নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেঘপিয়ন

মেঘপিয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃষ্টির গান

০১ লা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান - দি লাস্ট ঠাকুর

বাদল-দিনেরও প্রথম কদম ফুল করেছ দান,
আমি দিতে এসেছি শ্রাবণেরও গান।
মেঘের ছায়ায় অন্ধকারে রেখেছি ঢেকে তারে
এই-যে আমার সুরের ক্ষেতের প্রথম সোনার ধান।
আজ এনে দিলে, হয়তো দিবে না কাল--
রিক্ত হবে যে তোমার ফুলের ডাল।
এ গান আমার শ্রাবণে শ্রাবণে তব বিস্মৃতিস্রোতের প্লাবনে
ফিরিয়া ফিরিয়া আসিবে তরণী বহি তব সম্মান।




বৃষ্টি নেমেছে - ওয়ারফেইজ

বৃষ্টি নেমেছে রিমঝিমরিম সুরের লহরী
নিঝুম রাতে
বৃষ্টি নেমেছে কত স্মৃতি বুকে নিয়ে
উদাস করেছে এই রাত

বৃষ্টি নেমেছে মনে পড়ে যায় আমার গাঁ
বৃষ্টি নেমেছে ঐ মাটির ভালোবাসায়
বার বার শুধু ডাকে
ফিরে আয় আয় আয়

স্মৃতির দুয়ার খুলে আমি পায়ে চলেছি মেঠো পথে
কাশবন আর ঐ নদীর বাঁকে আমি সুর করি
ঐ মাছরাঙা পাখির রঙে আমি গান ধরি
ঐ শিস দেয়া পাখির ডাকে

স্মৃতির দুয়ার খুলে আমি শুয়ে আছি কোন বটতলে
নিঝুম আকাশে তারার হাসি আমি সুর করি
ঐ নিঝুম রাতের কোলে আমি গান ধরি
ঐ জেগে থাকা তারার ভাষায়

বৃষ্টি নেমেছে রিমঝিমরিম সুরের লহরী
নিঝুম রাতে
বৃষ্টি নেমেছে কত স্মৃতি বুকে নিয়ে
উদাস করেছে এই রাত।



বরষা মানে না - শিরোনামহীন

বরষা মানে না
ঝরছে জলধারা,
জানিনা, জানিনা
কাটবে কি ঘনঘটা।

অনুনয় মানেনা
অবারিত মনকথা,
জানিনা, জানিনা
থামবে কি ঘনঘটা।

নির্ঝর গগনে অপলক চেয়ে রই
বিস্মৃত কবিতা, আনকা পবনে।

মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়ন
বলে যায় - তোমায় অনব ভালবাসি...

দীপিকা সায়নে অনিমেষ চেয়ে রই
মিথিলা বরষা, অলোক দহনে।

মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়ন
বলে যায় - তোমায় অনব ভালবাসি...

বরষা মানেনা
ঝরছে জলধারা…




যদি বৃষ্টি হতাম - বিজয় মামুন

যদি বৃষ্টি হতাম তোমায় ভিজিয়ে দিতাম
তোমাকে স্পর্শ থাকতো না অধরা
এতোটা কাছে তুমি তবুও যায় না ছোঁয়া
এতোটা ভালোবাসা তবুও হয় না দেয়া

আবেগী বর্ষায় ভালোবাসার কবিতা লিখে
দৃষ্টির সীমানায় মন চায় তোমাকে
এতোটা কাছে তুমি, তবুও যায় না ছোঁয়া
এতোটা ভালোবাসা, তবুও হয় না দেয়া

অদৃশ্য সীমানা তোমার আমার মাঝে
চাঁদ হারিয়ে যায় রাত ফুরোবার আগে
এতোটা কাছে তুমি, তবুও যায় না ছোঁয়া
এতোটা ভালোবাসা, তবুও হয় না দেয়া।



বৃষ্টি - শাওন

হৃদয়ে আজ বৃষ্টি নেমেছে
তোমাকে তাই মনে পড়ছে
আকাশেও মেঘ জমেছে
নীলিমা নীলে সেজেছে

এইতো এখনি ছিল রোদেলা দুপুর
হঠাৎ কেমন করে পাল্টে গেল সুর

যেন তোমারি মাঝে
কোনো সুর ভেসে আসে
যেন তোমাকেই খোঁজে
নীরবে

ঐ নীলের মাঝে তোমার মতো
আমিও ভেসে যাই
শুধু তোমার খোঁজে

ঐ গহীন বনে
তুমিও কি হতে চাও রঙধনু
রঙের মাঝে।




মেঘের মেয়ে - এহসান রাহি

মেঘের মেয়ে তোমার মনে মেঘ ঢেলেছো কত
ভাবছি তোমায় মেঘের রঙে আকছি তোমায় ইচ্ছে মত
মেঘের মেয়ে তোমার মনে মেঘ ঢেলেছো কত।

মেঘের গায়ে ভাসো তুমি
মেঘেই তোমার বাসা
দিলাম তোমায় মেঘমাখা রোদ শঙ্খ ভালবাসা
শুদ্ধ মেঘে যাক ঢেকে যাক দুঃখ আছে যত
মেঘের মেয়ে তোমার মনে মেঘ ঢেলেছো কত।

আসতে যদি ঘরে তুমি আমারো মেঘপরী
দেখতে দেয়াল জুড়ে মেঘের ভীষণ ওড়াওড়ি
শুদ্ধ মেঘে যাক মুছে যাক নীরব সব ক্ষত
মেঘের মেয়ে তোমার মনে মেঘ ঢেলেছো কত
ভাবছি তোমায় মেঘের রঙে আকছি তোমায় ইচ্ছে মত।




বৃষ্টিতে এসো ভিজি - পারভেজ

বৃষ্টিতে এসো ভিজি স্বপ্ন খুঁজি
দু'চোখের জল মুছে
জোছনায় এসো ভিজি জীবন খুঁজি
হৃদয় উজাড় করে
ভাবছো কেন অকারণ
এই তো নিয়ম
সুখে আর দুঃখে চলে
এই তো জীবন।

সংশয় থাকে যদি হৃদয়ে জমে
বিস্বাস ভেঙে যায় প্রতিটি ক্ষণে
মেনে নিয়ে পরাজিত নিজেকে এখন
এসো তবে শুরু হোক নতুন জীবন
ভাবছো কেন অকারণ
এই তো নিয়ম
সুখে আর দুঃখে চলে
এই তো জীবন।




বৃষ্টি পড়ে - বাপ্পা

বৃষ্টি পড়ে অঝোর ধারায়
বৃষ্টি পড়ে লজ্জা হারায়
বৃষ্টি পড়ে জলে ভিজে
ওই মেয়েটি কে কি যে

ওই ছেলেটা আকাশ উপুড়
মনের ভিতর অলস দুপুর
বৃষ্টি পড়ে মনে মনে
বৃষ্টি পড়ে আলিঙ্গনে
বৃষ্টি পড়ে অঝোর ধারায়।

বৃষ্টি পড়ে মনে মনে
বৃষ্টি পড়ে আলিঙ্গনে
জোছনারাতে নীল আকাশে
ছন্দের তালে অঝোর ধারায়
বৃষ্টি পড়ে অঝোর ধারায়।




শাওনগগনে ঘোর ঘনঘটা - দি লাস্ট ঠাকুর

শাওনগগনে ঘোর ঘনঘটা, নিশীথযামিনী রে।
কুঞ্জপথে, সখি, কৈসে যাওব অবলা কামিনী রে।
উন্মদ পবনে যমুনা তর্জিত, ঘন ঘন গর্জিত মেহ।
দমকত বিদ্যুত, পথতরু লুন্ঠিত, থরহর কম্পিত দেহ
ঘন ঘন রিমঝিম, রিমঝিম রিমঝিম, বরখত নীরদপুঞ্জ।
শাল-পিয়ালে তাল-তমালে নিবিড়তিমিরময় কুঞ্জ।
কহ রে সজনী, এ দুরুযোগে কুঞ্জে নিরদয় কান
দারুণ বাঁশী কাহে বজায়ত সকরুণ রাধা নাম।
মোতিম হারে বেশ বনা দে, সীঁথি লগা দে ভালে।
উরহি বিলুন্ঠিত লোল চিকুর মম বাঁধহ চম্পকমালে।
গহন রয়নমে ন যাও, বালা, নওলকিশোরক পাশ।
গরজে ঘন ঘন, বহু ডর পাওব, কহে ভানু তব দাস।।




আজি ঝর ঝর মুখর বাদর দিনে - দি লাস্ট ঠাকুর

আজি ঝর ঝর মুখর বাদর দিনে
জানি নে, জানি নে
কিছুতে কেন যে মন লাগে না

এই চঞ্চল সজল পবন-বেগে
উদ্ভ্রান্ত মেঘে মন চায়
মন চায় ঐ বলাকার পথখানি নিতে চিনে।

মেঘমল্লারে সারা দিনমান
বাজে ঝরনারও গান

মন হারাবার আজি বেলা
পথ ভুলিবার খেলা
মন চায় … মন চায় …
হৃদয় জড়াতে কারো চির -ঋণে

আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে
জানি নে জানি নে,
কিছুতে কেন যে মন লাগে না।




ধিম তানা - কনা

যাও বলো তারে মেঘের ওপারে
বৃষ্টি বন্দনা জুড়ে ধরণীতল,
যাও বল তারে শ্রাবণ আষাঢ়ে
মেঘের শতদলে ছুঁয়েছে ভেজা জল।

মাতাল হাওয়ার ধ্বনি বৃষ্টি কি শোনে না?
ময়ূর পেখম তোলে ধিমতানা দেরে না,
ধিমতানা, বাজে ধিমতানা, বাজে ধিমতানা, দে রে না।

ভেজা জল টলমল অপেক্ষার জানালা ছুঁয়ে,
দু’হাতে নিয়ে জল ভেজাবো সুখের কপোল,
সন্ধ্যে এলো ঝলোমলো বৃষ্টি তবু এলোনা।

মাতাল হাওয়ার ধ্বনি বৃষ্টি কি শোনে না?
ময়ূর পেখম তোলে ধিমতানা দেরে না,
ধিমতানা, বাজে ধিমতানা, বাজে ধিমতানা, দে রে না।

স্বাগতম সম্ভাষণ অপেক্ষার হলো অবসান,
প্রকৃতির আভরণে মন্ত্র তালের উচ্চারণ,
রাত্রি এলো জলছল বৃষ্টি সুরের মূর্ছনা।

মাতাল হাওয়ার ধ্বনী বৃষ্টি কি শোনে না?
ময়ূর পেখম তোলে ধিমতানা দেরে না,
ধিমতানা, বাজে ধিমতানা...বাজে ধিমতানা......দে রে না।।




এমন দিনে তারে বলা যায় - দি লাস্ট ঠাকুর

এমন দিনে তারে বলা যায়
এমন ঘনঘোর বরিষায়।

এমন দিনে মন খোলা যায়–
এমন মেঘস্বরে বাদল-ঝরোঝরে
তপনহীন ঘন তমসায়।।

সে কথা শুনিবে না কেহ আর,
নিভৃত নির্জন চারি ধার।

দুজনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুখি,
আকাশে জল ঝরে অনিবার–
জগতে কেহ যেন নাহি আর।।

সমাজ সংসার মিছে সব,
মিছে এ জীবনের কলরব।

কেবল আঁখি দিয়ে আঁখির সুধা পিয়ে
হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব–
আঁধারে মিশে গেছে আর সব।।

তাহাতে এ জগতে ক্ষতি কার
নামাতে পারি যদি মনোভার।

শ্রাবণবরিষণে একদা গৃহকোণে
দু'কথা বলি যদি কাছে তার
তাহাতে আসে যাবে কিবা কার।।

ব্যাকুল বেগে আজি বহে যায়,
বিজুলি থেকে থেকে চমকায়।

যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়–
এমন ঘনঘোর বরিষায়।।




বৃষ্টির গান - চিরকুট

বরিষণ বহে ভেজা ভেজা পায়ে

আজ শ্রাবণ দিনে নামে
মেঘের ঘনঘটা
চেনা সুর গেয়ে যায়
ভেজা ভেজা পা’টা

শুষ্ক দহনে ঘুম মেঘের জলচ্ছটা
তুমুল ছন্দবানে
তাপক্ষরা জয়গানে প্রাণের জেগে ওঠা
ঝড় ঝড় ঝরেরে তারে মনে পড়ে

কদম অথৈ ছুঁইয়ে ঘরভুলো হাঁটা
ভেজা চুল জড়সড়
এখনি বেরিয়ে পড়
হও বৃষ্টি করুণা মাখা।




বৃষ্টি - রাগা - এলিটা


ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ে দেখে আমি আবেশী,
বয়ে যাওয়া জলস্রোতে আমার পায়ের জলছবি
শূন্য যেখানে শব্দ নয় সেখানেই তুমি
নিয়ন আলোর জলে পড়ে থাকা এ কেমন জানি
বৃষ্টি ভেজা এ বেলায় আমিতো স্বাধীন,
রংধনুর রঙের মেলায় এল নতুন দিন

ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পরে, ঘুমিয়ে পড়ে নগরী,
অনাগত সময়ের স্রোতে আঁকি আমি এ ছবি।
শূন্য যেখানে শব্দ নয় সেখানেই তুমি,
নিয়ন আলোর জলে পড়ে থাকা এ কেমন জানি
বৃষ্টি ভেজা এ বেলায় আমিতো স্বাধীন
রংধনুর রঙের মেলায় এল নতুন দিন।




বরষা - কনা

মেঘের গায়ে, নূপুর পায়ে, নাচে বরষা
বৃষ্টি কি তার ছন্দ জেনেছে
শ্রাবণ কি তার মন্ত্র বলেছে
দু’হাত তুলে কোমল সুরে
ডাকে কুয়াশা, বরষা
দু’হাত তুলে কোমল সুরে
ডাকে কুয়াশা, ভেজে বরষা।

চোখে কি তার ছায়া ফেলেছে
হৃদয়ের কাছে ছোঁয়া মিলেছে
কাজল দীঘির ক্লান্ত বধির
তুলেছে কি ঢেউ
সুরের মায়ায় কোমল ছায়ায়
দেখেছে কি কেউ
স্বপ্ন চোখে তার দৃশ্য এঁকে যায়
ভীরু ভীরু পায়
নাচে বরষায়
দু’হাত তুলে কোমল সুরে
ডাকে কুয়াশা, ভেজে বরষা।

মনে কি তার আগল খুলেছে
আধারের পাশে মূর্তি গড়েছে
মুগ্ধ চোখে সৃষ্টি সুখে
নদী ভিজে যায়
ঢেউয়ের তালে বানের জলে
মেশে মোহনায়
স্বপ্ন চোখে তার দৃশ্য এঁকে যায়
ভীরু ভীরু পায়, নাচে বরষায়
দু’হাত তুলে কোমল সুরে
ডাকে কুয়াশা, ভেজে বরষা।

মেঘের গায়ে, নূপুর পায়ে, নাচে বরষা
বৃষ্টি কি তার ছন্দ জেনেছে
শ্রাবণ কি তার মন্ত্র বলেছে
দু’হাত তুলে কোমল সুরে
ডাকে কুয়াশা, বরষা
দু’হাত তুলে কোমল সুরে




বৃষ্টি নামুক

বৃষ্টি নামুক আজ আকাশ জুড়ে
ভিজবো দুজন আজ স্বপ্ন সুরে

মেঘ শহরে আজ মেলবো ডানা
হারাবার কোনো নেই সীমানা

ভালোবেসে হাত দুটি ধরো
কাছে এসে আপন করো
ভালোবাসো

পুরনো কিছু অভিমান
পিছু পড়ে থাক না কেন
ভালবাসা বৃষ্টিতে হয়ে একাকার

এলোমেলো স্মৃতিগুলো
ভুলে হয়ে যাই
দুজন দুজনার

তুমি আমি দুজনে
হেটে যাব আজ বহুদূর
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে হয়ে দিশেহারা

দুচোখ ভরে স্বপ্ন আশা
সারাটি জীবন যেন
থাক না এমন।



এই এখানে থেমে থেমে - তারিন

এই এখানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে খুব
আকাশ শুধু বলছে কথা অন্যেরা নিশ্চুপ
তোমার আকাশ মেঘলা কিনা জানার ইচ্ছে খুব
এই এখানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে খুব

ঝড়ো হাওয়া তোমারো কি জানালা খুলে দিলো
বৃষ্টির ফোঁটা দু'একটাও কি আমার জন্যে ছিল
তুমি এলেই শ্রাবণ জলে এবার দেবো ডুব

এখানে যে বৃষ্টি এসে মন উড়িয়ে নিলো
তোমারও কি বৃষ্টি ছোঁয়ার ইচ্ছে হয়েছিল
তুমি এলেই শ্রাবণ জলে এবার দেবো ডুব




অঝোর বৃষ্টি - বালাম

ভেজা সন্ধ্যা অঝোর বৃষ্টি
দূর আকাশে মেঘের প্রতিধ্বনি
বাদলে ঘিরেছে আকাশ
বইছে বাতাস
আড়ালে দাঁড়িয়ে তুমি আর আমি
হয়নি বলা কোন কথা শুধু হয়েছে অনুভূতি।

হালকা আঁধার দিচ্ছে ঘিরে
আবছা আলো নিচ্ছে ছুয়ে
আল্প করে হোক না শুরু
ভালবাসা এখনো ভীরু
হয়নি বলা কোন কথা শুধু হয়েছে অনুভূতি।

ডাকছে সময় পিছু
বলবে কি মন কিছু
নিবিঢ় এই ভালবাসা
জড়ালো কিছু আশা
হয়নি বলা কোন কথা শুধু হয়েছে অনুভূতি।



যাও পাখি বলো - অন্তহীন

যাও পাখি বলো
হাওয়া ছলো ছলো
আবছায়া জানালার কাঁচ
আমি কি আমাকে
হারিয়েছি বাঁকে
রূপকথা আনাচ-কানাচ।

আঙ্গুলের কোলে জ্বলে জোনাকি
জলে হারিয়েছি কান-সোনা কি
জানালায় গল্পেরা কথামেঘ
যাও মেঘ চোখে রেখো এ আবেগ।





যদি মন কাঁদে - শাওন

যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো,
চলে এসো এক বরষায়

এসো ঝর ঝর বৃষ্টিতে
জল ভরা দৃষ্টিতে
এসো কোমল শ্যামল ছায়

যদিও তখন আকাশ থাকবে বৈরি
কদম গুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরি

উতলা আকাশ মেঘে মেঘে হবে কালো
ছলকে ছলকে নাচিবে বিজলী আরো
তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়

নামিবে আঁধার বেলা ফুরাবার ক্ষণে
মেঘ মাল্লা বৃষ্টিরও মনে মনে
কদম গুচ্ছ খোঁপায়ে জড়ায়ে দিয়ে
জল ভরা মাঠে নাচিব তোমায় নিয়ে
তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়

যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো,
চলে এসো এক বরষায়।




আরো একটা বৃষ্টির গান - আনলার্ন

রাস্তায় নিরুপায় হেঁটে হেঁটে স্নান
আরও একটা লিখে ফেলা বৃষ্টির গান
মনে মনে বেজে ওঠে গুন গুন

রিমঝিম রিমঝিম রুমঝুম রুমঝুম
কাক ভেজা দুপুরে কাঁথা গায়ে মিষ্টি বৃষ্টি ঘুম

যৌবনে লিখা একটা বৃষ্টির গান
রিক্সায় ভেজা ভেজা মান অভিমান
আর স্নান
যায় না হারিয়ে লিখা মন থেকে
তোমার নাম।

কেউ ছাদে বসে আছে বৃষ্টির অপেক্ষায়
কেউ দৌড়ে মেঘটা ধরছে একটুখানি মাটি কাদায়
কেউ খোঁজে ভেজা মেঘ দালানের সীমানায়
কেউ উড়ে মেঘটা দেখাছে একটুখানি আলো ছায়ায়
আর একটু মেঘ উড়ে যায় নিকোটিনের ধোঁয়ায়
আর উড়ে উড়ে চলে যায় মিশে যায় হাওয়ায় ছায়ায়।





বৃষ্টিকাব্য - শিরোনামহীন

কোথায় যেনো বৃষ্টির রিমঝিম শোনা যায়
বইছে বাতাস কাশফুল ছুঁয়ে শন-শন
বৃষ্টির উচ্ছ্বাস ছুঁয়ে যায় নাগরিক উপকূল
রিমঝিম রিমঝিম নাচলো আমার মন

অনেকদিন, অপেক্ষায়, সমান্তরাল থেকেই গেলো জেব্রা ক্রসিং
বৃষ্টির প্রার্থনায় কাশফুল নতজানু,
উড়ে চলে তৃষ্ণার্ত রঙহীন ফড়িং।

আজ জানালার বাইরে একঝাঁক বৃষ্টি রিমঝিম রিমঝিম
বইছে বাতাস কাশফুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে…
রাস্তার সিগন্যালে কন্ডাকটর জেব্রা ক্রসিং
অনেকদিন হেরে যাওয়া মন দিলো ধুয়ে!

রাজপথে ছুটে যায় যান্ত্রিক ফড়িং আর রিক্সায় আঁকা পেইন্টিং
নাগরিক বৃষ্টির ছাটে রবীন্দ্রনাথ অসহায়
তাই কন্ডাকটর জেব্রা ক্রসিং।
প্রেমিকার উচ্ছ্বাসে “বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল”
যদিও করতেই হবে দান-
হৃদয়ের খুব কাছে জমে থাকা অভিমানি
নাগরিক বৃষ্টির এই গান

অনেকযুগ অপেক্ষায় মেঘের ভেলায় ভেসে গেলো এই দিন…
বৃষ্টির প্রার্থনায় কাশফুল নতজানু,
উড়ে চলে তৃষ্ণার্ত রঙহীন ফড়িং।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মেঘপিয়ন ,



বিশাল ও সুন্দর কালেকশান ...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.