নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো ছায়ায় আমার ভূবন

আমি কনফিউসড চরিত্রের মানুষ।অগোছালো সবকিছুতে দোদূল্যমনতা আমার বৈশিষ্ট্য।টু বী অর নট টু বী এই দ্বন্ধে চলছে জীবন।

আরজু মুন জারিন

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু করা হয়ে উঠেনি এখন। ব্লগ এ লেখা টা প্রথমে ছিল সামাজিক দায়বদ্ধতা। মেসেজ শেয়ার করা। তবে লিখতে লিখতে এখন লেখার ভালবাসায় পড়ে গিয়েছি। নিজে যেমন লিখতে পছন্দ করি অন্যের লেখা ও একই পছন্দ নিয়ে পড়ি। লেখালিখির আরেকটা বড় উদ্দেশ্য হল (অন্যের দৃষ্টিতে তা ফানি মনে হবে ) সামাজিক বিপ্লব করা , মানুষের জীবনে স্বাছন্দ্য আনয়ন করা মূলত আমার দেশের মেয়েদের লেখিকাদের আমি বড় প্ল্যাটফর্ম এ দেখতে চাই। আমাদের দেশে ভাল লেখিকা অনেক কম। অথচ আমার মন বলে অনেক ট্যালেন্ট মেয়েরা আছে। অনগ্রসর সামাজিক পরিস্থিতির কারণে মেয়েরা এক বৃত্তে বন্ধী হয়ে আছে। আমি খুব চাই ওই বাধা সরিয়ে আলোয় ,সাহিত্যে জ্ঞানে আমাদের মেয়েরা পথ চলুক। প্রচলিত দৃষ্টিতে সমাজে চলতে মেয়েদের বাধা গুলি চিহ্নিত করা আমার লেখালিখির আরেকটি উদ্দেশ্য। প্রগতির কথা বলতে চাই ভদ্রতায় , শালীনতায় এবং মর্যাদায়। সামাজিক আভ্রু ভেঙ্গে নয় যা তসলিমা নাসরিন করেছিলেন। বেগম রোকেয়া আমার পথ প্রদর্শক। তিনি মেয়েদের পাদ প্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছিলেন ঠিক ই রক্ষনশীলতার ঢাল ভেঙ্গে নয় , মর্যাদায় থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন মেয়েদের।

আরজু মুন জারিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যিকারের ভুতের সাথে একদিন (গল্প )

০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

আমি যে আধারে বন্ধিনী

আমাকে আলোতে ডেকে নাও

স্বপন ছায়ার ই এই জঞ্জালে

আমারে আলোতে টেনে নাও।



তিনি হাটছেন গভীর রাতে কবরস্থানের পাশে দিয়ে। বাধ্য হয়ে। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে হারিকেন এর আলোক শিখার মতন। আলোক শিখা টি আস্তে আস্তে হাটছে তার মত করে। তার সাথে নুপুরের রিনিঝিনি সহ এই গান। দ্রুত পা চালালেন মনকে প্রবোধ দিল এই বলে তার দেখার ভুল শোনার ভুল। এই রাতে এখানে কে গান গাবে বা লন্ঠন হারিকেন নিয়ে বা কে পথ চলবে ?ছমছম আতঙ্কের পরিবেশ হত যদিনা তার মস্তিস্কের নিউরন গানটি কল্পনা না করে নিত।গানটি শোনার পর যা মনে হয়েছে তার মনের ভয় খানিকটা কমেছে। ভূত প্রেত যাই হোক না কেন মনে হচ্ছে সে কিঞ্চিত অসহায়। তার একাকী আধার জীবনের গল্প হয়তবা কাওকে শোনাতে চাচ্ছে। যেরকমটা সিনেমায় দেখা যায় নায়িকা অতৃপ্ত আত্মা তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কাহিনী শোনানোর জন্য সন্ধান করতে থাকে কোন মানুষের। এইভাবে একদিন দেখা হয়ে যায় নায়কের সাথে।



মজার ব্যাপার হলো গানটি শুনছেন তিনি মিউজিক সহ। তার লজিকাল মন বলছে এ তার অবশ্যই কল্পনা। কোন প্রেত বা ভূত /পেত্নী যদি গান গান গায় ও মিউজিক থাকার কথা না। ভুতের গল্পের উপন্যাসে বা অভিজ্ঞতায় জেনেছে ভূত পেত্নী দের গলা নাকি নাকি।



হাটতে হাটতে শ্রীকান্তের শ্বশানে এক রাত্রির অভিজ্ঞতার কথা মনে পরে যায়। শরত্চন্দ্র তার শ্বশানে ভয় পাওয়ার ঘটনা শেষ পর্যন্ত পরিস্কার করে বলেননি তিনি কি সত্যি অশরীরী কোন কিছুর অস্তিত্ব বোধ করেছিলেন নাকি সব ই ছিল তার মনের কল্পনা। আচমকা গা হিম করে ঠান্ডা বাতাস যেন তার পাশ দিয়ে চলে গেল। চৈত্র মাসের গরম এ এই ঠান্ডা বাতাস কিছুটা অস্বাভাবিক। তিনি তার পরে ও বিভ্রান্ত হলেন না। ভাবলেন সম্ভবত তার রক্তের হিমোগ্লোবিন লেবেল অনেক নিচে তাই তিনি শীত অনুভব করছেন।



একটা হাত তাকে ইশারায় ডাকছে। কোনো কিছু বলবে যেন। তিনি অন্ধের মত অনুসরণ করছেন ওই হাতকে সেই নিশীথিনী কে। অনুসরণ করতে করতে এসে পৌছলেন এক পরিত্যক্ত বাড়ির উঠানে।



হা হা হা হা তীক্ষ্ণ হাসির আওয়াজ যেন শুনতে পেলেন তিনি।



এই লেখককে সাহেব রে বসতে দে। জল চৌকি টা আইনা দে। পাটি বিছাইয়া দে।

কেও তীক্ষ্ণ খন খনে আওয়াজ বলতে থাকে। পরক্ষণে যা দেখল তা অস্বাভাবিক অতিপ্রাকৃত। একটা আগুনের হল্কা সহ কিছু একটা তার দিকে উড়ে এলো।



ওহ মাগো বলে মুখ টা সরিয়ে নিতে চাইল। সামনের গাছের সাথে বাড়ি খেল ভীষণ জোরে। তত্ক্ষনাত জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে।



দীর্ঘ আট ঘন্টা পরে তার জ্ঞান ফিরে এলো। এ কোথায় তিনি। তাকে ঘিরে কিছু মানুষ মসজিদের কিছু মুসল্লী।



আমি এখানে কিভাবে এলাম ?



সেত আমাদের প্রশ্ন , এখানে এলেন কিভাবে ? আপনি কবরস্থানে শুয়ে ছিলেন কেন ?



একটা ঘর মানুষ ছিল। বিড়বিড় করে বলছেন তিনি।



সবাই মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলেন পরস্পরের।



একজন বলে উঠলেন "আল্লাহর রহমতে বেচে আছেন এখন শোকর করুন "ঘরে ফিরে যান এখন।



অতঃপর তিনি আবার গল্প লিখলেন



তিনি গল্প টি এত টুকু লিখে থেমে গিয়েছেন।



একদা জঙ্গলে বাস করিতো এক প্রেত। খাইয়া নাচিয়া হাসিয়া বেড়াইত সে মানুষের মত। নাহ এইভাবে লিখলে হবেনা। সত্যিকারের ভুতের গল্প লিখতে হবে পত্রিকার জন্য। তিনি প্রানপ্রনে চেষ্টা করে যাচ্ছেন লেখার। আসছেনা। সত্যিকার ভূত দেখতে হবে। তাই আজ বের হয়েছে গভীর রাতে ভুতের গল্পের সিকোয়েন্স তৈরী করতে। বনানীর গোরস্থান ধরে তিনি হাটছেন আর হাটছেন। হাসছেন মনে মনে। মানুষ যে কত উদ্ভট গল্প তৈরী করে ভূত প্রেত নিয়ে। আধাঘন্টা ধরে হাটছেন কোন ও অস্বভাবিক কিছু নজরে পড়েনি।



তাহলে আগের ঘটনা টি কি ছিল তার কল্পনা ? নাকি গল্পের প্লট ?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

নগর বালক বলেছেন: হুম

০৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আরজু মুন জারিন বলেছেন: হুম................।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: তাহলে আগের ঘটনাটি ছিল একটি কল্পনা

০৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: (আপনি কেমন আছেন দুঃখ হীন পৃথিবী (সুখী মানুষ ) ?)
গল্প কল্পনা বা সত্যি যাই হোক ঐভাবে ভাবি লেখক বাস্তববাদী তিনি যা প্রত্যক্ষ করেছেন তা তিনি দুর্বল মনের কল্পনা বলে ভাবছেন বা স্বীকার করতে আনইজি ফিল করছেন।

দ্বিতীয় ব্যাখ্যা এ লেখকের গল্প , সত্যি না।লেখা আর ও বড় লেখা উচিত ছিল। সময়ের অভাবে অনু গল্প। পরে হয়তবা এডিট এ যথাযথ সংযোজন করা যেতে পারে। ...ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কি ছিল ?

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

আরজু মুন জারিন বলেছেন: লেখকের লেখা আরেক গল্প অথবা দুর্বল মনের কল্পনা
কি যে বলব বুঝতে পারছিনা। লেখার দরকার লেখেছি। লিখেছি আর কি কেন লিখেছি এখন তা বলতে অক্ষম। (লোল

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আরজু মুন জারিন বলেছেন: এইমুহুর্তে হয়ে আছি ভাষা হীন ভাবনা হীন। মাত্র ভূত দেখলাম তো। আপনার কি অবস্থা ?আপনি জীবনে কখনো ভূত দেখেছেন? ..ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।

৬| ১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯

হামিদ আহসান বলেছেন: ভৌতিক রহস্য...................

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৬

এহসান সাবির বলেছেন: রহস্যময়.......!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.