নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদ্যুৎ চমকায় না আষ্টে-পৃষ্ঠে, শতাব্দীর পরিচয়
এবরশন করি দায়িত্ব, খ্রীস্টপূর্ব অভিনয়,
মুখমন্ডল অসংলগ্ন, বহুরুপে আগমন
করুণা করি বিবেককে, অন্ধকারের প্রতিফলন,
যীশুর চেয়েও একাকী ইতিহাস, মায়া নিয়ে কানামাছি
গন্তব্যকে মানচিত্র করে, আমি তোমাদের সাথেই আছি।।
রক্তকে বিভেদ...
হরে রাম হরে হরেরে কৃষ্ণ হরে গোবিন্দ বোল
তোর মুখের ভেতর পুরো একটা মহাভারতের রোল,
যখন যেমন তখন তেমন বহুকর্ষণ রুপ
কখনো জ্বালাস আগরবাতি, কখনো জ্বালাস ধূপ,
কখনো চিতাতে পিতাকে পুড়িয়ে হয়ে গেলি ‘মালাউন’
কখনো...
প্রেয়সী!
যখন পথিমধ্যে জটলা, ট্রাম-বাস, ব্যস্ততার আলিঙ্গন
ঘড়ির কাঁটায় যখন পরিমাপ হয় দেহ-মনের বিচরণ,
যখন ল্যাম্পপোস্টের পোকাগুলো মৃত্যুসুখে ফিরে আসে
যখন গেঁয়ো রমণীর চোখগুলো আটকে যায় দূর্বাঘাসে;
তখন আমি-
নিয়তিকে শুধাই, ‘হে অন্তর্যামী!’
আমিই কেন ভাঙতে চাই...
এই দুখের পারাবারে, তুমি অন্ধ কোন রাত
এই সুখের পারাবারে, তুমি স্বর্গের কচি হাত,
সেই স্বপ্ন নিয়ে আজও, চলি স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে
তুমি বোঝনা আমায় তবু, হে অপরিসুদ্ধ মেয়ে!
আজো ছন্নছাড়া চোখে, দূরদর্শীনিদের ডাক
তবু...
এই!
তুমি কি চিনতে পারছো আমায়?
আমি এক নীলাম্বর, বর্ষা-বাদলের প্রথম আস্তানায়!
অনেকদিন গোপন ছিলাম, তারপর-
পূর্ণিমাতে আসিলাম ফিরে, নিস্তব্ধ কলেবর।
আদিগন্ত অভিমানী,
আমার এ প্রত্যাবর্তনে খুশী হওনি জানি;
তবু আসিলাম হাহাকারে,
নতুন করিয়া চিনাবো, আবারো আমারে।
করিব শূণ্য...
ধারণাটা পাল্টে যেয়ে অভিশাপ, তুমি এখন ‘সম্বোধন’
মন চলে গেছে অপচয়ে; উন্মোচিত প্রয়োজন,
দার্শনিক বিকাশের হয়েছে মৃত্যু, দায়িত্ববোধ স্বকীয়
সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তিত পরিচয়, বউ এখন ‘আত্মীয়’,
রমণীর তৃষ্ণা জাগায় না শরীর, অনুভবে পুরোটাই ফাঁকা
হেই!...
হায়রে স্বান্তনা-
আকাঙ্খার প্রদীপ হয়ে জ্বলছ বুকে,
তবু’ আসছ না;
হায়রে বিধাতা-
বিবেকের আক্রমণে ক্ষত-বিক্ষত প্রেম,
তবু, পিছু ছাড়ে না;
হায়রে তুমি-
নিয়তির বাস্তবতায় মুষড়ে পড়া আকুতি,
তবু, মনতো মানে না;
হায়রে আমি-
অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ায় মায়া,
আমাকে বুঝতেই পারো না।।
হায়রে...
ডানের চিন্তা, বামের চিন্তা, চামের চিন্তা ক’রে
কামের চিন্তা ঘোরেনাতো মনে, ’কাম’-এর চিন্তা ঘোরে,
রুপের চিন্তা ধূপের ধোঁয়ায় ফ্যাকাশে হয়েছে কবে
সারাদিন কাটে আলসে খাটে চিন্তার অনুভবে,
শ্যামের চিন্তা, রামের চিন্তা, চিন্তারাই শঙ্কিত
কেতনে চিন্তা,...
নিজের ঐশ্বীরুপ অপরে প্রকাশে
শক্তির দেবতা দিকহীন আকাশে,
বিজলি খেলিয়া চলে চকিত চাহনি
তুমি সেই দেবতার দেবতাকে দেখনি।।
লজ্জ্বার শয্যা অসহ্য চারপাশ
বিশ্বাস ক্ষীণ হয়ে ভারী হয় নি:শ্বাস,
আশ্বাস যেটুকু, সেটুকুতো আসেনি
তুমি সেই নি:শ্বাসে বীষে ভরা...
হরে রাম হরে হরেরে কৃষ্ণ হরে গোবিন্দ বোল
তোর মুখের ভেতর পুরো একটা মহাভারতের রোল,
যখন যেমন তখন তেমন বহুকর্ষণ রুপ
কখনো জ্বালাস আগরবাতি, কখনো জ্বালাস ধূপ,
কখনো চিতাতে পিতাকে পুড়িয়ে হয়ে গেলি ‘মালাউন’
কখনো...
মন পুড়ে গেছে সাঁওতালী গন্ধে
স্পর্শরা ব্যাকুল, রন্ধ্রে-রন্ধ্রে,
বাড়ছে শীত, লোমশ দেহ অনুভব হারায়
সংঘর্ষ বেঁধে গেছে সিগন্যালে, তারায়-তারায়,
মূর্তিমান আতঙ্কে দাম বাড়ছে ভদ্রতার
ভর করেছে উধ্বমূখী দাম, মস্তিষ্কে মানবতার,
তাই শিশিরে শিহরণ আসেনা, নেশায় ঘনঘোর
ঘুম-ঘুম...
নামে কি আসে যায়, ‘কাম’-এর চিন্তা শরীরে
দামের দাবীর ভবিষ্যতটা, অচল একটা ঘড়িরে,
‘রাম’-এ কোন ‘মহাপুরুষ’, ডানে-বামে নিত্য গীতা...
হিসাব মেলাতে পারি না ঈশ্বর, দেখো, ঘূর্ণিপাক আত্মহনন
আর্তনাদ করে পিপাসা, শব্দহীন-সাধারণ,
এক-এক করে দেখি পরিণতি, লজ্জ্বাহীন তবু...
হরে রাম হরে হরেরে কৃষ্ণ হরে গোবিন্দ বোল
তোর মুখের ভেতর পুরো একটা মহাভারতের রোল,
যখন যেমন তখন তেমন বহুকর্ষণ রুপ...
©somewhere in net ltd.