নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা গ্রেট লাইব্রেরি অফ আলেকজান্দ্রিয়া

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮


আলেকজান্দ্রিয়ার প্রাচীন গ্রন্থাগার ছিল প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাগারগুলির একটি। এটি মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে অবস্থিত ছিল। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মিশরের টলেমিক রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি প্রধান শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে এই গ্রন্থাগারটি গড়ে উঠেছিল। ৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমানদের মিশর আক্রমণের সময় পর্যন্ত এই গ্রন্থাগার কার্যকরী ছিল। গ্রন্থ সংগ্রহের পাশাপাশি এই গ্রন্থাগারে বক্তৃতাকক্ষ, সভাকক্ষ ও বাগানও ছিল। এই গ্রন্থাগার প্রকৃতপক্ষে ছিল মিউজিয়াম নামে এক বৃহত্তর গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অংশ। এখানে প্রাচীন বিশ্বের বহু বিশিষ্ট দার্শনিক পড়াশোনা করেছিলেন।সম্ভবত টলেমি প্রথম সোটারের অথবা তার পুত্র টলেমি দ্বিতীয় ফিলাডেলফাসের রাজত্বকালে এই গ্রন্থাগার পরিকল্পিত ও স্থাপিত হয়েছিল। এই গ্রন্থাগার ছিল মিশরের ঐশ্বর্য ও ক্ষমতার প্রতীক। সারা পৃথিবী থেকে বই ধার করে তার অনুলিপি তৈরি করা ও সেই বই গ্রন্থাগারে নিয়ে আসার জন্য এই গ্রন্থাগারে কর্মচারী নিয়োগ করা হত। অধিকাংশ বই রাখা হয় প্যাপিরাস স্ক্রোলের আকারে। তবে ঠিক কতগুলি স্ক্রোল এই গ্রন্থাগারে রক্ষিত ছিল তা জানা যায় না।এই গ্রন্থাগার পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। যার ফলে বহু স্ক্রোল ও বই চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়।

আলেকজান্দ্রিয়ার প্রাচীন গ্রন্থাগারের অগ্নিকাণ্ড তাই সাংস্কৃতিক জ্ঞান ধ্বংসের প্রতীক। প্রাচীন গ্রন্থগুলিতে এই অগ্নিকাণ্ডের সময় নিয়ে বিতর্ক দেখা যায়। কে এই অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছিলেন তা নিয়েও মতান্তর রয়েছে। এই ধ্বংস নিয়ে একটি জনশ্রুতি হল, বহু বছর ধরে জ্বলতে থাকা আগুনে এই গ্রন্থাগার বিনষ্ট হয়। সম্ভবত ৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জুলিয়াস সিজারের মিশর আক্রমণের সময়, ২৭০ খ্রিস্টাব্দে আরেলিয়ান আক্রমণের সময়, ৩৯১ খ্রিস্টাব্দে কপটিক পোপ থেওফিলাসের নির্দেশে এবং ৬৪২ খ্রিস্টাব্দে মিশরে মুসলমান আক্রমণের সময় সংঘটিত পৃথক পৃথক অগ্নিকাণ্ডে আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।মূল গ্রন্থাগারটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার পর গবেষকরা আলেকজান্দ্রিয়া শহরেরই অন্য প্রান্তে সেরাপিয়াম নামে এক মন্দিরে একটি ছোটো গ্রন্থাগার ব্যবহার করতেন। কনস্ট্যান্টিনোপলের সক্রেটিসের মতে কপটিক পোপ থেওপিলাস ৩৯১ খ্রিস্টাব্দে এই মন্দিরটিও ধ্বংস করে দেন।

আলেকজান্দ্রিয়ার প্রাচীন গ্রন্থাগারের আকার কেমন ছিল তা সঠিক না জানা গেলেও প্রাচীন গ্রন্থগুলির বর্ণনা অনুসারে এই গ্রন্থাগারে স্ক্রোলের বিশাল সংগ্রহ, আঁকাবাঁকা পায়ে চলার পথ, একত্র ভোজনের কক্ষ, পড়ার ঘর, সভাকক্ষ, বাগান ও বক্তৃতাকক্ষ ছিল। আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষাপ্রাঙ্গণে এই ধরনের নকশা দেখা যায়। গ্রন্থাগারের একটি অধিগ্রহণ বিভাগ এবং একটি ক্যাটালগিং বিভাগ ছিল। একটি বড়ো ঘরে তাকে প্যাপিরারের সংগ্রহ রাখা হত। সেগুলিকে বলা হত,বিবলিওথেকাই ‘’βιβλιοθῆκαι’’। জনশ্রুতি, এই তাকগুলির উপর একটি ফলকে লেখা থাকত, আত্মার চিকিৎসার স্থান।গ্রন্থাগারটি ছিল আলেকজান্দ্রিয়ার মিউজিয়ামের একটি অংশ। এটি ছিল একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গ্রন্থাগার ছাড়াও মিউজিয়ামে ছিল জ্যোতির্বিদ্যা এবং শরীরস্থান পঠনপাঠনের কক্ষ এবং দোষ্প্রাপ্য প্রাণীদের একটি চিড়িয়াখানা। যেসব বিশিষ্ট চিন্তাবিদ এই গ্রন্থাগারে পড়াশোনা ও গবেষণা করেছেন তাদের মধ্যে গণিত, প্রযুক্তিবিদ্যা, শারীরবিদ্যা, ভূগোল এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিশিষ্ট প্রথীতযশা মণীষীরা আছেন। তারা হলেন, ইউক্রিড, আর্কিমিডিস, এরাটোস্থেনিস, হেরোফিলাস, এরাসিস্ট্রাটাস, হিপ্পারাকাস, এডেসিয়া, পাপ্পাস, থেওন, হাইপেশিয়া, আরিস্টারকাস অফ সামোস এবং সেন্ট ক্যাথারিন।
এই গ্রন্থাগারে কোন যুগের ঠিক কতগুলি বই ছিল তার অনুমান করা এখন আর সম্ভব নয়। গ্রন্থ সংগৃহীত হত প্যাপিরাসের আকারে। ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের পর থেকে অবশ্য কোডেক্সও ব্যবহৃত হয়েছে। আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগারের গ্রন্থসংগ্রহকে কখনও পার্চমেন্ট কাগজে ধরে রাখা হয়নি। তার কারন সম্ভবত মিশর অঞ্চলে প্যাপিরাস ব্যবসার রমরমা। তবে এই গ্রন্থাগার পার্চমেন্ট ব্যবহারের পরোক্ষ কারন হয়ে উঠেছিল। গ্রন্থাগারের প্রচুর প্যাপিরাস প্রয়োজন হত বলে প্যাপিরাস রফতানি করা যেত না। তার বদলে পার্চমেন্ট রফতানির সূত্রপাত ঘটে।কোনো কোনো ক্ষেত্রে একই লেখা একাধিক স্ক্রোলে লিখে রাখা হত। এই ধরনের বইগুলি ছিল প্রধান সম্পাকীয় রচনা। রাজা টলেমি দ্বিতীয় ফিলাডেলফাসের রাজত্বকালে গ্রন্থাগারে ৫০০০০০ এরও বেশি স্ক্রোল ছিল।এমনও জানা যায় বিবাহের যৌতুক হিসেবে পারগামাম গ্রন্থাগারের ২০০০০০ স্ক্রোল মার্ক অ্যান্টনি, ক্লিওপেট্রাকে উপহার দিয়েছিলেন। যদিও কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে অ্যান্টনি যে রোমের তুলনায় মিশরের প্রতি অধিক আনুগত্য দেখিয়েছিলেন তা প্রমাণ করার জন্যই এই ধরনের দাবি করা হয় মাত্র।গবেষনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গ্রন্থাগারে গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং অন্যান্য নানা বিষয়ের গ্রন্থ ছিল। সাম্রাজ্যের প্রধান গ্রন্থাগার হওয়ায় এখানে প্রাচীন বিশ্বের প্রথম এবং প্রধান গ্রন্থপাঠ সমালোচনার কেন্দ্র ছিল এই গ্রন্থাগার। একই লেখা একাধিক স্ক্রোলে বিধৃত হওয়ায় তুলনামূলক গ্রন্থপাঠ সমালোচনাও তীব্রতর হত। গ্রন্থ সংগ্রহের পর প্রধান অনুলিপিগুলি তৈরি করা হত সারা পৃথিবীর বিদ্বান, রাজপরিবার এবং ধনী গ্রন্থ সংগ্রাহকদের জন্য। তা থেকে গ্রন্থের প্রচুর আয়ও হত।
প্রায় সব প্রাচীন গ্রন্থেই আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগারকে প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাগারগুলির একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই গ্রন্থাগারের বিবরণ ইতিহাস এবং কিংবদন্তির মিশ্রণই রয়ে গিয়েছে। এই গ্রন্থাগারের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রাচীন মিশরের ঐশ্বর্য প্রদর্শন। গবেষণা ছিল গৌণ উদ্দেশ্য।তবে গ্রন্থাগারের সঞ্চিত গ্রন্থগুলি মিশরের শাসকের কাজে লাগত।ছদ্ম পত্রসাহিত্য লেটার্স অফ এরিস্টেয়াস এই গ্রন্থাগার সম্পর্কে সবচেয়ে পুরনো তথ্যসূত্র।এই বই থেকে জানা যায়, লাইব্রেরিটি টলেমি প্রথম সোটারের রাজত্বকালে অ্যারিস্টটলের ছাত্র ডিমেট্রিয়াস ফালেরেউস গড়ে তুলেছিলেন। অন্যমতে, টলেমি প্রথম সোটারের পুত্র টলেমি দ্বিতীয় ফিলাডেলফাসের রাজত্বকালে এই গ্রন্থাগার গড়ে উঠেছিল।মিউজিয়ামের পাশে রাজপ্রাসাদের অঙ্গ হিসেবে অ্যারিস্টটলের লিসেয়ামের ধাঁচে এই গ্রন্থাগার গড়ে উঠেছিল।আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগারের দায়িত্ব ছিল সারা বিশ্বের জ্ঞান সংগ্রহ করা। গ্রন্থাগারের অধিকাংশ কর্মচারী প্যাপিরাসে বই অনুবাদের কাজে ব্যস্ত থাকতেন।রোডস এবং এথেন্সের বইমেলায় ঘুরে রাজার অর্থে প্রচুর বই সংগ্রহ করে এই কাজ চলত। গালেনের মতে বন্দরের কোনো জাহাজে কোনো বই পাওয়া গেলেই তা গ্রন্থাগারে নিয়ে আসা হত।এই বইগুলি জাহাজের বই নামে তালিকাভুক্ত করা হত। তারপর সরকারি লিপিকার সেই বইয়ের অনুলিপি করতেন। মূল বইটি গ্রন্থাগারে রেখে অনুলিপিটি মালিককে ফেরত দেওয়া হত।অতীতকালের গ্রন্থ সংগ্রহের পাশাপাশি এই গ্রন্থাগারে একদল আন্তর্জাতিক গবেষক সপরিবারে বাস করতেন। তারা রাজার কাছ থেকে বৃত্তি পেতেন। গালেনের মতে তৃতীয় টলেমি এথেন্সবাসীর কাথ থেকে এসিলাস, সোফোক্লিস এবং ইউরিপিডিসের মূল বইগুলি সংগ্রহের অনুমতি চেয়েছিলেন। তার পরিবর্তে এথেন্সবাসীরা প্রচুর পনেরো ট্যালেন্ট ৪৫০ কিলোগ্রাম ওজনের মূল্যবান ধাতু বন্ধকী রাখতে চান। তৃতীয় টলেমি সেই পরিমাণ অর্থ জমা রাখলেও মূল বইগুলি গ্রন্থাগারেই রেখে দেন। তবে এই গল্পটি টলেমিক রাজবংশের অধীনে এথেন্সের উপর আলেকজান্দ্রিয়ার ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য প্রচারিত অসত্য গল্পও হতে পারে। আলেকজান্দ্রিয়া ছিল মিশরের মূল ভূখণ্ড এবং ফারোজ দ্বীপের মধ্যে যোগাযোগরক্ষাকারী বন্দর। এখানে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বণিকরা আসতেন। ধীরে ধীরে এটি একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয় এবং পরে প্যাপিরাসের অন্যতম প্রধান উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হয়। যা এখানে গ্রন্থ উৎপাদনেও সহায়ক হয়।এই গ্রন্থাগারের সম্পাদকেরা হোমারের গ্রন্থ সম্পাদনার জন্য বিশেষভাবে খ্যাত ছিলেন। অধিকতর বিখ্যাত সম্পাদকেরা সাধারণত প্রধান গ্রন্থাগারিক উপাধি পেতেন। তাদের মধ্যে জেনোডোটাস, রোডসের অ্যাপোলোনিয়াস, এরাটোস্থেনিস, বাইজান্টিয়ামের অ্যারিস্টোফেনস এবং সামোথ্রেসের অ্যারিস্টারকাসের নাম উল্লেখযোগ্য। প্রথম গ্রন্থপঞ্জিকার ও পিনাকেস এর রচয়িতা ক্যালিমাকাস এই গ্রন্থাগারের প্রথম ক্যাটালগ তৈরি করেছিলেন। তবে তিনি এই গ্রন্থাগারের প্রধান গ্রন্থাগারিক ছিলেন না। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে গবেষকরা নিরাপদতর স্থানে বড়ো রাজার পৃষ্ঠপোষকতা লাভের আশায় এই গ্রন্থাগার ছেড়ে যেতে শুরু করেন। ১৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অষ্টম টলেমি আলেকজান্দ্রিয়া থেকে সকল বিদেশি গবেষককে বিতাড়িত করেন।

তথ্য সূত্র: ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


১ম বার, জুলিয়াস সীজার ও ক্লিওপেট্রার ভাইয়ের সাথে যুদ্ধের সময় আগুন দেয়া হয়েছিল

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

মামুন ইসলাম বলেছেন: আচ্ছা ওটার কারনটা ছিল কি ?

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাই ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ মফিজ ভাই ।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

আরজু পনি বলেছেন: দারুণ!
আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরি সম্পর্কে জানতাম।
একটা সিনেমাতেও দেখেছি।
আপনার এখানে আরো বিস্তারিত পেলাম।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পনি আপু । অনেকদিন পর ব্লগে আপনাকে দেখলাম ।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০০

জুন বলেছেন: এখন আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত এই লাইব্রেরীর চেহারা হয়েছে এমন । বাইরে কিছু হেইরোগ্লিফিক আকিবুকি দিয়ে পুরনো গন্ধ দিতে চেষ্টা করেছে কিন্ত ঐতিহ্য বজায় রেখে সেই প্রাচীন স্টাইলে তৈরী না করে দিয়েছে এর এক আধুনিক চেহারা। যা হাজার মাইল পেরিয়ে দেখতে যাবার পরও আমাকে একটুও আকর্ষন করেনি । আমাদের ক্যামেরায় তোলা ছবি দিলাম একটি।

তবে ইতিহাস বরাবরের মতই ভালোলাগলো ।
+

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জুন আপু । আপু যাই বলেন আমার মনে হয় প্রাচীণ ডিজাইন বা ইষ্টাইল গুলোই ভালো ছিল। এক কথায় তখনকার পরিবেশের সাথে সেই ষ্টাইলগুলো খাপ খেয়ে যেত ।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১২

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: সুন্দর ইতিহাস। ভালো লাগলো।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: ঐতিহাসিক বিষয়বস্তুর সব সময়ই একটা আলাদা আবদার থাকে । পোষ্টটি ভাল লাগলো ।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: জানা হল অনেক কিছু।

সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

রাতু০১ বলেছেন: ১৯৯০ সালে মিশরের আসওয়ানে একটি কনফারেন্সে লাইব্রেরিটি পুনঃনির্মানের জন্য ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাথমিক ফান্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এরপর ১৯৯৫ সালে লাইব্রেরীটির নির্মান কাজ শুরু হয় এবং এটি নির্মান করতে সর্বমোট খরচ হয় ২২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আনুষ্ঠানিকভাবে লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করা হয় ১২ই অক্টোবর, ২০০২ সালে। পৃথিবীর বুকে আরেকবার আবির্ভাব ঘটে আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরীর।

এভাবেই তিলে তিলে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরি আর অত্যাচারী শাসক ও ধর্মান্ধদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কোনভাবেই জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে রোধ করা সম্ভব নয়।


৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: দারুণ একটা পোস্ট। তথ্যপূর্ণ। সময় নিয়ে দ্বিতীয় তৃতীয়বার পড়তে হবে।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগল না লাইক দিয়ে থাকতে পারলাম না ভাই । :)

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৫৬

মিন্টু ভাই বলেছেন: কেমন আছেন বড় ভাই ? নতুন নিক খুললাম ।

১২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৫৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব ভালো পোস্ট। প্রিয়তে রাখলাম।

১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২২

লেখা পাগলা বলেছেন: ভালো লাগে নাই ।

১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: কাল পড়া শুরু করেছিলাম আজ শেষ করলাম । ভালো লাগল ।

১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
জানা হল অনেক কিছু।

আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। :)

১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সব সময় দেখা যায় কট্টর ধর্মিও গোষ্ঠিরাই লাইব্রেরী, যাদুঘর ইত্যাদি ধ্বংশ করে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.