নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!
কোনটি হালাল শবনম?
১। শবনম - সৈয়দ মুজতাবা আলী
২। শবনম - কাসেম বিন আবু বাকার
মোটামুটি বই পত্র যারা ঘাটেন তাদের মধ্যে সৈয়দ মুজতবা আলীর শবনম পড়েন নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিলের ব্যাপার হবার কথা। একজন তুর্কি বংশোদ্ভূত আফগান বড়লোকের একমাত্র মেয়ের বিপরীতে এক বাঙালী যুবকের প্রেমের কাহিনী। মজনুনের প্রতি শবনমের ভালবাসার কোন তুলনা ছিল না। চোখের পানি মুছতে মুছতে অনেকবার শবনম পড়েছি ।
"শবনম" এর মাধ্যমে সৈয়দ মুজতবা আলী রুচিহীন কিছু লেখকের চোখেও কাঠি নাড়া দিয়েছেন বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। যেসব লেখক বাস্তবতা আর আধুনিকতার নাম করে উপন্যাস আর সাহিত্যের ভিতরে পাশবিক নগ্নতাকে টেনে নিয়ে এসে আমাদেরকে শুধুমাত্র দৈহিক প্রেমের শিক্ষা দিয়ে থাকেন, সেইসব লেখকদের গালে চপোটাঘাত দিয়ে মুজতবা আলী শবনমের মাধ্যমে মানবিক প্রেমের শিক্ষা দিয়েছেন সুনিপুনভাবে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ "শবনম" নিয়ে বলেছিলেন “বাঙ্গালী তরুন-তরুনীদের প্রেমে পড়ার পূর্বে অবশ্যই সৈয়দ মুজতবা আলীর শবনম উপন্যাসটি পড়ে নেয়া উচিত। এমন শিক্ষনীয় প্রেমের উপন্যাস বিশ্ব সাহিত্যে আর একটিও নেই। ” প্রেমের এরকম শ্বাশত বর্ণনা আর কোনো উপন্যাসে পেয়েছি বলে মনে হয় নি।
কাশেম বিন আবু বকর নামের এক ইসলামী ঐপন্যাসিকের নাম গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে খুব চাউর হচ্ছে। ইন্টারনেটে তাকে নিয়ে ঘাটাঘাটি করার চেষ্টা করে দেখলাম তারও শবনম নামে একটি উপন্যাস আছে। উনার কোনো বই পড়ার অভিজ্ঞতা না থাকলেও লোকমুখে শুনলাম উনি বিসমিল্লাহ বলে প্রেমিকাকে নায়ক দ্বারা হালাল চুমু খাওয়ায়। রোমান্সের শুরুতে বিসমিল্লাহ আর শেষে শুকরিয়া টেনে আনায় উনি নাকি হালাল লেখক।
আচ্ছা তাহলে এইসব চুম্মাচাটি বাদ দিয়ে সৈয়দ মুজতাবা আলী যে সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস "শবনম" লিখে গ্যাছেন সেটি বেশি হালাল নাকি কাশেমের "শবনম" বেশি হালাল?
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৮
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মহাচিন্তার বিষয়!
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলা সিনেমার কাট পিস শুরু হওয়ার আগেও বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু হয় (নাউজুবিল্লাহ)
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: যে দেশে নবী দৌহিত্রদের নিয়ে গাঁজাখুরি গল্প লিখে অমর সাহিত্যিক হওয়া যায় সে দেশে কাসেমদের মতো লেখকরাই তো টিকে থাকবে।
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাক্কার হালাল হ্যায়
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: ইস!!!!! আমি কত চুরি করছি, কত অন্যায় করছি, কিন্তু বিসমিল্লাহ বললাম না কেন???? তাইলেই ত বাইচা গেছিলাম প্রায়।।
৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৭
মেটাফেজ বলেছেন: রসময় গুট চটি লেখে, ঐ হালারও একটা জাত আছে, হালায় খালি চটিই লেখে; ধর্মের চটি লেবাসে লেখে না। এইসব ভক্করবাঈরা সবচেয়ে বড় জীবাণু ইসলামি মূল্যবোধের।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই ম্যাঁও প্যাঁও আবার সৈয়দ মুজতবা আলীর বইয়ের নামে বই লিখেছে? ঝাঁটা মারেন ম্যাঁও প্যাঁওকে