নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেটা নই যেটা আপনি ভাবছেন..!! আমি সেটাই যেটা আপনি ভাবছেন না.!! আমাকে ভাবা যায় না..!! বুঝতে হয়.!!

আর. এন. রাজু

আমি একদিন মারা যাব, এই সত্যটা নিয়ে আমার খুব বেশি আক্ষেপ নেই। তবে, আমার মৃত্যুর পর আরও অসংখ্য অসাধারণ সব বই লেখা হবে, গান সৃষ্ট হবে, চলচিত্র নির্মিত হবে। কিন্তু আমি সে সব পড়তে, শুনতে কিংবা দেখতে পারবো না। এই সত্যটা আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয়।

আর. এন. রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাটকঃ- আই এ্যম স্যরি রাজু। পর্বঃ- ০১

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

"কই তুমি?"

"এইতো চলে আসছি বাসার কাছেই"

"এত দেরি হয়েছে কেন?"

"অফিসে আজ একটা জরুরি মিটিং ছিল তাই দেরি হল।"

"আসতে আর কতক্ষণ লাগবে?" (রাগী স্বরে)

"এইতো বাসার সামনেই এসে গেছি।
এক থেকে ৫০ পর্যন্ত গুনো, তার মধ্যেই আমি তোমার চোখের সামনে চলে আসছি।" (রিক্সা থেকে নেমে গেছেন রাজু)

"ঠিক আছে।"

এই বলে নিঝুম ফোন রেখে দিল। ১০ সেকেন্ড যেতে না যেতেই নিঝম আবার ফোন দিল রাজু কে।

"এই তুমি কি আমার শাড়ি এনেছো!"

(রাজু শুনে তো ততমথ খেয়ে গেল, শাড়িটা আনতে সে ভুলে গেছে। দোকানে ফেলে আসছে। কোনো কিছু না ভেবেই বলে দিল)

"হ্যা এনেছি, এইতো আমার হাতেই।"

এই বলে রাজু ফোনটা কেটে দিল।
অন্যদিকে নিঝুম শুধু "হ্যালো, হ্যালো, কি হল কথা বল" লাইন কেটে গেছে এই ভেবে সে জানালার পাশে গেল। গিয়ে দেখতে পেল যে তার  স্বামী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে এবং রিক্সা রিক্সা করে চেঁচাচ্ছে। তাঁর হাতে কোনো ব্যাগ ছিল না। শুধু শুধুই নিঝুমের ভয়ে মিথ্যে বলেছে, আর এখন ব্যাগ নিয়ে আসার জন্য ছুটেছে দোকানে।
নিঝুমের তখন খুব হাসি পেয়েছে। নিঝুম বলতে লাগলো "মনভোলো কোথাকার। আমাকে বললেই পারতে যে শাড়ি আনতে ভুলে গেছ। আমি কি বুঝতাম না"
একটু হেসে সে রুমে গিয়ে খাবার টেবিলে বসে থাকলো। অপেক্ষা করছে রাজুর আসার।

প্রায় ২০ মিনিট পর বাজার থেকে আসলো। অনেক রাত হয়ে গেছে। অনেকটা ঘেমে গেছে রাজু। ভয়ে ভয়ে গিয়ে সে বাসায় ডুকছে। যখন সিড়ির সামনে আসলো তখন সে আস্তে আস্তে পা ফেলে যাচ্ছে। যদি নিঝুম কিছু বল এই ভয়ে।

নিঝুম মেয়েটা খুব জেদি। যখন তখন রাজুর উপর রাগ করে বসে।

"এত দেরি হয়েছে কেন, হুঁ!, তুমি না বললা ১-৫০ পর্যন্ত গুনলে তুমি আমার সামনেই চলে আসবা। আর এখন আসলা ২০ মিনিট পর। কেন..??"

"না মানে আমি বাজারে ছিলাম।"

"কি..?? তুমি না বললা বাসার সামনেই
গেইটে চলে আসছো। আর এখন বলছো বাজারেই ছিলা।"

"আরে না, না মানে বাসার কিছুটা সামনে এসেই বলেছিলাম বাসার সামনে চলে আসছি।" (কিছুটা তোতলা ভাবে)

"আর হ্যা তোমার হাতে তো কোনো ব্যাগ ছিল না"

"না, কই, ব্যাগ ছিল তো। এই দেখো আছে।"

"এখন এনেছ। আমি তোমাকে দেখেছি যখন তুমি গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলা তখন তোমাকে দেখেছি আমি। আর তখন তোমার হাতে কোনো শাড়ির ব্যাগ ছিল না।"

"কোনো কথা নেই।" (মাথা নিচের দিকে রেখে)

"ঠিক আছে। হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে আস। আমি খাবার রেডি করি। কি হল যাও। আর আমি তোমার উপর রাগ করিনি।" (রাজুর গালে চিমটি কেটে বললো)

"হ্যা যাচ্ছি"

এই বলে রাজু চলে গেল বাথরুমের দিকে হাত - মুখ ধুতে। হাত - মুখ ধুয়ে সে খাবার টেবিলে আসলো এবং খেয়েদেয়ে জলদি ঘুমিয়ে পড়লো। সকালে তাড়াতাড়ি অফিসে যেতে হবে। জরুরি মিটিং রয়েছে।

রাজু ও নিঝুমের বিয়ে হয়েছে আজ ৫ মাস হয়। মেয়েটা খুব ভালোবাসে রাজু কে। রাজুও ভালোবাসে তাকে। কিন্তু নিঝুম মেয়েটা বেশ জেদি। সব কথার মানে খোজে রাজুর কাছ থেকে। নিঝুম যাতে রেগে না যায় এ কারণে সে অনেক মেনে চলে।

সকাল হল, ৭ টা বাজে। রাজু স্নান করতে বাথরুমে ডুকলো। স্নান করে সে স্যুইট পড়ছে। এমন সময় "রুনা'র" ফোন আসলো। রাজু ফোনটা রিসিভ করতে পারলো না। নিঝুম ফোনটা ধরলো এবং কানের ধারে নিলঃ-

- হ্যালো বস, কোথায় আপনি? আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিল।

- কে আপনি? আর কি কথা বলার আছে উনাকে।

- (রুনা অবাক হয়ে গেল। ভাবি ফোন ধরেছেন।) ভাবি, স্যার কোথায়। উনাকে একটু ফোনটা দেওয়া যাবে। দরকার ছিল।

- কি দরকার আমাকে বলুন। আর এখন ফোন দিয়েছেন কেন। এত সকালে। এখন কি অফিস টাইম?

- না তা ঠি আছে। কিন্তু ভাবি এখন উনার সাথে কথা ছিল।

- অফিস টাইম না তো এখন ফোন দিয়েছেন কেন হ্যা। আর মনে রাখবেন আজ বলে দিলাম ও কে অফিস টাইম পরে আর কখনো ফোন দিবেন না। বুঝেছেন?

- আচ্ছা ভাবি ঠিক আছে।

এই বলে নিঝুম ফোনটা কেটে দিল। আর রুনা এরকম ব্যবহারে খুব রাগ হল। রাজু সব চেয়ে দেখছে। কিছুই বলার নেই তার নিঝুমের কথার উপর।

চলবে...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শায়মা বলেছেন: বেচারা রাজু!


নাটকটা পড়লাম ভাইয়া।

২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

আর. এন. রাজু বলেছেন: হ্যা ধন্যবাদ শায়মা আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.