নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবজাতককে দেখার পরে পঠিতব্য দোআ

২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

ছবি: অন্তর্জাল।

নবজাতককে দেখার পরে পঠিতব্য দোআ

নবজাতক সন্তান ছেলে বা মেয়ে যা-ই হোক, জন্মের পর খুশি হওয়া, আল্লাহ তাআ'লার শুকরিয়া আদায় করা এবং সন্তানের জন্য দোআ করা ইসলামের আদর্শ, এটি বরং সওয়াবেরও একটি কাজ। আমরা পবিত্র কুরআনের বর্ণনায় মুসলিম জাতির পিতা নাবিয়্যিনা হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সন্তান লাভের ঘটনা হতে এ শিক্ষা লাভ করতে পারি। তিনি সন্তান লাভের পরে আল্লাহ তাআ'লার শুকরিয়া জ্ঞাপনের সাথে সাথে নিজ পিতা-মাতা ও মুমিনদের জন্যও দোআ করতে ভুলেননি। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তিনি বলেন,

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ ۚ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاءِ رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ

সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি বৃদ্ধ বয়সে আমাকে ইসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন। নিশ্চয় আমার রব দোআ শ্রবণকারী। হে আমার রব, আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব, আর আমার দোআ কবুল করুন। -সূরা ইবরাহিম : ৩৯-৪১

তদ্রুপ আত্মীয় ও শুভানুধ্যায়ীদের সুসংবাদ প্রদান করা, সন্তানের জনক-জননীকে মোবারকবাদ দেয়া ও তাদের খুশিতে অংশ গ্রহণ করা। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,

وَامْرَأَتُهُ قَائِمَةٌ فَضَحِكَتْ فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِن وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ

আর তার (ইবরাহিমের) স্ত্রী দাঁড়ানো ছিল, সে হেসে উঠল। অতঃপর আমি তাকে সুসংবাদ দিলাম ইসহাকের ও ইসহাকের পরে ইয়াকুবের। -সূরা হুদ : ৭১

অনুরূপভাবে হযরত যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম এর সন্তানলাভের ঘটনা সম্পর্কেও পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-

يَا زَكَرِيَّا إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَامٍ اسْمُهُ يَحْيَىٰ لَمْ نَجْعَل لَّهُ مِن قَبْلُ سَمِيًّا

হে যাকারিয়্যা, আমি তোমাকে একটি পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম ইয়াহইয়া। ইতিপূর্বে কাউকে আমি এ নাম দেইনি। -সূরা মারইয়াম : ৭

এই কারণে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে আমাদেরও উচিত আল্লাহ তাআ'লার প্রশংসা ও শুকরিয়া আদায় করা ও সন্তানের জন্য দোআ করা।

ইবনুল কাইয়ুম রহ. বলেন, সন্তান জন্মের সংবাদ পেলে সন্তানের জন্য কল্যাণ ও বরকতের দোয়া করা কর্তব্য। -তুহফাতুল মওলূদ

সন্তান লাভকারীকে অভিনন্দন জ্ঞাপনে:

সন্তান লাভকারীকে অভিনন্দন ও তার জবাবও উত্তম কাজের অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে সন্তান লাভকারীকে অভিনন্দন জ্ঞাপনের জন্য নিম্নো্ক্ত সুন্দর দোআটি পাঠ করা যায়-

«بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي الْمَوْهُوبِ لَكَ، وَشَكَرْتَ الْوَاهِبَ، وَبَلَغَ أَشُدَّهُ، وَرُزِقْتَ بِرَّهُ».

উচ্চারণ: বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফিল মাউহুবি লাক, ওয়া শাকারতাল ওয়া-হিবা, ওয়া বালাগা আশুদ্দাহু, ওয়া রুযিক্তা বিররাহু।

অর্থ: আল্লাহ তাআ'লা আপনাকে যা দিয়েছেন তাতে আপনার জন্য বরকত দান করুন, সন্তান দানকারীর শুকরিয়া আদায় করুন, সন্তানটি পরিপূর্ণ বয়সে পদার্পণ করুক এবং তার সদ্ব্যবহারপ্রাপ্ত হোন।

যদিও এই দোআটির উল্লেখ হাদিসে পাওয়া যায় না, তবে এটি উত্তম অর্থবহ চমৎকার একটি দোআ এবং উল্লেখ করা হয়েছে যে, এটি প্রখ্যাত তাবেয়ী হযরত হাসান বসরী রাহিমাহুল্লাহ তাআ'লা কর্তৃক সংকলিত ও বর্ণিত। -তুহফাতুল মাওদূদ লি ইবনিল কাইয়্যেম

অভিনন্দনের জবাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে:

পক্ষান্তরে অভিনন্দনের জবাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে নিচের দোআটি পাঠ করা যায়-

«بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ، وَجَزَاكَ اللَّهُ خَيْراً، وَرَزَقَكَ اللَّهُ مِثْلَهُ، وَأَجْزَلَ ثَوَابَكَ».

উচ্চারণ: বা-রাকাল্লা-হু লাকা ওয়া বা-রাকা ‘আলাইকা, ওয়া জাযা-কাল্লা-হু খাইরান, ওয়া রাযাক্বাকাল্লা-হু মিসলাহু ওয়া আজযালা সাওয়া-বাকা।

অর্থ: “আল্লাহ আপনাকে বরকত দান করুন, আর আপনার উপর বরকত নাযিল করুন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন, আর আপনাকেও অনুরূপ দান করুন এবং আপনার সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি করুন।”

এই দোআটি ইমাম নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার আল-আযকার গ্রন্থে পৃ. ৩৪৯ উল্লেখ করেছেন।

শিশুদের জন্য আশ্রয় প্রার্থনার দোআ:

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তাআ'লা আনহুমা থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা-এর জন্য এই বলে (আল্লাহ্‌র) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন-

– «أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ».

উচ্চারণ: উ‘ইযুকুমা বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিওঁয়া হা-ম্মাহ্‌, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্।

অর্থ: “আমি তোমাদের দু’জনকে আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের আশ্রয়ে নিচ্ছি যাবতীয় শয়তান ও বিষধর জন্তু থেকে এবং যাবতীয় ক্ষতিকর চক্ষু (বদ নযর) থেকে।” -বুখারী ৪/১১৯, নং ৩৩৭১

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় পোষ্টের পাঠক নাই। আফসোস।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



'পাঠক নেই' কথাটা হয়তো একেবারে ঠিক নয়। কারণ, এই প্রতিমন্তব্যটি যখন লিখছি, এই পর্যন্ত পোস্টটি ৪৫ বার ভিউ হয়েছে- দেখাই যাচ্ছে। সংখ্যাটা প্রায় অর্ধশতের কাছাকাছি। এতজন লোক যদি পোস্টটি পড়ে বা দেখে থাকেন, কিছু মানুষ নিশ্চয়ই উপকৃত হওয়ার কথা।

অবশ্য এটা ঠিক যে, অধিকাংশ পোস্টেই মন্তব্য এখন অনেক কম থাকে। তারপরেও চিন্তা নেই, আপনি আছেন না! কেউ মন্তব্য না করলেও অন্তত: আপনার একটা মন্তব্য প্রায় প্রতি পোস্টেই থাকে। এটা ব্লগের প্রতি ভালোবাসায় আপনার দায়িত্ববোধ থেকেই করে থাকেন হয়তো। মতের ভিন্নতা সত্বেও আপনি রেগে যান না, এটাও আপনার একটি চমৎকার গুণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.