাথে গ্রামের পরিবেশে বেড়ে উঠা ছেলেমেয়েদের চিন্তাশক্তি,আচার-আচরণে, কায়দা করে কথাবার্তার তফাৎটা একটু ভিন্নই বটে।শহরের পরিবেশ,পারিপার্শ্বিকতা এবং গ্রামের পরিবেশ পারিপার্শ্বিকতা ভিন্ন বলেই পার্থক্যটা তৈরি হয়।
কথা হচ্ছে,খুন,ধর্ষণ,চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই,রাহাজানি,হানাহানি,মারামারি,ক্ষমতার অপব্যবহার এগুলো কিন্তু সৃষ্টির শুরু থেকেই শুরু।আগে তেমন এতো অডিও,ভিডিও,ছবি,গণমাধ্যম ছিল না যার ফলস্রুতুতে প্রকাশ পেতো কম,উন্মোচন হতো কম ।প্রযুক্তি বিপ্লবের ফলে আমরা এখন দেশীয় সংস্কৃতি,সিনেমা,নাটক,চাঞ্চল্যকর ঘটনা থেকে শুরু করে বিদেশী সংস্কৃতি,সিনেমা,নাটক,চাঞ্চল্যকর ঘটনা দেখত এবং উপভোগ করতে পারছি ঘরে বসে যখন-তখন,হরহামেশাই।আমরা অনেক বেশী ভিডিও-ভিত্তিক বাস্তবিক হয়ে গেছি।আমাদের কাছে আগে যা দূরবর্তী,অদেখা ছিল এখন তা নিকটবর্তী,দেখা সহজ করে দিচ্ছে আকাশ প্রযুক্তির ফলে।অদেখা,সাংঘাতিক,মর্মান্তিক ঘটনা এখন আমরা আকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে নিত্যদিন দেখে যাচ্ছি,অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে।বিস্ফোরক,অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে এখন তুচ্ছ ব্যাপার মনে হয়।সহজে অবাক হওয়া ব্যাপারটা একারণেই হ্রাস পাচ্ছে দিনকে দিন।
পারিপার্শ্বিকতা নীরব ঘাতকের ন্যায় আমাদের অবচেতন মনে জায়গা করে নেয়।ধীরে ধীরে আমাদের মনকে উসকে দিতে থাকে এবং প্রতিফলন ঘটাতে থাকে আমাদের চিন্তাজগতে প্রকাশিত হয় কাজকর্মে,আচার-আচরণ,কথাবার্তায় ।খুন,ধর্ষণ,চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই,রাহাজানি,হানাহানি,মারামারি,ক্ষমতার অপব্যবহার হলও জিজ্ঞাসার জায়গা,চাহিদার জায়গা।এগুলোর পিছনে সামাজিক ব্যবস্থাপনা,রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা দুটো কারণই বিদ্যমান।এগুলোতে মানুষ আগ্রাসী মনোভাব বেশী দেখা যায়।নিয়ম ভাঙতে মানুষের মনস্তান্তিক অন্তঃকরণে মজা পায়।এগুলো দমিয়ে,সীমার মধ্যে রাখার জন্যই তৈরি করা হয়েছে আইন।আইন করে নিয়মের মধ্যে মনোনিবেশ করা।আইনের প্রয়োগ যদি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা, দৃষ্টান্তস্বরূপ আরোপ করা হয় তাহলে মানুষের চাহিদা,জিজ্ঞাসার জায়গায় ধাক্কা লাগে।সহজেই কারণ সহ কিংবা কারণ ছাড়া বিপথে,নিয়ম ভাঙতে প্রতিহত হয়,পিছু হটে ভয় পায়।"এই নিয়ম ভাঙার কারণে এরকম ভয়াবহ শাস্তি" এই ভেবে মানুষ উপলব্ধি করে,ভাবে। উচিত-অনুচিতের পার্থক্য খুঁজে,ভালো-মন্দের বিভেদের দেয়াল মজবুত হয়, চাহিদাকে দমিয়ে রাখে,সীমার মধ্যে রাখে,নিয়মর মধ্যে থাকে।
আমাদের পারিপার্শ্বিকতা শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ আর আইনের বেআইনি প্রয়োগের মহড়া চলছে প্রতিনিয়ত।এর ফলে দিনকে দিন খুন,ধর্ষণ,চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই,রাহাজানি,হানাহানি,মারামারি,ক্ষমতার অপব্যবহারের উত্তপ্ত প্রভাব,প্রতিফলিত হচ্ছে সমাজে,রাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত।কখনোবা নিরুত্তাপে,কখনোবা বিস্ফোরিত ভাবে।এগুলো সীমা হীনভাবে ছড়াচ্ছে।এগুলোকে একেবারে নিচিহ্ণ করা যাবে না ঠিকই কিন্তু সীমার মধ্যে,সংঙ্কুঞ্চিত করে,দমিয়ে রেখে,নিয়মের মধ্যে আনা সম্ভব।যার জন্যে প্রয়োজন আইনের সঠিক,কঠোর প্রয়োগ এবং পরিবেশ,পারিপার্শ্বিকতার উন্নতি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.