নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক

মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো সাজিয়ে গল্পে পরিনত করতে চাই। কখোনও গল্প হয়। আবার কখোনও হয় না। ভাল লিখতে জানি না।তবুও লিখি। কারন এটা শখ হয়ে গেছে। আরর এই শখ জেকে বসেছে।

পাবনার তাঁরছেড়া বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই কথাগুলো

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫


.
সপ্ন দেখে আসিফের ঘুম ভেঙে গেল। এই সপ্নটি আসিফ গত দুই তিনদিন ধরেই দেখছে। সপ্নটিতে রিমির অন্য কারো সাথে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
.
কয়েকদিন আগে রিমিকে বলল
-তোর বিয়ে হবে কবে রে?
-কেন কি হয়েছে?
-তোর বিয়ে হয়ে তোকে বিদায়ের সময় তুই কাঁদবি। আর আমি তা দেখে হাসব।
-তুই তো একটা হারামি। অন্যের দুঃখে নিজে হাসবি।
-হারামিরা এমনই হয়। আর তোর সাথে কথা নেই। থাক, আমি গেলাম।
.
রিমির সাথে এইরকম বিয়ের কথা বলে অনেকবার ঝগড়া করেছে। রিমি রেগে গেলেও আসিফ মজা নিয়েছে।
.
অথচ আজ রিমির বিয়ের সপ্ন দেখে আসিফের কেন এমন হবে? আসিফ আর এমন হতে দিতে চায় না।
.
আসিফ ভাবির ডাকে বাস্তবে ফিরে এল। আসিফ বলল
-তুমি কখন এলে ভাবি?
-এসেছি তো অনেক্ষন। তোমাকে ডাকছি কিন্তু তোমার কোন পাত্তাই নেই।
-আসলে আমি খেয়াল করি নি।
-খেয়াল করবে কিভাবে। তুমি তো ভাবনার জগতে ডুবে ছিলে। তা কি এত ভাবছো?
-একটা জিনিস আমার পিরা দিচ্ছে।
-কি জিনিস সেটা?
-মনে হচ্ছে আমি একজন মেয়েকে হারিয়ে ফেলতে চাই না। সারাজীবন তাকে আমার কাছে ধরে রাখতে চাই। কিন্তু তার প্রতি আমার ভালবাসা আছে কি না জানি না।
-আচ্ছা এর সমাধান আমি দেব।
-এখন খেতে আসো।
.

.
রিমি কানের ভেতর হেডফোন দিয়ে গান শুনছে। হঠাৎ গান বন্ধ হওয়ায় রিমি মোবাইলের স্ক্রিনে তাকালো। আর তাকিয়ে বুঝতে পারলো আসিফের ফোন।
.
প্রথমবার কেটে দিলেও পরেরবার রিসিভ করল। রিমি বলার আগেই আসিফ বলল
-কিরে ফোন কেটে দিস কেন?
-আমার ফোন তাই আমার ইচ্ছা। তাতে তোর কি?
-আজ তুই ঝগড়া করতে চাইলেও আমি ঝগড়া করবো না।
-কেন রে? তুই এত ভাল কবে থেকে?
-এখন থেকে। কারন আমার প্রয়োজনে ফোন করেছি।
-তা তোর কি প্রয়োজনে ফোন করলি?
-আমার সাথে এক জায়গায় যেতে পারবি?
-কোথায়?
-একটা মেয়েকে প্রোপোস করতে।
-তা কার জন্য?
-কার আবার! আমার জন্য। তুই যাবি নাকি বল।
-যাবো না।
-মনে থাকে যেন এই কথা।
-আচ্ছা যাবো যাবো।
-আচ্ছা বিকেলে আমাদের কলেজের সামনে ওই কোচিং সেন্টারের ওখানে চলে আসবি।
-আচ্ছা।
.

.
আসিফ অনেক সময় ধরে রিমির জন্য দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু রিমির কোন খবর নেই। মনেহয় রিমি নিজে থেকে দেরি করে আসছে।
.
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে রিমির দেখা মিলল। আসিফ কাছে গিয়ে বলল
-তোর আসতে এত সময় লাগে? আমি তোর জন্য অপেক্ষা করছি।
-আমার জন্য অপেক্ষা করার কি আছে?
-জীবনের প্রথম তো। তাই সাহস পাচ্ছি না।
-মেয়েটির সম্পর্কে কিছু জানিস?
-নাহ।
-মেয়েটির সম্পর্কে কিছু জানা নেই। আর তাকে তুই প্রোপোস করতে এসেছিস।
-আরে জানতে জানতে যদি অন্য কেউ বুকিং দেয়।
-তা ঠিক। আচ্ছা তুই যা।
-আমি যেতে পারবো না।
-যা বলছি।
.

.
আসিফকে পাঠিয়ে দিয়ে রিমি দুরে দাঁড়িয়ে আছে। আসিফের অন্য কারো প্রতি ভালবাসার কথা শুনে রিমির মনেহচ্ছে আসিফকে সে নিজের করে নিলেই পারতো। কিন্তু দেরি করে ফেলায় বুঝি তা আর হল না।
.
আসিফের অন্য কারো প্রতি ভালবাসা দেখে কেন যানি নিজেকে নিঃসঙ্গ লাগছে। আসিফের কি কখনও রিমির প্রতি ভালবাসা জেগেছিল। একথা জানা হয় নি।
.
এইরকম অনেক ভাবনা রিমির মনের ভেতর ঘুরে ফিরে আসছে। হঠাৎ আসিফের ডাকে রিমি ঘুরে তাকালো। আসিফ বলল
-আমার আর ওই মেয়ের সাথে প্রেম করা হবে না।
-কেন কি হয়েছে?
-ওই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।
-কি!!!
.
আসিফের দিকে তাকিয়ে রিমি চুপ হয়ে আছে। মনেহচ্ছে আজ রিমি আসিফকে ভালবাসার কথা জানাতে পারে। রিমি বলল
-আমার সাথে প্রেম করবি?
-কি বললি!
-হ্যা। আমার সাথে প্রেম কর। দেখ আমি ওই মেয়ের চেয়ে কম সুন্দরি হতে পারি। কিন্তু ওই মেয়ের চেয়ে অনেক বেশি ভালবাসবো।
-ধুর। আমি তো তোর বন্ধু।
-বন্ধু ছিলি। কিন্তু এখন প্রেমিক হবি।
.
আসিফ কিছু সময় চুপ থেকে বলল
-তুই ভেবে বলছিস তো?
-হ্যা ভেবে বলছি। আমি অন্যকাউকে বিয়ে করতে চাই না। আমি তোকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু তুই সেটা কখনও বুঝিস নি।
-এখন তো বুঝিয়ে দিলি। আমিই তাহলে তোর স্বামি হবো।
-আচ্ছা। তাহলে তুই আমার প্রেমিক। আমি এখন তোর কাধে মাথা রেখে বসে থাকব।
.

.
রিমি আসিফের কাধে মাথা রেখে বসেছিল।হঠাৎ একজন বলল
-বাহ। এখনই আমার দেবরের কাধে মাথা রেখে ফেলেছ।
রিমি তাকিয়ে দেখে সেই মেয়েটি। রিমি বলল
-আপনি!! আসিফ তো আপনাকে প্রোপোস করতে গিয়ে বিবাহিত দেখে আমাকে প্রোপোস করল।
-বিবাহিত না হলে আসিফের ভাবি হলাম কিভাবে?
.
রিমি আসিফের দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে বলল
-মানে?
-মানে উনি আমার ভাবি। তুই আমাকে ভালবাসিস নাকি সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। আর নিশ্চিত নাহলে তো তোর সাথে প্রেম করা যায় না। তাই প্রোপোস করার নাটক সাজিয়েছি।
-কি! তোর আজ খবর আছে।
-এবারের মত মাফ করে দে।
-প্রেমিক বলে মাফ করলাম। আর তুই আজ মনের কথাগুলো বলতে দিয়েছিস তাই মাফ।
-যাক বাঁচলাম।
.
আসিফ রিমি কেউ কাউকে সেই ভালবাসার সেইকথাগুলো কখনও বলে দেখে নি। তবে কোন এক পরিবেশে কথাগুলো বলা হয়ে গেল।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বর্ণনার থেকে সংলাপ বেশিটা গল্পের জন্য ভাল নয়। এতে খুব দ্রুত গল্পটা শেষ হয়ে যায়। বড় হলে মনে হয় রাবারের মত টেনে লম্বা করা হয়েছে। এটা পরিহার করে বর্ণনা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

গল্পটা মোটামুটি বেশ ভালই লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.