নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একদিন মারা যাব, এই সত্যটা নিয়ে আমার খুব বেশি আক্ষেপ নেই। তবে, আমার মৃত্যুর পর আরও অসংখ্য অসাধারণ সব বই লেখা হবে, গান সৃষ্ট হবে, চলচিত্র নির্মিত হবে। কিন্তু আমি সে সব পড়তে, শুনতে কিংবা দেখতে পারবো না। এই সত্যটা আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয়।
একবার এক ইঁদুর লক্ষ্য করল যে বাড়িতে ইঁদুর মারার ফাঁদ পাতা রয়েছে। সে খুবই ভয় পেল। ফাঁদটি অকেজো করার জন্য সে ওই বাড়িতে থাকা মুরগির সাহায্য চাইল। মুরগি ঘটনা শুনে জবাব দিল- “ ফাঁদটি আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। অতএব আমি এখানে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।
মুরগির কাছ থেকে এই উত্তর শুনে ইঁদুর খুব দুঃখিত হল এবং ছাগলের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইল। ছাগল ফাঁদের কথা শুনে বলল- “ওই ফাঁদ বড়দের জন্য নয়। আমি এখানে তোমাকে সাহায্য করতে পারবনা”।
ইঁদুর ছাগলের কাছ থেকে একই উত্তর শুনে দুঃখিত হয়ে গরুর কাছে এলো। সব কথা শুনে গরু বলল- “ইদুরের ফাঁদ আমার মত বড় প্রাণীর কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা। যা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা- তাতে আমি সাহায্য করতে পারবনা”।
ইঁদুর শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে তার ঘরে ফিরে এলো। রাতের বেলা বাড়ির কর্ত্রী অন্ধকারের ভিতর বুঝতে পারলেন যে ফাঁদে কিছু একটা ধরা পরেছে। অন্ধকারে ফাঁদের কাছে হাত দিতেই উনি হাতে কামড় খেলেন এবং দেখলেন ফাঁদে ইঁদুরের বদলে সাপ ধরা পরেছে।
তার চিৎকারে কর্তার ঘুম ভাঙল। তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকা হল। চিকিৎসা শুরু হয়ে গেল। কিন্তু অবস্থা মোটেই ভালো না। পথ্য হিসেবে ডাক্তার মুরগির সূপ খাওয়াতে বল্লেন। সুপের জন্য কর্তা মুরগিকে জবাই করে দিলেন।
অবস্থা আস্তে আস্তে আরও খারাপ হতে লাগলো। দূরদূরান্ত থেকে আরও অনেকে আত্মীয় স্বজন আসতে লাগলো। বাধ্য হয়ে কর্তা ছাগলকে জবাই করলেন তাদের আপ্যায়ন করার জন্য।
আরও ভালো চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার হতে লাগলো। অবশেষে বাড়ির কর্তা তাদের গরুটিকে কসাইখানায় বিক্রি করে দিল। একসময় বাড়ির কর্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠল। আর এই সমস্ত কিছু ইঁদুরটি তার ছোট্ট ঘর থেকে পর্যবেক্ষণ করল।
শিক্ষণীয় বিষয়ঃ কেউ বিপদে সাহায্য চাইলে তাকে সাহায্য করা উচিৎ, হোক সেই বিপদ আমাকে স্পর্শ করুক বা না করুক। বিপদ্গ্রস্থকে সাহায্য করা নৈতিক দায়িত্ব।
২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৭
আর. এন. রাজু বলেছেন: জানিনা ভাইয়া।
২| ২৬ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: শিক্ষা মূলক পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ।
২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৭
আর. এন. রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮
বিপরীত বাক বলেছেন: উপকারী র পুটকি বাঘে মারে।
সরি স্ল্যাঙ ব্যবহার করার জন্যে। কিন্তু বাঙালদেশে এটাই বাস্তবতা।
অামি মুরগী, ছাগল, গরুর পক্ষে।
২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৮
আর. এন. রাজু বলেছেন: ভালোই তো ভালো না!!!
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এসব নীতিকথা আজকাল বাসি হয়ে গেছে। তবু ভালো কথা ভালো মন/ চর্চা করি সারা জীবন।
ধন্যবাদ ভাই আর, এন রাজু।
২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৭
আর. এন. রাজু বলেছেন: হ্যা বাসি হলেও নীতিকথা ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: কিন্তু কলি যুগে উপকারীকে বাঘে খায়!!
যাকে উপকার করতে যাবেন সেই আপনার
ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।
বিড়ালের হাত থেকে ইদুরকে রক্ষা করার জন্য
প্রথমে ইদুর, পরে কুকুর, তার পরে শিয়াল এবং
সব শেষে সিংহ বানিয়ে ছিলেন এক সাধু,
পরবর্তীতে সেই সিংহ ই সাধুকে বধ করে ছিলো।
মনে পড়ে ?