নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনে হয় যেন আমিও রয়েছি প্রতিটি কাফেলার সাথে...

২৫ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪২

মসজিদুল হারাম, পবিত্র মক্কাতুল মোকাররমা।

মনে হয় যেন আমিও রয়েছি প্রতিটি কাফেলার সাথে...

আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন ওয়াচ্ছালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসূলিহিল কারিম। ওয়া আ'লা আ-লিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈ-ন।

সময়ের আবর্তনে বছর ঘুরে আসে হজের মওসুম। প্রতিবছর পালিত হয় পবিত্র হজ। চেনা পৃথিবীর জানা অজানা হাজারও জনপদের লক্ষ লক্ষ বাইতুল্লাহর মুসাফিরের মিলনমেলা বসে মক্কাতুল মোকাররমায়। মদিনাতুল মোনাওওয়ারায়। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে বিগত দুই বছর প্রায় বন্ধ থাকার পরে এ বছর আবার সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো হজের আনুষ্ঠানিকতা। বরাবরের মত বিশ লক্ষাধিক হাজী সাহেবানগণ হজ করতে না পারলেও অর্ধেক, অর্থাৎ, আল্লাহর ঘরের প্রায় দশ লক্ষাধিক মেহমান এ বছর সমবেত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন বাইতুল্লাহর পবিত্র আঙিনায়। পৃথিবীর নানান দেশ, ভাষা ও বর্ণের দশ লক্ষাধিক হাজী সাহেবানের খোশ কিসমত নসিব হয়েছে পবিত্র হজব্রত পালনের।

হজের এই সময়টা এলেই মনটা অস্থির হয়ে ওঠে। উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। আকুলিবিকুলি আর হাহাকারের স্পষ্ট ক্রন্দনগুলো আওয়াজ করে ওঠে বুকের ভেতরটায়। এমন পাগলপারা কেন হয় মন? এমন ছুটোছুটি অস্থিরতা কেন বুকের পাঁজরে? এমন কান্নার অস্ফুট ধ্বনিদের আনাগোনা কেন এই সময়টায়? চোখের কোনে অশ্রুর প্লাবন কেন বয়ে যায় অনন্য এই মুহূর্তগুলোয়? এই সময়ে হাজীদের 'লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক' ধ্বনি শ্রবনে হতচকিত হয়ে ওঠে হৃদয়। নিজের অজান্তেই অন্তর ছুটে যায় প্রিয়তম রবের ঘরের পানে। মক্কাতুল মোকাররমায়। প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্মৃতিধন্য মদিনাতুল মোনাওওয়ারায়। বরকতপূর্ণ এই হারামাইন শরীফাইনে মন অবশ্য পড়ে থাকে সারাক্ষণই। সারা বছরজুড়েই। কিন্তু হজের সফরের সময়টা কেমন যেন সম্পূর্ণই ভিন্ন। স্মৃতির পাতাগুলো একে একে খুলে যেতে থাকে এই সময়ে। চোখের সামনে থেকে সরে যেতে থাকে অদৃশ্য অন্তরালগুলো। মনে হয় যেন আমিও রয়েছি হজের প্রতিটি কাফেলার সাথে। হাজী সাহেবানদের মুঠি মুঠি দয়া কুড়িয়ে নেয়ার অনন্য সফরে। আমিও তাওয়াফ করছি হাজীদের সাথে বাইতুল্লাহর চত্বরে। আমিও সায়ী করছি সাফা মারওয়ার আলো ঝলমলে প্রান্তর ছুঁয়ে। আমিও প্রতিনিয়ত সিজদায় মস্তক অবনত করছি বাইতুল্লাহর সামনে। আমিও অশ্রুর নজরানায় নিজেকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করছি মাকামে ইবরাহিমের পাশে। আমিও নিজের ভেতরে নিজেকে ভেঙ্গেচূড়ে একাকার করে চলেছি অবিরাম - প্রিয়তম রবের একান্ত সান্নিধ্য আর নৈকট্যপ্রাপ্তির প্রত্যাশায়।

মনে হয় একেকটি তাওয়াফ শেষে হাজী সাহেবানদের সাথে আমিও যেন বুভূক্ষু তৃষ্ণার্ত! তৃষ্ণার্ত চাতকের মত আমারও যেন কতকালের প্রতীক্ষা জমজম পান করার! অপেক্ষার প্রহর গুনে গুনে অবশেষে! পেটপুরে পান করার সৌভাগ্য লাভ করছি জগতের শ্রেষ্ঠ সুমিষ্ট পানীয় জমজম! আমারও তিরোহিত হচ্ছে শারীরিক সব ধকল আর অবসন্নতা! ক্ষুধা পিপাসা একইসাথে নিবারণের এমন দুর্লভ পানীয় পৃথিবীতে আর কোথাও আছে কি? নেই। নেই, বন্ধু নেই। তাওয়াফ শেষে এই পানীয় পান করার প্রশান্তি আর পরিতৃপ্তি ব্যক্ত করার মত নয়। হৃদয় মন জুড়িয়ে যাওয়া সেই অনুভূতি বোঝানোর ভাষাও হয়তো আমার জানা নেই।

মসজিদে নববী, মাদিনাতুল মোনাওওয়ারাহ।

আলহামদুলিল্লাহ। ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার অপরিসীম দয়া এবং মেহেরবানিতে বাইতুল্লাহর মুসাফির হওয়ার তাওফিকপ্রাপ্ত হয়েছিলাম। কত বছর পূর্বে! সেই ২০১৭ সালে! কিন্তু প্রিয়তম রবের ঘরের চৌকাঠ ছোঁয়ার সেই স্মৃতিগুলো আজও অমলিন! সেই স্মৃতিগুলো প্রতিনিয়ত নিজেকে টেনে নিয়ে যায় প্রিয় বাইতুল্লাহর শহর মক্কাতুল মোকাররমায়, প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্মৃতিঘেরা মসজিদে নববীর আলো ঝলমলে প্রাঙ্গণে, মদিনাতুল মোনাওওয়ারায়। হজের সফর শেষে ফিরে এসেছি সেই কবে, কিন্তু মন পড়ে আছে আজও সোনালি সেই সফরের স্মৃতিময় বিমুগ্ধতায়! মন বলে ওঠে, আবার যদি যেতে পারতাম একবার! হৃদয় হাহাকার করে ওঠে, আরও কিছুটা সময় যদি হেটে আসতে পারতাম মক্কার অলিতে গলিতে! আরও ক'টা দিন যদি কাটিয়ে আসতে পারতাম রওজায়ে আতহারের নিবিড় সান্নিধ্যে!

মিনা, মুযদালিফা, আরাফাতের আলোকিত প্রান্তরে! আরও কিছুটা সময় যদি ঘুরে আসার সুযোগ পেতাম! আবারও যদি হাজিরা দিয়ে আসতে পারতাম জান্নাতুন মা'লা, জান্নাতুল বাকির আলোকিত কবরগাহে! শারে' ইবরাহিম, শারে হিজরাহ - ইবরাহিম আলাইহিস সালাম রোড, হিজরাহ রোড ধরে ধরে আনমনে হেটে চলার সে কি হৃদয় ছোঁয়া মুগ্ধতা! হাটছি এই সময়ে অথচ মন পড়ে আছে ১৪০০ বছরের পুর্বেকার আলোকিত সেই ক্ষণে! প্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হেটে চলেছেন সন্তর্পনে! ধীর পদবিক্ষেপে! মদিনার পানে! রাতের আঁধার চরাচরে, চারদিকে! সঙ্গী একমাত্র প্রিয় সহচর আবু বাকার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু! প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস আর মহান আল্লাহ তাআ'লার রহমতের উপরে পূর্ণ ভরসায় দু'জনের দৃপ্ত পদচারণা। আমিও যেন সঙ্গ দিচ্ছি আনমনে! চলতে চলতে গারে সাওরের নির্জন গুহাভ্যন্তরে আশ্রয় গ্রহণ!

মন কেঁদে ওঠে, জাবালে নূর, জাবালে রহমতের পবিত্রতার ছোঁয়ায় আবারও যদি সিক্ত করতে পারতাম! আরও কিছুটা সময় যদি হেটে আসতে পারতাম রক্তঝড়া স্মৃতিময় তায়েফের পথে প্রান্তরে! আরও কিছুটা সময় যদি দাঁড়াতে পারতাম মা হালিমা সাদিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহার মায়াময় সেই ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরের পাশে! যে ঘরের পাশেই রয়েছে সবুজাভ চমৎকার ছোট্ট একটি মাঠ! আশেপাশে সারি সারি কাঁটাযুক্ত বাবলা গাছের সমারোহ! বাবলার ছায়াঘেরা সেই মাঠেই তো খেলা করতেন পিতৃহীন শিশু মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

উহুদ! প্রিয় জাবালে উহুদ! এই উহুদের এক পাশেই তো শুয়ে আছেন বীরকেশরী নবীজীর প্রিয় পিতৃব্য একান্ত বিশ্বস্ত সহচর সাইয়িদুশ শুহাদা, শহীদদের সর্দার আমির হামযা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু! যদি সৌভাগ্য হতো তাঁর শাহাদাতগাহের পাশে আরও কিছুটা সময় দাঁড়ানোর! এই তো সেই উহুদ! যেখানে দাঁত ভেঙ্গে গিয়েছিল প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর! তাঁর পবিত্র দান্দান মোবারক শহীদ হওয়ার হৃদয় ভাংচূর করা সেই উহুদ! এই উহুদেই তো রক্তাক্ত এবং আহত হয়েছিলেন প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

জানি না, কবে আবার যেতে পারবো প্রিয় নবিজীর দেশে, কবে সাগরের অথৈ সলিলের উষ্ণ পরশে সিক্ত হবে হৃদয়ের সরোবরে কুলুকুলু রবে বয়ে যাওয়া অবিরাম স্বপ্নের এ ঝর্ণাধারা। অন্তরের গহীনে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট প্রত্যাশারা কবে ডানা ঝাপটে উঠবে, পূরণ হবে বাইতুল্লাহর পানে ছুটে যাওয়ার জমিয়ে রাখা প্রত্যয়- কিছুই জানা নেই।

প্রিয়তম রব্বে কারিম, মহান মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার একান্ত করুণাই শুধু ভরসা।

সকল প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের জন্য এবং সালাত ও সালাম তাঁর প্রিয়তম রাসূলের প্রতি। শুরুতে এবং শেষে। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন ওয়াচ্ছালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসূলিহিল কারিম।

জাবালে নূর এর গারে হেরা বা হেরা গুহা। এখানেই ধ্যানমগ্ন থাকাবস্থায় সর্বপ্রথম পবিত্র কুরআনের ঐশীবাণী অবতীর্ণ হয় প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর প্রতি।

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গুগল।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
লেখাটা পড়েই বুঝা যায় তুমি কি পরিমান আন্তরিক ও নিজের ধর্মের প্রতি তোমার ভালোবাসার অনুভূতি।

এই লেখা পড়লে তোমার ভালোলাগাটা সবাই মনে হয় উপলদ্ধি করতে পারবে।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালোবাসার এই টান শুধুমাত্রই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা এবং তাঁর প্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি প্রগাঢ় হৃদ্যতার সামান্য বহিপ্রকাশ। হজের মূল উদ্দেশ্যও তো এটাই। তবে যিনি জীবন দিয়েছেন, এই সুন্দর পৃথিবী দেখার সুযোগ দিয়েছেন সেই মহান মালিক স্রষ্টার প্রতি, তাঁর প্রেরিত রাসূলের প্রতি আন্তরিকতা যতটা রাখা প্রয়োজন, রাখতে তো পারি না তার ছিটেফোটাও। অতি সামান্য প্রচেষ্টা বলতে পারো আরকি।

ক্ষুদ্র এই পোস্টে তোমার উপস্থিতি ও মূল্যবান অভিব্যক্তি নিঃসন্দেহে প্রেরণার। অনেক অনেক ভালো থাকার প্রার্থনা।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক বলার সুযোগ কবে হবে জানি না।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ইনশাআল্লাহ হবে। আল্লাহ তাআ'লা কারও অন্তরের প্রার্থনা ফিরিয়ে দেন না। আমরা দোআ করছি যাতে অচিরেই হয়ে যায়।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: মজার একটা কথা বলি, আগে ছোট যখন ছিলাম তখন টিভি তে হজ্ব দেখাতো সেই সময় থেকে লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক মুখস্ত হয়ে আছে, হজ্বের সময় আসলেই মনের মধ্য এটা চলতে থাকে । এমন না যে আমি খুব নামাজী বা ধর্মীয় নিয়ম কানুন মানি বলতে গেলে একদমি না । ব্যাপারটা আমাকে বেশ আশ্চার্য করে, হয়তো লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক এর মধ্যে একটা ছন্দ আছে এই ছন্দ আমাকে আকর্ষন করে ।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন একটা কথা বলেছেন আপনি। চমৎকার অভিজ্ঞতা। জীবন থেকে নেয়া বাস্তবতা এমনই হয়ে থাকে। আর মূলতঃ আমরা আমাদের চারপাশে যা দেখি বা শুনে থাকি - অবচেতনে সেগুলোই আমরা ধারণ করি। এই জন্য ঘরে বাইরে ধর্ম শেখার এবং তা পরিপালন করার অনুকূল পরিবেশটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুসঙ্গ।

আর 'লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক' এর মধ্যে ছন্দের যে কথাটা বলেছেন, আমিও এতে একমত। কথাগুলো যখন লক্ষ লক্ষ কন্ঠে মুহূর্মুহু উচ্চারিত হতে থাকে তখনকার অনুভূতিটাই হয়ে যায় অন্যরকম।

সবশেষে 'লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক' এর ছন্দ যে আপনাকে আকর্ষন করে - এটা জেনে সত্যিই আনন্দিত।

আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা এবং অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২

কামাল৮০ বলেছেন: মুসলমানদের জন্য যেমন কাবা একটা আয়ের উৎস।পৌত্তলিকদের জন্য কাবা ছিল একটা আয়ের উৎস।তেলের ব্যবসার আগে হজ্জ্ব ছিল তাদের আয়ের প্রধান উৎস।
আবরাহ যখন কাবা আক্রমন করে তখন আব্দুল মোত্তালিব কাবা ছেড়ে পালিয়ে যায়,এবং বলে যায় আল্লার ঘর আল্লাহ রক্ষা করবেন।আল্লাহ মোত্তালিবের কথা শুনে এবং কাবা রক্ষা করা।কিন্তু মোয়াবিয়ারা যখন আক্রমন করে কাবাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় তখন কেউ কাবাকে রক্ষা করে নাই।
৭৯ সালে ৩০০ মতো উগ্রপন্থী যখন কাবা দখল করে নেয়।তখন পাকিস্তান ও মিশরের মুসলিম সেনারা মিলে অনেক চেষ্টা করেও কাবা উদ্ধার করতে পারে নাই।শেষে ফ্রান্সের বিধর্মী সেনা এনে কাবা উদ্ধার করা হয়।কাবা বহু বার ধ্বংস হয় আবার নির্মান করা হয়।
প্রতিটা মুসলমানের তার জীবনের আর্জিত পাপ মোচনের জন্য হজ্জ্বে যাবার ইচ্ছা পোষণ করে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ। তবে আপনার কিছু কথার সাথে সহমত হতে পারলাম না। যেমন, বাইতুল্লাহ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আবরাহার মক্কায় আসার সংবাদ পেয়ে আব্দুল মুত্তালিব পালিয়ে পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণ করেননি। এ ছাড়া, মুয়াবিয়া রা. কবে কাবা ধ্বংস করেছিলেন, সেটাও আমার অজানা।

যা হোক, আপনার জ্ঞাতার্থে আবরাহার ঘটনাটি সংক্ষেপে এখানে উল্লেখ করছি-

আবরাহার বাইতুল্লাহ আক্রমনের ইতিহাস-

আবরাহা ছিল ইয়েমেনের শাসক। মূলতঃ তখন ইয়েমেন ছিল আবিসিনিয়া বা বর্তমান ইথিওপিয়ার শাসনাধীন। ইথিওপিয়ার বাদশাহদের তখন উপাধী ছিল নাজ্জাসী। তৎকালীন ইথিওপিয়ার নাজ্জাসীর মনোনীত গভর্ণর ছিল আবরাহা।

আবরাহা লক্ষ্য করলো যে, ইয়েমেনবাসী অনেক লোক প্রতি বছর হজ উপলক্ষ্যে মক্কায় সফর করে। মক্কায় এসে কাবা শরিফে হজ করতে আসা রোধ করতে আবরাহা তার এলাকা অর্থাৎ, ইয়েমেনের সানায় একটি সুরম্য অট্টালিকাসম গির্জা এই উদ্দেশ্যে তৈরি করে, যাতে লোকেরা মক্কা গমনের পরিবর্তে তার নির্মিত সেই অট্টালিকাকে কেন্দ্র করে হজের কার্যক্রম পালন করে। কিন্তু তার গির্জায় কেউ যাতায়াত না করায় সে ক্ষুব্ধ হয়। এছাড়া আরও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা রয়েছে যার ফলে আবরাহা ইয়েমেনবাসীদের মক্কায় হজের সফর মেনে নিতে পারছিলো না। তাই সে মক্কা আক্রমণ করে কাবা শরিফ ধ্বংস করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

পরিকল্পনা মোতাবেক আবরাহা বিশাল হাতির বহর নিয়ে মক্কা আক্রমণ করে। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নাজিল হয় সুরা আল-ফিল। এটি ছিল প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুনিয়ায় শুভাগমনের ৫০ বা ৫৫ দিন আগের ঘটনা। ইসলামের ইতিহাসে এটি ‘আমুল ফিল’ বা 'হস্তিবাহিনীর বছরক' হিসেবে পরিচিত।

আবরাহার মক্কা আক্রমণের খবরে পুরো আরব গোত্রগুলো একত্রিত হয়ে গেলো। ইয়েমেনের ‘যুনকার’ নামে এক আরব ব্যক্তির নেতৃত্বে তারা একত্রিত হলো। আবরাহার সামনে যারাই গিয়েছিল তারাই পরাজিত হয়েছিল। ‘যুনকার’ আবরাহার হাতে বন্দি হলো।

কিন্তু মহান আল্লাহর ইচ্ছা ছিল ভিন্ন। তিনি সারা দুনিয়ায় এক নজির সৃষ্টি করবেন। আর তা তিনি মক্কার নেতা আব্দুল মুত্তালিবের বিচক্ষণতার মাধ্যমে প্রকাশ ঘটাবেন। হলোও তাই।

কুরাইশদের উটের বিচরণক্ষেত্র দখলঃ

সে সময় কুরাইশদের নেতা ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাদা আব্দুল মুত্তালিব। কাবা শরিফ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ছিল তার ওপর। তিনি মক্কার নেতাও ছিলেন। আবারাহা মক্কা আক্রমণ করতে এসে কুরাইশদের উটের বিচরণক্ষেত্র দখল করে নেয়। সেখানে আব্দুল মুত্তালিবের প্রায় ২০০ উটও ছিল।

আবরাহার প্রস্তাবঃ

আবরাহা কুরাইশ নেতাদের কাছে এ মর্মে প্রস্তাব পাঠালেন যে, কুরাইশদের সঙ্গে তার যুদ্ধ করার ইচ্ছে নেই। তার লক্ষ্য হলো শুধু কাবা শরিফ ধ্বংস করা। নাউজুবিল্লাহ! কুরাইশরা তাতে বাঁধা না দিলে তাদের কোনো ক্ষতি করা হবে না।

আব্দুল মুত্তালিবকে এ খবর জানানো হলে, তিনি কুরাইশদের উদ্দেশ্যে ঘোষনা করলেন যে-

‘হে কুরাইশগণ! তোমরা ভীত হইয়ো না। এ ঘরের মালিক হচ্ছেন মহান আল্লাহ তাআলা। তিনি এর হেফাজতকারী।’

আব্দুল মুত্তালিব কয়েকজন কুরাইশ নেতা নিয়ে ‘ছাবির’ পাহাড়ে অবস্থানরত আবারহার কাছে যান। আব্দুল মুত্তালিবের উজ্জ্বল চেহারা দেখে আবরাহা অভিভূত হয়ে যান। নিজের আসন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন এবং তাঁকে রাজ সিংহাসনে বসান।

আব্দুল মুত্তালিবের বিচক্ষণতাঃ

এবার আব্দুল মুত্তালিব কাবা শরিফ সম্পর্কিত কোনো কথা না বলে আবরাহাকে মানসিকভাবে আক্রমণ করেন। তিনি বিচক্ষণতার সঙ্গে আবরাহাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুমি আমাদের যে উটগুলো দখল করেছো সেগুলো ফেরত দাও।’

আবরাহা বলল, আপনাকে দেখামাত্রই আপনার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ জাগ্রত হয়েছিল। কিন্তু আপনার কথাবার্তা শুনে তা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। আপনি শুধু আপনার দুইশত উটের কথা বলছেন।’

আবরাহা আরও বলল, আপনি কি জানেন না যে, আমি কাবা শরিফ ধ্বংস করতে এসেছি। আপনি এ সম্পর্কে কোনো কিছুই বললেন না! এটা তো বিরাট আশ্চর্যের বিষয়ও বটে!

আব্দুল মুত্তালিবের বিচক্ষণ উত্তর-

আমি উটের মালিক, তাই উটের কথাই বললাম; কাবা শরিফের মালিক আমি নই। এর মালিক স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তিনিই জানেন কিভাবে এ ঘর হেফাজত করবেন।

আব্দুল মুত্তালিবের এ উত্তরে আবরাহা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং অহংকার ও দম্ভে গর্জে ওঠে। আর এটি ছিল তার চূড়ান্ত ধ্বংসের কারণ।

এবার আবরাহা উত্তেজিত হয়ে বলল, আপনার আল্লাহ, আমার হাত থেকে কাবা শরিফকে রক্ষা করতে পারবে না। নাউজুবিল্লাহ!

প্রতি উত্তরে আব্দুল মুত্তালিব বললেন, ‘এবার তোমার যা ইচ্ছা তুমি তা-ই কর।’

তারপর আবরাহা তার বিশাল হাতিবাহিনী নিয়ে কাবা শরিফের দিকে যেতে উদ্যত হতেই ধ্বংসের কোপানলে পতিত হয়। সে ঘটনার বর্ণনা এসেছে সুরা আল-ফিল-এ।

তবে অন্য এক বর্ণনা এসেছে, আব্দুল মুত্তালিব কয়েকজন কুরাইশ সঙ্গীকে নিয়ে আবরাহার কাছে এ মর্মে প্রস্তাব করলেন যে-
তুমি আল্লাহ তাআলার ঘরে হস্তক্ষেপ না করলে আমরা সমগ্র উপত্যকার এক তৃতীয়াংশ ফসল তোমাকে খেরাজ দান করবো। কিন্তু আবরাহা এ প্রস্তাব মানতে চাইলো না। আব্দুল মুত্তালিব তার উট নিয়ে শহরে ফিরে গেলেন।

মক্কায় গিয়ে আব্দুল মুত্তালিব কাবা শরিফের চৌকাঠ ধরে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে থাকলেন। অন্যান্য কুরাইশরাও তার সঙ্গে দোয়ায় শরিক হলো। আর তারা আল্লাহর দরবারে ধরণা দিয়ে বললেন-

‘হে আল্লাহ! আপনিই আপনার ঘরকে হেফাজত করেন।’

ফলশ্রুতিতে মহান আল্লাহ তাআলা বিশাল হাতির বহর সমেত আবরাহার বাহিনীকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিলেন। আবরাহার হাত থেকে রক্ষা পেলো পবিত্র কাবা শরিফ।

একই ঘটনা বিশ্বময় সারা জাগানো বিখ্যাত সীরাত গ্রন্থ আর রাহিকুল মাখতূম এর বর্ণনায় যেভাবে এসেছে-

হস্তিবাহিনীর ঘটনার সংক্ষিপ্ত সার হচ্ছে, আবরাহা সাবাহ হাবশী (তিনি নাজ্জাশী সম্রাট হাবশের পক্ষ হতে ইয়ামানের গভর্ণর ছিলেন) যখন দেখলেন যে, আরববাসীগণ ক্বাবা’হ গৃহে হজ্জব্রত পালন করছেন এবং একই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন সেখানে আগমন করছেন তখন সানআয় তিনি একটি বিরাট গীর্জা নির্মাণ করলেন এবং আরববাসীগণের হজ্জব্রতকে সেদিকে ফিরিয়ে আনার জন্য আহবান জানালেন। কিন্তু বনু কিনানাহ গোত্রের লোকজন যখন এ সংবাদ অবগত হলেন তখন তাঁরা এক রাত্রে গোপনে গীর্জায় প্রবেশ করে তার সামনের দিকে মলের প্রলেপন দিয়ে একদম নোংরা করে ফেললেন। এ ঘটনায় আবরাহা ভয়ানক ক্রোধান্বিত হন এবং প্রতিশোধ গ্রহণ কল্পে ক্বাবা’হ গৃহ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ষাট হাজার অস্ত্র সজ্জিত সৈন্যের এক বিশাল বাহিনীসহ মক্কা অভিমুখে অগ্রসর হন। তিনি নিজে একটি শক্তিশালী হস্তীপৃষ্ঠে আরোহণ করেন। সৈন্যদের নিকট মোট নয়টি অথবা তেরটি হস্তী ছিল।

আবরাহা ইয়ামান হতে অগ্রসর হয়ে মুগাম্মাস নামক স্থানে পৌঁছলেন এবং সেখানে তাঁর সৈন্যবাহিনীকে প্রস্তুত করে নিয়ে মক্কায় প্রবেশের জন্য অগ্রসর হলেন। তারপর যখন মুজদালেফা এবং মিনার মধ্যবর্তী স্থান ওয়াদিয়ে মুহাস্সারে পৌঁছলেন তখন তার হাতী মাটিতে বসে পড়ল। ক্বাবা’হ অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার জন্য কোন ক্রমেই তাকে উঠানো সম্ভব হল না। অথচ উত্তর, দক্ষিণ কিংবা পূর্ব মুখে যাওয়ার জন্য উঠানোর চেষ্টা করলে তা তৎক্ষণাৎ উঠে দৌঁড়াতে শুরু করত। এমন সময়ে আল্লাহ তা‘আলা এক ঝাঁক ছোট ছোট পাখী প্রেরণ করলেন। সেই পাখীগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে পাথরের ছোট ছোট টুকরো সৈন্যদের উপর নিক্ষেপ করতে লাগল। প্রত্যেকটি পাখি তিনটি করে পাথরের টুকরো বা কংকর নিয়ে আসত একটি ঠোঁটে এবং দুইটি দু’পায়ে। কংকরগুলোর আকার আয়তন ছিল ছোলার মতো। কিন্তু কংকরগুলো যার যে অঙ্গে লাগত সেই অঙ্গ ফেটে গিয়ে সেখান দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হতে হতে সে মরে যেত।

এ কাঁকর দ্বারা সকলেই যে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিল তা নয়। কিন্তু এ অলৌকিক ঘটনায় সকলেই ভীষণভাবে আতংকিত হয়ে পড়ল এবং প্রাণভয়ে পলায়নের উদ্দেশ্যে যখন বেপরোয়াভাবে ছুটাছুটি শুরু করল তখন পদতলে পিষ্ট হয়ে অনেকেই প্রাণত্যাগ করল। কংকরাঘাতে ছিন্নভিন্ন এবং পদতলে পিষ্ট হয়ে পলকে বীরপুরুষগণ মৃত্যুর কবলে ঢলে পড়তে লাগল। এদিকে আবরাহার উপর আল্লাহ তা‘আলা এমন এক মুসিবত প্রেরণ করলেন যে তাঁর আঙ্গুল সমূহের জোড় খুলে গেল এবং সানা নামক স্থানে যেতে না যেতেই তিনি পাখির বাচ্চার মতো হয়ে পড়লেন। তারপর তাঁর বক্ষ-বিদীর্ণ হয়ে হৃদপিন্ড বেরিয়ে এল এবং তিনি মৃত্যু মুখে পতিত হলেন।

মক্কা অভিমুখে আবরাহার অগ্রাভিযানের সংবাদ অবগত হয়ে মক্কাবাসীগণ প্রাণভয়ে নানা দিকে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পলায়ন করে পাহাড়ের আড়ালে কিংবা পর্বত চূড়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। তারপর যখন তাঁরা অবগত হলেন যে, আবরাহা এবং তাঁর বাহিনী সমূলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে তখন তাঁরা স্বস্তির নিংশ্বাস ত্যাগ করে আপন আপন গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। -ইবনে হিশাম ১ম খন্ড ৪৫৬ পৃঃ।

অনেক ভালো থাকুন। আবারও ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:১২

কালো যাদুকর বলেছেন:

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। অনেক কুশলে থাকার প্রার্থনা।

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে অভিভূত হ'লাম, আর স্মরণ করলাম আমার পবিত্র হজ্জ্ব পালনের সেই সোনালী স্মৃতিগুলো। আপনার বর্ণনার সাথে সাথে ছবিগুলো আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল।
মনে পড়ে, প্রথম ইহরাম বেঁধে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আকুলভাবে মিনতি জানিয়েছিলাম স্রষ্টার প্রতি, তিনি যেন আমাকে রহম করেন, ক্ষমা করে দেন। হজ্জ্ব পালনকালে কয়েকটি অলৌ্কিক ঘটনার অভিজ্ঞতাও হয়েছিল। পরে শুনেছি, এরকম অনেকেরই হয়।
আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন, হেদায়েত দান করুন, আপনাকে এ পোস্টের জন্য জাযা খায়ের দান করুন!

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার অভিভূত হওয়ার বিষয়টি জেনে সত্যিই আনন্দিতবোধ করছি। লেখাটি পাঠ করেছেন এবং আপনার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে আমাদেরকে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার জন্যই সকল শুকরিয়া, যিনি আপনার মত অনুভূতিশীল মনন ও মাওলায়ে হাকিকির প্রকৃত প্রেমে বিগলিত হৃদয়ের অধিকারী বিশেষ একজন বান্দাকে দিয়ে আমার মত অতি নগণ্যের ব্যথাতুর অন্তরের সামান্য উপলব্ধিগুলো অনুধাবন করে তা সকলকে জানিয়ে দেয়ারও সুযোগ দান করলেন। আলহামদুলিল্লাহ। ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।

বাইতুল্লাহর প্রথম ও শেষ দর্শন আপনার মত কাঁদিয়েছিল আমাকেও। মহান প্রতিপালক বাইতুল্লাহর মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার কাছে আঁকুতি, মিনতি, কান্নাকাটি আর উথলে ওঠা প্রবল ভালোবাসায় একটা ঘোরের মত কেটে গেছে হজের সফরের নির্ধারিত সেই ক'টা দিন। এখনও মনে হয় যেন স্বপ্নের মতই ছিল সে দিনগুলো। দেখতে না দেখতেই যেন ফুরিয়ে যেতে থাকে হাতে গোণা সেই আলোকিত মুহূর্তগুলো।

এখনও স্মৃতি মনে পড়লেই ব্যথাতুর হৃদয়ে রোদন ওঠে, আরও কিছু দিন যদি থাকতে পারতাম মহান মালিকের প্রিয় ঘরের নিবিড় সান্নিধ্যে! আরও ক'টা দিন যদি কাটাতে পারতাম কালো গিলাফের শীতলছায়ায়! কাছে থেকে, পাশে থেকে, ডানে থেকে, বামে থেকে, সামনে থেকে, পেছনে থেকে, সর্বোপরি স্পর্শসীমার ভেতরে থেকে কালো গিলাফ আবৃত আল্লাহর ঘরের বিমুগ্ধতা দেখার তৃপ্তি যেন পূর্ণ হয় না। জানি, এ তো পূর্ণ হওয়ারই নয়! তবু মন তো মানে না! হৃদয়কে তো বুঝিয়ে রাখতে পারি না!

আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। পরিবার-পরিজন সকলের শান্তি, নিরাপত্তা এবং কল্যান কামনা করছি। পৃথিবীবাসী সকল মানুষকে আল্লাহ তাআ'লা সৎপথে আসার তাওফিক দান করুন, কল্যানের পথে পরিচালিত করুন। শুধু মানুষের জন্য নয়, দেহে প্রাণের স্পন্দন রয়েছে- এমন প্রত্যেকের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার একই প্রার্থনা রব্বুল আলামীনের দরবারে। আল্লাহুম্মা আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.