নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো লাগে তাই সামান্য একটু হাবিজাবি লিখি এই আর কি !

নির্বাক রাজপূত্র

খুব কম কথা বলি। কিন্তু কিছু হাবিজাবি লেখার চেস্টা করি । রিয়েল লাইফে কম কথা বলি বলে বন্ধুরা নির্বাক বলে ডাকে। তাই ভারচুয়াল লাইফে এই নামটাই বেশিরভাগ ব্যাবহার করি।

নির্বাক রাজপূত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার জীবন এর একটি কালো অধ্যায়

০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৩

আমি তখন ক্লাস ৮ এ পড়ি।
আমাদের গ্রামের একটা মেয়েকে খুব ভালো লেগে যায়। সেদিন বৃস্টির দিন ছিলো।স্কুল থেকে আসার পথে অতিরিক্ত বৃস্টির কারনে একটি কাচারিতে(ভাঙ্গা বাড়ি) আশ্রয় নেই। আমার মত আরো ২টি মেয়ে সেদিন ঐখানে আশ্রয় নেয়। জানিনা কোন কারণেঅকারণে হঠাৎ আমার ভিতর কেমন যেন লাগতেছিলো। তাও আবার একটি মেয়েকে দেখে। বুঝিনি তখন। বৃস্টি থামার পর বাসায় চলে আসি। কিন্তু কিছুতেই সেই মেয়েটির মুখখানা ভুলতে পারছি না। এভাবেই চলতেছিলো কিছুদিন। কিন্তু আমি কেমন যেন নিরব হয়ে থাকতাম। কারো সাথে বিষয়টা শেয়ার করতেও পারছিলাম না।

অনেক ভেবে চিনতে আমার ফুফাতো বড় ভাই এএ কাছে কথাগুলো শেয়ার করলাম। সে বললো ভাই তুই তো প্রেমে পড়েছিস। আমি হেসে উড়িয়ে দিলাম। বাসায় এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলাম আমি প্রেমে পড়েছি,,,হাহাহা আগের চেয়ে এখন আর বেশি মনে পড়ছে মেয়েটিকে। স্কুল থেকে আসার সময় বৃস্টি না হলেও আমি ঐ বাড়িটাতে দাঁড়িয়ে থাকতাম।কিন্তু তাকে দেখতাম না। নিজেকে খুবই অসহায় মনে হচ্ছিলো। এরপর একদিন ঐ মেয়েটির সাথে থাকা অন্য মেয়েটিকে দেখতে পেলাম। তার পিছু নিলাম। এরপর তার বাসা চিনে আসলাম।

ভাবলাম কিভাবে জিজ্ঞাসা করবো যে ঐ মেয়েটির বাসা কোথায়?
একদিন সাহস করে সেই মেয়েটিকে তার বান্ধবীর কথা জিজ্ঞেস করলাম। সে বললো কেনো,, আমি কোন কথা না বলেই চলে আসলাম।
পরের দিন হঠাৎ দেখলাম সে আর তার বান্ধুবী স্কুল থেকে আসতেছে,,,আর আমি তাদের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। বুকের ভিতর যেন কেমন কেমন লাগতে শুরু করলো,,,হাত পা স্থীর হয়ে যাচ্ছে,, সেই মেয়েটি আমাকে দেখিয়ে তার বান্ধুবীর কাছে কি যেন বলতেছে,,,এটা দেখে আমার শরীরে কম্পন শুরু হয়ে গেলো,,,কি বলছে আমার নামে ঐ মেয়েটি? গতকালকের কথা বলছে নাতো?
ভাবতে ভাবতে প্রায় সামনা সামনি চলে আসছি আমরা,,,আমি মেয়েটির দিকে তাকাতেই আমার দিকে এমনভাবে তাকালো মনে হলো আমি তার সাত জনমের শত্রু। এখনও মনে আছে সেই চোখের তাকানো।

আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম। বড় ভাইকে আবার কথাগুলো বললাম। বড় ভাই বললো আচ্ছা আমি দেখছি,,,
পরের দিন বড় ভাইকে নিয়ে ঐ মেয়েটিকে খুঁজতে বের হলাম,,,কিন্তু আশ্চর্যজনক মেয়েটির বাসা ছিলো আমাদের বাসা থেকে ২টি বাড়ির পরেই। নিজে নিজে ভাবতে লাগলাম ওর বাসা এখানে আর আমি এতদিনে একবারও দেখিনি,,,
বড় ভাই বললো এবার কি করবি? মেয়ে তো পেয়ে গেলি,,,,বলেই একটা হাসি দিলো আমি খুবই লজ্বা পেলাম,,
এরপর আমি ইচ্ছা করেই ওদের বাড়ির উপর থেকে হেটে যেতাম কিন্তু ও সবসময়ই দেখতো আমি হেটে যাচ্ছি কিন্তু ওর কোন ঐরকমভাবে কোন কিছুই চোখে পরতো না,,,অন্য সবার মত আমাকেও কেমন করে যেনো দেখতো। দেখতে দেখতে আমার ফাইনাল পরিক্ষা চলে আসলো,,,আমাদের পরিক্ষা তখন সকালে শুরু হতো,,,১০টা থেকে ১২টা ৩০। আমি জানতাম ওদের স্কুল ছুটি হতো ১২টার দিকে। আমি প্রায় প্রত্যেক্টি এক্সাম ১২টা অবদি দিয়ে বেড়িয়ে যেতাম শুধুমাত্র একবার দেখার জন্য।
ফলশ্রুতি আমাকে ঐ বছর ২টা সাবজেক্ট এ খারাপ করতে হয়েছে +বাবার মাইর। আমাকে কোনমতে বিশেষ বিবেচনায় ক্লাস ৯এ ঊঠালো। ও তখন ও ক্লাস ৮ এ পড়তো।

এভাবেই আরো একটি বছর কেটে গেলো কিন্তু ও আমার দিকে একটুও তাকাতো না। হয়তো আমি দেখতে পিচ্চি ছিলাম তাই, পরের বছর ঠিক ঐ একই ভাবে বিশেষ বিবেচনায় ক্লাস টেন এ উঠালাম। কিন্তু আমার পড়ালেখার প্রতি কোন মনোযোগ ছিলো না। সারাদিন আনমনা হয়ে থাকতাম। ক্লাসে কোন মনোযোগ দিতাম না। দেখতে টেস্ট পরিক্ষা চলে আসলো,,,গনিত এ ফেল করলাম। স্কুল থেকে আমাকে কোন মতেই এসএসসি দিতে দিবে না। আব্বুকে বলতে সাহস পেলাম না। আম্মুকে বললাম আম্মু স্কুলে গিয়ে কথা বলে স্যারদের রাজি করালো,,শর্তসাপেক্ষ ১০০০টাকা জামানত রাখলো যদি পাস করি তবেই ঐ টাকা ফেরত দেয়া হবে।
আম্মু আমার এই পড়াশুনোর অবস্থা দেখে আমাকে ঐ স্কুলের এক টিচার এর কাছে আবাসিক এ দিলো। ফলশ্রুতি আমাকে একটি বাইসাইকেল ও একটি মোবাইল দেয়া হলো। আমার অনিচ্ছাসত্ত্বেও আমাকে যেতে হলো। ঐদিকে আমি বৃস্টির চিন্তায় সবসময় মগ্ন থাকতাম। ও হ্যা মেয়েটির নাম ছিলো বৃস্টি আর ওর বাবা ছিলো একজন সরকারি চাকুরীজীবি। এতটুকুই জানতাম তখন অর ব্যাপারে।
আমাকে মোবাইল দেয়া সত্বে আমি অনেক কষ্ট করে ওর বাসার নাম্বার কালেক্ট করি। মাঝে মাঝে কল দিতাম কিন্তু ওর আম্মু ধরতো
একদিন ওর বান্ধুবীকে বললাম যে আমি ওকে খুব পছন্দ করি। আমার খুব ভালো লাগে। কথাটা শুনে ওর বান্ধুবী আমার দিকে চেয়ে হেসে দিয়ে বললো আপনিইই!
আমি লজ্বা পেলাম

তখন খুবই সাধাসাধি ছিলাম। ওই মেয়ের হাসি আমাকে পালটে দিলো বুঝলাম আমাকে চেঞ্জ হতে হবে। ব্যাস,,,,, আমি প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে আসতাম। আর প্রায় সময়ই বাবার পকেট থেকে টাকা নিতাম। নিজে নিজে শপিং করতাম। কিন্তু নতুন ড্রেস পরে কখনই বাড়িতে আসতাম না। আবাসিক কোচিং থেকে ওর স্কুলের সামনে একটা চায়ের দোকান ছিলো ঐখানে বসে চা খেতাম। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০কাপ চা খেতাম। ও ওদেরর স্কুলের বারান্দা থেকে প্রায় হাটতো। ওর বান্ধুবী কে দেখতাম তাকাতে কিন্তু ওকে কখনই দেখিনি তাকাতে,,,
এভাবে এসএসসি দিলাম। মোটামুটি একটা রেজাল্ট করলাম।

এরপর নতুন কলেজ। নাহ ভাবতে লাগলাম ২বছর ধরে ওর পিছে পরে আছি এবার কিছু একটা করতে হবে। বড় ভাইকে সব খুলে বললাম। আমার হয়ে একদিন বড়ভাই কে পাঠালাম,,,প্রস্তাব দিতে কিন্তু বড়ভাই আমাকে এসে যা বলল তাতে আমি নিরাস হলাম।বৃস্টি নাকি বলেছে ও কখনই কারো সাথে রিলেশন করবে না এমনকি বাবা-মা যেখানে বিয়ে দিবে সেখানেই সে রাজী।
আমি বড় ভাইয়ের কাছে খুবই ছোট হলাম। নিজের প্রতি একটা ক্ষোভ জন্মালো। আমি কি দেখতে এতই খারাপ না আমার কোন কিছুতে কমতি আছে?

আমি ওদের বাসায় কল করে বিরক্ত করতে লাগলাম বিভিন্ন ভাবে। হঠাৎ একদিন জানলাম ওকে নাকি নতুন মোবাইল কিনে দিয়েছে। ওর কাজিন এর কাছ থেকে না বলে অর মোবাইল থেকে বৃস্টির নাম্বারটা নিলাম।
এরপর শুরু হলো রং নাম্বারে কথা বলা। অন্য পরিচয় এ। এক দিন দুদিন,,,করতে করতে প্রায় ৬মাসেরও বেসি কেটে গেলো,,
কিন্তু তখন ও আমার দিকে কেমন করে যেনো তাকাতো,,,আমি বিষয়টা খেয়াল করতে শুরু করলাম। আমি ভাবতে লাগলাম ও কি জেনে গেছে আমিই রং নাম্বারে কথা বলছি?

এভাবেই কেটে যাচ্ছিলো সময়। প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা কথা বলতাম মোবাইলে। ওর এসএসসি দেয়ার সময় হয়ে গেলো আর আমার ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার এক্সাম,,,,কথা বলা একটু কমিয়ে দিলাম। আমাদের দুজনেরই এক্সাম শেষ হলো প্রায় ১মমাস আগে পরে,,,,ও কলেজে ভর্তি হলো,,,আনফর্চুনেটলি আমাদের কলেজেই,,কিন্তু ওদের স্কুলেও কলেজ ছিলো।
একদিন আমি কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম তখন ও আর ওর বান্ধুবি হেটে বাসায় আসতেছিলো,,। হঠাৎ করে ওর বান্ধুবী বললো ভাইয়া বৃস্টির পায়ে খুব ব্যাথা ওকে একটু সাইকেলে করে বাসায় দিয়ে আসবেন। আমি তো এককথায় রাজি কিন্তু ও যেতে চাইলো না (অবশ্য পরে জানতে পারলাম ও নাকি ওর বান্ধুবীর সাথে বাজী ধরেছিলো যে আমাকে যদি ও নিতে বলে তবে ও না করবে না) তখন বুঝিনি এটা কি ছিলো? বিশ্বাস বাকি অন্য কিছু?

এভাবে আরো অনেক ঘটনা ঘটতে শুরু করলো আমার সাথে,,,
এইদিকে আমরা রং নাম্বারে কথা বলিতেছিলাম তখনওও,,,হঠাৎ একদিন আমাকে বললো আর কত মিথ্যা পরিচয়ে অভিনয় করবেন?
আমি সত্যি ভয় পেয়ে গেলাম। এই যা আমাকে চিনে ফেললো নাকি? আমাকে কল দিলো আমি রিসিভ করিনি ঐ দিন একবারের জন্যও।
পরের দিন কল দিলো,,,দিয়ে বললো গতকাল কল ধরি নি কেনো? আমি বললাম ভয়ে,,,, আমাকে ঐদিন অনেক মিস্টি বকা দিলো।
এবার শুরু হলো আসল পরিচয়ে কথা বলা। একদিন ও বললো আমার সাথে সামনা সামনি কথা বলতে আপনি ভয় পান? আমি বললাম না তখন বললো তাহলে আপনি আপনার ভাইকে দিয়ে আমার কাছে প্রোপোস পাঠালেন কেনো? আপনি নিজে বলতে পারলেন না? আমার তখন বলার কিছু ছিলো না,,,

পরের দিন চিন্তা করলাম আজকে প্রোপোস করবঈ করবো,,,ব্যাস যেই বলা সেই কাজ,,,,পরের দিন ও আর ওর বান্ধুবী কলেজ থেকে আসার সময় আমি সেই ভাঙ্গা বাড়িতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ওরা কাছে আসাতেই আমি সাইকেল নিয়ে ওর সামনে গিয়ে ব্রেক করলাম। সাইকেল থেকে নেমে হাতে একটি গোলাপ নিয়ে বললাম বৃস্টি তোমার মনে আছে? আজ থেকে প্রায় ৩বছর আগে তুমি বৃস্টি পড়তেছিলো বলে এখানে দাড়িয়েছিলে,,,ঠিক সেদিন থেকেই আমি তোমাকে ভালোবাসি,,I love you বৃস্টি,,,,ও লজ্বা পেয়ে ফুলটা না নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো,,,আমি ভাবলাম এবারও তাহলে প্রত্যাখ্যান? আমি ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম,, একটু দূরে গিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মিস্টি একটা হাসি(আমার জীবনে দেখা সেরা হাসি) দিয়ে বললো আমিও আপনার কাছ থেকে এই কথাটা শোনার জন্য ২বছর ধরে অপেক্ষা করতেছি,,,I love you tooo,,, বলেই চলে গেলো।

শুরু হলো আমাদের নতুন করে পথ চলা। এরপর একসাথে প্রায় ৩টা ভ্যালেন্টাইন একসাথে কাটিয়েছি। ঘুরেছি। মজা করেছি। আছে হাজার হাজার ঘটনা। যা লিখতে গেলে লিখেই যাবো,,শেষ হবে না।
এরপর আমি যখন বিবিএর জন্য ঢাকা আসলাম তখন সেকি কান্না। কেন আমি ঢাকা এসেছি? আমিও খুব আপসেট ছিলাম তখন। এরপর প্রায় ১বছর ভালোই কাটলো,,,আরেকটি ভ্যালেন্টাইন আসলো কিন্তু সেমিস্টার ফাইনাল এর জন্য যেতে পারি নি ঐ দিকে ওর এইচএসছি ও শেষ।

আস্তে আস্তে আমাদের ভিতর দুরুত্ব বেড়ে যেতে লাগলো
প্রায় ঝগড়া হতো,,আবার ঠিক হতো আবার ঝগড়া,,, উহ
একদিকে পড়ালেখার প্যারা,, একদিকে ওর একশো একটা কথার প্যারা,,,আমি পাগল হয়ে যেতে লাগলাম। আমাদের ভিতর থেক্ব রোমান্টিকতা উঠে গেলো। কথা হলেই শুধু ঝগড়া আর ঝগড়া
দুজনেই কথা বলা অফ করে দিতাম আবার বলতাম। এভাবেই চলতেছিলো,,,হঠাৎ আমাদের দুজনের অধ্যায় এর মধ্যে অন্ধকার নেমে আসলো। ওর বাবা ওর বিয়ে ঠিক করলো। ভালো পাত্র। সরকারী চাকুরীজীবী,, ওদের ফ্যামিলির সবাই পছন্দ করেছে। এইদিকে আমার থার্ড সেমিস্টার ফাইনাল। প্রায় সারাদিনই কথা হতো আমাদের। কি করবো,, কি করবো?
ওর বিয়ের ডেটও ঠিক হয়ে গেলো,,,কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। দুজনে ডিসিশন নিলাম পালাবো,,, আমি ডেট ঠিক করলাম আর জায়গাও ঠিক করলাম। কিন্তু ও ডেট পেছোতে লাগলো,,, করতে করতে বিয়ের বাকি আর ১মাস। ও ঠিক করলাম বিয়ের ১সপ্তাহ আগে আমার কাছে চলে আসবে। এইদিকে আমি একটা পার্ট্টাইম জব করতাম। নিজের খরচ চালানোর জন্য। বাবাও প্রায় মাসে টাকা পাঠাতো প্রয়োজন না হলেও। এভাবে আমার কাছে প্রায় ৪০হাজার টাকা ছিলো। বাবাকে বললাম বললাম কলেজে টাকা লাগবে ১৫হাজার এর মত। বাবা টাকা পাঠালো। ঠিক করলাম আমরা পালিয়ে গিয়ে ফুফুর বাসায় উঠবো কুমিল্লা। সবকিছু মেনে নেওয়ার পরই ফিরবো।
টাইম চলে আসলো। আমিও কাউকে না জানিয়ে গ্রামে চলে আসলাম। রাত টায় গাড়ি। আমি আগেই ওর বান্ধুবীকে দিয়ে ওকে ১০হাজার টাকা পাঠিয়ে দিলাম যাতে ওর যা যা প্রয়োজন সবকিছু কিনে নিতে পারে আসার সময়। দুপুরে কথা হলো যে ও শপিং করে ডিরেক্ট চলে আসবে। আমি বললাম আমিও আসি ও বললো না সমস্যা আছে। কেউ দেখে ফেললে সমস্যা
সন্ধ্যা ৬টা কল দিলাম কিন্তু কল রিসিভ হচ্ছে না। সন্ধ্যা ৭টা মোবাইল বন্ধ। ৮টা গাড়ি ছাড়ার টাইম হয়ে গেলো। আমি দুটো টিকিট কেটে বসে আছি। কিন্তু ওর কোন পাত্তা নেই। ওর বান্ধুবীকে কল করে আমি রিতিমিত শকড। এত কষ্ট আমি কখনই পাই নি। মনে মনে যা ভাবছিলাম তাই হলো।
ও আসবে না,,এমনকি পালাতেও পারবে না, সেদিনের বাসেই আমি ঢাকা চলে আসি।
ওর বলা আগের কথাগুলো মনে পরা শুরু হলো,,,বাসে বসে চিন্তা করতে লাগলাম ওর আগের বলা কথাগুলো ,আমি বারবার বৃষ্টিকে বলতাম,-'আমার খুব ভয় করে আমাকে ছেড়ে তুমি কখনো চলে যাবে নাতো?'
ও বলতো-'তুমি একটুও চিন্তা করবে না। আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যাব না। আমি
তোমাকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।'

ভালোবাসার পূর্ব শর্ত হলো বিশ্বাস। আমি বৃষ্টিকে অনেক বিশ্বাস করতাম। দিন দিন আমি বৃষ্টির প্রতি আরো দুর্বল হয়ে গেলাম। সারাক্ষণ ওকে নিয়ে ভাবতাম।
সেই বৃস্টি আমার সাথে এতবড় ধোকা দিলো
আমার সবকিছু যেনো অন্ধকার হয়ে গেলো। প্রতি মিনিটে অকে কল করেছি কিন্তু মোবাইল বন্ধ।
বিয়ের ২দিন আগে আমাকে ফোন দিলো আমার সব বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে
বৃষ্টি বলল, আমি যেন তাকে ভুলে যাই। কারন ও নাকি ওর বাবা মাকে কষ্ট দিতে পারবে না।
আমি ওকে অনেক বোঝালাম। বললাম, -'তুমি আমাকে এসব কথা আগে বলোনি কেন?'
ও কোন কথা বললো না,,,শুধু বললো আমাকে আর কখনই ফোন দিবা না,,,
যদি দাও আর আমার যদি কোন সমস্যা হয় তবে আমি আত্মহত্যা করবো এই কথা আর কেউ জানুক বা না জানুক তুমিই জানবে তোমার জন্যই আমি আত্মহত্যা করেছি।
এটাই ছিলো বৃষ্টির সাথে আমার শেষ কথা। আর কখনই কথা হয় নি।
গ্রামে গেলে এখনও মাঝে মাঝে দেখা হয় বৃস্টির সাথে কিন্তু আমি যে সেই আমি নেই,,,,তবুও ভালো লাগে এই কথা শুনে সে সুখে আছে,,ভালো আছে
যেটা আমার সাথে থাকলে হয়তো পেত না।
হুউউউউউউউউউউউউ(দির্ঘশ্বাস) ,,,,,হিহিহি এই ছিলো আমার জীবনের না বলা একটি কালো আধ্যয় এর গল্প।
অনেক দিন পর আজকে রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারবো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.