নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো ছায়ায় আমার ভূবন

আমি কনফিউসড চরিত্রের মানুষ।অগোছালো সবকিছুতে দোদূল্যমনতা আমার বৈশিষ্ট্য।টু বী অর নট টু বী এই দ্বন্ধে চলছে জীবন।

আরজু মুন জারিন

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু করা হয়ে উঠেনি এখন। ব্লগ এ লেখা টা প্রথমে ছিল সামাজিক দায়বদ্ধতা। মেসেজ শেয়ার করা। তবে লিখতে লিখতে এখন লেখার ভালবাসায় পড়ে গিয়েছি। নিজে যেমন লিখতে পছন্দ করি অন্যের লেখা ও একই পছন্দ নিয়ে পড়ি। লেখালিখির আরেকটা বড় উদ্দেশ্য হল (অন্যের দৃষ্টিতে তা ফানি মনে হবে ) সামাজিক বিপ্লব করা , মানুষের জীবনে স্বাছন্দ্য আনয়ন করা মূলত আমার দেশের মেয়েদের লেখিকাদের আমি বড় প্ল্যাটফর্ম এ দেখতে চাই। আমাদের দেশে ভাল লেখিকা অনেক কম। অথচ আমার মন বলে অনেক ট্যালেন্ট মেয়েরা আছে। অনগ্রসর সামাজিক পরিস্থিতির কারণে মেয়েরা এক বৃত্তে বন্ধী হয়ে আছে। আমি খুব চাই ওই বাধা সরিয়ে আলোয় ,সাহিত্যে জ্ঞানে আমাদের মেয়েরা পথ চলুক। প্রচলিত দৃষ্টিতে সমাজে চলতে মেয়েদের বাধা গুলি চিহ্নিত করা আমার লেখালিখির আরেকটি উদ্দেশ্য। প্রগতির কথা বলতে চাই ভদ্রতায় , শালীনতায় এবং মর্যাদায়। সামাজিক আভ্রু ভেঙ্গে নয় যা তসলিমা নাসরিন করেছিলেন। বেগম রোকেয়া আমার পথ প্রদর্শক। তিনি মেয়েদের পাদ প্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছিলেন ঠিক ই রক্ষনশীলতার ঢাল ভেঙ্গে নয় , মর্যাদায় থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন মেয়েদের।

আরজু মুন জারিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলিফ পড়ে স্ট্যান্ডার্ড সেভেন এ (কিশোর ক্ল্যাসিক )

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

পর্ব -চার



আলিফদের বর্তমান বাসা টি অনেক পুরান। বাবা বলে ব্রিটিশ আমলে বানান এই বাড়ি। অবশ্য বাড়িটি একদিকে বেশ সুরক্ষিত এবং দুর্ভেদ্য। ঘুম ভেঙ্গে কিছুক্ষণ সে বুঝতে পারলনা কোন রুম এ আছে। জানালা র পর্দা সরে যাওয়ায় বাহিরের নিকষ কাল অন্ধকার চোখে পড়ল। এতে চমকে উঠল ভয়ে আলিফ। তাকিয়ে দেখে বাবা তার পাশে শুয়ে।



ও আজকে তাহলে আপু আর আম্মু একরুম এ ঘুমিয়েছে।হটাত বাহিরে কোন পাওয়ার বার্স্ট এর আওয়াজ পেয়ে চিত্কার দিয়ে উঠল সে ভয়ে। বাবা উঠে জড়িয়ে ধরল তাকে।



বাবা ভয় পেয়েছ ? আমি আছি ভয় নেই।



আলিফ এর তবু কাপুনি থামছেনা।



স্বপ্ন দেখেছ বাবা ? ভয় পায়না বলে ছেলেকে বারবার সান্তনা দিতে থাকেন তিনি। অবশ্য যে অবস্থায় পার করেছিল কাল রাত ভয় এখন ও থাকার ই কথা।



গভীর রাতে রহস্যময় টোকার আওয়াজ শুনে প্রথমে দরজা খুলতে চলে যাচ্ছিলেন আলিফ এর বাবা। আলিফ ফুফিয়ে উঠল ভয়ে। জোর করে বাবাকে নিরস্ত করল যাতে তিনি দরজা না খোলেন।



কেন আলিফ কি ব্যাপার ? বাবা উদ্বেগ চেপে রাখতে পারলেননা।



সে আর নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারলনা। এই পর্যন্ত যা যা হয়েছে রঞ্জন গুন্ডাগুলির সঙ্গে এবং এখানে কেউ তাকে মারতে এসেছিল সব বাবাকে গড়গড় সব বলে যেতে লাগল।



ওহ মাই গড এসব কি শুনছি আলিফের মা শুনছ ? আমার এতটুকু ছেলেকে করা মারতে চাচ্ছে ? ভয়ে আতঙ্কে তিনি দিশেহারা বোধ করছেন। তাতে তিনি ধৈয্য হারা হয়ে চিত্কার শুরু করেছেন।



ঠিক তখন দরজায় আবার শোনা গেল টুকটুক আওয়াজ। জানালার আচড়ের মত আওয়াজ। তিনজনে একসঙ্গে কেপে উঠলেন।



ছেলে এবং স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে ভরসা দিলেন।



ভয় নেই কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিস চলে আসবে। তার সেল থেকে থানায় ট্রাই করছেন। কিন্তু এখানে গ্রামীন এর নেটওয়ার্ক নেই।



অগত্যা আল্লাহ এর ভরসা করে রইলেন। দরজার ছিটকিনি শক্ত করে লাগিয়ে ভারী চেয়ার ঠেলে বসিয়ে দিলেন দরজায়। ঘর পরিষ্কার এর মফ পেয়ে হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকলেন দরজার দিকে তাক করে।



আর ও দুইমিনিট এইভাবে টোকার পর কিছুক্ষণ নিঃশব্দ হয়ে রইল।



হটাত তাদের সচকিত করে জানালার বাহির থেকে কেউ একজন ধাক্কা দিতে লাগল জানালায়



খোল জানালা খোল শিগ্রী কর্কশ স্বরে কেও একজন শাসিয়ে যাচ্ছে বাহির থেকে।



বাবা বলে আলিফ ভয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে রাখে।



জানালার বাহিরে বেশ হুটোপুটি ধ্বস্তাধ্বস্তির আওয়াজ শোনা গেল। কিছুক্ষণে দরজায় জোরে জোরে বাড়ি।



দরজা খুলুন আমরা পুলিস।



তবু ও বাবা দ্বিধাগ্রস্থ এরা সত্যি পুলিস তো ?



তখন ই নার্সের ভয়েস শোনা গেল।



স্যার আপনারা ঠিক আছেন তো শিগ্রী দরজা খুলুন।



আল্লাহ র নাম নিয়ে দরজা খুলে দিলেন আলিফের বাবা।



পুলিস ভিতরে ঢুকে সব দেখে শুনে বসলেন।



আলিফের বাবা উত্তেজনায় রীতিমত কানছেন।



আমার এতটুকু ছেলে কার কি করছে ? ওর এই বিপদ। প্লিস দেখুন ভাল করে। উত্তেজনায় হাপাতে হাপাতে কথাগুলি বললেন তিনি।



পুলিস এর হেড যিনি হাত ধরিয়ে বসিয়ে দিলেন কাছের সোফায়।



শান্ত হন। আমরা এসে গেছি। আপনার ছেলে এখন বিপদমুক্ত। দুইজন সেন্ট্রি কে দেখিয়ে বললেন এরা আপনাদের সার্বক্ষনিক পাহারায় থাকবে যতক্ষণ না ক্রিমিনাল আমরা ধরতে পারছি। একজন আপনাদের ঘরে থাকবে আরেকজন বাহিরের গেট এ পাহারায় থাকবে। এরা সবসময় আর্মড।কাজে একেবারে ভয়মুক্ত হয়ে যান। এখন পুরো ঘটনা বলুন কি হয়েছে ? ও হাসপাতাল এ বা কেন ? কিছু আমি শুনেছি এই নার্স এর কাছে। বাকি আপনি বলেন তারপর আমি আসছি তোমার কাছে বলে আলিফের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপে হাসলেন।



বাহাদুর ছেলেরা ভয় পায়না কেমন ? আলিফের দিকে তাকিয়ে অভয় দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি।



এতক্ষণে আলিফ হালকা হয়ে একটু হাসতে পারল। পুলিস আন্কেল কে তার অনেক পছন্দ হয়েছে।



সব কিছু শুনে তিনি একটা ডায়রি লিখে নিলেন।



আর ও একঘন্টা পরে পুলিস এর গাড়িতে করে আলিফ রা রওয়ানা করল বাসার উদ্দেশ্যে।



নার্সটি দৌড়ে এসে জঙ্গল থেকে এক লোককে টেনে তুলল।



তোকে নিয়ে কোন কাজ ঠিক মত হয়না। বাচ্চাটার ব্যাগ এ হয়তবা ম্যাপ টা আছে তুই গাধার মত মুখোশ পরে না ঢুকে ঘরে ঢুকে ওর ব্যাগ চেক করলে তো শিউর হতে পারতি।



শিউর হতে পারতি ভেংচে বলে উঠল আরেকজন। তুই দেখিস নি কেন ? অনেকক্ষণ ছিলি তো ছেলেটার সাথে। উল্টা চিত্কার করে আমারে বিপদে ফেললি।



এখন এই নকশা পাওয়া তো আর ও কঠিন হয়ে গেল পুলিসের চোখ ফাকি দিয়ে। বলে উঠে সঙ্গী লোকটি।



আমি কালকে ওদের বাসায় যাব দেখতে নার্স টি বলে। আমাকে ওরা সন্দেহ করবেনা। দেখি তখন খোজার চেষ্টা করব।



দুজনের মুখে শয়তানী হাসি ঝিলিক দিয়ে উঠল।



অপেক্ষা করে আছে পরের দিনের।



(পরবর্তীতে )

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:১২

হামিদ আহসান বলেছেন: বেশ জমে উঠেছে গল্প। চমৎকার লেখা.................

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৪৪

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ হামিদ ভাই কমেন্টসের জন্য।শুভেচ্ছা রইল।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

হামিদ আহসান বলেছেন: গচঝফবচ ভডঝফ ্বফৃ বফ জচব?

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৪৭

আরজু মুন জারিন বলেছেন: গচঝফবচ ভডঝফ ্বফৃ বফ জচব? কোন ফন্ট এ লিখেন ? ফনিক নাকি ভার্চুয়াল?

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

হামিদ আহসান বলেছেন: লিখটে পারিনা েখানে ......।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৪৯

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ইউনিজয় লিখলে কি প্রবলেম হয়?

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

চড়ুই বলেছেন: পরের পর্বের জন্য অপেক্ষাই আছি। :) :)

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৪৬

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ চড়ুই কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

মামুন রশিদ বলেছেন: বাহ, সুন্দর ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৫২

আরজু মুন জারিন বলেছেন: বাহ, সুন্দর ! মামুন ভাই ও। কি সুন্দর বট গাছ। ..আমরা তার ছায়ায় বসি।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৫৩

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম আরজু। :)

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৫০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম আরজু। :)

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৫০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ......................

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৫২

রাজিব বলেছেন: "নার্সটি দৌড়ে এসে জঙ্গল থেকে এক লোককে টেনে তুলল। "
এ বাক্যটি ঠিক বুঝতে পারলাম না। নার্সের লোকটিকে টেনে তোলার দরকার হল কেন। আর নার্সটির গায়ে তো অনেক শক্তি। এছাড়া উপন্যাসের বর্ণনা বেশ ভাল লেগেছে আর প্রতি পর্বের শেষে যে ধরনের সাসপেন্স রাখতে পারছেন তাও বেশ চমৎকার।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

আরজু মুন জারিন বলেছেন: আর ও ডিটেলস হয়তবা লেখা যেত রাজীব ভাই। এ বোঝাতে চেয়েছি নার্স টির সাথী মূল ক্রিমিনাল। পুলিসের সাথে দস্তাদস্তিতে সে পালিয়েছে আহত অবস্থায়। নার্সটি আহত বন্ধুকে উঠতে সাহায্য করেছে। হাসপাতাল এর পিছনে জঙ্গলের কথা বলা। কিশোরদের জন্য লেখা তাই ওদের বর্ণনার ধরনে লেখা। ইচ্ছে করে খুব গোছানো বিবরণ দেওয়া হয়নি। গল্পে সংক্ষিপ্ত ভাব টা রেখেছি।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০১

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩৪

হামিদ আহসান বলেছেন: য়োনিজোয়ে লেখটে পারি না কেন?

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০১

আরজু মুন জারিন বলেছেন: হামিদ ভাই শব্দ বুঝতে পারছিনা। এ কি শব্দ। বাংলা লিখতে পারছেননা তা বলছেন ?

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০২

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ও আচ্ছা ইউনিজয় এ লিখতে পারছেন না।

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৪০

রাজিব বলেছেন: পরের পর্ব কবে আসবে? ভালই লাগছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.