নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু করা হয়ে উঠেনি এখন। ব্লগ এ লেখা টা প্রথমে ছিল সামাজিক দায়বদ্ধতা। মেসেজ শেয়ার করা। তবে লিখতে লিখতে এখন লেখার ভালবাসায় পড়ে গিয়েছি। নিজে যেমন লিখতে পছন্দ করি অন্যের লেখা ও একই পছন্দ নিয়ে পড়ি। লেখালিখির আরেকটা বড় উদ্দেশ্য হল (অন্যের দৃষ্টিতে তা ফানি মনে হবে ) সামাজিক বিপ্লব করা , মানুষের জীবনে স্বাছন্দ্য আনয়ন করা মূলত আমার দেশের মেয়েদের লেখিকাদের আমি বড় প্ল্যাটফর্ম এ দেখতে চাই। আমাদের দেশে ভাল লেখিকা অনেক কম। অথচ আমার মন বলে অনেক ট্যালেন্ট মেয়েরা আছে। অনগ্রসর সামাজিক পরিস্থিতির কারণে মেয়েরা এক বৃত্তে বন্ধী হয়ে আছে। আমি খুব চাই ওই বাধা সরিয়ে আলোয় ,সাহিত্যে জ্ঞানে আমাদের মেয়েরা পথ চলুক। প্রচলিত দৃষ্টিতে সমাজে চলতে মেয়েদের বাধা গুলি চিহ্নিত করা আমার লেখালিখির আরেকটি উদ্দেশ্য। প্রগতির কথা বলতে চাই ভদ্রতায় , শালীনতায় এবং মর্যাদায়। সামাজিক আভ্রু ভেঙ্গে নয় যা তসলিমা নাসরিন করেছিলেন। বেগম রোকেয়া আমার পথ প্রদর্শক। তিনি মেয়েদের পাদ প্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছিলেন ঠিক ই রক্ষনশীলতার ঢাল ভেঙ্গে নয় , মর্যাদায় থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন মেয়েদের।
রুবিনার বাসার ছাদ থেকে অনেক দুরের রাস্তা দেখা যায় । বাসার আশে পাশে কোনো উচু বিল্ডিং নাই l সেজন্য অনেকটা দুরের রাস্তা দেখা যায়। সকাল বেলার প্রকৃতিতে এমন একটা নিবিড় ভালবাসার পরিবেশ বিরাজ করে যে রুবিনা সকালের মিষ্টি আবহাওয়ার সাথে সবসময় একাত্ততা বোধ করে l খুব মানসিক প্রশান্তি বোধ করে. যদিও গত দুই দিন ধরে তাদের একটা হয়রানির আর কষ্টের সময় যাচ্ছিল. হালিমার মৃত্যু টা এখন ও মন থেকে মেনে নিতে পারছেনা ।ছাদের এক মাথা থেকে আরেক মাথা পায়চারী করছে আর এসব ভাবছে.। দুইদিন পরে আজকে মন টা কিছু হালকা লাগছে।
আপা আপা বলে চিত্কার করে দৌড়ে সিড়ি দিয়ে উঠে আসছে শিউলি।
সারাক্ষণ এ মেয়েটা একটা উত্তেজনার মধ্যে থাকে।
আপা আপনার ফোন একটানে হাপাতে হাপাতে কথাগুলি বলে ফোন টা রুবিনার হাতে দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে সিড়ি পার হয়ে চলে গেল.।
"কি আমার সুহাসিনী আনন্দিনি র খবর কি ?
সকাল বেলার মিষ্টি বাতাস এর সঙ্গে কে যেন পিয়ানো রীড এ হাত চালিয়ে গেল।
রাজীব এর ভয়েস এ রুবিনা মনের কোনে যেন দখিনা হাওয়া র পরশ বুলিয়ে গেল l
রাজীব বস্টন এ এক ইউনিভার্সিটি তে নিউক্লিয়ার ফিসিক্স এ পি এইচ ডি করছে. পড়াশোনা শেষ করে দেশে আসলে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা।
কি ব্যপার আজকে এত তাড়াতাড়ি ফোন।নিচ্চয় ক্লাস ফাকি দিচ্ছ।
বোরিং ক্লাস বোরিং দেশ সারাক্ষণ জান তোমার কথা মনে হয় l
আহারে চাপা আমার কথা মনে হয়..সুন্দরী সাদা মেয়ের দিকে নিচ্চয় হা করে তাকিয়ে থাক।
তা যা বলছ এত সুন্দর মেয়েরা আমার ডিপার্টমেন্ট এ পড়ে. অবাক লাগে সুন্দরী রা রূপচর্চা ছেড়ে কি বই এর পাতা খুলে বসে থাকে এখন?
তোমার রুচি খুব ভালো জানি কারে সুন্দরী বল?
দেখনা তোমারে পছন্দ করছি .কপালে কোনো সুন্দরী মেয়ে লিখা নাই।
তোমার হাজার জনমের ভাগ্য আমি যে তোমারে ইয়েস কার্ড দিয়েছি । কত জন বরমাল্য নিয়ে বসেছিল ..এখনো আছে ।
এখনো আছে বলতে কি বুজাচ্ছ ?তুমি কি তাদের দিকে সবসময় কৃপাদৃষ্টি বর্ষণ করছ?
আহারে আমি কি তোমার মত নাকি ?
আচ্ছা যাও সোনামনি আমি তোমার প্রেমিক . কিন্তু আমি আবার তোমার কথায় যে কোনো সময় মরহুম হয়ে যেতে পারি l
ব্যপার কি ম্যাথ আর ফিসিক্স ফেলে কি কবিতার বই পড়ছ?
নাগো সোনামনি সত্যি তোমারে খুব মিস করছি জানি না কেন ?.বাবার কাছে শুনলাম তোমার জ্বর।
না ঠিক জ্বর না দুই দিন খুব মন খারাপ গেছে.তো ।
.মন খারাপ কেন কেন ?
কি হয়েছে?
আমাদের একটা সুইট করে বুয়া ছিল, হালিমা বুয়া পরশু দিন রাস্তার উপরে ওকে কারা মেরে ফেলে রেখেছে ।
ওহ মাই গড!! বল কি কখন ?ইন্নালিল্লাহ এজন্য বাবাকে খুব আপসেট মনে হচ্ছিল।
আমাকে অবশ্য কিছু বলেনি. পুলিশ এ ইনফর্ম করছ.কে খুন করছে জানছ? ইয়া আল্লাহ তাহলে খুব টেনসন গেল।
পুলিশ তো আগে ইনফর্ম হয়েছে. ড্রাইভার ভাইকে ধরে নিতে চাচ্ছিল জোর করে.
আমি রাগারাগি করাতে নেয়নি, কিন্তু সামনে আসতে পারে নেওয়ার জন্য
যা হওয়ার হয়েছে, টেনসন করনা ,সব ইনশা আল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে.
নাস্তা করেছ? না এখনো করিনি
তুমি ডিনার করেছ? করব সুন্দরী এখনি।
নিচের গেট এ কিসের যেন জটলা হছে খুব শোরগোল হচ্ছে, তাকিয়ে দেখে রুবিনা দারোয়ান ভাই কাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে
জালাল ভাই কি হচ্ছে এখানে?
আপা এই লোকটা জোর করে ঘরে ঢুকার চেষ্টা করতেছে. দারোয়ান জালাল বলে l
আচ্ছা এই দেখছি তুমি লোকটাকে নিয়ে নিচের ড্রয়িং রুম এ বসাও. আমি নিচে আসছি. এই শোন রাজীব তোমার সাথে পরে কথা হবে. নিচে কি গন্ডগোল হচ্ছে দেখে আসি l
নিচে এসে দেখে খুব দীনহীন দরিদ্র চেহারার অল্পবয়সী লোক বাইশ থেকে চব্বিশ হবে বয়স আর তার সাথে ছোট্ট একটা ছেলে l
লোকটি হাউ মাউ করে কানতে কানতে যা বলল তার বউ এখানে কাজ করত, এখন সে মারা গেছে, ছেলেকে মানানো যাচ্ছেনা বলে এ বাড়ি দেখাতে নিয়ে আসলাম বলে আবার জোরে কানতে সুরু করলো l
ও আপনি হালিমা বুয়া র স্বামী ?আপনি ছেলে কে নিয়ে থাকেন যতদিন ইচ্ছে অসুবিধা নাই ।
আপা আমারে একটা কাজ দিবেন?.আমি যে কোনো কাজ পারি মাটি কাটা, আপনাদের বাগান পরিস্কার করা যে কোন একটা কাজ দয়া করে দেন, আমরা দুইদিন কিছু খাইনি।
রুবিনা ব্যথিত হলো, এই ছোট্ট বাচা টা কি কিছু খায়নি?
রুবিনা আস্বস্ত করলো চিন্তা করবেন না আপনারা আমার এখানে থাকবেন, কাজ করবেন, খাবেন.।
আপা আমার মা ও আছে বস্তিতে আছে, তারে কি করব?
তাকে ও নিয়ে আসেন.।
শিউলি কেয়ার টেকার চাচাকে একটু ডেকে নিয়ে আস তো।
কেয়ার টেকার চাচা এলেন তিনি পঞ্চাশ উত্তিন্ন বয়স্ক লোক।
চাচা এদের থাকার আয়োজন করুন আর দেখেন ওনাকে যে কোনো কাজ দিয়ে দিন. শিউলি ওদের দুজন কে ভাত খেতে দে.।
বাবা ছেলে শান শৌকত ব্যবহার দেখে হকচকিয়ে গেছে l টেবিল এ তাদের খাওয়া দেওয়া হলে তারা মেঝে তে বসে খেতে শুরু করলো l
শিউলি হাসতে সুরু করলো ওমা নিচে বসে খাচ্ছিশ কেনরে ?
চেয়ার এ বসে খা.।হেরা খুব ভালোমানুষ
মনোযোগ দিয়া খা ..আহারে তগো খুব খিদে লাগছে না ?
(পরবর্তী পর্বে সমাপ্ত)
২| ০২ রা জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৪৯
আরজু মুন জারিন বলেছেন: আপনি কি আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন ভাই ? এই হ্যালুইন এর সাজ নিলেন কেন ভাই ? নাকি আপনি হরর উপন্যাস লিখেন ? এই সাজ তো আমার নেওয়া উচিত। আমি হরর লিখি।
যাই হোক কমেন্টস করেছেন বলে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন কেমন।
৩| ০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
সানড্যান্স বলেছেন: ক্যারি অন!
০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা।
৪| ০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলুক ...
০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
আরজু মুন জারিন বলেছেন: চলবে ।ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা।
৫| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দারুণ সাসপেন্স দেখতে পাচ্ছি
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
৬| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৩:৫০
আরজু মুন জারিন বলেছেন: মইনুল ভাই কি খবর ?কেমন ছিলেন ? বেশ কিছুদিন ধরে কোনো কমেন্টস দেখতে পাচ্ছিলামনা আপনার। ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ সকাল ৭:১৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সামুতে আপনি আছেন আজই জানলাম, আমি সামুতে পোষ্টও কম দেই মন্তব্যও কম দেই, আজ আমার পোষ্টে আপনাকে দেখেই জানলাম আপনি এখানে আছেন, পোষ্ট না পড়েই হাজিরা দিয়া গেলাম
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৩০
আরজু মুন জারিন বলেছেন: আমি ও সামুতে রিসেন্টলি এড হয়েছি। কয়েকটা পোস্ট দিয়েছি। এখানে আমি পরিচিত না তেমন। আমি ও চিনিনা তেমন কাওকে দুএকজন ছাড়া। ধন্যবাদ কামাল ভাই মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫০
হামিদ আহসান বলেছেন: "সকাল বেলার মিষ্টি বাতাস এর সঙ্গে কে যেন পিয়ানো রীড এ হাত চালিয়ে গেল।
রাজীব এর ভয়েস এ রুবিনা মনের কোনে যেন দখিনা হাওয়া র পরশ বুলিয়ে গেল l
সকাল বেলার মিষ্টি বাতাস এর সঙ্গে কে যেন পিয়ানো রীড এ হাত চালিয়ে গেল।"
"রাজীব এর ভয়েস এ রুবিনা মনের কোনে যেন দখিনা হাওয়া র পরশ বুলিয়ে গেল l"
বাহ ! বেশ সুন্দর লিখেছেন। অবশ্য আপনার চমৎকার লেখনির সাথে আমি ভালবােবই পরিচিত। জাস্ট ক্যরি অন, ওয়েটিং ফর দ্যা নেক্সট এপিসোড...........
১০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
আরজু মুন জারিন বলেছেন: হামিদ ভাই চমত্কার মন্তব্য। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুন, ২০১৪ ভোর ৪:৩৩
সকাল হাসান বলেছেন: পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।