নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে বেইমান - ২য় পর্ব

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২১

কে বেইমান - পর্ব ২
.

.
বাপ্পি অবাক হয়ে বলল
-কাকে?
-আমার সাথে আয়। আসলেই দেখতে পারবি।
-কোথায় যেতে হবে?
-আয়তো।
.
আতিক বাপ্পিকে কলেজের দক্ষিণ পাশের ভবনের দিকে নিয়ে গেল। বাপ্পি বলল
-কোথায় সে? কার কথা বলছিস?
-দাড়া। আমি ডাক দিয়ে নিয়ে আসছি।
.
আতিক মোবাইল ফোনে একটা মেয়েকে ডেকে আনলো। আতিক বলল
-ও মিম। আমার প্রেমিকা।
আতিক বাপ্পির সাথে মিমের পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে বলল
-কি ব্যাপার। তুই মিমকে আগে থেকেই চিনিস নাকি?
-আরে নাহ।
-তাহলে তাকিয়ে আছিস যে?
-প্রথম দেখলাম তো তাই এমন।
-আমিও প্রথমে দেখে তাক লেগে গিয়েছিলাম। আর প্রেমেও পরেছিলাম।
.
আতিক মিমকে বলল
-কেমন লাগলো আমার বন্ধুকে?
-ভাল।
-তুমিও ওকে বন্ধু ভাবতে পারো।
-আমি এখন যাবো।আমাদের ক্লাস শুরু হবে। ফ্রি সময় পেয়ে এসেছি।
-আচ্ছা যাও।
.
মিমের সাথে কথা বলে আতিক আর বাপ্পি যে যার মত চলে গেল।
.

.
আতিক এখন একা একাই বাড়িতে থাকে। কারন বাপ্পির মত নিজের বাড়িতে থাকে । মিমের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পরে বাপ্পির সাথে আতিকের সম্পর্কের মধ্যে একটা দুরত্ব তৈরি হয়েছে। আর আতিক চাইলেও সে দুরত্ব কমাতে পারছে না। এখন আতিককে বাপ্পি পাত্তা দেয় না। আর সেটা শুরু হয়েছে বাপ্পির সাথে মিমের পরিচয় করানোর পরে।
.
বাপ্পির সাথে সম্পর্কের দুরত্ব হলেও মিমের মাধ্যমে একাকিত্ব কিছুটা কমছে। সারাদিন আতিক কে বাসায় একাই থাকতে হয়। আতিকের ছোট ভাই আফজাল আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করে। আর আতিকের বাবা এখন তার ব্যাবসা নিয়ে খুব ব্যাস্ত।
.
আতিককে তার মা মানুষ করলেও আফজালের কপালে সে ভাগ্য জোটে নি। আফজালের চার বছর বয়সে মা মারা গিয়েছে। তাই ছোট বয়সেই আবাসিক এ থাকতে হয়েছে।
.
আতিক মাঝে মাঝে চলে যায় মিমের সাথে দেখা করতে অথবা মোবাইল কথা বলতে। কিন্তু এখন আর তা পারে না। কারন আতিকের ছোট ভাই আফজাল এখন ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। তাকেই সময় দিতে হচ্ছে।
.
মিম আর আতিকের সম্পর্ক আফজাল জেনে যাওয়ায় এখন আর কোন সমস্যাই হয় না। আফজালের সাথেও মিমের খুব ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আফজালকে মিম ছোট ভাইয়ের মতই আদর করে। আর মিমকে আফজাল ভালভাবেই মেনে নিয়েছে।
.
মিম আর বাপ্পিকে নিয়ে আতিকের ভালই দিন কাটছে। এর মধ্যে ছুটি শেষ হওয়ায় আফজালকে ফিরে যেতে হয়েছে। আর মিমের পরিবারের সাথেও আতিকের খুব ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মাঝে মাঝে মিমের সাথে আতিক যায় মিমদের বাড়িতে যায়।
.

.
মিম অনেক্ষন ধরে শোনার পরে বলল
-এগুলো জেনে আমার কি হবে? এর অনেককিছু জানি আমি।
-তুমি জানো। কিন্তু এরপরের অনেক কাহিনি তুমি জানো না।
-কিসের কাহিনি? আমার মায়ের মৃত্যু?
-হ্যা। তুমি জানো না।
-আমি সব জানি। আতিকই আমার মাকে খুন করেছিল। কারন অন্য একজনের সাথে আতিকের সম্পর্ক ছিল। আমার মা সেটা জেনে আমাকে বলতে চেয়েছিল। সেই কারনে আমার মাকে মেরেছিল। আমি সব বাপ্পির থেকে শুনেছি।
-ভুল জানো তুমি। এই সামান্য ব্যাপারে একজন মানুষকে কেউ হত্যা করে না।
-তুমি কি সঠিক জানাবে?
-শোনো তাহলে।
.

.
আতিকের বাবা হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে গেল। হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় থাকতে হল। আতিক বেশিরভাগ সময়ে হাসপাতালে থাকে। আর অল্প সময় বাড়িতে থাকে। তাই চাইলেও মিমের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না।
.
আতিকের বাবা অসুস্থ থাকায় বাপ্পির বাবাকেই ব্যাবসার সব কাজ দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হল। আর আতিকের বাবা দিন দিন আরো অসুস্থ হয়ে গেল।
.
আতিকের বাবার অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় ডাক্তাররা বিদেশে নিয়ে যেতে বলল। তাই আতিক টাকার জন্য বাড়িতে ব্যাংক চেক আনতে গেল। ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েই আতিকের বাবাকে বিদেশে নিতে হবে।
.
ব্যাংকের চেক সই করিয়ে আতিক টাকা তুলতে গিয়ে দেখে একাউন্ট এ কোন টাকা নেই। আতিক অবাক হয়ে গেল। কারন যে পরিমান টাকা আছে তা শেষ হওয়ার কথা না।
.
আতিক বাপ্পির বাবার কাছে গিয়ে জানতে চাইলে কোন কিছু জানার বদলে তার লোভী চেহারা দেখতে পেল। বাপ্পির বাবা সবকিছু সুযোগ বুঝে তার নিজের নামে করে নিয়েছে। আর ব্যাংকে রাখা টাকা নিজের একাউন্ট এ নিয়ে নিয়েছে।
.
আতিক কিছু করতে চেয়েও করলো না। এর জন্য যা করার পরে করতে হবে। কিন্তু আগে উচিৎ বাবাকে বাঁচানো। তাই এখন তাকে টাকার জোগার করতে হবে।
.
আতিক টাকার জন্য ছুটলো মিমের বাড়িতে। কারন এখন সেখানেই শেষ ভরসা। গ্রামের বাড়ির জমি বিক্রি করে নাহয় মিমদের থেকে ধার নেওয়া টাকা শোধ করা যাবে। জমি বিক্রি করতে দেরি হলে আতিকের বাবা মারা যাবে।
.
আতিক মিমের কাছে ফোন করে জানলো মিম বাড়িতে নেই। তবুও আতিক বাড়িতে গেল। কারন এখন তারাতারি টাকার জোগার করতে হবে।
.
আতিক মিমদের বাড়িতে এসে দরজার সামনে এসে দেখে দরজা খোলা। এই সময়ে দরজা খোলা থাকার কথা না। তবুও খোলা দরজা খোলা রয়েছে।
.
কৌতুহল আর চিন্তা নিয়ে আতিক ভিতরের দিকে ঢুকলো। এই বাড়িতে একা একা আতিক আসে নি। যতবার এসেছে মিমের সাথে। তাই কেমন যেন লাগছে।
.
বাড়িরে ঢুকে দেখে কেউ নেই। ডেকেও কাউকে পাচ্ছে না। তাহলে কি ঘুমিয়ে আছে? কোথাও না পেয়ে আতিক বেডরুমের দিকে পা বাড়াল।
.
চলবে........
আপনাদের সাড়া পেলে বাকি অংশ শেষ পর্বে লিখবো।
.
-- Jubaer Hasan Rabby (পাবনার তাঁরছেড়া বালক)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.