নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে বেইমান - ১ম পর্ব

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

কে বেইমান
.

.
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নাস্তা তৈরি করে মিম বাপ্পিকে ডেকে দিয়ে আবার রান্না ঘরে চলে গেল। বাড়ির কাজের লোক থাকলেও নিজের স্বামির জন্য খাবার বানাতে মিমের নিজের কাছেই খুব ভাল লাগে।
.
বাপ্পিকে একটু আগেই দেখা আবার কোথায় গেল। মিম বাপ্পিকে খুঁজতে খুঁজতে ঘরের মধ্যে চলে আসলো। এদিক ওদিক খুঁজে যখন চলে যাচ্ছে।
.
বাপ্পি পিছন থেকে হাত টান দিয়ে কাছে টেনে নিয়ে এল। মিম চমকে বলল
-উফফ। শয়তান একটা।
-তাহলে তো একটু শয়তানি করতেই হয়।
-এখন আর কোন শয়তানি করতে হবে না। এখন অফিসে যাও। দেরি হয়ে যাচ্ছে।
-নিজের ব্যাবসা দেরি করে গেলে ক্ষতি হবে না। কিন্তু বউকে একটু আদর না করলে ক্ষতি হয়ে যাবে।
-অত বুঝতে হবে না। অফিসে যাও।
.
বাবা মারা যাওয়ার পরে বাপ্পিই ব্যাবসার হাল ধরেছে। আর মিম বাপ্পির সাথে সুখেই আছে। মিমের কোন কাজেই কোন বাধা নেই। ইচ্ছা হলে শপিং করতে যায়। একা একা ঘুরতে চলে যায়। নিজের স্বাধিনতা নিয়ে মিম ভালই আছে।
.
মিমের মনেহল বাইরে যেতে হবে ঘুরতে। একা একা ঘুরতেও মিমের খারাপ লাগে না।তাই বাসা থেকে বের হল সেই উদ্দেশেই।
.

.
আফজাল দাড়িয়ে আছে দোকানে। তবে দাঁড়িয়ে আছে অন্য কোন কারনে। সামনের বাড়ি থেকে একজন বের হলেই আফজাল তাকে অনুসরণ করে। অনেকদিন হয়েছে এমন। তাই এই দোকানটাতে বসে থাকে।
.
যার জন্য অপেক্ষা করছিল তাকে পেয়েছে। তাই আজকেও পিছু নিল তার। অনেকদিন ধরে আফজাল অনুসরন করছে। আর এই অনুসরনের পিছনে কারন খুঁজে পেয়েও যেন পাচ্ছে না। আর সুযোগের অভাবে কিছু করতে পারছে না।
.
মেয়েটাকে একটা গলির কাছাকাছি আসতে দেখে আফজাল সেদিকে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ মেয়েটি দাঁড়িয়ে গেল। দাঁড়িয়ে আবার হাটতে থাকলো।
.
দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আফজাল ও দাঁড়িয়ে আছে। কারন হাটলে মেয়েটি তার পিছনে চলে গেল। কিন্তু মেয়েটি এবারে ঘুরে আফজালের দিকেই আসছে। আফজাল কিছু না ভেবে দাঁড়িয়ে থাকলো।
.
মেয়েটি আফজালের কাছাকাছি এসে বলল
-তোমাকে অনেকদিন ধরে আমার পিছনে ঘুরতে দেখছি। কারন কি?
-তেমন কোন কারন নেই।
-বয়স কত!! আমার চেয়ে তো বয়সে ছোট হবে। তো আমার পিছনে ঘুরছো কেন? মতলব কি তোমার?
-কোন মতলব নেই। তোমার সাথে কিছু কথা আছে আমার।
-অপরিচিত কারো সাথে আমার কোন কথা নেই।
-মিম আপু। আমি আফজাল। এবারে চিনতে পেরেছ?
-আফজাল!!!
-দাড়াও আপু। যা হওয়ার আতিক ভাইয়ের সাথে হয়েছিল। আমি জানি তুমি আতিক ভাইকে সহ্য করতে পারো না। কিন্তু আমার সাথে তো কিছু হয় নি। তাহলে আমার সাথে তো কথা বলবে?
-কি বলবে বলো?
-এখানে দাঁড়িয়ে সব কথা বলা যাবে না। চলো আমরা এক জায়গায় বসে বলি।
-আচ্ছা।
.
মিম বসলো চেয়ারটাতে আর আফজালও বসলো। আফজাল বলল
-তুমি আতিক ভাইয়ের সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছ। কিন্তু এর পিছনে থাকা আসল কাহিনি জানো তুমি?
-আমার জানার কোন দরকার নেই।
-তোমাকে যে জানতেই হবে। নাহলে তুমি নিজের কাছে নিজেই অপরাধী হবে।
-না জেনে অপরাধী হয়েই বেচে থাকবো। তবুও জানতে চাই না।
-তোমার ইচ্ছা না থাকলেও যে আজ তোমাকে শুনতেই হবে। তুমি বাপ্পি ভাইকে কতদিন ধরে চেন?
-যতদিনে চিনি খুব ভালভাবেই চিনি।
-না তুমি তাকে ভালভাবে চেন না। তার অতিত সম্পর্কে তুমি জানো?
-না।
-তাহলে কিভাবে ভালভাবে চেন?
-একজনের সাথে সারাজীবন থাকতে যতটা জানা দরকার। আমি তার সম্পর্কে ততটাই জানি।
-তাহলে আজ আমি তোমাকে তার অতিত সম্পর্কে জানাই। শোনো তাহলে...
.

.
বাপ্পি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। বাপ্পির মা মারা যায় তার জন্মের পরেই। তারপরে বাপ্পির বাবা আর বিয়ে করে নি। কেন বিয়ে করে নি তা অনেকে জানতে চেয়েও জানতে পারে নি।
.
পরে অবশ্য জানা গিয়েছে বাপ্পির বাবা একজন কে নিয়ে সুখি নয়। নতুন নতুন মেয়ের সঙ্গ পাওয়ার ইচ্ছা বাপ্পির বাবার । আর বাপ্পির বাবার লোভ ছিল প্রচুর। বাপ্পির বাবার চরিত্র কেমন সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
.
বাপ্পিদের সাথে আফজালদের পুর্বপুরুষ থেকেই ভাল সম্পর্ক। সেই সুত্রে আফজালের বাবা বাপ্পির বাবাকে নিজের কোম্পানিতে ভাল পদে চাকরি দেয়। বাপ্পির বাবা ছিল ছেলের প্রতি উদাসিন। যা বেতন পেত তা বাজে কাজে ব্যায় করে ফেলতো। বাপ্পির কোন খেয়াল রাখতো না।
.
বাপ্পির বাবার উদাসিনতার কারনে আফজালের বাবা বাপ্পিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। তখন অবশ্য আফজালের জন্ম হয় নি। আফজালের বড় ভাই আতিক তখন বাপ্পির সমবয়সী। তাই তারা একসাথেই বড় হতে থাকে।
.
বাপ্পি আর আতিক খুব ভাল বন্ধু। বাপ্পির বাবা আতিকদের কোম্পানির কর্মচারী হলেও আতিক বাপ্পিকে সেই চোখে দেখতো না।সে শুধুই বন্ধু।
.
বাপ্পি আর আতিক এখন কলেজে পড়ে। বাপ্পি এখন তাদের বাড়িতেও থাকে আবার বাপ্পিদের বাড়িতেও থাকে। বাপ্পির বাবা এখন আগের চেয়ে পরিবর্তন হয়েছে। তবে লোভ আরো বেড়েছে।
.
বাপ্পি আর আতিক কলেজে এসে বসে আছে। তাদের আজ তেমন ক্লাস নেই। হঠাৎ আতিক বাপ্পিকে বলল
-তোকে আজ একজনকে দেখাবো।
.
চলবে.........
বাকি অংশ আগামি পর্বে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.