নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো নিপোবনে,ছায়াবিথী তলে এসো করো স্নান নবধারা জলে।

নবাব চৌধুরী

আমি তানভীর চৌধুরী।কোনো এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে আমার জন্ম। পূর্বপুরুষ ছিলেন জমিদার।আমি অনেককিছুই ঘটতে দেখেছি আমার চোখের সামনে যার অনেকগুলো আমার হৃদয়ে ভয়াবহভাবে দাগ কেটেছে।জীবনের এ পর্যায় পর্যন্ত আমি এসেছি একলাটি। স্বজনদের কেউই তেমন করে সঙ্গ দেয়নি।মাঝেমধ্যে আমি খুব বিষন্ন হয়ে যাই তখন মনে হয় সবকিছু ছেড়েছুড়ে সীমাহীন কোনো অসীম দূরত্বে চলে যাই।কিন্তু পারিনা কারণ মা আমার সহ্য করতে পারবেনা। আমি ছেলেটা একেবারেই অগোছালো প্রকৃতির কোনো কিছুই প্রায় পারিনা করতে।অকর্মণ্যর মতো বসে থাকাই আমার কাজ। গিটারে রিদম বাজিয়ে গান গাইতে অসম্ভব ভালো লাগে।রবীন্দ্রনাথকে জীবনের আশ্রয় মানি আরেকজন মহান সাহিত্যিক \"শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়\"উনার লেখা অনেক গল্প আমার বাঁচার রসদ জুগিয়েছে। আমার কাছে মনে হয় জীবন গিটার রিদমের মতোই।একটা পূর্ণাঙ্গ রিদমকে কেউ যদি বিভক্ত করে ছোট ছোট অংশে, এবং সেই বিভক্ত অংশটাকে যথার্থ ভাবে বাজায়,তখন শুনতে যেমন খুব ভালো লাগে,তেমনই জীবনকে ও অনেক ভাগে বিভক্ত করে যথাযথ ভাবে চালিয়ে নিলেই, জীবন একটা সুন্দর ছন্দের মধ্যে চলে আসে। নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক মানুষের সাথে আমি শতো হাত দূরত্ব বজায় রাখি কারণ তারা আমার মাকে কষ্ট দিয়েছে।এদেরকে আমি ঘৃণা করি যদি সুযোগ পাই তাহলে খুব হেনস্তা করবো। পৃথিবীর বুকে একটি মাত্র নারী যিনি আমার সামান্যতম ব্যাথায় ও আর্তনাদ করে উঠেন,হয়ে উঠেন উথলা।আমার পৃথিবী হয় প্রকম্পিত ইনার জন্য আমি কিছু করতে চাই।হাজার বছর বেঁচে থাকার ইচ্ছা আমার হয় এই মহিলাটির জন্য তিনি আমার\"জননী\"। এডলফ হিটলার কে আমার ভালোই লাগে তবে একজন সুযোগ্য নেতা হিসেবে নয় শুধুমাত্র অকুতোভয় সেনাপ্রধান হিসেবে। আমি নারী বিদ্বেষী নয়।মা বোনদের যথার্থ ভাবে সম্মান করি। কিছুসংখ্যক নাস্তিকবাদিদের ঘৃণা করি। যখন ক্ষেপে যাই অগ্নিমূর্তি রুপ ধারণ করি,আমাকে আমি সামাল দিতে পারিনা তখন। একজনকে ভালোবেসেছিলাম।পাত্তা দেয়নি,খুব করে স্বপ্ন দেখতাম তাকে নিয়ে,এখন জানি সকল স্বপ্ন আসেনা সত্যি হয়ে। :-) আমি একজন শিক্ষার্থী।আইন ও বিচার বিভাগে অধ্যয়ন করছি।কথা দিচ্ছি যখন পা রাখবো আদালতের বারান্দায় তখন মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে আমার পেশাটাকে সম্মান করবে।আমার সবে শুরু হয়েছে;আমি এগিয়ে যাবো সন্তর্পনে একজন ফাঁসির \"দাগা আসামি\"যে আমার মক্কেল হবে তাকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টাই আমার সততা।আমার দায়িত্বই হচ্ছে তাকে বাঁচিয়ে দেয়া।সুপুরুষ কখনও দায়িত্ব এড়িয়ে যায়না। আমি যদি হই একজন বিচারক তবে আমার রায়গুলো হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের মানানসই।যার গুণগত মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবেনা।সে সাধ্য পৃথিবীর কারুরই নেই। অনেক ক্ষতি আমার হয়েছে।বড্ড দেরী হয়ে গেছে।এখন আমি জেনেছি জীবনের অর্থ।জীবনের অর্থ আমি জেনেছি নতুনভাবে।বেঁচেই যখন থাকবো তবে কুকুরের মতো কেন?চষিয়ে বেড়াবো দাপট দেখিয়ে। পড়ন্ত বিকালে সুর্য যখন অস্ত যাওয়ার আয়োজন আরম্ভ করে,বালিকার দল হাটতে বের হয় নদীর পাড়ে।স্বভাবতই ওরা চুলগুলো খোলা রাখে।বাতাস খেলা করে তাদের চুল নিয়ে। বালকের দল থাকে খেলাধূলায়লার মগ্ন।কেউ নাটাই হাতে ঘুড়ি উড়ায়, কেউ কাবাডি খেলায় বিভোর হয়, কয়েকজন আবার নৌকা নিয়ে চলে যায় মাঝনদীতে।কিন্তু তাদের কেউই বালিকা গুলো কে দেখে শিস দিতে চায়না।এই অসভ্যতাটা এরা এখনও রপ্ত করেনি। বালিকার দলে মেয়ে একটা--নাম রেবেকা।আহামরি সুন্দরী সে নয় কিন্তু অনেক মিষ্টি, অনেক চপলা, কেশবতী। যদিও ন্যাড়া বেলতলায় দুবার যায়না এই মেয়েটির জন্য কিন্তু আমি যাবো।হ্যা-ঁ-আমি আরেকবারটি এ রকম নিষ্পাপ গ্রাম্য কিশোরী মেয়ে একটার প্রেমে পড়তে চাই। তোমরা কেউ কী পারবে?এমন মেয়ে একটির সন্ধান আমাকে দিতে যে একেবারে সাদামাটা এবং সহজ সরল।ভালো রান্না জানবে।আধুনিক খাবার যেমন থাই, চাইনিজ, এগুলো নয়রে ভাই।ভাতের সাথে আমার একটু সুস্বাদু তরকারি হলেই চলবে।ভালো লাগেনা শহরের জঠিল প্রকৃতির আধুনিকমনস্ক মেয়েদের আর। আসলে এদের যোগ্য আমি নই। তোমরা রমণী-যথেষ্ট শ্রদ্ধার সাথেই বলছি।তোমাদের আচরণ আরও স্পষ্ট হওয়া দরকার।যদি কাউকে ভালো না বাসতে পারো,সেটা একান্ত তোমাদের ব্যাপার।সামান্যতম অভিনয়ও নিষ্প্রয়োজন।আসলে আমি বিভ্রান্ত।একদিন পাগলের মতো ভালোবেসেছিলাম ওর আচরণের অনেকটাই ছিলো অস্পষ্ট।আমাকে অনেক ভোগতে হয়েছে।আমি হয়েছি ক্ষতিগ্রস্ত এবং আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে মূল্যবান অনেকগুলো বছর। এই সত্যটা আমি নিজে জেনেছি;জেনেছি অনেককিছু।সেদিন শুধু একটু কষ্ট পেয়েছি। আসলে আমি ধরেই নিয়েছিলাম সে আমার ফিরবে হয়তো। ওটা ছিলো একটা গোলকধাঁধাঁ যার ভেতরে ঢুকা অনেক সহজ।কিন্তু ঢুকে পড়লে বের হওয়া অনেক কষ্টকর।একবার যদি কেউ এর থেকে বেরিয়ে আসে! তাহলে দ্বিতীয়বার সে ঢুকতে চায়না সহজে।তোমাদের সম্পর্কে অনেকেই অনেককিছু বলে আমরা পারিনা এমনটা বলতে।আমাদের রুচিতে বাধে।আমাদের জন্য তোমরা না হয় একটা যায়গা রাখলে।সম্মান দেখানোর যায়গাটা।

নবাব চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোথাও বলিনি এদেশে ৯২ শতাংশ মুসলমানের বসবাস।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৮

সাদা মলাটে মোড়ানো আমাদের যে সংবিধানটা আছে সেটা নিঃসন্দেহে অনেক সমৃদ্ধ এবং যুগোপযোগী।এটা করতে তৎকালীন সময়ের সর্বোচ্চ মেধাবী ব্যাক্তিবর্গ কাজ করেছিলেন যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ড. কামাল হোসেন।
বাহাত্তরের সংবিধানের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলার সাধ্য কারুরই নেই।
তবুও দুঃখজনক বিষয় এই সংবিধান গত ৪৪ বছরে ষোলবার পরিবর্তিত হয়েছে।অধিকাংশ পরিবর্তনই ছিলো অপ্রয়োজনীয়।মার্কিন সংবিধান প্রায় ২৪০ বছরে পরিবর্তিত হয়েছে মাত্র ২৭ বার।ব্রিটেনে লিখিত কোন সংবিধানই নেই।

সংবিধান বলতেই লিখিত পাণ্ডুলিপি নয়।
সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্য যদি বাস্তবায়িত না হয় অথবা সংবিধানের সাথে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যদি নিজেদের ইচ্ছামতো পরিমার্জন,সংশোধন,সং্যোজন আরম্ভ করেন তাহলে সংবিধান স্বকীয়তা হারায়।বস্তুনিষ্ঠ ভাবে বললে বলতে হয় সংবিধানের সমৃদ্ধি নির্ভর করে ওটাকে মেনে চলার মানুষিকতার উপর।
সে একটা জড়বস্তু কাউকে সে বাধ্য করতে পারেনা,কাউকে সে শাসাতে পারেনা যদিনা ব্যাক্তি তার প্রতি অনুগত হওয়ার মানুষিকতা না দেখান।

ধরুন আপনি একটা একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য।পরিবার প্রধান একটা নিয়ম করে দিলেন রাত দশটার আগে বাড়ি ফিরতে হবে,এগারোটার আগে খাবার টেবিলে আসতে হবে।
সকাল ৮টার আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে, ৯টার আগে নাস্তা শেষ করতে হবে।
সবাই যদি পরিবার প্রধানের উপর শ্রদ্ধাশীল হন,যদি এগুলো মেনে চলেন,ঐ পরিবারের রিদমটাই থাকবে অন্যরকম।
সবাই যদি পরিবার প্রধানের উপর শ্রদ্ধা রাখেন ঠিকই কিন্তু সময়ের ব্যাপারটাকে সবার সম্মতিক্রমে পরিবর্তন করে এক ঘন্টা পিছিয়ে নেন।ফলাফলটা যা দাঁড়ায় তা হলো পরিবার প্রধানের উপর শ্রদ্ধা ঠিকই রাখা হলো,সময়ও মানা হচ্ছে ঠিকঠাক কিন্তু মূল যে যায়গাটা সেটা থেকে সরে আসলেন।সবকিছুই ঠিক রাখলেন কিন্তু রিদম হারিয়ে ফেললেন কারণ আপনারা সময়কে এক ঘন্টা পিছিয়ে নিলেন।
এমন পরিবর্তন আর এমন শ্রদ্ধাশীলতার দরকার নেই।
আমাদের সরকারগুলো এটাই করে সচরাচর।অনেকেই হয়তো খুব যুক্তি দিয়ে,রেফারেন্স সহকারে এসে বলবেন অমুক দেশে অমুক পদ্ধতি ইনক্লুড করতেই অমুক বিধি কর্তন করা হয়েছে,অমুক বিধি যোগ করা হয়েছে।
জবাবে আমি বলবো"দরকার কী ছিলো"?

রাষ্ট্র ধর্মকে ইসলাম হিসেবে রাখা বা না রাখার ব্যাপারে দায়েরকৃত রিট পিটিশনের চূড়ান্ত রায় হতে যাচ্ছে আগামী ২৭ মার্চ।
এটা নিয়ে একটা ধোঁয়াটে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।অনেককেই দেখেছি ফেইসবুক পেইজে যুদ্ধের দামামা পেটাচ্ছেন"রাষ্ট্রধর্ম ইসলামই রাখতে হবে"।এটার কোন যৌক্তিকতা পাইনি।

আমার অবস্থানটা আমি স্পষ্ট করছি অবশ্যই যুক্তি সহকারে,ফেইসবুকে প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন বা ইভেন্ট দিয়ে নয়।
আমিও চাই অনুচ্ছেদ ২(ক) তে যা আছে তা বহাল থাকুক।দীর্ঘ ২৭ বছর যাবৎ এইটা বহাল থাকা স্বত্তেও আমরা পারষ্পরিক সৌহার্দ-সম্প্রীতি বজায় রাখতে পেরেছি।
যদি ১৯৮৮তে কোন পরিবর্তন না হতো তবে আমি নিশ্চই দাবী করতামনা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে ঘোষণা করা হোক।হয়েই যখন গিয়েছে তবে সেটা থাকাটাই ভালো,এখন হটাৎ করে পরিবর্রতন করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

স্ক্যান্ডেভিয়ান দেশগুলো হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র সমূহ।এই দেশগুলো খ্রিষ্টান প্রধান।তারা তাদের সংবিধানে সুস্পষ্ট বিধানের মাধ্যমে খ্রিষ্টান ধর্মকে প্রাধান্য দিয়েছে শুধু প্রাধান্যই নয় খ্রিষ্টীয়ান চার্চগুলো যে ফান্ড নেবে রাষ্ট্রের কাছ থেকে সেটাও তারা বিধান করে রেখেছে।

আয়ারল্যান্ড সংবিধান আর্টিকেল ১ এ বলা আছে"we the people of eire, humbly acknowledging all our obligation tobour devine lord jessu christ"

ডেনমার্কের জনগণ তাদের সংবিধানে নিশ্চিৎ করেছে"Danish constitution prescribe that the evangelical Lutheran church is the state church of denmark and receive funding from the state.the constitution is not prohibit other religion for funding"

আইসল্যান্ড এর সংবিধানে "the Icelandic Constitution provides that the Evangelical Lutheran Church shall be the State Church of Iceland; however, this protection can be repealed by law (i.e., without a change to the Constitution). Freedom of religion is guaranteed"

নরওয়ে সংবিধানে ধর্ম সম্পর্কিত আর্টিকেল"Christianity was the state religion of Norway until a 2012 revision of the Norwegian Constitution did away with this provision.[53] The Constitution, as most recently amended, still requires that the monarch profess the Evangelical Lutheran faith, however.Freedom of religion is guaranteed.[54]একটা ব্যপার লক্ষণীয়- ২০১২ সালে এদের যে এমেন্ডমেন্ট হয়েছে সেখানে তারা পরিষ্কার করে বলেছে মোনার্ক অবশ্যই খ্রিষ্টীয় ধর্মাবলম্বি হবেন।আর অন্যন্য সব ধর্মের সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিৎ থাকবে।২০১২ সালের আগে পর্যন্ত খ্রীষ্টান ধর্ম ছিলো এদের রাষ্ট্রধর্ম।

সুইডেন"The Swedish Constitution, which consists of four fundamental laws, prescribes that the monarch must be of the Lutheran Evangelical faith.[57] The Evangelical Lutheran Church of Sweden was the state church until 2000 and still receives assistance from the state in collecting member fees, which were previously known as the church tax.[58] Freedom of religion is guaranteed.[59]
এখানেও একটা এমেন্ডমেন্ট হয়েছে ২০০০ সালে।এই সংশোধনীর আগে পর্যন্ত তারা চার্চ ট্যাক্স নামে যে ফান্ড সংগ্রহ করতো সেটার একটু পরিবর্তন করে ট্যাক্স সংগ্রহ করছে কালেক্টিং মেম্বার ফিস নাম দিয়ে।
এখানেও রাজা বা শাসককে খ্রীষ্টিয় ধর্মাবলম্বি হতে হবে।

আমি কিন্তু এমন দাবী করছিনা যে আমাদের দেশেও এমন করা হোক।



আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ এবং ২৫ এর মাধ্যমে ধর্মীয় স্বাধিনতা নিশ্চিৎ করেছে।১৯৭৬ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়েছ তারা,প্রস্থাবনা অংশে নিজেদের ঘোষণা করেছে"ধর্ম-নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে"।নেপালের যে সাম্প্রতিক নতুন সংবিধান কার্যকর হলো।যেখানে হিন্দু ধর্মকে রাষ্ট্র ধর্ম না করে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্টিত করেছে তারা।ভারত কিন্তু এতে খোঁশী হয়নি।
ভারত ধর্মনিরপেক্ষ ঠিকই কিন্তু ধর্মীয় দাংগা নিবারণ করতে কতোটুকু সচেষ্ট তারা।
১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদ দাংগা অথবা ২০০২ সালে গুজরাটে দাংগা এগুলো পর্যালোনা করলে বোঝা যায় স্যাকুলার না ওখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বিরা মানুষিকভাবেই প্রস্তুত যে'সংবিধানে যাই থাকুকনা কেন এখানে হিন্দুরাই প্রাধান্য পাবে'।রাষ্ট্রকে সাংবিধানিকভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ হিসেবে ঘোষণা করাটাই সব কিছুনা।এ ব্যাপারটাকে মাঝে মাঝে ঢংই মনে হয়।
তথাকথিত বুদ্ধিজিবীরা বলেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করে বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।মূল ব্যাপারখানা হলো রাষ্ট্রে জনগণ ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে কিনা সেটাই বিবেচ্য বিষয় সেটা কেউ বলেননা।আমাদের দেশে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে প্রতিষ্টা করার পরেও যে অনেক শান্তিতে আছে সংখ্যালঘু জনগণ সেটা উনারা মানতে নারাজ।ভারতে যখন সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন তখনও এদেশের মুসলমানেরা হিন্দু সম্প্রদায়ের কারও উপর নির্যাতন করেনা একটা ত্যাক্তবাক্য করেনা।

যুক্তরাষ্ট্র-পৃথিবীর সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর দেশ একটা।এদের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীটাই ছিলো ধর্ম নিয়ে।১৭৯১ সালের সেই সংশোধনীতে তারা রাষ্ট্রের জনগণকে ধর্মীয় স্বাধিনতা দিয়েছে সেই সাথে রাষ্ট্রকে নিবারণ করেছে যাতে রাষ্ট্র এমন কোন আইন কখনই প্রণয়ন না করে যেটা দিয়ে নির্দিষ্ট কোন একটা ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া হয় অথবা অন্য কোন ধর্মের বিপক্ষে চলে যায়।পরিশেষে ধর্ম নিয়ে যাতে বাড়াবাড়ি না হয়।এর কোন কমতি কি আমাদের এখানে আছে? এমন কোন আইন আছে যা মুসলিমদের প্রাধান্য দিয়ে করা হয়েছে বা অন্য কোনো ধর্মের বিপক্ষে চলে গিয়েছে।

রাশিয়াও একটা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ দিয়ে ধর্মের স্বাধিনতার ব্যাপারটা নিশ্চিৎ করেছে।কোনো ধর্মকে প্রাধান্য দেয়নি বা কোন ধর্মকে হেয় প্রতিপন্নও করেনি।ফ্রান্স,ইটালি,জার্মান,এই প্রত্যেকটা দেশের ধর্ম সম্পর্কিত প্রভিশনগুলো একই রকম।তারা সবাই স্যাকুলারিজমের নামে একটা ব্যাপারেই কঠোর হয়েছে আর সেটা হলো;কোন ধর্মই যাতে প্রাধান্যতা না পায়,কোন ধর্ম যাতে হেয় না হয়।
এবার আসুন আমরা একটু আমাদের সংবিধানটা দেখি।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ২(ক)। ""প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম,তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহি অন্যন্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সম মর্যাদা ও সম অধিকার নিশ্চিৎ করবেন""।
১৯৮৮ সালে স্বৈরশাসক কামুক "এরশাদ" পতনের ডাক যবে চলে এসেছিলো সে একটা কৌশল অবলম্বন করে মুসল্মানদের মন জয় করতে চেয়েছিলো মাত্র।
বাহাত্তরের সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৪১ দিয়ে ধর্মীয় স্বাধিনতাকে আবারও নিশ্চিৎ করা হয়েছিলো যা এখনও সমুন্নত।অর্থাৎ আরও দশটা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মতো আমরাও ধর্ম নিরপেক্ষর মতোই আচরণ করছি।ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ভারতের সাথে যদি আমরা আমাদের তুলনা করি তবে নির্ঘাৎ চোখে পড়বে আমরা অনেক ভালো আছি।আমাদের এখানে এখনও দাংগা হয়নি,আমাদের এখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলেও মুসলমান কেউ চাকরির ক্ষেত্রে বা যেকোনো ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায়না।

মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট যদি চান বাহাত্তরের সংবিধানে চলে যেতে কোনোও বাধা নেই,এই এখতিয়ার শুধু সুপ্রিম কোর্টেরই আছে।আবার সুপ্রিম কোর্ট চাইলে অনুচ্ছেদ ২(ক) বহালও রাখতে পারেন।সে এখতিয়ারও আছে।
অনুচ্ছেদ ২(ক)বাহাত্তরের সংবিধানের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা সেটা ভাবার বিষয়।মূল উদ্দেশ্য থেকে কিন্তু কক্ষচ্যুত হয়ে যায়নি আমাদের সংবিধান।কারণ ওটাতে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে গ্রহণ করে সাথে সাথে অন্যান্য ধর্মের জন্য সমমর্যাদা ও সমান সুযোগ নিশ্চিৎ করা হয়েছে।তাছাড়া গতো ২৭ বছরে এই অনুচ্ছেদের দোহাই দিয়ে কোনও অরাজক পরিস্থিতির উদ্রেক হয়নি।
আমি আশা রাখি বিজ্ঞ আদালত এই বিষয়গুলো আমলে নিয়ে একটা যথাযথ রায় প্রদান করবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৮

মিহির সাহা বলেছেন: চমতকার

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০২

বিজন রয় বলেছেন: সাদা মলাটে মোড়ানো আমাদের যে সংবিধানটা আছে সেটা নিঃসন্দেহে অনেক সমৃদ্ধ এবং যুগোপযোগী।এটা করতে তৎকালীন সময়ের সর্বোচ্চ মেধাবী ব্যাক্তিবর্গ কাজ করেছিলেন। বাহাত্তরের সংবিধানের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলার সাধ্য কারুরই নেই।

হা হা হা হা হা হা ....................

২০১৬ তে আপনার এই কথা অচল।
আপনি ইসলাম বিরোধী।

হা হা হা হা হা হা হা .....................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.